পরিবেশ-ও-কৃষি
ঘূর্ণিঝড় হামুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীদমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারের টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরের তেঁতুলিয়ায় ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' এবং পরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর নাগাদ ভোলার কাছে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় হামুনে পরিণত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে এবং মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় হামুনে পরিণত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান মঙ্গলবার 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় হামুনে পরিণত হয়েছে
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এ পরিণত হয়েছে।
এটি এখন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৭০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দরের ৫৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আরও তীব্র হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা/ঝড়ো হাওয়ায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকবে।
বিএমডি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অবিলম্বে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে বিশেষ বুলেটিনে।
বিএমডি জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ।
বিএমডি বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
ঢাকার বাতাসের মান মঙ্গলবার 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান মঙ্গলবার 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১০৫ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ১৬তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও চীনের বেইজিং যথাক্রমে ৩০৪, ১৯৪ ও ১৯৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ
সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আরও তীব্র হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালন ঘটছে।
বুলেটিনে বলা হয়, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশ্রয় নিতে পারে।
তাদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত, আরও ঘনীভূত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
বাংলাদেশের সামুদ্রিক বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একটি পশ্চিমাঞ্চলীয় উপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে এখন একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ
এদিকে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলে অবস্থান এবং সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বুলেটিনে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত, আরও ঘনীভূত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ
সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৮ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ঢাকা। এ সময় উক্ত ইনডেক্সে ঢাকার বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভারতের দিল্লি ও মুম্বাই এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৩৪৫, ১৭৪ এবং ১৭০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ
এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত, আরও ঘনীভূত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নেপালের রাজধানীর নিকটবর্তী জেলায় ৩টি ভূমিকম্প
নেপালের ধাদিং জেলায় রবিবার সকালে ৪ মাত্রার উপরে তিনটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রাজধানী কাঠমান্ডুতেও কম্পন অনুভূত হয়।
নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (এনইএমআরসি) লোক বিজয় অধিকারী বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৯ মিনিটে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
সহকারী প্রধান জেলা কর্মকর্তা হাম নাথ পারাজুলি সিনহুয়াকে বলেন, ভূমিকম্পে ধাদিংয়ে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এনইএমআরসি জানিয়েছে, এ বছর নেপালে ৪ থেকে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার মধ্যে মোট ৫৮টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
আর্জেন্টিনার জুজুই প্রদেশে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত, আরও ঘনীভূত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর অবস্থান- ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬ দশমিক ১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
যা আজ (২২ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে
নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতেও বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে; তবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়া, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
আগামী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশে শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
রবিবার সকালে বিশ্বের পঞ্চম দূষিত বাতাস ঢাকার
রবিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৫ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা। এ সময় উক্ত ইনডেক্সে ঢাকার বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও মুম্বাই যথাক্রমে ২৬১, ২২৭ ও ১৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
এ ছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে বিশ্বের চতুর্থ দূষিত বাতাস ঢাকার