এ ঘটনায় শুক্রবার ভোরে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া সৈয়দ পাড়ার বর্তমানে যশোর শহরের বকচর চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত সৈয়দ আসাদুজ্জামানের ছেলে সৈয়দ করিমুজ্জামান ওরফে করিম ও শহরের বকচর মসজিদ পাড়ার আশরাফ হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন জুম্মান।
পুলিশ জানায়, শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া উত্তরপাড়া এলাকার সবুজ হোসেন (২০) তরুণীর পূর্ব পরিচিত। বৃহস্পতিবার বিকালে সবুজ যশোর এসে তরুণীকে ফোন দিয়ে তাকে যশোরে একরাতের থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিতে অনুরোধ করে।
সে অনুযায়ী তরুণী তার এক বান্ধবীর নানি বাড়ির ভাড়াটিয়ার বাড়িতে সবুজকে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ৮টার দিকে সবুজকে রেখে ওই তরুণী তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য বের হলে স্থানীয় করিমসহ তার সহযোগী জাকির হোসেন, জুলহাস, বকচর মসজিদ পাড়ার মৃত আকরামের ছেলে রুবেলসহ অন্যানরা সবুজ ও ওই তরুণীকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগ্ন ভিডিও ধারন করে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে করিম তরুণীকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক দু’দফা ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তরুণী কৌশলে পালিয়ে আসে এবং পুলিশের সহায়তায় সবুজকে উদ্ধার করে। এসময় করিম ও জুম্মানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এঘটনায় রাতেই ৯ জনের বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।