সারাদেশ
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের পায়রাডাঙা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তাইবুল ইসলাম (২৫) উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের মাঝের চর এলাকার মো. উকিল আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কাহালুতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত
স্থানীয়রা জানান, নিহত তাইবুল দক্ষিণ ব্যাপারীর হাটের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নাগেশ্বরীর দিকে যাওয়ার পথে পায়রাডাঙা পার হওয়ার পরেই অজ্ঞাত এক গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার সঙ্গে থাকা আরও এক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নাগেশ্বরী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত যুবককে নাগেশ্বরী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কাহালুতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত
বগুড়ার কাহালুতে সড়ক দুর্ঘটনায় আমজাদ হোসেন নামে এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) নামুজা-বারমাইল রাস্তার কালাই ইউনিয়নের কাউড়া বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহত মোটরসাইকেলচালক আমজাদ হোসেন কাহালু উপজেলার কালাই দামগাড়ার মৃত ফালানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আমজাদ হোসেন ও তার ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পাকা রাস্তায় উঠেন। রাস্তায় কাদা থাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমজাদ হোসেন রাস্তার উপর পড়ে যান। এসময় দ্রুত গতির একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বলিভিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রতিবেশী যুবকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার যুবক আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমারপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এরপর রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বাবার মামলা দায়ের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবক আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
পাশাপাশি বালৎকারের শিকার শিশুটিকে সোমবার দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন তারা। আবু সাঈদকে আদালতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
এক বাঘাইড় মাছের দাম দেড় লাখ
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে হবিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পইলের মাছের মেলা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ উঠেছে মেলায়।
তবে আব্দুল খালেকের বাঘাইড় মাছটিই মেলার প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠেছে। ৫০ থেকে ৬০ কেজি ওজনের বৃহৎ এ মাছটি দাম চাওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৮ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত
বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানান, পইল মাছের মেলায় বিক্রির জন্য সুরমা নদী থেকে তিনি এই বিশাল বাঘাইড় মাছটি সংগ্রহ করেছেন। মাছটি তরতাজা ও খেতে ভালো লাগবে। দেড় লাখ টাকা চাইলেও এক লাখ হলেও তিনি মাছটি বিক্রি করবেন।
মেলায় আসা ক্রেতাদের আগ্রহ শেষ পর্যন্ত মাছটি কত দিয়ে বিক্রি হয়।
শাহজাহান মিয়া নামে অপর বিক্রেতা জানান, তিনি ২৬ কেজি ওজনের একটি কাতলাসহ বেশ বড় বড় মাছ নিয়ে মেলায় এসেছেন। বড় কাতলাটির দাম তিনি চাইছেন ৬০ হাজার টাকা। ৪০ হাজার টাকা পেলে তিনি সেটি বিক্রি করে দেবেন।
জিলু মিয়া নামে আরও এক মাছ বিক্রেতা বলেন, এখনও কেনা বেচা তেমন হয়নি তবে রাতের বেলায় বাড়বে।
যুক্তরাজ্য থেকে আসা সদর উপজেলার আলাপুর গ্রামের কামাল আহমেদ মাছের মূল্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মেলার সময় প্রতি বছর দেশে আসি। আমরা তো মাছ কিনতে এসেছি। মূল্য বেশি হাঁকা হচ্ছে। যে কারণে অনেক মাছ অবিক্রিত থেকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশীয় মাছের প্রজাতি সংরক্ষণে সহায়তা দিতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
এদিকে সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই হবিগঞ্জের সদর উপজেলার পইল গ্রামের মাঠে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন। প্রায় ২৫০ মৎস্য বিক্রেতার পাশাপাশি হাজার হাজার ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। এবারের মেলায় বোয়াল ও আইড় মাছ সবচেয়ে বেশি উঠেছে।
এছাড়াও বাঘাইড়, রুই, কাতল, চিতল, গজার, গ্রাস কার্প, মৃগেল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড, পোয়া, টেংরা, পুটি, শিং, কই, শোল, বাইম, চাপিলা, চান্দা, কাকিয়াসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।
মাছের মেলা ঘিরে কৃষি, গৃহস্থালি, ভোগ্যপণ্য, আখ ও শিশুদের খেলনা ছিল উল্লেখযোগ্য। তাই মেলায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের ব্যাপক সমাগম দেখা গেছে। এ মেলা নিজেদের ঐতিহ্য হিসেবে ধারণ করেন পইল গ্রামসহ এর আশপাশের লোকজন।
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
পইল গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি শেখ মহরম আলী বলেন, এই মেলা মানেই মিলনমেলা। এ মেলা ঐতিহাসিক। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে এই মেলায় দেশ-বিদেশ থেকে বড় বড় মাছ আসে। এলাকাবাসী এই মেলায় আনন্দ করেন। এই উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজন আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। যে কারণে এই কয়দিন আমরা আনন্দের সঙ্গে কাটাই।
এ ব্যাপারে পইল বাজার কমিটির সভাপতি ও পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঈনুল হক আরিফ জানান, পইল মাছের মেলা আমাদের জন্য ঐতিহ্যের একটি মেলা। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বাগ্মী নেতা বিপিন চন্দ্র পালের জন্মভূমি পইল গ্রামে প্রতি বছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে মিলল ৮ ফুট কুমির
রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদকের ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৫
রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে অবৈধ মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ফেনসিডিল ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, নগরীর চারতলা মোড় এলাকার এসএম মীর কাশেমের ছেলে এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকন, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার বাগডাঙ্গা এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মাসুদ রানা, রংপুর নগরীর আশরতপুর পার্কের মোড় এলাকার মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে সামিউল আলম অরফে রতন, নগরীর ধর্মদাস মিলনপাড়ার কোরবান আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন এবং নগরীর শালবন এলাকার আব্দুল মালেক ব্যাপারীর ছেলে শিপন মিয়া।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
পুলিশ জানায়, এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকন চারতলা মোড় এলাকায় অবস্থিত নিজ বাড়ির ছয়তলা ভবনের ছাদে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্ট নামে ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যবসার আড়ালেই অধিক লোভের আশায় মাদকের কারবারও শুরু করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করছেন তিনি। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ জানুয়ারি ওই রেস্টুরেন্টে হানা দেয় রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, মূলহোতা গ্রেপ্তার
রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন ওই ভবনের মালিক এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকনসহ অন্যরা।
এসময় ১৬৩টি ইয়াবা ও ৪১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, এই রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আরও কেউ কিংবা অন্য কোনো রেস্টুরেন্টের যোগসূত্র আছে কি না অথবা এখান থেকে কারা কারা মাদক ক্রয় বিক্রয় করে সেগুলো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
পোস্ট অফিসের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কুড়িগ্রামের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ছয়জনের ৯ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার রায় দেন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, হাবিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মতিউল ইসলাম, মওদুদ হাসান ও শ্রী অশোক কুমার নাথ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, অশোক কুমার নাথ, আব্দুল মালেক, কাউন্টার অপারেটর মতিউল ইসলাম ও মওদুদ হাসান একে অপরের যোগসাজশে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ মে কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিস পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।
পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
সরকারের কৌঁসুলি (পিপি) হারুনর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন হলেও সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-৩ আসন: জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
গোয়াহরি বিলে পলো বাওয়া উৎসব
‘ঝপ-ঝপা-ঝপ’ শব্দে মুখর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের বিল (দক্ষিণের বড় বিল)। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিয়েছে স্থানীয়রা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারের পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দিতে দেশে এসেছেন অনেক প্রবাসী। স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি এসেছে গ্রামের অনেক মেয়েরা। পলো বাওয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েক দিন ধরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব শুরুর আগে সকাল থেকেই গ্রামে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। বেলা ১১টার দিকে গ্রামের সব বয়সের পুরুষ ও অন্য গ্রাম থেকে আসা আত্মীয়-স্বজন একসঙ্গে গোয়াহরি গ্রামের বিলে মাছ শিকারে নামেন।
তবে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় বিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নেই। এর সঙ্গে কচুরিপানা থাকায় এবারের পলো বাওয়া উৎসবে মাছ শিকারের পরিমাণ কম। তাই পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেওয়া অনেককেই ঘরে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্যকে যুগ যুগ ধরে বুকে ধারণ করে রেখেছেন গোয়াহরি গ্রামের বর্তমান প্রজন্মের বাসিন্দারা। তাই নিজেদের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছর মাঘ মাসের ১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বার্ষিক পলো বাওয়া উৎসব।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
সোমবার থেকে আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে ওই উৎসব। গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই ১৫ দিন বিলে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা।
এজন্য ওই ১৫ দিনের ভেতরে বিলে গ্রামের যে কেউ হাত দিয়ে বা ঠেলা জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন। তবে গ্রামবাসীর ঐতিহ্য অনুযায়ী আগামী ১৫ দিন পর দ্বিতীয় ধাপে এক সঙ্গে আবারও পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেবে গ্রামবাসী।
এবারের পলো বাওয়া উৎসবে পলোর সঙ্গে সঙ্গে ঠেলা জাল (হাত জাল), উড়াল জাল, চিটকি জাল, কুচাসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকারে অংশ নেয় কয়েক শতাধিক সৌখিন শিকারী।
আরও পড়ুন: ঢাকা লিট ফেস্টে শনিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’
তবে বিলে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় বিলের পানি কমে যাওয়ায় মাছ শিকার হয়েছে অনেক কম। মাছের মধ্যে রয়েছে- বোয়াল, কাতলা, রুই, কার্প, শোল, গণিয়া, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে ও দেখতে সোমবার সকাল ৮টা থেকেই গোয়াহরি গ্রামবাসীর পাশাপাশি আশপাশের গ্রামের লোকজন বিলের পাড়ে এসে জমায়েত হতে থাকে।
পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা আসে বিল পাড়ে। শিশুরাও এসেছে ঠান্ডা উপেক্ষা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা চলে বার্ষিক ওই পলো বাওয়া উৎসব।
আরও পড়ুন: ‘নাসেক নাসেক’ দিয়ে শেষ হলো দশম ঢাকা লিট ফেস্ট
তবে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো পলো বাইতে পারেননি অনেকেই। তবে মাছ শিকার করতে নিজ নিজ পলো নিয়ে বিলের ঝাঁপিয়ে পড়া শিকারীদের এসময় মাছ ধরার এ দৃশ্যটি উপভোগ্য ছিল।
মাছ শিকারী সাহিদুর রহমান বলেন, গত বছর ১৫টি মাছ শিকার করেছিলাম। কিন্তু এবার মাত্র একটি মাছ শিকার করেছি।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলম খান বলেন, ছোট বেলায় তিনটা মাছ শিকার করেছিলাম। তা নিয়ে বাড়িতে অনেক আনন্দ হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর আজ আবার পলো বাওয়াতে অংশ নিয়ে মাছ শিকার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
তাজ উদ্দিন বলেন, বিলে পানি কম থাকায় কেউ মাছ শিকার করতে পারছে, আবার কেউ পারছে না। তবে আমি দুইটি বোয়াল শিকার করতে পেরে আনন্দ লাগছে।
গ্রামে আসা আত্মীয় সৌখিন মাছ শিকারী শামীম আহমদ বলেন, পলো বাওয়াতে অংশ নিতে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। আর পলো বাওয়াতে অংশ নিয়ে একটি বোয়াল শিকার করতে পেরে আনন্দই লাগছে।
পাঁচ বছর পর সৌদি আরব থেকে দেশে আসা প্রবাসী গোলাম কামরান বলেন, দীর্ঘদিন পলো বাওয়া উৎসবে অংশ গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। তাই এবারে দেশে এসে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ পেতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আর মাছ শিকার করতে পেরে এর পরিধি আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে ব্যতিক্রমী উৎসব
মাছ শিকার কম হওয়ার ব্যাপারে গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা ময়না মিয়া বলেন, দিন বিলের সঙ্গে এলাকার নদী-নালার পানি চলাচল না থাকার কারনে বিলের পানি কমে গেছে। তাছাড়া কচুরিপানাও আছে প্রচুর। এসব কারণে এবার মাছ কম শিকার করতে পেরেছেন শিকারীরা।
ভোলায় বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ডিম পাড়তে এসে কাদার চরে আটকে থাকা অবস্থায় প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি অলিভ রেডলে প্রজাতির সামুদ্রিক মা কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জসংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী কাদা চর থেকে কচ্ছপটি উদ্ধারের পর প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়। এ নিয়ে গত ২১ দিনের ব্যবধানে একই প্রজাতির মোট তিনটি সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করে মেঘনা নদীতে অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: কলাপাড়ায় ৪৮টি সুন্ধি কচ্ছপ উদ্ধার, খালে অবমুক্ত
মনপুরা বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকার পূর্ব দিকে মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্থানে চরে আটকে পড়া অবস্থায় স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা কচ্ছপটিকে উদ্ধার করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় হাজির হাট ইউনিয়নের চর জামশেদ এলাকার জংলার খালের পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদীতে সুস্থ অবস্থায় কচ্ছপটিকে অবমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: মনপুরায় ৪০ কেজি ওজনের কচ্ছপ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, মনপুরায় ২১ দিনের ব্যবধানে এ নিয়ে পর পর তিনটি অলিভ রেডলে প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহে প্রকাশ্যে হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় প্রকাশ্য হারুনুর অর রশিদ হারুন (৪৮) নামে এক হোমিও চিকিৎসক কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকারী রুবেল মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত মো. হারুনুর রশিদ উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে। তিনি গয়েশপুর বাজারের একজন হোমিও চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়রা জানায়, ডা. হারুনুর রশিদ হারুন শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ বাজারে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই স্থানীয় এক যুবক রুবেল মিয়া তাকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রুবেল মিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
আরও পড়ুন: রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান ঢালী জানান, কী কারণে এবং কেন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খাইরুল আলম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
তিনি আরও জানান, ঘটনা তদন্তে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। ঘাতক রুবেলকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি জানান, অভিযুক্ত রুবেল স্থানীয় শাহাব উদ্দিন ডাক্তারের ছেলে।
আরও পড়ুন: রংপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামে এবার একুশে বই মেলা হবে সিআরবিতে
চট্টগ্রামে এবার একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে নগরীর সিআরবিস্থ শিরিষতলায়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেনের (চসিক) উদ্যোগে আগামী ৯ ফ্রেরুয়ারি থেকে অমর একুশে বই মেলা শুরু হচ্ছে।
২৩ দিনব্যাপী এ বই মেলা শেষ হবে ২ মার্চ।
আরও পড়ুন: বায়তুল মুকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা শুরু
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, প্রতি বছর নগরীর কাজীর দেউড়ি এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবার স্থান সংকুলানের কারণে সিআরবির শিরিষতলা বই মেলার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে স্টেডিয়াম সংলগ্ন শিশুপার্কের খালি মাঠেও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
মেয়র রেজাউল আরও বলেন, চট্টগ্রামের অমর একুশে বই মেলা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। এই মেলার জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করা জরুরি। আমি মনে করি সিআরবি শিরিষতলাতে স্থায়ীভাবে থাকবে। আমরা যদি বইমেলা এবার শিরিষতলায় করতে পারি তাহলে স্থায়ীভাবে প্রতি বছর বই মেলা ওখানে করার একটা সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা শুরু
তিনি বলেন, বই মেলা সফল করতে উপকমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি ঠিকভাবে কাজ করলেই বই মেলা সফল হবে বলে আমি মনে করি। বই মেলা সফল করতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস। কেউ ইগোতে ভুগলে বই মেলা সফল করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, উৎসবমুখর বাঙালির প্রাণের উৎসব এই বই মেলা হয়ে উঠে বাঙালির মিলন মেলায়।
আরও পড়ুন: বইমেলা গেট প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন করলেন কোয়ান্টামের ১৫০ স্বেচ্ছাসেবী