পরিবেশ-ও-কৃষি
ঢাকার বাতাসের মান সোমবার সকালে 'মধ্যম'
ঢাকার বাতাসের মান সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে 'মধ্যম' পর্যায়ে রয়েছে। এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯১ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৩তম স্থানে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড যথাক্রমে ১৭৮, ১৭৩ ও ১৬৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ৩টি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: রংপুর ও সিলেট বিভাগসহ ২ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান রবিবার (২০ আগস্ট) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৩০ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, কাতারের দোহা এবং চীনের বেইজিং যথাক্রমে ১৫৫, ১৫৪ এবং ১৫২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর'বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে 'মধ্যম'
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দিন দিন কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, বিপরীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান ঠিক রাখতে হলে একই জমি থেকে বছরে বার বার ফসল ফলাতে হবে, বেশি করে ফসল ফলাতে হবে।
তিনি বলেন, সাধারণত ১৪০-১৬০ দিনের মধ্যে ধান হয়, সেই ধান যদি ৯০-১০০ দিনের মধ্যে হয়, তাহলে সেটি বিরাট সম্ভাবনাময়। ব্রি৯৮ আউশ ধান এই সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, ৯০-১০০ দিনে হচ্ছে; ফলনও বিঘাতে ২৫-৩০ মণ। এ জাতটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে মুশুদ্দি গ্রামে ব্রি৯৮ জাতের আউশ ধানের খেত পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত জাতের অভাব এবং খরা, বন্যা ও অতিবৃষ্টির ঝুঁকির কারণে দেশে এখন আউশ ধান অনেক কমে গেছে। বেড়েছে বোরো ও আমনের চাষ। ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের আউশ ধান উদ্ভাবন করেছেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ব্রি৯৮ মাঠে খুবই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এ জাতটি মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয় করতে পারলে দেশে আউশ আবার বড় ফসলে পরিণত হবে। একইসঙ্গে, এটি লাভজনক ফসল হিসাবে কৃষকের হাসিকে আরও চওড়া করবে।
একই জমিতে বছরে ৪টি ফসল ঘরে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান কৃষক ইকবাল।
তিনি জানান, ব্রি৯৮ জাতের এই আউশ ধানটি ২০ দিনের চারাসহ মোট ৯৮-১০০ দিনের মধ্যে কর্তন করেছেন। এর আগে তিনি এই জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি৯৬ চাষ করেছিলেন। এখন তিনি আমনে ব্রি৭৫ লাগাবেন এবং আমন কেটে স্বল্প জীবনকালীন সরিষার আবাদ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনের সাফল্য আজ বিশ্বস্বীকৃত: কৃষিমন্ত্রী
মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৯টা থেকে শুরু) ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (১৯ আগস্ট) আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীদমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: রংপুর ও সিলেট বিভাগসহ ২ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি বর্তমানে ভারতের ঝাড়খন্ড ও উত্তর ওড়িশার ওপর অবস্থান করছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে 'মধ্যম'
রংপুর ও সিলেট বিভাগসহ ২ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের কিছু অংশে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
অধিদপ্তর শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, রংপুর ও সিলেট বিভাগসহ পাবনা ও বগুড়া জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃষ্টির পূর্বাভাসে বলা হয়- রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পাশাপাশি, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৬টা হতে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের ৩ জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে 'মধ্যম'
ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে 'মধ্যম' পর্যায়ে রয়েছে। এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯৪ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৪তম স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের লাহোর, কুয়েতের কুয়েত সিটি, বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারায়েভো যথাক্রমে ১৪৭, ১৪১ ও ১৪১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ৩টি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার ঢাকা ৫ম
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান আবারও 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান আবারও 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে ৯টা ০৫ মিনিটে অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১২২ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, কুয়েতের কুয়েত সিটি এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৮৬, ১৬২ এবং ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় জর্জরিত। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে সরকার।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীতে জাহাজ ভাঙা শিল্পের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি জাহাজের নিরাপদ ও পরিবেশগতভাবে সঠিক পুনর্ব্যবহারের জন্য 'হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন' অনুমোদন করেছে। বাংলাদেশ জাহাজ পুনর্ব্যবহার আইন, ২০১৮- টেকসই জাহাজ ভাঙা শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাহাজ পুনর্ব্যবহার বিধিমালা- ২০১১ এবং মেডিকেল বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের উল্লেখযোগ্য অবদান থাকলেও এর পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সবার আগে এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও তাদের স্বাস্থ্যগত দিকের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। পরিবেশগত ঝুঁকির দিকগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার মাধ্যমে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প যাতে বিকশিত হতে পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প ও পরিবেশ সচিব জাকিয়া সুলতানা ও ড. ফারহিনা আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
আরও বক্তব্য দেন, বেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের।
বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙ্গার পরিবেশ ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থার উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (ইসিসি) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম এবং জাহাজ ভাঙার কার্যক্রমের বর্তমান অনুশীলন এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জাহাজ ভাঙার পরিবেশ ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (ইসিসি) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম এবং বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী।
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে
বুধবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়- রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মৌসুসি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এদিকে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বিশ্বে দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
ঢাকার বাতাসের মান বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টা ৪৯ মিনিটে ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
এ সময় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৮ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ইরাকের বাগদাদ এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৭৪ এবং ১৫৮ একিউআই স্কোরসহ তালিকায় প্রথম ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার ঢাকা ৫ম
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর'বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্বের ৩য় দূষিত শহর
আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর