সারাদেশ
সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালাল আসামি, পরে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে সাইফুল করিম খান নামে এক দণ্ডিত আসামি পালিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। সাইফুল করিম নগরীর হালিশহর থানাধীন রামপুর এলাকার বজলুল করিম খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
জানা গেছে, একটি চেকের মামলায় রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত তাকে ছয় মাসের সাজা দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ পরে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার গাড়িতে তোলার সময় আসামি সাইফুল করিম পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নিশান চাকমা বলেন, আসামিকে একটি মামলায় ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ওই আসামি পালিয়ে যান। তবে আড়াই ঘণ্টার মাথায় নগরীর পাহাড়লী সাগরিকা এলাকা থেকে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. ওবায়দুল হক বলেন, আদালত থেকে পালিয়েছিল সাইফুল। পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
যশোরে ট্রাকচাপায় যুবক নিহত
যশোরের শার্শা উপজেলার পাচভুলোট এলাকায় ট্রাকচাপায় হাবিবুর রহমান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় পাচভুলোট গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার পাচভুলোট গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় ট্রাকচালক নিহত
এলাকাবাসী জানায়, হাবিব ছিলেন একটি ইজিবাইকে। পেছন থেকে ইট বহনকারী একটি ট্রাক ইজিবাইকে ধাক্কা দেয়। এ সময় হাবিব পড়ে গিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত যুবক নিহত
টঙ্গীতে ট্রাকচাপায় পোশাকশ্রমিক নিহত
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার বসানো হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এদিকে হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারেজের মধ্যেই চেয়ার-টেবিল বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার। পাশে ঝোলানো হয়েছে খুলনা জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি লিমিটেড পরিচালিত, অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
এছাড়া হাসপাতালের মধ্যে ও বাইরে রাস্তা দখল করে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো। দূর থেকে দেখে মনে হবে এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল না, যেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। রোগী পরিবহনে চাহিদা যতটা, তার চেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি। কিন্তু রোগী পেলেই ভাড়া হাঁকা হয় অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: সরকারি বিএল কলেজে আবাসন-পরিবহন সংকট চরমে
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স না নিয়ে অন্য কোথাও থেকে কম টাকায় ভাড়া করার সুযোগ নেই। হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারজের জায়গা দখল করে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
কাউন্টারের সামনে ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি বিভাগের সামনে রয়েছে ৪ থেকে ৫টা, হাসপাতালের আউটডোর পেছনে রয়েছে ৭ থেকে ৮টা অ্যাম্বুলেন্সের সারিবদ্ধ লাইন।
এর বাইরে লাশ ঘরে যেতে যে রাস্তা সেখানেও রয়েছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে বাইরে রয়েছে আরও ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্সের লাইন। দূর থেকে যে কেউ মনে করবেন, এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল নয়, অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্যান্ড।
রোগীও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালকেন্দ্রিক ‘অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট’ রোগীকে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে তুলতেই দেয় না। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি জরুরি পরিবহন সেবাকে ঘিরে এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স এক চালক জানান, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নীতিমালা নেই। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় ট্রিপ কমে গেছে। এ কারণে খরচ পোষাতে কিছুটা বাড়তি ভাড়া নিতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার কোনো তালিকা নেই। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালাও। যে যেভাবে পারছেন রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স নামাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে হাসপাতালগুলোর কর্মচারীদের (ওয়ার্ডবয় ও আয়া) উপর। এজন্য তাদের ভাড়ার একটা অংশ কমিশন দিতে হয়। এ কমিশন বাণিজ্য না থাকলে ভাড়া অনেকটাই কমে যেত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কয়েকজন চালকরা আমার কাছে এসে বলেন, তাদের নিজস্ব জায়গায় কাউন্টার কাজ বসানোর কাজ চলছে। ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই অনুরোধের কারণে তাদের বলেছিলাম কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালের ভেতরে কাউন্টার রাখার জন্য। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনার পরে জানতে পারলাম এদের একটু মানবিক দিক সুযোগ দেওয়ায় পুরো হাসপাতালটাই দখল করে নিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে মধ্যে কোনো বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকতে পারবে না, রোগীদের প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাড়া আনতে পারবেন। এর বাইরে হাসপাতালের জায়গা দখল করে অ্যাম্বুলেন্স রাখার সুযোগ নেই।
খুলনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মেহেদী নেওয়াজ জানান, মেডিকেল কলেজের নিজস্ব অ্যামবুলেন্স যার মাধ্যমে রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। তারপরও বেসরকারি অ্যামবুলেন্স চালু হয়েছি বলে শুনেছি। কোনো রোগীকে যাতে হয়রানি না করা হয় সে জন্য প্রোয়জনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুর মোরশেদ বলেন, এ ব্যবসা অনেকদিন যাবত চলছে। খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনি সহযোগিতায় তাদের উঠিয়ে দিলে কিছুদিন পর আবার তারা বসতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
না শোধরালে জেলে যেতে হবে, অবৈধ মজুতদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী
অবৈধ মজুতদারদের শুধু জরিমানা করেই ছাড় দেওয়া হবে না প্রয়োজনে জেলে যেতে হবে বলে সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শিগগিরই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে মিলার, পাইকারি ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও করপোরেট সকলের দায় আছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।
তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটি কেবিনেটে অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তা পূরণে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চাই।
আরও পড়ুন: দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ওই যুবকের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, দুপুরে কক্সবাজার থেকে আসা ট্রেনের ইঞ্জিনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেল পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তার লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: জামালপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ বন্ধুর মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের আঙ্গোরপোতা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে ঘটনাটি ঘটে। নিহত রফিউল ইসলাম টুকলু (৩৩) দহগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে ভারত-বাংলাদেশের ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল সীমান্তের ডিএমপি ১ নম্বর প্রধান পিলারের ১ নম্বর উপ-পিলারের কাছ দিয়ে প্রসাধনী সামগ্রী পারাপারের চেষ্টা করতে থাকে। এ সময় ভারতের ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অর্জুন কোম্পানি সদরের উমর ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের দেখে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দহগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে রফিউল ইসলাম টুকলু গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
বিএসএফের সদস্যরা টুকলুর লাশ সীমান্ত হতে ভোরেই ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। পরে বিএসএফের সহায়তায় সকাল ১১টায় কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ তাদের হেফাজতে নেয়।
দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নিহতের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘টুকলুদের বাড়ি সীমান্তের কাছেই। তাদের বাড়িতে গিয়েছি। পরিবার বলছে চিনি আনতে গিয়েছিল। এ সময় বিএসএফের গুলিতে তার (টুকলুর) মৃত্যু হয়েছে।’
বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আমানুজ্জামান আমান বলেন, ‘ভারতের ১ থেকে দেড়শ গজ অভ্যন্তরে বাংলাদেশি যুবক টুকুলু নিহত হয়। তার লাশ বিএসএফের উমর কোম্পানি সদরে বিএসএফের সদস্যরা নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের জন্য কথা বলেছি। তারা (বিএসএফ) জানিয়েছে- ময়নাতদন্ত করে লাশ ফেরত দেবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির নিচে নামায় চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। আর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ আজ ৯২ শতাংশ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, এছাড়া দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলেনি আর উত্তরের হিমেল বাতাসে ঠান্ডার মাত্রাও বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।
সরেজমিনে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।
বেসরকারি চাকরিজীবী শিউলি শারমিন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা থেকে অন্যদিন ভোরে মেহেরপুরে অফিসের জন্য বের হই। কিন্তু আজ একটু বেলা করে বের হয়েও প্রচুর শীত লাগছে। আর সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসতো আছে।’
ঈমান আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আজ ভোরে কাজে যেতে পারিনি, শুধু অতিরিক্ত শীতের কারণে। ঘরেও জমানো অর্থ নেই। খুব বিপদে আছি। আল্লাহ ভরসা।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে আর এক-দু’দিন।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
সাভারে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত যুবক নিহত
সাভারের হেমায়েতপুরে ইটবোঝাই ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাকচালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ি এলাকার চলন্তিকা হাউজিংয়ের সামনে আরিচাগামী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। তবে পুলিশ ধারণা করছে- তার বয়স ২৫ বছরের আশেপাশে হতে পারে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ট্রাকচাপায় পোশাকশ্রমিক নিহত
হাইওয়ে থানা পুলিশ জানায়, রাত ১১টার দিকে হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ির চলন্তিকা হাউজিংয়ের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি ইটবোঝাই ট্রাক ওই যুবককে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ট্রাক রেখে পালিয়ে যান চালক।
খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করে এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সাভার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় ট্রাকচালক নিহত
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা স্টেশন এলাকায় দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে মো. বেলাল (৩০) নামে এক সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার লাইন নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নগরীর টাইগারপাস থেকে ঝাউতলা রুটে চলাচল করা সিএনজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাবুল গ্রুপ এবং মিজান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে বাবুল গ্রুপ ও জুয়েল গ্রুপ মিলে মিজান গ্রুপের সিএনজি চালক মো. বেলালকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুত্বর আহত বেলালকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ঝাউতলা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় সিএনজি চালানো নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বাকবিতণ্ডায় বেলাল নামে এক সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করছে। এখনও কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক নিহত
রাজধানীর শাহবাগে বাসে আগুন
রাজধানীর শাহবাগে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমান জানান, রাত ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কারিগরি ত্রুটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তবে আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাসে আগুন, দগ্ধ হেলপার
বরিশালে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্টাফবাসে আগুন