সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন আব্দুন নূর। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাবিবুর রহমান (৪৫), ইদ্রিছ মিয়া (৪৭) ও শাহানূর মিয়া (৪৩)। তাদের বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল রাতে বসত বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামলার আসামিরাসহ বজলুর রহমান তানজু মিয়া দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিহতের স্বজন শফি উল্লাহ বাড়ির আঙ্গিনায় এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে আসামিরা শফি উল্লাহকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় শফি উল্লাহকে বাঁচাতে চাচা তরিব উল্লা ও দেলোয়ার হোসেন এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদের ধারালো চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে জাউয়াবাজার এলাকায় তরিব উল্ল্যাহ মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজন মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রায় ঘোষণার পর আসামিদের সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিচারক।
আসামিপক্ষের আইনজীবি আইনুল ইসলাম বাবলু জানান, রায়ে বিবাদীপক্ষ সন্তুষ্ট নন। তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।