নগরীর সিপাইপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
তবে আগেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে। আর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এএসএম আরিফুল হক বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও তিনি আরিফুল হক কুমার নামে লেখালেখি করেন।
এ মামলার আরেক আসামি রাকা এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী পলাতক রয়েছেন। তিনি নগরীর মাস্টারপাড়া এলাকার জেসারত মণ্ডলের ছেলে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আরিফুল হক বিভিন্ন সময় ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি নগরীতে বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন। চড়েন দামি গাড়িতে। তারা ধারণা করছেন, অবৈধ অর্থ দিয়েই আরিফুল হক এমন বাড়ি নির্মাণ ও গাড়ি কিনেছেন।
তিনি জানান, সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক থাকাকালে জাল কাগজপত্রকে সত্য দেখিয়ে ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামকে দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা ঋণ দেন আরিফুল হক। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, নিজে লাভবান হওয়ার জন্যই এই কাজ করেছেন তিনি। তাই ব্যাংকের পক্ষ থেকে গেল বছর রাজশাহীর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আরিফুল হক ও রফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
পরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করেন। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্রও দাখিল করেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারের জন্য মামলাটি বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠান। মামলাটি দায়ের হওয়ার পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন।