দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি এবং কলাপাড়া থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দুটিতে সিভিল সার্জন ছাড়াও কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিনময় হাওলাদারকে আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম দুই বছরের জন্য উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের জন্য ছুটি নেন। ফলে সিভিল সার্জন উক্ত উপজেলার আয়-ব্যয় কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দুমকী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের জন্য কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার প্রকল্প থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা ও অন্যান্য কাজের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
কিন্তু সিভিল সার্জন নিয়মের তোয়াক্কা না করে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। একই ভাবে কলাপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অনুকুলে বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকা আত্মসৎ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী দুদকের উপ সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মুজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এ মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি টেলিভিশনে এমন একটি মামলার খবর দেখেছেন। এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি।