বৃহস্পতিবার সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পুর্ব বেজগ্রাম এলাকার রমজান আলীর ছেলে মন্টু মিয়া (৪০) ও আবদুল হামিদের ছেলে আতি (৩৮), পাটগ্রাম উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের খন্দকার আলীর ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৬) ও একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে রাকিব হাসান (২৪)।
এছাড়া বজ্রপাতে পাটগ্রামের বাচ্চা মিয়া, সফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন ও পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের কালিবাড়ির বিলে পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে মাছ ধরতে যান মন্টু মিয়া ও আতি। ওই সময় বজ্রপাতে তারা আহত হলে স্থানীয়রা হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে দু'জনই মারা যান।
একই ঘটনা ঘটে পাশ্বর্বতী উপজেলা পাটগ্রামে। বৃষ্টিতে স্যাকোয়া নদীতে পানি বেড়ে যায়। সকালে ৭-৮ জন মিলে স্যাকোয়া নদীতে মাছ ধরতে যান। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলে রাকিব ও জাহেদুল ঘটনাস্থলে মারা যান।
উপজেলার আহত ছয়জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাটগ্রাম ও রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।