রবিবার আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মো. রাকিব নূর হৃদয় (১৯) মানিকগঞ্জ পৌরসভার বান্দুটিয়া এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। আর ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মো. রাকিব (১৯) ওই এলাকার আসাদুজ্জামান সালামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় বান্দুটিয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম মজিদের ছেলে মারুফ হাসান নয়ন (১৯) তার বাড়িতে হৃদয় ও রাজুসহ- তিন বন্ধু একসাথে ঘুমায়। ফোন চুরির অভিযোগ নিয়ে সকালে হৃদয় ও রাজুর সাথে নয়নের কথা কাটাকাটি হলে হৃদয় নয়নকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
পরেরদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শাইলীপাড়া এলাকার সামছুলের দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হৃদয় ও রাকিব নয়নকে প্রথমে কিল-ঘুষি, লাথি মারে। একপর্যায়ে নয়ন মাটিতে পরে গেলে হৃদয় নয়নের বুকের ডান পাশে চাকু দিয়ে আঘাত করে। এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় নয়নকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ নভেম্বর রাতে নয়ন মারা যায়।
এই ঘটনায়, একইদিন নয়নের চাচা মো. ফরিদ আল মাহমুদ বাদী হয়ে হৃদয় ও রাকিবের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর হৃদয় ও রাকিবকে অভিযুক্ত করে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাদী পক্ষ্য মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রেজা ফেরদৌস এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট একেএম আজিজুল হক।