%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে অপর একটি ট্রাকের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের মতিহারা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিতুল হাওলাদার (২৩) যশোহরের বারাপাড়ার আলাদিপুরের ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাক উল্টে নিহত ২
বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিভূতি ভূষন রায় ব্রতি জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা এলাকায় রাস্তার পাশে সার বোঝাই একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় দ্রুত গতিতে অপর একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে চালকের সহকারী মিতুল দুর্ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার পর পরেই ট্রাক ফেলে চালক পালিয়ে যায়।
নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়া এলাকায় মহানবীকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার কলেজছাত্র আকাশ সাহার (২০) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: চট্টগ্রামে পুলিশের ৬ সদস্য রিমান্ডে
এদিকে, সাহাপাড়ার বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর এবং দু’টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রবিবার রাতে ২৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই মাকফুর রহমান।।
এই বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, গত শুক্রবার লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন এবং বিকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভারতীয় জুয়াড়ি সন্দেহে গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে
ওসি জানান, বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার ৫-৬টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরে ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
পদ্মা সেতুতে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাক উল্টে নিহত ২
পদ্মা সেতুতে ঢাকাগামী গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ট্রাক উল্টে দুজন নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ১০টার দিকে সেতুর ১৫ ও ১৬ নম্বর খুঁটির মাঝমাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রাজু খন্দকার (৪৫) ও মো. কাউসার (২৩)।
আহতরা হলেন- মুক্তা আক্তার (২৫), ফাতেমা খন্দকার (দেড় বছর) ও ওমর ফারুক (৪৭)।
আরও পড়ুন: বালি বোঝাই ট্রাক উল্টে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী নিহত
পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলগীর হোসাইন জানান, শরীয়তপুর শহরের জননী অক্সিজেনের খালি গ্যাস সিলিন্ডার গ্যাস আনার জন্য মাঝারি ধরনের ট্রাকটি ঢাকায় যাচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আনোয়ার হোসেনের সম্বন্ধি রাজু খন্দকারের ঢাকায় কাজ থাকায় তিনি সপরিবারে উক্ত ট্রাকে যাচ্ছিলেন। ট্রাকটি পদ্মাসেতুর ১৫ ও ১৬ নম্বর খুঁটির মাঝমাঝি এসে হঠাৎ উল্টে যায়। এতে ট্রাকে থাকা পাঁচ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাজু খন্দকার ও কর্মচারী মো. কাউসারকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের ঢাকা মিডফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ট্রাক্টর খাদে পড়ে চুয়াডাঙ্গায় চালকের সহকারী নিহত
ওসি জানান, এই ঘটনায় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
লালপুরে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, ৫ গ্রামে টিকাদান
অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে দিন কাটছে নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলুয়া গ্রামের অর্ধশত পরিবারের। অসুস্থ্য একটি গরু জবাই করে মাংস বিতরণের পর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী পুরুষের শরীরে দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্সের মত উপসর্গ। রোগটির বিস্তার রোধে আক্রান্ত গ্রামসহ চারিদিকের পাঁচটি গ্রামে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি।
গত ৭ জুলাই নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলূয়া গ্রামের কৃষক মইদুল ইসলামের একটি গাভি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। রোগাক্রান্ত ওই গাভিটি জবাই করে মাংস বিতরণ করা হয় আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিদের মাঝে। অবশিষ্ট মাংস বিক্রি করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই ওই মাংস কাটা ও নাড়াচাড়ার সঙ্গে জড়িতদের হাতে পায়ে ও মুখে ফোসকা পড়া ঘায়ের সৃষ্টি হতে থাকে। আতঙ্ক ভর করে মানুষের মাঝে। আক্রান্তরা ছুটে যান হাসপাতালে। চিকিৎসকের পরামর্শে আক্রান্ত গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম, কৃষক শাখাওয়াত হোসেন, গৃহবধূ বিলকিস বেগম, কৃষক মোহন আলী, হাবিবুর রহমান ভোলা ও আফতাব হোসেন নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে। গরু কাটার পর থেকে এ রোগ দেখা দিলেও রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত নন বলে জানান গাভীর মালিক মহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৩
সিলেটে সড়কে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসীর অবরোধ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করেছেন। রবিবার বেলা ২টায় বঙ্গবীর রোডের খোজারখলা এলাকায় এই কর্মসুচি পালন করা হয়। এতে ২৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে জলাবদ্ধতা যেনো এখন নিত্যসঙ্গী। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই সড়কটিতে হাটুজল হয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে এই সড়ক ও তার আশপাশের মানুষরা ব্যবসা বাণিজ্যসহ নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কটিতে যান চলাচল হচ্ছে বাঁধাগ্রস্থ।এদিকে, বঙ্গবীর রোডের জলাবদ্ধতা থেকে খুব তাড়াতাড়ি রেহাই পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাকবীর ইসলাম পিন্টু।তিনি জানান, বঙ্গবীর রোডের পানিগুলো রত্নারখাল ও জৈন্তারখাল হয়ে চান্দাইয়ের হাওরে গিয়ে নামে। এখন পানিগুলো নামতে পারছে না। তিনি বলেন, এবারে প্রথম যখন বন্যা হয়, তখন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেনের সবগুলো ব্লক পরিস্কার করানো হয়। বন্যার পানি জমে থাকার কারণে ড্রেনে পলি জমে থাকতে পারে, সেগুলো সোমবার থেকে পরিস্কারের কাজ শুরু হবে।তবে ড্রেনের কাজ চলমান থাকায় জলাবদ্ধতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলবে না বলেও জানান কাউন্সিলর পিন্টু।ড্রেনের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে আর জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থাকবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিপাতে হবিগঞ্জ শহরে জলাবদ্ধতা
কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
খুলনায় পানিতে ডুবে মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যু
খুলনায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে আরাফাত (১৩) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে খুলনা মহানগরীর আইজার মোড় এলাকার একটি পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কঞ্জারভেন্সি বিভাগের উচ্চমান সহকারী আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে আরাফাত। সে স্থানীয় ইকরা মাদ্রাসার হাফেজী পড়তো।
কেসিসির সহকারী কঞ্জারভেন্সি অফিসার মোল্লা মারুফ রশিদ জানান, দুপুর ১২ টার দিকে ৬/৭ জন শিশু কিশোর মিলে আইজার মোড়ের পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় আরাফাত ও তার ছোট ভাই তাদের সঙ্গে যায়। সবাই গোসল করে উঠে আসলে আরাফাত না আসায় ছোট ভাই তাকে খুঁজতে থাকে। পরে প্রতিবেশি ও স্বজনরা পুকুর থেকে আরাফাতকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, আরাফাত সাঁতার জানতো না। সে ১২ পারা কোরআন মুখস্থ করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের ২ শিশুর মৃত্যু
ফেঞ্চুগঞ্জে আশা’র ম্যানেজারকে কুপিয়ে হত্যা করল বাবুর্চি
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় এনজিও আশা’র বাবুর্চির দায়ের কোপে একই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. আবুল কাশেম (৪৮) খুন হয়েছেন।রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের পুরান বাজারের নিজামপুরস্থ আশার অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আবুল কাশেম হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা। তিনি আশার সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জে কর্মরত ছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফুর রহমান বলেন, এই অফিসের বাবুর্চি মো. ফজল মিয়া দা দিয়ে কুপিয়ে আবুল কাশেমকে হত্যা করে। ফজল মিয়ার বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে।তিনি বলেন, অফিস চলাকালীন সময়ে অফিসের মধ্যে দা দিয়ে কাশেমকে মাথায় ও মুখে এলোপাতাড়িভাবে কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে অফিস থেকে পালিয়ে যায় ফজল। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।কি কারণে আবুল কাশেমকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক আটক
চট্টগ্রামে পরিবহন শ্রমিককে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ
বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
সাতক্ষীরায় খোলপেটুয়া নদীর উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে পানির স্রোতে ভেসে গেছে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের মাছের ঘের ও কাঁকড়া খামার। বাঁধ ভাঙার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বাঁধ মেরামত করা যায়নি। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে গেছে এক হাজার ৬৫৫ হেক্টর চিংড়ি ও কাঁকড়া খামার। এর মধ্যে পুকুর রয়েছে ১০০টি। চিংড়ি, কাঁকড়া, সাদা মাছ, মাছের পোনাসহ আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আট কোটি ২৮ লাখ টাকার।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তালিকা প্রস্তুত সম্পন্ন হলে সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রণোদনার চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: বন্যা: সিলেট নগরীর সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
প্রতিপক্ষের হামলা: ছেলের পর মারা গেলেন মা
সিলেটের গোয়াইনঘাটের লাবু গ্রামে ছেলে আব্দুল কাদিরকে (২৭) জবাই করে হত্যার তিনদিন পর তার আহত মা হাসিনা বেগমও মারা গেলেন। রবিবার দুপুরে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোয়ানইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লাবু গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা আব্দুল কাদিরকে জবাই করে হত্যা করে।
নিহত কাদির ওই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে।
এ ঘটনায় কাদিরের মাসহ আরও অন্তত ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে নিহত কাদিরের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে বলেও জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ লাবু গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে চার বছর আগের একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল নিহত কাদিরের বাবা আব্দুল খালিক ও তার আত্মীয়স্বজনদের। এ নিয়ে ঘটনার আগে উভয়পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আব্দুল খালিকের বাড়িতে আক্রমণ করেন গ্রামের কিছু মানুষ। তাদের প্রতিরোধ করতে এলে কাদিরকে জবাই করা হয় এবং তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুনে একটি ঘর পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা লাশ উদ্ধার ও আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত কাদিরের লাশ উদ্ধার করি।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিদের গুলিতে ২ বাংলাদেশি আহত
সিলেটে বজ্রপাতে নিহত ২
সিলেট সদর উপজেলায় বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পুরান কালারুকা এলাকার ফাটাবিলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জালালাবাদ ইউনিয়নের পুরান কালারুকার মৃত ছইদুল্লাহের ছেলে সিরাজ উদ্দিন (৫৫) ও মৃত ওয়ারিছ উল্লাহ’র ছেলে নওশদা মিয়া (৪৫)।
আহতরা হলেন-একই গ্রামের মৃত হারিছ মিয়ার ছেলে ফজর আলী (৬৬) ও মৃত জহুর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম নজই (৪২)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ ইসহাক।
তিনি জানান, হতাহতরা রাতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে ফাটাবিল হাওরে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে দুজন মারা যান। আহত হন আরও দুজন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে আহত ১৯
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু