বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় বিদ্যালয় ভবনটি যমুনা নদীতে বিলীন হওয়ার পর এলাকার বোয়ালকান্দি গ্রামে একটি টিনের ছাপড়া ঘর তুলে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে ছাপড়া ঘরে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
জেলার দুর্গম চৌহালী উপজেলার ওই বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে পাকা ভবন ও একটি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। এ বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩শ’ এবং পাঠদান কার্যক্রমও চলছিল ভালভাবে।
গত ১৭ জুলাই যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে ওই বিদ্যালয়ের পাকা ভবনসহ খেলার মাঠ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ছাপড়া ঘরে বেঞ্চ পেতে শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আবু তাহির বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।