স্থানীয়দের অভিযোগ, উক্ত মহাসড়কের তাড়াশ উপজেলার খালকুলা বাজার থেকে ১০নং ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ করছে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ মাস আগে এই কাজ শুরু করলেও কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। যে কারণে এ সড়ক পার হতে যাত্রীদের প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় লাগছে।
স্থানীয়রা জানায়, মহাসড়কের একপাশ বন্ধ রেখে আরেক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। এ কারণে সড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ এ যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট পুলিশের সহযোগিতা তেমন কাজে আসছে না। মহাসড়কের একপাশের সংস্কার কাজের পানি ও বর্জ্য গড়িয়ে পড়ায় যানবাহন চলাচলের রাস্তাও বেহালাবস্থা। ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ের সংস্কার কাজ করানো হচ্ছে স্বল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে। এ সংস্কার কাজের ধীরগতি অব্যাহত থাকায় রাজশাহী, চাঁপাই, নাটোরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বাস যাত্রীরা প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কর্মকর্তরা বলছেন, শুক্র ও শনিবার যানজট একটু নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বাকি দিনগুলোতে সারাক্ষণই তীব্র যানজট থাকে।
সিরাজগঞ্জ সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশল আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক ওই সড়কের উল্লেখিত এলাকায় সংস্কার কাজে ধীরগতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তবে কি কারণে ধীরগতিতে এই কাজ চলছে সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কাজ শেষ হতে আরও ২-৩ মাস সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।