%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
নাটোরে ইপিজেডের নারী কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
নাটোরের বড়াইগ্রামে ইপিজেডের এক নারী কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েনবাজারের মেরিগাছা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ফারজানা আক্তার প্রিয়া (৩৫) একই উপজেলার শহিদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি কারখানার কর্মী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১৯ বছরের ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কয়েনবাজারে লেগুনা থেকে নেমে মেরিগাছা গ্রামের মাঝ রাস্তায় দুর্বৃত্তরা তাকে ভ্যান থেকে টেনে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে জিজ্ঞাবাদের জন্য ভ্যান চালক মনিরকে আটক করে।
ওসি জানান, এ বিষয়ে আরও তদন্তের জন্য রাজশাহী সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন
রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে ২ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে শাহবাগ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ও পল্টন থানা এলাকায় থেকে সুনীল রায় নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন সংবাদ পেয়ে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনের রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।
পরে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, একই দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুরানা পল্টন বায়তুল খায়ের ভবনের সামনের ফুটপাত থেকে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুরুল ইসলাম।
পরে তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই মনজুরুল ইসলাম বলেন, নিহত সুনীল রায় কুমিল্লা জেলার হোমনা থানা এলাকার অরুণ রায়ের ছেলে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্মাণ শ্রমিকের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষকের
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাড়ির সিলিং ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে হাতিয়া ইউনিয়নের হাজির বাজার এলাকায় ওই শিক্ষকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার খোকসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নিহত শিক্ষক আজম আলী (৫৩) উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাজির বাজার এলাকার বাসিন্দা।
পার্শ্ববর্তী চিলমারী উপজেলার থানাহাট এ ইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজম আলী শিক্ষকতার পাশাপাশি বিদ্যুতের কাজ করতেন। শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে নিজের সিলিং ফ্যান মেরামত করছিলেন তিনি।
এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। পরিবারে লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
দুই দিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত শুরু হয়েছে।
এতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় থাকা ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে সতর্কবার্তা জারি করেছে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
এদিকে প্রশাসনের টিম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে সশরীরে এবং মাইকিং করে এ সতর্কবার্তা প্রচার করছে।
টানা বর্ষণের কারণে এ নির্দেশনা জারি করেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়াসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের মাইকিং করে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য পরিস্থিতি এড়াতে ও জানমালের ক্ষতি রক্ষায় শহরের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন জেলা প্রশাসনের সদস্যরা।
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙ্গামাটির ঝুঁকিপূর্ণ বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ হাসানসহ প্রশাসনের লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি শহরের ৯ ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
চট্টগ্রামে টাইগার পাসে পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ, মাইক্রোবাস আটকা
টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার-টাইগার পাস সড়কের পাশে পাহাড় ধসে রাস্তার একপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে নগরীর অন্যতম প্রধান সড়কটির পাশের পাহাড়ের একাংশ ধসে রাস্তায় একটি মাইক্রোবাসের উপরে পড়ে। তাতে মাইক্রোবাসটি ধসে পড়া মাটিতে আটকে যায়, তবে কেউ হতাহত হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, লালখান বাজার থেকে টাইগার পাস মোড় পর্যন্ত ৪০০ মিটারের মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ করছে। এ কাজে কয়েকমাস আগে পাহাড় কেটে সড়ক প্রশস্ত করে। এ কারণে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
মাইক্রোবাসটির চালক জীবন বলেন, সকালে আমি বহদ্দারহাট থেকে গাড়ি নিয়ে আগ্রাবাদ যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে একটা বিকট শব্দ হয়। দেখি পাহাড় ভেঙে পড়ছে।একটা বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ল। একটা গাছ দুই টুকরো হয়ে গেল। মাটি এসে আমার গাড়ি চেপে ধরল। আমি তখন ছিটকে গাড়ি থেকে বাইরে পড়ে যাই। গাড়িতে আমি একাই ছিলাম।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি উদ্ধারকারী দল। তারা ধসে পড়া মাটি সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছে।
তবে বিপরীতমুখী লেনে যানবাহন চলাচল করছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি উদ্ধারকারী দল। তারা ধসে পড়া মাটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের মেয়রের বাড়িতে ‘হাটুজল’
চট্টগ্রামে পাচারকালে বিরল প্রজাতির হনুমান উদ্ধার, বাস চালকের কারাদণ্ড
নারী ফুটবলারদের মারধর: মামলা তুলে নিতে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি
খুলনায় চার নারী ফুটবলারকে মারধরের পর এবার মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলা তুলে না নিলে তাদের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বল জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নারী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড় সাদিয়া নাসরিন বলেন, হামলাকারীরা আমাদের চারজনকে মারধর করেছে। হামলাকারী সালাউদ্দিন আমাদের হত্যার হুমকিও দিয়েছে। মামলা তুলে না নিলে অ্যাসিড মেরে মুখ ঝলসে দেওয়ারও ভয় দেখিয়েছে। এ ছাড়া তারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করে আমার টিমের সদস্যদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে। এরপর তারা গালিগালাজ করে চলে যায়। আমি থানায় জিডি করেছি। এ ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী ফুটবলার রূপনা চাকমার ঘর হস্তান্তর
সাদিয়া নাসরিনের অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার একাডেমিতে অনুশীলন করার সময় নূপুর খাতুন নামে প্রতিবেশী এক মেয়ে তার ছবি তুলেন। পরে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে সেই ছবি দেখিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করে আসেন। সাদিয়া ২৯ জুলাই শনিবার বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে নূপুর অকথ্য ভাষায় তাকে গালাগাল করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, চড়, ঘুষি মেরে মুখ ও বুকের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
সাদিয়া বলেন, বাড়িতে গিয়ে আমি বাবা-মা, কোচ ও অন্য খেলোয়াড়দের ঘটনাটি জানাই। তারা আমাকে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে নূপুর খাতুনের বাড়িতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূপুর, তার বাবা নূর আলম খাঁ, ভাই সালাউদ্দিন ও নূপুরের মা রঞ্জি বেগম আমাদের উপর হামলা করে। এতে মঙ্গলী, হাজেরা ও জুঁই আহত হয়। তারা লোহার রড দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়, চায়নিজ কুড়াল নিয়ে এসে হত্যার হুমকি দেয়।
মারধরের শিকার ফুটবলার হাজেরা খাতুন, জুঁই মণ্ডল ও রিতু বৈরাগী জানান, আগে প্রতিদিন প্রায় ৩০ জন অনুশীলনে মাঠে আসত। এখন আসে ১০-১৫ জন।
বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ফুটবলার মঙ্গলী বাগচী বলেন, নূপুর ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের মারধর করেছে। রড দিয়ে পিটিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তারা ওড়না দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা আমাকে বেঁধে রাখে।
তিনি আরও বলেন, ওরা বলেছে, হাফ প্যান্ট-জার্সি পরে গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলা যাবে না। শুধু তাই নয়, ওরা অ্যাসিড মেরে আমাদের মুখ ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে রাতে ঘুম আসে না। শুধু মনে হয়, এই বোধ হয় আবার হামলা হলো, অ্যাসিড মারল।
তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সভাপতি ইসলাম হাওলাদার বলেন, হামলার ঘটনায় মেয়েদের মধ্যে আতঙ্কে বিরাজ করছে। অনুশীলনের জন্য ডেকে ডেকে আনতে হচ্ছে। আগে কোনো দিন গ্রামের কেউ ফুটবল খেলা নিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত বা কটূক্তি করেনি। কিন্তু নূর আলমের পরিবার এবার ঝামেলা বাধিয়েছে।
এদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মারধরের অভিযোগে গত ৩০ জুলাই রবিবার সাদিয়া নাসরিন বাদী হয়ে নূপুর, তার বাবা নূর আলম খাঁ, ভাই সালাউদ্দিন ও নূপুরের মা রঞ্জি বেগমকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। মামলার পর পরই পুলিশ নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে।
বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত কবির জানান, অ্যা্সিড নিক্ষেপের হুমকির অভিযোগে সাদিয়া গত ৩১ জুলাই একটি জিডি করেন। মামলা ও জিডির তদন্ত চলছে। জিডির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বটিয়াঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কৌশিক কুমার সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নূর আলম বর্তমানে কারাগারে। তবে অন্য তিন আসামি মঙ্গলবার আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। প্রতিদিন পুলিশ ওই গ্রামে টহল দিচ্ছে। মেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের বলেছি, কোনো সমস্যা মনে করলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে ফুটবলারদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠির অধিকার আন্দোলন, খুলনা ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফুটবল খেলার জন্য সাদিয়া নাসরিন, মঙ্গলী বাগচীসহ চারজনকে মারধর করা হয়েছে।এদিকে আসামিদের ৩ জন জামিন পেয়ে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দিচ্ছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
সংগঠনের খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভুতোশ রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী, গীতা ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্তসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আইফোন ও টাকা পেলেন সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন দলের তিন ফুটবলার
রাঙামাটিতে সাফজয়ী ৫ নারী ফুটবলারকে উষ্ণ সংবর্ধনা
ফরিদপুরে নির্মাণ শ্রমিকের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় এক নির্মাণ শ্রমিকের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নিহত নির্মাণ শ্রমিকের নাম মিজান শেখ (২৫)। তিনি রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত গ্রামের আহমেদ শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২ আগস্ট) থেকে মিজানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রূপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে রুপাপাত গ্রামের বাসিন্দা নিমাই কুলুর মেহগনি বাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) কবির আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে খানায় এনেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান চোখ উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, নিহতের স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বুধবার থেকে মিজানকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় লিখিত বা মৌখিকভাবে কিছুই জানায়নি।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসিয়া নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নাটোরে যুবকের লাশ উদ্ধার
টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের মেয়রের বাড়িতে ‘হাঁটুজল’
কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কখনো থেমে থেমে আবার কখনো কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে নগরীর রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিযে গেছে। পাশাপাশি নগরীর বাসা-বাড়িতেও ঢুকে পড়েছে পানি। ফলে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদের।
টানা বৃষ্টিতে এমন দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পায়নি চট্টগ্রাম মহানগরীর খোদ নগরপিতা রেজাউল করিমের বাড়িও। তার বাড়িতে এখনো থৈ থৈ করছে হাঁট থেকে কোমর সমান পানি।
এ ছাড়া নগরীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল না থাকায় পানি সরতে না পারছে না। অনেক ঘর ও দোকানপাটের ভেতর পানি ঢুকে গেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বৃষ্টিতে স্বস্তি, তবে যানজটে চলাচল ব্যাহত
এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে।
সকাল ৯টা ১ মিনিট থেকে জোয়ার শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি যোগ হয়ে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ভাটা শুরু হবে দুপুর আড়াইটা থেকে। তখন শহরের পানি কমবে।
তিনি জানান, নিম্নচাপের কারণে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি আরও দুই-এক দিন হতে পারে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে আরও কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বেশ কিছু এলাকার সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
বর্ষা ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। নদীর পানি বাড়ায় বাঁধ ভাঙার শঙ্কায় কাটছে তাদের দিন।
তা ছাড়া পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলে এইসব এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেবে বলে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বরগুনা।
বরগুনার মাঝের চর এলাকার বাসিন্দা আলি আকবর বলেন, ‘আমাদের জমাজমি নেই। তাই নদীর চরে বাড়ি করেছি। ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না, কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না, খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
১ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান রাজা বলেন, ‘মাঝের চরের বরগুনা অংশের কিছু এলাকার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খুব শিগগিরই এই মৌসুমে এডিপির অর্থ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহাতাব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণে অবস্থিত খাকদন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়েশ্বর/পায়রা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
কাজিপুরে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যমুনার পানি
পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে
আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র, পঞ্চগড়। এ উপলক্ষে চেম্বারের হলরুমে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট)থেকে শুরু হয়েছে “অনলাইন টি অকশন” বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।ব্রোকার হাইজ সমূহের যৌথ উদ্যোগে স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চেম্বার প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হান্নান শেখ প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
দুই দিনের প্রশিক্ষণে অকশন সেন্টারে অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে কীভাবে চা বেচা কেনা করা হবে সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণে ব্রোকার হাউজ, ওয়্যার হাউজের মালিক, স্থানীয় বিডার এবং বায়াররা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।
আইটি বিডিটেক অ্যাপসটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদ বিন অপু ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের বিপনন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন, মহানন্দা ব্রোকার হাউজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম এ শাহীন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই জেলায় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুতেই এই নিলাম কেন্দ্রটি ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হলে এটি হবে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র। গত বছর চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এই অঞ্চল। বৈশ্বিক মহামারি উপেক্ষা করে ২০২২ সালের দেশের মোট উৎপাদনের ১৯ শতাংশ চা উৎপাদন করেছে পঞ্চগড়সহ উত্তরের জেলাগুলো। মোট উৎপাদনের ৮১ শতাংশ উৎপাদন করেছে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল। গত বছর জেলায় এক কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৬০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান ৮টি, অনিবন্ধিত ২০টি এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান ৭ হাজার ৩৩৮টি, নিবন্ধিত ১ হাজার ৩৬৮টিতে ১০ হাজার ২৪০ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে প্রথম তেঁতুলিয়া টি কোম্পানি লিমিটেড চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করে একে একে জেলায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ২৬টি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে চিয়া সিড