%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে ঢাকার বাতাসের ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।
এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৮২ নিয়ে বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৩৭তম স্থানে শহরটি।
ভিয়েতনামের হ্যানয়, পাকিস্তানের লাহোর এবং কুয়েতের কুয়েত সিটি যথাক্রমে ২০০, ২০০ এবং ১৮৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত বাতাসের তালিকায় বুধবার সকালে ঢাকা তৃতীয়
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর যাতায়াত ব্যাহত
বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর যাতায়াত ব্যাহত
ঢাকার বাতাসের মান কয়েকদিন ধরেই ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে। এর মূল্যে রয়েছে ধুলাবালি। এর থেকে পরিত্রাণের সহজ উপায় বৃষ্টি। কিন্তু সেই বৃষ্টি বৃহস্পতিবার দেখা দিলেও ঢাকাবাসীর যাতায়াতে তৈরি করেছে সমস্যা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, আজ সারা দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে এবং শুক্রবার আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১০ মিলিমিটার এবং যশোরে সর্বোচ্চ ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গণপরিবহনের স্বল্পতায় অনেককে হাঁটতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
অফিসগামীরা, বিশেষ করে বেসরকারি খাতে কর্মরতদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এদিকে, সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস মঙ্গলবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: ভারতের দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
বৃষ্টি সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৯টা ৪ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৫৭ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি এবং কাতারের দোহা যথাক্রমে ২১১, ১৭৬ এবং ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট: অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী: বিজ্ঞানীদের সতর্কতা
জলবায়ু সংকট: অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান
সংযুক্ত আরব আমিরাতে জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।
কপ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এ সদস্য ইউএনবিকে বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে এখানে যে শুনানি হচ্ছে তা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় কোনোভাবেই তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির ওপর উঠে গেলে তা আমাদের সবার জন্যই ক্ষতির কারণ হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব ২০৩০ সালের মধ্যে সব উন্নত দেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসতে বলেছেন। আমাদের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রে এই সময়সীমা বাড়তি থাকবে। তবে কী কী উপায়ে আমরা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে একসঙ্গে কাজ করতে পারি তা নিয়েও এই কপ সম্মেলনে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণলয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে বাংলাদেশ সক্রিয় দাবি তুলে ধরেছে। কপ সম্মেলনের শুরুতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন। বৈশ্বিক স্টকটেক, ক্ষয়ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু অর্থায়ন ও অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দেবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সচিব আরও বলেন, কপ-২৮ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান নিশ্চিত করা, জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করা,অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করা, ক্ষয়ক্ষতি সক্রিয় করা এবং এর ‘ডিটেইল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ ঠিক করা, অভিযোজন সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য ‘গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন’ এর কাঠামো তৈরি বা প্রণয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের অধীনেই প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমরা উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নই বরং এর অসহায় শিকার।
কপে অংশ নেওয়া পরিবেশবাদীরা বলছেন, দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শুরুই হয়েছে ‘তহবিল’ বার্তা দিয়ে। তহবিল অবশ্যই জরুরি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বহু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ও দাবি তহবিলের আড়ালে চাপা পড়ে যেতে পারে।
জলবায়ু প্রশ্নে এখন পৃথিবীর মানুষ ন্যায্যতার দাবি তুলেছে। তবে সম্মেলনের শুরু থেকে প্রতিদিনই জলবায়ু অর্থায়নের সারিতে যোগ হচ্ছে নতুন দেশ। আর এইসব অর্থায়নের বেশিরভাগই আবার বিনিয়োগ হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। অথচ বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দাবি ন্যায্যতার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮) শুরুই হয়েছে তহবিল গঠনের অঙ্গীকার দিয়ে। সম্মেলনের প্রথম দিন থেকে শুরু করে সপ্তম দিনেও গুরুত্ব পেয়েছে তহবিলের বিষয়টি।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই ১ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে চলে এসেছে। পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে এটা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে। এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেটিকে আর কমানো যাবে না।
যে সমস্ত দেশ নীতি কথা বলছে, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা বলছে- তারাই জীবাশ্ম জ্বালালি খাতে বিনিয়োগ করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে জিততে হলে সারা বিশ্বের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
খাদ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাসস্থান-চিকিৎসার ব্যয় বেড়েছে বলে শুরু থেকে গত বেশ কয়েকটি কপ সম্মেলনে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মত হয়েছেন। অথচ ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো সে তুলনায় কোনো ধরনের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখতে পায়নি।
তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি সম্মেলনেই শুধু কথার পিঠে কথা থাকে। সম্মেলন শেষে আরেকটি নতুন সম্মেলনের অপেক্ষায় থাকতে হয়। কীভাবে এই পৃথিবীকে আরও বেশি বাসযোগ্য করে তোলা যাবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান
কার্বনের পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে পারমাণবিক শক্তি মূল ভূমিকা পালন করে বলে মনে করছে কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো।
সম্মেলনে মার্কিন জলবায়ুবিষয়ক রাষ্ট্রদূত জন কেরি বলেন, শক্তির অন্যান্য সব উৎসের চেয়ে এটি অন্যতম বিকল্প হতে চলেছে। তবে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে পরিবেশে কার্বনের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনাও সম্ভব নয়। এটি বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবতা, এতে কোনো রাজনীতি বা মতাদর্শ জড়িত নয়।
দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর থেকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০২৩ (কপ-২৮) শুরু হয়েছে। তা চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৩ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ১৯৮টি দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
কপ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ সব শ্রেণির প্রতিনিধি বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে নিজ দেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী: বিজ্ঞানীদের সতর্কতা
বায়ুমণ্ডলে কার্বন দূষণের ফলে পৃথিবী পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে নতুন একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করেছেন বিশ্বের ১২০ জন বিজ্ঞানী।
এতে তারা বলেছেন, যদি পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তবে ২০৩০ সালে আরও তিনটি দৃশ্যমান হবে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুবাইতে কপ২৮ সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বিজ্ঞানভিত্তিক হ্রাস করার পরিকল্পনা করতে হবে। কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে।
২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। এটি লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন।
দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে বুধবার ষষ্ঠ দিন আলোচনা শুরুর পর বিজ্ঞানীরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে রেকর্ড কার্বন নির্গমনের নতুন রিপোর্ট দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ফসিল ফুয়েল থেকে ২০২৩ সালে কার্বন নির্গমন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
তারা জানান, কার্বন নির্গমন পরিস্থিতি উন্নতির পরিবর্তে গত দুই বছরে আরও অবনতি হয়েছে। এই নির্গমনের পরিমাণ এবছর ৪০ দশমিক ৯ গিগা টনে গিয়ে পৌঁছাবে।
এদিন (বুধবার) ক্লাব অব রোমের ৭৫ জন বিজ্ঞানী কপ নেতাদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। তারাও কপ প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
খোলা চিঠিতে তারা বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ ও বিজ্ঞান একে অপরের পরিপূরক। একটির সঙ্গে অন্যটি জড়িত। এ ব্যাপারে বিজ্ঞান নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু শূন্য কার্বন নির্গমন নিশ্চিত করলেই হবে না। বরং ওই সময় পর্যন্ত বিশ্বে যে কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকবে তা শোষণ করার জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।
জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে এসব রিপোর্ট পরিবেশবাদীদের আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তারা দিনভর জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্রের ভেতরে নানা স্লোগানে তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে জলবাযু সম্মেলনের নীতি নির্ধারকদের সতর্ক করে দিয়েছে। তাদের দাবি হলো- এবারের জলবায়ু সম্মেলনেই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলনে স্থানীয় জলবায়ু নেতৃত্বে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ
বিশ্বের দূষিত বাতাসের তালিকায় বুধবার সকালে ঢাকা তৃতীয়
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২২৬ এবং ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস মঙ্গলবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: ভারতের দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে
ঢাকার বাতাস মঙ্গলবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৬ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের দিল্লি, চীনের শেনইয়াং এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সারায়েভো যথাক্রমে ১৮১, ১৭৭ এবং ১৭৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: সকালের মধ্যে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: ভারতের দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মিগজাউম' আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয়, যা আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে নিলর ও মাসুলিপট্টম দিয়ে ভারতের দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে: বিএমডি
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
অন্যদিকে, আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত সতর্কবার্তায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মিগজাউম' আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয়, এটি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’: জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বিশ্বের দূষিত বাতাসের তালিকায় সোমবার সকালে ঢাকা চতুর্থ
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ। সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭৯ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং করাচি যথাক্রমে ৩৪৪, ২২১ এবং ১৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে: বিএমডি
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে