সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এ ব্যাপারে বুধবার ওই ছাত্রী বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
তারা হলো- বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের তারক মন্ডল (১৯), সৈকত মন্ডল (১৮) ও নাসির (৩০)। তবে মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রামের কথিত প্রেমিক নাসির মোল্লা (২০) পলাতক রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বোয়ালমারীর পাশে মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রামের নাসির মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই শিক্ষার্থীর। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে প্রেমিক নাসির দেখা করতে এসে তাকে মধুমতি নদীর চরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক নাসিরসহ তার আরও তিন বন্ধু বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের তারক, সৈকত ও নাসিম ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. সাহিদুল ইসলাম বুধবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ওই কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বুধবার দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছেন।
এব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আমিনুর রহমান বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।