আটক ব্যক্তিরা হলেন- স্থানীয় ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা, তার দুই সহযোগী মোস্তফা ও মানিক।
দুপুরে এসপি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, টাকাগুলো হুন্ডি করার জন্যই জমা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসা করেন কিনা জানতে চাইলে সেটি অস্বীকার করে আটক ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, ‘আমি অন্যান্য ব্যবসা করি।’ কিন্তু পরে তার বাসার তিন তলায় তল্লাশি করে টাকা পাওয়া যায়। সবার সামনে টাকা গুণে দেখা যায়, এক কোটি পঁচিশ লাখ টাকা ও কিছু ভাংতি টাকা রয়েছে। এই টাকা কোথা থেকে পেয়েছেন জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এই টাকাটা হুন্ডি করার উদ্দেশ্যেই একত্রে জমায়েত করা হয়েছে।’
সেখান থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়েছে দাবি করে পুলিশ সুপার জানান, জামাল হোসেন ও আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জামাল হোসেন কয়েল কারখানার ব্যবসা করেন বলে জানিয়েছেন। তার তিনটা কারখানার আইনগত কোনো কাগজ নেই। এতে সাধারণ মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে আমি মনে করি।
হারুন অর রশীদ বলেন, একদিকে হুন্ডি করার উদ্দেশ্যে টাকা জমায়েত, মাদক ব্যবসা, আবার পরিবেশ দূষণও করছেন জামাল। তাই পরিবেশ দূষণ আইনেও তার বিরুদ্ধেও মামলা হবে। কারণ অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে কারখানাগুলো চালাতে পারেন না তিনি। তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হবে।
জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আরও তদন্ত করছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা রিমান্ড আবেদন করবো। জঙ্গি সম্পৃক্ততাও আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছি।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মিজান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় কয়েল ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এক লাখ পিস ইয়াবার একটি চালান প্রবেশ করবে। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে ওই এলাকায় নজরদারি শুরু করে। মধ্য রাতে জামাল হোসেন মৃধার চার তলা বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় একটি ট্রাঙ্ক থেকে নগদ এক কোটি টাকা এবং আলমারির ভেতর থেকে আরও ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সাথে বাড়িটির নিচ তলায় জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়।