১৫ নভেম্বর স্টার সিনেপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত ৭০ মিনিটের এই সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিকভাবে, চলচ্চিত্রটি ঢাকায় স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার্স সিনেমা, মধুমিতা সিনেমা হল এবং চট্টগ্রামে সিলভার স্ক্রিনে দেখানো হবে।
সিআরআই ( সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন) এর রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপুর প্রযোজনায় এবং অ্যাপল বক্স ফিল্মসের প্রতিষ্ঠাতা পিপলু খানের পরিচালনায় দীর্ঘ ৫ বছরের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর সংগীত পরিচালনা করেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।
নবনীতা সেনের সম্পাদনায় চলচ্চিত্রটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন সাদিক আহমেদ।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্রটির পরিচালক পিপলু খান বলেন, এই ডকু-ড্রামাটি করার সময় একজন সাধারণ মানুষের উত্থান তাকে আকৃষ্ট করেছিল।
১৫ আগস্টের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেঁচে থাকা দুই সদস্য শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার সরলতায় ভীষণভাবে মুগ্ধ ছিলেন তিনি।
পিপলু বলেন, ‘১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের আগে ও পরে শেখ হাসিনার জীবনকে ফোকাস করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জীবনকে নয়। শেখ হাসিনাকে গৌরবান্বিত করা আমার দায়িত্ব নয়, এটি শেখ হাসিনার একটি মানবিক কাহিনী মাত্র।’
‘শেখ হাসিনার কট্টর সমালোচকসহ যে কেউ চলচ্চিত্রটি দেখতে পারে এবং আমি নিশ্চিত তারা নতুন কিছু খুঁজে পাবে,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের বিষাদ, বিজয় ও নৈকট্যের গল্পগুলোকে পিপলু নিজস্ব ও স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন। শেখ হাসিনাকে নাটকীয় কিন্তু আন্তরিক ভঙ্গিতে চিত্রায়ন করেছেন বিভিন্ন ভূমিকায়- কখনো বঙ্গবন্ধুর মেয়ে বা কারো বোন, কখনো একজন নেতা বা পুরো দেশের ‘আপা’ হিসেবে এবং সবকিছুর ঊর্ধ্বে তার ব্যক্তিসত্তাকে।
সিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেন, ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য সিনেমা হলে ও ডিজিটাল মাধ্যমে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে। দেশের বাইরেও এটি মুক্তি দেয়া হবে।