%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
খুলনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেলো কিশোরের
খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় সে সাইকেলে ছিল। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে চিংড়িখালী-তেলিগাতীর মাঝামাঝি বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কাগজী রাহাত (১৪) খানজাহান আলী থানার শিরোমনি পূর্বপাড়ার ইকবাল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ২
পুলিশ জানায়, রাহাত ও মো. আমির হামজা (৪৫) নামে একজন সাইকেল যোগে আফিল গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামীর একটি প্রাইভেটকার তাদের সাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে দু’জনই রাস্তায় পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন।
পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
সেখানে আমির হামজাকে সার্জারি (১) বিভাগের ৯/১০ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
আর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত ৮টার দিকে রাহাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বর্তমানে রাহাতের লাশটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরে আছে।
এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আড়ংঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিপক মন্ডল জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান রাহাত আর আমির হামজা গুরুতর আহত হন। আড়ংঘাটা পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাহাতের লাশ মর্গে আছে। আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে পুলিশ প্রাইভেটকারটি আটক করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় পথচারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত ১
নীরব হত্যা: ৫ শিক্ষার্থীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল সনি-তে প্রচারিত ‘ক্রাইম পেট্রোল’ সিরিয়াল দেখে অপহরণ ও পরে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পাঁচ কিশোর খুলনার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
খুলনার ডুমুরিয়ার এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব মন্ডল হত্যা এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দাবি করার কথাও প্রকাশ করে তারা।
কিশোর অপরাধীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক রনক জাহান।
আদালতের সূত্র জানায়, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাঁচ কিশোর পর্যায়ক্রমে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের শনিবার সংশোধানাগারে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিশু: ভাইরাসের নীরব শিকার
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা দেড় মাস আগে ভারতের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দেখে অপহরণের বিষয়ে তামিল নেয়। এ সময় থেকে তারা নীরব মন্ডলকে টার্গেট করে। সুযোগ খুঁজতে থাকে কীভাবে নীরবকে অপহরণ করা যায়।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, তারা পাঁচ জনের একটি টিম গঠন করে। কিশোর আসামি হীরক সরস্বতী পূজার আগে ও পরে নীরবকে অপহরণের টার্গেট নেয়। কিন্তু প্রথম ধাপে সে সফল হতে পারেনি। এরপর দায়িত্ব নেয় পিয়াল, কিন্তু সেও ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নীরব মন্ডলকে ডেকে নেয় তারা।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের স্থানে অভিযুক্ত স্কুলছাত্র পিতু বাড়ি থেকে নাইলনের রশি, তালা ও চাবি নিয়ে অবস্থান করতে থাকে। অপেক্ষার পর স্কুলের পাশে ওই পরিত্যক্ত ভবনে নীরবকে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিতু বা দ্বীপ গলায় রশি পরিয়ে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে নীরবকে হত্যা করা হয়। মারা যাওয়ার আগে নীরবের সমস্ত শরীর নাড়া দিলে ভয় পেয়ে যায় আসামিরা। পিতু গলার রশি খুলে দেয় আর পিয়াল নীরবকে ধরে রাখে।
নীরবের মৃত্যুর পর তার বাবা শেখর মন্ডলকে ফোন দেয় পিতু। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সোহেল। তারা নীরবের বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর নীরবের বাবা ও তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহেল ফোনের কল বন্ধ করে রাখে। তারা ওই ভবনের পেছনের দরজা তালা দিয়ে রেখে চলে যায়।
তাদের ধারণা ছিল- শুক্র, শনি ও রবিবার (মাঘী পূর্ণিমা) স্কুল ছুটি। এই তিন দিনের মধ্যে তারা সকল আলামত নষ্ট করে ফেলবে যাতে স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে, কেউ টের না পায়। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। ঘটনার পর রাত ১১ টার দিকে তারা আবারও নীরবের বাবার ব্যবহৃত ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করে। আর ওই ফোন কলের সূত্র ধরেই পুলিশের জালে আটকা পড়ে অভিযুক্তরা।
পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে প্রথমে সোহেলকে আটক করে। পরবর্তীতে অপর অভিযুক্তদের একে একে গ্রেপ্তার করে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে আদালতেও ঘটনার আদ্যপান্ত বর্ণনা দেয় তারা।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে তারা। পরবর্তীতে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়ার কথা তাদের জানালে তারা দিতে রাজি হয়। বিকাল ৪টার দিকে তাদের আদালতে নেয়া হয়। পরে ক্রমান্বয়ে তারা আদালতে জবানবন্দি দিতে থাকে।
উল্লেখ্য, অপহরণ করার পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব মন্ডল খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া পূর্বপাড়া এলাকার পান-সুপারি ব্যবসায়ী শেখর মন্ডলের ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে দেড়টার দিকে অপহরণ ও বেলা ৩টার দিকে গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে হত্যা করা হয়।
হত্যায় জড়িতরা হচ্ছে-গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র সোহেল মোল্লা (১৫), হীরক রায়(১৫) ও পিতু মণ্ডল(১৪), দশম শ্রেণির ছাত্র পিয়াল রায় (১৫) ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র দ্বীপ মণ্ডল (১৩)।
এর মধ্যে পিয়ালের বাড়ি ডুমুরিয়ার ভান্ডারপাড়া তেলিগাতি এলাকায় এবং অন্য চারজনের বাড়ি গুটুদিয়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণের জন্য ক্রাইম পেট্রোলের কায়দায় নীরবকে অপহরণের পর হত্যা
‘নীরব ঘাতক স্লিপ এপনিয়া’
কোটচাঁদপুর পৌরসভায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভায় বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামান।
শুক্রবার সকালে পৌরসভা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার সচিব, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পৌর কাউন্সিলর ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌর মেয়র বলেন, কোটচাঁদপুর পৌরসভায় ২ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। যা দায়িত্বভার গ্রহণের আগের বকেয়া। কিন্তু আবাসিক প্রকৌশলী পৌরসভার সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পৌরবাসীদের।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
তিনি আরও বলেন, পৌরসভার যে আয় হয় তা দিয়ে মোট বকেয়া বিল পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিমাসে এক লাখ টাকা করে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে চান কোটচাঁদপুর পৌরসভা। এতে একদিকে যেমন বকেয়া বিল পরিশোধ হবে অন্যদিকে পৌরবাসীদেরও দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ঝিনাইদহ ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান চৌধুরী জানান, কোটচাঁদপুর পৌরসভার পানি ও সড়ক বাতির ১০টি বিদ্যুৎ সংযোগের মধ্যে পাঁচটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বকেয়া আদায়ের জন্য এই সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
মুক্তিপণের জন্য ক্রাইম পেট্রোলের কায়দায় নীরবকে অপহরণের পর হত্যা
৩০ লাথ টাকার জন্য ভারতের অপরাধ বিষয়ক টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রোল’ এর কায়দায় স্কুলছাত্র নীরব মণ্ডলকে (১৩) অপহরণ করে তারা। অজ্ঞান করার লক্ষ্যে গলায় রশি পেঁচালে শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়।
এরপর তার লাশ স্কুলের একটি কক্ষে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় আটক পাঁচ কিশোর এই স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
খুলনায় বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে স্কুলের একটি কক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একই স্কুলের ওই পাঁচ ছাত্রকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে আওয়ামী লীগ কর্মীকে অপহরণের পর হত্যা
পুলিশ জানায়, আটকরা স্বীকার করেছে যে তারা মুক্তিপণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা পেতে ক্রাইম পেট্রোল সিরিয়াল দেখে এই অপহরণের পরিকল্পনা করে।
নিহত নীরব খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া পূর্বপাড়া এলাকার পান-সুপারি ব্যবসায়ী শেখর মণ্ডলের ছেলে।
আটকরা হচ্ছে- গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র সোহেল মোল্লা (১৫), হীরক রায় (১৫) ও পিতু মণ্ডল (১৪), দশম শ্রেণির ছাত্র পিয়াল রায় (১৫) ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র দ্বীপ মণ্ডল (১৩)।
এর মধ্যে পিয়ালের বাড়ি ডুমুরিয়ার ভান্ডারপাড়া তেলিগাতি এলাকায় এবং অন্য চারজনের বাড়ি গুটুদিয়া এলাকায়।
ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া বলেন, নীরব মণ্ডল গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্কুল ছুটির পর পিয়াল নামে একটি ছেলে নীরবকে ডেকে নিয়ে যায়। স্কুলের পেছনে পরিত্যক্ত একটি ভবনের মধ্যে অবস্থান করছিল পিতু, সোহেল এবং দ্বীপ। নীরবকে সেখানে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা তার পা ধরে মুখ বন্ধ করতে চায়।
এছাড়া রশি ঝুলিয়ে রেখেছিল দ্বীপ। আটকদের ভাষ্য অনুযায়ী-তাদের পরিকল্পনা ছিল অজ্ঞান করে তার বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়ার। কিন্তু তারা প্রথমেই তাকে ঝুলিয়ে মেরে ফেলে।
দুই থেকে তিনজন রশি টেনে ধরে রাখে, নীরব সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, সেখানে নীরবের লাশ রেখে তারা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। হীরকের দায়িত্ব ছিল নীরবের বাবার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা। ওই নম্বরে ফোন দিয়ে নীরবের বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ওসি বলেন, বিষয়টি জানার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে আটক করি। লাশ উদ্ধারের আগে প্রথমে সোহেলকে আটক করি। পরে দ্বীপ, পিয়াল ও পিতুকে আটক করা হয়। আর লাশ উদ্ধারের পর হীরককে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নতুন জামার টাকার জন্য শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ২ স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার
প্রভাষক মামুন হত্যা: ৮ বছর পর জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ১১০ টি ট্রাকে করে ভারতীয় মসুরের ডালের বড় চালান এসে পৌঁছায় বন্দরের ট্রান্সসিপমেন্ট ইয়ার্ডে।
বৃহস্পতিবার রাত ১ টা পর্যন্ত কাস্টমস ও বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে মসুরের ডালের চালানটি বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে এক কোটি টাকা সমমূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
এক হাজার ১৩৬.১৩ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি মেট্রিক টন মসুরের ডাল আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট মসুরের ডাল খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার মুর্তজা শরীফ জানান, আজ চার হাজার মেট্রিক টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। চার হাজার টন এলসির বিপরীতে ১১০টি ভারতীয় ট্রাকে তিন হাজার ৮০০ টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল বন্দর থেকে খালাস নেয়া হলেও বাকি ২০০ টন ডাল দ্রুত আসবে ভারত থেকে।
তিনি আরও জানান, এ মসুরের ডাল আমদানি করতে প্রতি কেজি খরচ পড়ছে ১২৫ টাকা। এ বন্দর থেকে মসুরের ডাল দ্রুত খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার সকালেও ডালের ট্রাক বন্দর থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।
কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, টিসিবির ডালের চালান দ্রুত খালাস করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত মসুরের ডালের চালানটি ছাড় হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য তারা সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন থেকে বিদেশি সিগারেট মদ জব্দ
সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের অভিযান: আসামির রহস্যজনক মৃত্যু
চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশের অভিযানকালে এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবার দাবি করছে, পুলিশের হাত থেকে বাচঁতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছেন মো. নাছির উদ্দিন (৫৫) নামে চুরির মামলার ওই আসামি।
তবে পুলিশ দাবি করছে, অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানার শহীদ নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
মৃত নাছির বায়োজিদ বোস্তামি থানার পশ্চিম শহীদ নগর এলাকার মৃত বজল আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।
জেলার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাছিরের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি থানায় দায়ের করা গরু চুরির মামলা রয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম আসায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা টিম অভিযান চালায়।
চট্টগ্রাম জেলা বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত এসপি ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মুখপাত্র আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ডিবির দল নাছিরের বাড়িতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে চিৎকার করে আশেপাশের লেকজন জড়ো করে। এসময় তার সহযোগীরা ডাকাত ভেবে পুলিশকে পাথর মারে। পরে তারা পুলিশের পরিচয় পায়।
