পরিবেশ-ও-কৃষি
কুড়িগ্রামে বন্যায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদের পানি বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) থেকে হু-হু করে বেড়ে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ফলে জেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার পোড়ারচর গ্রামের শাপলা জানান, সকালে রান্নাঘরের মেঝে তলিয়ে যাওয়ায় রান্না করতে পারছেন না। জিনিসপত্র সরাতে দুপুর গড়িয়ে গেছে।
তার স্বামী বাবুল আলী এক সন্তানকে কোলে নিয়ে আছেন, অপর সন্তানটি তার শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। শাপলা তখন চাল আর কাঁঠালের বিচি ভাজছেন। এই খেয়েই তাদের দিন পার করতে হবে। বন্যা হলেই এমন দুর্দশায় পড়ে এসব পরিবার।
পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ভগবতীপুর গ্রামের নার্গিস নামের আরেক নারী বলেন, চার দিন থেকে পানিবন্দী হয়ে আছি। কেউ খোঁজখবর নেয় না। ঘরের চৌকিতে পানি ওঠায় পাশের উঁচু বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছি। এই গ্রামে প্রায় ৪৫/৫০টি বাড়িতে পানি উঠেছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের চর কাফনা গ্রামের নুর বখত জানান, গতকাল থেকে পানির তোড় বেড়েছে। নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। লোকজন গবাদিপশু নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শুক্রবার সকালে ঢাকার অবস্থান সপ্তম। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১১৯ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ছিল ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ, চিলির সান্তিয়াগো ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যথাক্রমে ২১৮, ১৭৬ ও ১৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে অব্যাহত
ঢাকার বাতাসের মান মঙ্গলবার সকালেও ‘মধ্যম’
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীদমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই পরিস্থিতি বিরাজ করবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ এবং দেশের অন্যান্য স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
এ ছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম হয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল অতিক্রম করে বিস্তৃত রয়েছে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি নিম্নচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
টানা ৮ দিন ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে টানা আটদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫৯ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকার ৩২তম স্থানে ছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৬৮, ১৬০ এবং ১৪৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
০ থেকে ৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে অব্যাহত
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান মঙ্গলবার সকালেও ‘মধ্যম’
ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে অব্যাহত
বুধবার সকালেও রাজধানীর বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন সকাল ৮টা ৪৯ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫২ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকার ৫১তম স্থানে ছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৭৭, ১৫৬ এবং ১৫৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান রবিবার সকালেও ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান মঙ্গলবার সকালেও ‘মধ্যম’
ঢাকার বাতাসের মান মঙ্গলবার সকালেও ‘মধ্যম’
মঙ্গলবার সকালেও রাজধানীর বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৬৫ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকার ২১তম স্থানে ছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, উগান্ডার কাম্পালা, কাতারের দোহা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ২৪০, ১৫৪, ১৪৩ এবং ১৩৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম চারটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে আরও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
সোমবার সকাল ৬টা থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হাতিয়া ও কুমিল্লায়। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
সোমবার সকালেও রাজধানীর বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৭৩ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকার ২০তম স্থানে ছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, কাতারের দোহা এবং পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে ১৭১, ১৬০ এবং ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান রবিবার সকালেও ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
সচেতনতার অভাবে দূষণের মারাত্মক ঝুঁকি : সিপিডি
বাংলাদেশ বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এবং সময়োপযোগী নীতি ও গণসচেতনতার অভাবে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সিপিডির এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
গত ২০ বছরে বায়ু দূষণজনিত রোগে মৃত্যুর হার ৯ শতাংশ বেড়ে গেলেও ঢাকা মহানগরীতে দূষণ থেকে রেহাই নেই।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রবিবার ধানমন্ডির নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার মাধ্যমে সবুজ নগরের উন্নয়ন’ শীর্ষক জ্ঞান-আদান-প্রদান কর্মশালায় উপস্থাপনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি তুলে ধরে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এর রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত।
সিপিডি ‘গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যার লক্ষ্য বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক বোঝা এবং প্রাসঙ্গিক নীতিগত সুপারিশ করা।
আরও পড়ুন: ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ দুটি বিস্তৃত বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রে ফোকাস করবে- বায়ু দূষণ এবং প্লাস্টিক দূষণ।
প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
বায়ু দূষণের মধ্যে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) পিএম২.৫ এবং পিএম১০ যথাক্রমে ২.৫ মাইক্রোমিটার এবং ১০ মাইক্রোমিটার থেকে কম বায়ুগত ব্যাস নিয়ে গঠিত। পিএম ২.৫ এতই কম সময় যে তাদের কোটি কোটিকে একটি লোহিত রক্তকণিকার ভিতরে লাগানো যেতে পারে, যার ফলে শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার এবং অন্যান্য ধরণের রোগে মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি: শাহাব উদ্দিন
পিএম দূষণ ১৯৯৫ সালে ৫১.৬ মাইক্রোমিটার/এম৩ থেকে ২০১৯ সালে ৬৩.৪ মাইক্রোমিটার/এম৩ -তে বেড়েছে – যা ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটির গুরুতর স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত প্রভাব রয়েছে, যা শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে এবং পরিবেশগত ক্ষতি করে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে, উপস্থাপনা প্রকাশ করে।
শক্তিশালী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং কার্যকর নীতি অবিলম্বে নেওয়া না হলে আগামী বছরগুলোতে বায়ু দূষণ বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেছে সিপিডি।
আরও পড়ুন: এ বছর সারাদেশে ৫০ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’
ঢাকার বাতাসের মান রবিবার সকালেও ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
রবিবার সকালেও রাজধানীর বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। এদিন সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৭১ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত শহরের তালিকার ১৮তম স্থানে ছিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, পাকিস্তানের করাচি, ভারতের দিল্লি ও কাতারের দোহা যথাক্রমে ১৭২, ১৫৩, ১৫৩ ও ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম চারটি স্থান দখল করেছে।
৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার সকালেও ‘মধ্যম’
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
বর্ষায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’