ঘনকুয়াশায় মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিসি। এর ফলে চাঁদপুর ও শরীয়তপুর রুটের উভয় পাড়ে আটকা পড়ে প্রায় ছয় শতাধিক মাঝারি ও হালকা যানবাহন।
বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই রুটের মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয় কুসুমকলি, কাকলি, কুমারি, করবী ও কামিনি নামের ফেরিগুলো। তবে দুপুর সোয়া ১২টায় দুটি ফেরি চলাচল শুরু করে।
চাঁদপুর অংশের হরিণাঘাটে পার্কিং ইয়ার্ডে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এই ঘাটের আঞ্চলিক সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
বিআইডাব্লিউটিসি চাঁদপুর কার্যালয়ের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল চৌধুরী জানান, ঘনকুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তবে কুয়াশা অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ার কারণে মঙ্গলবার রাত ১০টার পরে সবগুলো ফেরি বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর বেলা সোয়া ১২টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। কুয়াশার কারণে সমস্যা না হলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
শরীয়তপুরের যাত্রী কানু রায়, বাদশা মিয়া ও গোবিন্দ বলেন, কুয়াশার কারণে গতরাত ১০টার পরে ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ২০টি বাসের কয়েকশ যাত্রী শীতের মধ্যে ঘাটেই রাত কাটিয়েছেন।
লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার ভোর ৪টায় ঘাটে এসেছি। যে পরিমাণ গ্যাস আছে রাত ১২টা পর্যন্ত লাশ নিয়ে অপেক্ষা করা যাবে। এরপরে সমস্যার সৃষ্টি হবে।
বাস চালক মাসুদ হোসেন বলেন, আমাদের কষ্ট হলে সমস্যা নেই। কিন্তু দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করে আসা যাত্রীদের নিয়ে সমস্যা বেশি। কারণ এই ঘাটে থাকা কিংবা খাওয়ার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
অপরদিকে, ঘনকুয়াশার কারণে চাঁদপুর-ঢাকা-চাঁদপুর নৌরূটে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময় ঠিক রাখতে পারছে না। এই রুটে নিয়মিত চলাচলকারি ১৭ থেকে ১৮টি লঞ্চের মধ্যে অধিকাংশ লঞ্চ সঠিক সময়ে চাঁদপুর ঘাট ত্যাগ করলেও ঘনকুয়াশায় নদীতে গিয়ে আটকা পড়ে বিলম্বিত হচ্ছে।
সকাল ১০টায় লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা এমভি মানিক, এমভি আওলাদ ও এমভি আঁচল নামে লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
ঢাকা থেকেও চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলো ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিলম্বে পৌঁছেছে বলে জানান যাত্রী ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।