আরিফ হোসেন আরও বলেন, ঘটনার সময় আসামি নাছির তার ঘরের ভিতরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, অভিযানের সময় পুলিশ নাছিরের ঘরের দরজা ভাঙতে গেলে নাছির জানালা দিয়ে পালিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেন। পরে সকালে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, নাছির হার্টে অ্যাটাকে মারা গেছে। তার পরিবার ও এলাকার একটা পক্ষ এ ঘটনা ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়া নাছিরের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আমরা পায়নি। তার লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পৃথক গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ওসমানী বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক
উড্ডয়নের সময় বিমানের চাকা ফেটে যাওয়ার ঘটনার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার পর বিমানবন্দরটিতে পুনরায় স্বাভাবিকভাবে বিমান চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: ঢাকা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট গেল হায়দরাবাদে, ৭টি বিলম্বিত
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। চাকা মেরামত করে ওই উড়োজাহাজ রানওয়ে থেকে সরানো হয়। এরপর ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে রানওয়ে দিয়ে উড্ডয়নের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের চাকা ফেটে যায়। এতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হওয়া বিমানটি অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। এসময় পুরো উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি শুরু হয়।
এরপর থেকে বিমানবন্দরটিতে বিমান ওঠানামা সাময়িক বন্ধ ছিল। এতে আতংকিত হয়ে পড়েন উড়োজাহাজটির ১৪৮ যাত্রী। তবে এতে যাত্রীদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের সংশ্লিষ্টরা চাকা ফেটে যাওয়া বিমানটি মেরামতে কাজ করছেন। তবে যাত্রীদের ঢাকায় আনার জন্য বিকল্প একটি বড় এয়ারক্রাফট আনা হচ্ছে। বিলম্ব হলেও বিকল্প উপায়ে বিকালের মধ্যেই তাদের ঢাকায় নেয়া হবে।
জানা যায়, দুপুরে বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ১২টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল। তবে উড়োজাহাজটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপরই বিকট শব্দে এর পেছনের চাকা ফেটে যায়। ওই সময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।
মোস্তাক হায়তা নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা মন্থর করেন। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্টা করেন। তখন ফের ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পেছনের চাকা ফেটে গেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর প্রায় ৪০ মিনিট আমরা বিমানের ভেতরে আটকে ছিলাম। পরে আমাদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আনা হয়।
দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোন ক্ষতি হয়নি জানিয়ে হাফিজ আহমদ বলেন, আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান।
আরও পড়ুন: আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় ঢাকার ৩টি ফ্লাইট নামলো সিলেটে
ঘন কুয়াশা: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৮টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরে গেছে, ৭টি বিলম্বিত
২ বছর পর দেশে ফিরলেন ভারতে পাচারের শিকার ৯ নারী
ভালো কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচার হওয়া ৯ বাংলাদেশি নারীকে দুই বছর পর দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: ভারতে ২ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ তরুণী
ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছে-আঁখি খাতুন (১৬), প্রিয়া দাস (১৮), রিয়া বিশ্বাস (১৯), শান্তি দাস (১৭) মিঠু বেগম (১৯), সনিয়া আক্তার (১৮) শিরিনা আক্তার (১৭) বিথি খাতুন (১৮), বানু খাতুন (১৬)।
এদের বাড়ি ঢাকা, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ফিরে আসা সোনিয়া খাতুন জানান, ভালো কাজের আশায় গত আড়াই বছর আগে যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাই। পরে ভারতের হায়দারাবাদে বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে।
আদালতের মাধ্যমে তাদের দুই বছরের সাজা হয়। সাজার মেয়াদ শেষে সেখানকার একটি এনজিও সংস্থা তাদের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখেন।
ফিরে আসা এক নারী বলেন, শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি নারী আছেন। তারা দেশে আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ছয়জনকে এবং মহিলা আইন সমিতি তিন জনকে গ্রহণ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এম এ মুহিত হোসেন বলেন, যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ছয়জন ও মহিলা আইনজীবী সমিতি তিনজনকে তাদের নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখবে।
পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশি নারী
সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি যুবক
উড্ডয়নের সময় বিমানের চাকা ফেটে বিকট শব্দ, অল্পের জন্য রক্ষা
সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় বিকট শব্দে বিমানের একটি বোয়িং উড়োজাহাজের চাকা ফেটে (পাংচার) গেছে।
এসময় পুরো উড়োজাহাজে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে আতংকিত হয়ে পড়েন উড়োজাহাজটির ১৪৮ যাত্রী।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে ওসমানী বিমানবন্দরেরর রানওয়েতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে যাত্রীদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও এ ঘটনার পর থেকে ওসমানীতে ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট-ঢাকা রুটে বাড়তি দামেও মিলছে না বিমানের টিকিট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ওসমানী বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি ১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ১২টা ৫৫ মিনিটে উড্ডয়নের কথা ছিল।
উড়োজাহাজটি রানওয়েতে যাত্রা শুরুর পরপর বিকট শব্দে পেছনের চাকা ফেটে যায়। এসময় পুরো উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।
এমন ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয় জানিয়ে এই ফ্লাইটের যাত্রী মোস্তাক হায়াত খান বলেন, 'হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। এরপর বিমানটিতে ঝাঁকুনি শুরু হয়। এতে যাত্রীদের সকলেই আতংকিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ চিৎকারও শুরু করেন।'
মোস্তাক হায়াত বলেন, 'ঝাঁকুনি শুরু হলে পাইলট বিমানের গতি কিছুটা মন্থর করেন। এরপর আবার উড্ডয়নের চেষ্ঠা করেন। তখন ফের ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পেছনের চাকা পাংচার হয়েছে।'
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর প্রায় ৪০ মিনিট আমরা বিমানের ভেতরে আটকে ছিলাম। পরে আমাদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে আনা হয়।
চাকা ফেটে রানওয়েতে উড়োজাহাজ আটকে থাকার কারণে ওসমানীতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে জানিয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, ওই উড়োজাহাজের চাকা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। মেরামতের পর এটি রানওয়ে থেকে সরিয়ে বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা সচল করা হবে।
বিকালের দিকে বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের কোন ক্ষতি হয়নি জানিয়ে হাফিজ আহমদ বলেন, আটকে পড়া যাত্রীদের বিমান কর্তৃপক্ষ বিকল্প ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে ২ তেলবাহী ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
লিমার রানওয়েতে বিমানে আগুন, নিহত ২
চট্টগ্রামে লরির সঙ্গে শিক্ষা সফরের বাসের সংঘর্ষ, ২৬ ছাত্র-শিক্ষক আহত
নেত্রকোণা থেকে শিক্ষা সফরে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় লরির সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ২৬ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি নেত্রকোণা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে কক্সবাজারে শিক্ষা সফরে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ৬
আহতদের কয়েকজন হলেন- নেত্রকোণা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াছির উদ্দিন (৪৫), শিক্ষার্থী মামুন (২৫), সজিব (২১), আনিসুর রহমান (৩৫), মো. রাজু (২৪), হারুনুর রশিদ (২৮), লোকমান হাকিম (৪০), শামীম (২৪), আনোয়ার (২৫), মোবারক (৪০), পিলু (২৫), শম্পা (২৫), আবু কাউছার (২৫), রাসেল (২৪), রানা (২৫), রনি (২৩), হাসান (২৫), সিরাজ (২৬), হৃদয় (২৪), সজিব (২৫), জাকির (২৪) তানভীর (২০) ও আনোয়ার (২৫)।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ডিউটি অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের সৌখিন পরিবহন নামে একটি পিকনিক বাসের সঙ্গে লবণবোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি থানায় জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ২৬ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর। তারা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
এর আগে গতকাল রাতে একই উপজেলার আধুনগর এলাকার গ্রীন প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ১৫ জন যাত্রী আহত হয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২ বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১০
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপ-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৫