পরিবেশ-ও-কৃষি
নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তরের রবিবারের (১৭ ডিসেম্বর) বুলেটিনে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, আজ (রবিবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
রবিবার সকালে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৭২ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
পাকিস্তানের করাচি, ভারতের কলকাতা এবং ঘানার আক্রা যথাক্রমে ৩৫২, ২৬২ এবং ২৩৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: রবিবার সকালে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সকাল ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩১৮ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৩৩৫ ও ২৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
আগামীকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, আগামীকাল বাংলাদেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং তা আগামী এক-দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেন, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: জলবায়ু আলোচনার চূড়ান্ত: দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে শেষ দিনে সমঝোতার চেষ্টা
আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান আবারও শীর্ষে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৩১৫ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে।
উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, ভারতের কলকাতা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৭২, ২৪৪ এবং ২১৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: বুধবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু আলোচনার চূড়ান্ত: দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে শেষ দিনে সমঝোতার চেষ্টা
বুধবার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৬২ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ১৯৬, ১৯৩ এবং ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: জলবায়ু আলোচনার চূড়ান্ত: দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে শেষ দিনে সমঝোতার চেষ্টা
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্রশ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
জলবায়ু আলোচনার চূড়ান্ত: দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে শেষ দিনে সমঝোতার চেষ্টা
বহুল আলোচিত ও প্রথম দিনে ইতিহাস সৃষ্টি করা দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ শেষ দিনের আলোচনায় দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জানায়, আজ কেবলমাত্র দুটি ইস্যু সামনে আছে। একটি হচ্ছে, জলবায়ু প্রশমনে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমানোর উচ্চাভিলাসী লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে- জলবায়ু সংকট উত্তরণে দেশগুলোর সদিচ্ছা প্রকাশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
দুবাই জলবায়ু সামিট শেষ দিনে চূড়ান্ত চুক্তিতে বিশ্ববাসীকে কী উপহার দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় অধীর বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। আজ দুবাইয়ের স্থানীয় সময় রাত পর্যন্ত চলবে আলোচনা।
জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ বা কমিয়ে আনার প্রশ্নে দুবাই জলবায়ু আলোচনায় এক অচল অবস্থা বিরাজ করছে। এই অচল অবস্থা নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিযে যাচ্ছন সম্মেলনের সভাপতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবেশমন্ত্রী সুলতান আল জাবের। তিনি যেকোনো মূল্যে দেশগুলোকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছে দুবাইকে জলবায়ু সম্মেলনের ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন। এ লক্ষে সম্মেলনের (কপ) সভাপতি বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় ‘মজলিশ’ করে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
জলবায়ু সম্মেলনের শেষ দিনে এসে সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কঠিন কাজ। তাই শেষ দিনের কাজকে সহজ করার জন্য দুই দিন আগে থেকেই ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’ শুরু করেছেন কপ সভাপতি সুলতান আল জাবের।
রবিবার থেকে তিনি গ্রুপে গ্রুপে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন। আরবি ভাষায় যাকে ‘মজলিশ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিনিধিদের সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে চূড়ান্ত সামিটে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কী আছে দুবাই জলবায়ু প্যাকেজে
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকটের বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানসহ অভিযোজন তহবিল দ্বিগুন করার দাবি বাংলাদেশের
ক্ষয়ক্ষতি তহবিল কার্যকর, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো, অভিযোজন কার্যক্রম দ্রততর করার জন্য গ্লোবাল গোল অ্যাডাপটেশন গ্রহণ, মিথেন গ্যাস নির্গমন কমিয়ে বৈশ্বিক ক্ষুধা নিবারণে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ণ, কার্বন নির্গমন কমাতে ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন মিটিগেশন গ্রহণ, বৈশ্বিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পাঁচশালা পরিকল্পনা গ্রহণ, ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন এবং ২০২৫ সাল থেকে নতুন অর্থায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ। মূলত জলবায়ু সংকট নিরসনে সব বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেই সাজানো হয়েছে দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ।
এরমধ্যে বৈশ্বেক মূল্যায়নের পাঁচশালা পরিকল্পনাটি এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্যারিস চুক্তিতে পাঁচ বছর পর পর বৈশ্বিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। সেই মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এই মূল্যায়নেই বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে কী পরিমাণ কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। এজন্য কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জালানি কতটা ফেজ আউট বা ফেজ ডাউন করতে হবে।
ক্ষয়ক্ষতির জন্য কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে, অভিযোজন বা প্রশমনের জন্য কী পরিমাণ অর্থ লাগবে সব বিষয়ই এই পরিকল্পনায় তুলে ধরা হয়েছে। এই মূল্যায়ন ও মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অনুমোদন হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। তাদের তেলের ব্যবসা কমে যাবে। এজন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর চার শতাধিক লবিস্ট যেমন দুবাইতে সক্রিয় রয়েছে, তেমনি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক জীবাশ্ম জালানি বন্ধের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
কপ২৯ অনুষ্ঠিত হবে আজারবাইজানে
আগামী বাছরের ২৯তম জলবায়ু সম্মেলন পূর্ব ইউরোপের দেশ আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হবে। আজারবাইজানকে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে নির্বাচিত করেছে জাতিসংঘের জলবায়ু সংস্থা ইউএনএফসিসিসি।
আগামী বছরের আয়োজক দেশ নিয়ে অনেক নাটকীয়তা হয়েছে। রাশিয়া আগে থেকেই ইইউর কোনো দেশে জলবায়ু সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে আপত্তি দিয়ে রেখেছিল। ইইউর বাইরে এত বড় সম্মেলন আয়োজনের সক্ষমতা রয়েছে কেবল দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলন : শুক্রবার শুরু হচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
এরপর এই দুই দেশই আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য আবেদন করে। কিন্তু আবেদনের পর আবার বিবাদমান এই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে আপত্তি জানায়। পরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত আর্মেনিয়া তার আপত্তি প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে আজারবাইজানের কপ২৯ আয়োজনের পথ সুগম হয়।
এদিকে আজারবাইজানে পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জলবায়ু কর্মীরা। তাদের ক্ষোভের কারণ হলো- আরব আমিরাতের পর আরও একটি তেল উৎপাদনকারী দেশে পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন।
পূর্ব ইউরোপের সীমান্তবর্তী দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি। এটি বিশ্বের অন্যতম তেল গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ। এই তেল গ্যাসে ওপর নির্ভরশলী পূর্ব ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো। দেশটির জিডিপির অর্ধেক আসে তাদের তেল-গ্যাস থেকে। আর রপ্তানি আয়ের ৯২ শতাংশ আয় হয় দেশটির তেল-গ্যাস থেকে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
মঙ্গলবার সকালে বিশ্বে দূষিত বাতাসের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৬ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
ভারতের কলকাতা এবং পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে ২১৩ এবং ১৮৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বে ঢাকার বাতাস সবচেয়ে 'বিপজ্জনক'
শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
কুড়িগ্রামে শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা থেকে পরেরদিন সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষরা। এদিকে ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের কৃষি আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দু,দিন থেকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় জবুথুবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের কষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
সদরের যাত্রাপুর নৌকা ঘাটের মাঝি বেলাল হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল থেকে নৌকা চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। পথ চেনা যাচ্ছে না, ১ ঘন্টার পথ ৩ ঘন্টা লাগছে। দিন ও রাতের অবস্থা একই।
সড়ক পথে তো কুয়াশা হলেও গাড়ি চালানো যায়। নৌ পথে নৌকা চালানো যাচ্ছে না। খুব একটা সমস্যায় পড়ছি আমরা নৌকার মাঝিরা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের খাঁন পাড়া এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে এতো পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে, যা গত দুই-তিন বছরে পড়েনি। রাতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।
একই ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল ইসলাম বলেন, দুইদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। আমাদের চরে তো সবসময় বাতাস থাকে তাই খুব ঠান্ডা। বাড়ি থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। গতকালও সারাদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল আমাদের এলাকা। আজ কুয়াশা আরও বেশি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে- ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। তবে আগামী ২০ তারিখের পরে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন