সারাদেশ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে ৮টি শেড
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়েছে ৮ টি শেড। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্প-৫ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে, হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি ক্যাম্প-৫ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই একই স্থানের পাশে আবারও আগুন লাগে। খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই ৮টি শেড আগুনে পুড়ে যায়।’
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
এ ঘটনায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মেলেনি ২ দিন, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কম থাকলেও কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। দুইদিন থেকে সৃর্যের দেখা না মেলায় ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে এ অঞ্চলে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছেন তারা।
বিশেষ করে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে আছেন শ্রমজীবীরা।
অপরদিকে, স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের চরে কয়েকদিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, নদীর পাড়ে সব সময় বাতাস থাকে। বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা বেশি।’
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমার ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত। এখানে অনেক বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। নির্বাচনের আগে সরকারিভাবে মাদরাসার শিশুদের জন্য ৪০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মাত্র ৮০টি কম্বল বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করা হয়। এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসলে আমার এখানকার চরের মানুষ উপকৃত হতো।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘তাপমাত্রা আরও দুই-একদিন এমন থাকবে। পরে একটু উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।’
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, ‘সদর উপজেলায় শীত নিবারনে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে শীতবস্ত্র মজুদ নেই। বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পেলে বিতরণ করা হবে।’
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী-স্বামী নিহত
নাটোরের লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও স্বামী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ লালপুর এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হলেন- চান্দু মোল্লা (৬২) ও তার স্ত্রী আরবী বেগম (৪২)।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলিমুল আল রাজি জানান, চান্দু মোল্লা ও তার স্ত্রী আরবী বেগম ট্রেনে নওগাঁয় বোনের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে ঈশ্বরদী-লালপুর প্রধান সড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ডাম্পট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৩
তিনি আরও বলেন, এ সময় একটি নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।
খবর পেয়ে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ভোরে একই উপজেলার গোধরা এলাকায় বাস ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় ত্রিপুরা সর্দার নিহত
ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের ৩ জনের কেউই বেঁচে নেই
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুনে দগ্ধ আশীষের পরিবারের তিনজনের কেউ আর কেউ বেঁচে রইল না।
আগুন লাগার ঘটনার ১৩ দিনের মধ্যে একে একে মারা গেলেন আশীষ চন্দ্র সরকার, তার একমাত্র সন্তান রিক সরকার ও স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তারা তিনজনই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। গ্যাসের চুলায় তিতাসের সংযোগ লাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনার কথা স্বজনদের বলেছিলেন আশীষ ও টুম্পা।
গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার ও সর্বশেষ গত সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকারের।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আশীষের ৮২ শতাংশ, টুম্পার ৬০ শতাংশের বেশি এবং রিকের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শুরু থেকেই রিককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আর আশীষ ও টুম্পাকে এইচডিইউ ভর্তি করা হয়। তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন ছিল।
সোমবার টুম্পার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার সময় তাকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে টুম্পার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
তার লাশ নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দিকে রওনা দিয়েছেন। এর আগে আশীষ ও রিকেরও শেষকৃত্য হয় ধোবাউড়ায়।
আশীষের ভাই পরিতোষ জানিয়েছিলেন, তাদেরও বাসার দরজা-জানালা সব সারা দিন বন্ধ ছিল। রাতে আশীষ অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর ভাত রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে যান। চুলা জ্বালানোর পরপরই দুই কক্ষের বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা অবস্থায় তারা নিজেরাই দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখেন, শরীরে আগুন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামছেন তিনজন। কাপড় জড়িয়ে দিয়ে সেই আগুন নেভান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়।
ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
মেয়ের বাড়িতে এসে ট্রাকচাপায় লাশ হলেন মা
মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে সিমেন্টবাহী কার্গো ট্রাকচাপায় প্রাণ হারালেন নাসিমা খাতুন (৪৫) নামের এক মা।
বুধবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসিমা খাতুন পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার রহমতপুর এলাকার সমারু ইসলামের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এঘটনায় আল-আমিন নাহিদ এন্টারপ্রাইজের কার্গোটি জব্দ ও চালক সুমনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক গাড়ি চালক সুমন (২৬) নোয়াখালী জেলার চর জব্বার থানার চরবৈশাখী এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে।
নিহতের স্বামী সমারু ইসলাম বলেন, আমি স্ত্রীকে নিয়ে সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকার আব্দুল হক প্রধানের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমার মেয়ে সুমির বাসায় বেড়াতে এসেছিলাম। মেয়ের বাসা থেকে বুধবার সকালে বের হই ঢাকায় বিমান বন্দর এলাকায় আমার এক ছোট ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
সকাল ১০ টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় পিছন থেকে সিমেন্টবাহী কার্গোটি আমার স্ত্রীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিকাল ৫টায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটির নিচ থেকে নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে নিখোঁজের পাঁচদিন পর ফেরদৌস আলী (১৮) নামে এক নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের রংপুর-নগরবাড়ি মহাসড়কের তালগাছী এলাকায় মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ডোবা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত লাশ উদ্ধার
মৃত ফেরদৌস গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। তিনি আরকে টেক্সটাইল মিলের নিরাপত্তাপ্রহরী।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আরকে টেক্সটাইল মিলে যান ফেরদৌস। এরপর সকাল হয়ে গেলেও বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন মিলে প্নেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অনুসন্ধান করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই কারখানাতে তার খোঁজ করে বুধবার দুপুরে মাটির নিচে চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকের লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরেরদল কারখানায় চুরি করতে এসেছিল এসময় বাঁধা দিলে ফেরদৌসকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য মাটিতে পুঁতে রেখে পালিয়ে গেছে চোরচক্র।
তিনি জানান, তবে চোরচক্রকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধানখেত থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
পাবনায় মদপানে যুবকের মৃত্যু
পাবনার সাঁথিয়ায় মদপানে নিজাম উদ্দিন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঘটনাটি ঘটে।
নিজাম উদ্দিন উপজেলার করমজা ইউনিয়নের করমজা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নিজাম স্থানীয় একটি দোকান থেকে মদ কিনে বাড়িতে নিয়ে এসে পান করেন। অতিরিক্ত মদপানের কারণে কিছুক্ষণ পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন থেকে বিকালে মারা যান তিনি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক কোটি মানুষকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
বুধবার (১০ জানুয়ারি) নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কোনো সময় পেঁয়াজ, কখনও আলু, কখনও ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না। এক সময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়।
মেয়র বলেন, যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারও চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ সকল কারসাজি করে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ আয়োজন করা হবে: মেয়র তাপস
নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরও কঠোরতা দেখানো হবে জানিয়ে তাপস বলেন, এবার সরকার গঠন করার পরে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। যারা কারসাজি করে, তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই এ সব সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙে দিয়ে তাদের নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্য সকলের জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
কক্সবাজার-ঢাকা রুটে যুক্ত হলো ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’
কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যুক্ত হয়েছে নতুন ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’।
বুধবার(১০ জানুয়ারি) বিকাল তিনটার কিছু সময় পর ঢাকা থেকে ৭৮০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা ট্রেনটি সাগরপাড়ের দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ১০ জানুয়ারি থেকে চলবে নতুন ট্রেন 'পর্যটক এক্সপ্রেস'
কক্সবাজার পৌঁছে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। তুলে ধরেন ট্রেনে চড়ে সাগরপাড়ে আসার অভিজ্ঞতা। কেউ ট্রেনের ব্যবস্থাপনা দেখে অভিভূত, আবার কেউ কেউ বর্ণনা দেন পথে পথে দেখা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের। আবার কেউ কেউ পরামর্শ দেন ব্যবস্থায় আরও একটু উন্নতি করার।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, কক্সবাজারে ট্রেন নিয়ে মানুষ অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। সবাই চায় ট্রেনে করে ঢাকায় যেতে এবং আসতে। তবে আগে একটি মাত্র ট্রেন হওয়ার কারণে টিকেট নিয়ে নানা সংকট হতো। এখন পর্যটক এক্সপ্রেস যুক্ত হওয়াতে টিকেট সংকট কমে যাবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যু
গত ১১ নভেম্বর উদ্বোধনের পর ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ৭৮০ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতার কক্সবাজার এক্সপ্রেসের। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় টিকেট সংকটের বিষয় নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। চাহিদার প্রেক্ষিতে বুধবার থেকে নতুন করে যুক্ত হলো পর্যটক এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৮০ জন। বিরতিহীন ট্রেনটি ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছে বিকাল ৩ টায়। আবার রাত ৮ টায় ছেড়ে যাবে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ভোট দিতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি যশোর কারাগারের বন্দিরা
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কোনো বন্দিই ভোট প্রদান করেননি। কারাগারে প্রায় এক হাজার ২৬৫ বন্দির মধ্যে একজনও ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন না।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদনও করেননি। ফলে, কারাগারে বন্দিদের কেউ তাদের ভোট প্রদান করেননি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
যদিও কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এমনকি তারা বন্দিদের মধ্যেও এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারাগারেই বন্দির সংখ্যা কমাবাড়ার মধ্যেই আছে। বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজার ২৬৫ বন্দি রয়েছেন। তার মধ্যে নারী রয়েছেন ৭৫ জন। বাকি সবাই পুরুষ।
কারা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবারের মতো এবারো কারাগারে আটক বন্দিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের জানালেও তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে রাজি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারাগারে কোনো বন্দি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেননি।
এর আগে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল কারা বন্দিদের।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম ইউএনবিকে জানান, প্রতিনিয়তই কারাগারে বন্দি আসছেন আবার জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। পরিপত্র পাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিনই এ বিষয়ে বন্দিদের জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি বিশেষ টিমও কাজ করে। তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি জানান, এবিষয়ে কিছু নিয়মকানুন মেনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। এ কারাগার থেকে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়নি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের