সারাদেশ
ডিজেল তৈরির কারখানায় ড্রাম বিস্ফোরণে মালিক নিহত, আহত ২
ময়মনসিংহের ভালুকায় ডিজেল তৈরির কারখানায় ড্রাম বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের ভায়াবহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অটোরিকশার ধাক্কায় নারী নিহত
নিহতের নাম বিল্লাল হোসেন (৪৫)। তিনি বন্ধন প্লাস্টিক কারখানার একজন মালিক। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে অপর মালিক সাইদুল ইসলাম ও শ্রমিক লতিফ গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ভায়াবহ গ্রামের ওই কারখানায় প্লাস্টিক পুড়িয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে ডিজেল তৈরি করা হতো। কারখানার ডিজেল রাখার একটি ড্রাম বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান জানান, কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয় এবং দুইজন গুরুতর আহত হন। কী কারণে ঘটনা ঘটেছে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি জানা যাবে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে গাছের সঙ্গে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠোনে সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম আল আজাদ, পরিদর্শক আবু জিহাদ খান, উপপরিদর্শক মেফাউল হাসানসহ আরও অনেক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
জেলা পুলিশ জানায়, শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, রেলস্টেশন, টিঅ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, প্রেস ক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোট ৫০টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, শহরের চুরি, ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। এবার চুয়াডাঙ্গায় ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই প্রার্থী।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী রবিউল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। যদিও এর দুদিন আগে মৌখিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সাংবাদিকদের জানান দুই প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করে প্রার্থীরা জানান, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন। সেই সঙ্গে তারা প্রার্থীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন ও যোগাযোগ রাখছেন না।
দলের শীর্ষ এই দুই নেতা এই বার বার প্রার্থীদের বিপদে ফেলে সরকারে কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অবিযোগ করেন তারা।
এসব কারণে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
তারা বলেন, দলের হাই কমান্ড ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ভোটারদের কাছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের হেয় ও নিন্দিত করছেন।
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে জানান দুই প্রার্থী।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এবারের ভোট কেমন হচ্ছে, তা তো জানছেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে কোনো নির্বাচনের একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমি বলতে পারি, আমি দলকে টাকা দিয়েছি, দল আমাকে টাকা দেয়নি।’
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
তিনি বলেন, ‘২৬ জনকে নিয়েই ব্যস্ত নেতারা। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোনো বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, জীবননগর উপজেলার সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশীদ হানেয়ারসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বাগেরহাট কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারে কামাল হোসেন মিজান (৪৩) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৫ জন, মৃত্যু নেই
হাজতি কামাল হোসেন বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের মোকলেছ হোসেনের ছেলে।
২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে আলমসাধু উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারের সুপার শংকর কুমার মজুমদার জানান, কামাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখানে রাত সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে কামাল হোসেনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০
বীরগঞ্জে জেলের জালে আদিবাসী যুবকের লাশ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পুকুরে মাছ ধরার সময় জেলের জালে শাকিল হেম্ব্রম (২২) নামে এক আদিবাসী যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) রাতে পুকুরের মাছ পাহারা দিতে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনশ্রীতে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার, সংঘর্ষ-গাড়িতে আগুন
শাকিল হেম্ব্রম বীরগঞ্জে মাকড়াই গ্রামের হোপনা হেম্ব্রমের ছেলে।
শাকিলের বড় ভাই আরিফ হেম্ব্রম জানান, তার ছোট ভাই একজন ট্রাক্টর শ্রমিক। পাশাপাশি প্রতিদিন রাতে প্রতিবেশী সিদ্দিকুর আলম মোনার পুকুরে মাছ পাহারা দিত।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন তার হদিস ছিল না। বুধবার সকালে ওই পুকুরে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে ছোট ভাইয়ের লাশ উঠে আসে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই ভাইয়ের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান জানান, মাকড়াই শাল বাগানের একটি পুকুরে সকালে মাছ ধরতে নেমেছিল জেলেরা। এসময় একটি লাশ জালে উঠে আসে। পরে জানা যায় লাশের নাম ও পরিচয়।
তিনি আরও জানান, তবে তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। সুরতহাল রিপোর্টে কোনো আলামত দেখা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি ২ যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
ঝিনাইদহে আলমসাধু উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু
ঝিনাইদহে আলমসাধু (তিন চাকার স্থানীয় যানবাহন) উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের সদর উপজেলার পাচঁমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুইজন হলেন, সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের রাঙ্গীয়ারপোতা গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে আলী হোসেন ও গোলাম নবীর ছেলে মাহফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
৪ নম্বর সাধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মুকুল হোসেন জানান, আলী ও তার ভাতিজা মাহফুজ আলমসাধুতে করে বাড়ি থেকে পাটকাঠি আনতে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। পথে পাঁচমাইল এলাকায় পৌঁছালে আলমসাধুটি রাস্তার উপর উল্টে যায়। এসময় পেছন থেকে একটি ট্রাক আলমসাধুটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চাচা-ভাতিজা মারা যান।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হয়েছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের নির্বাচনী সভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ডা. দুলালের অনুসারীদের অভিযোগ- হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মী।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের নয়াবাজারে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের ট্রাক মার্কার সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা চলাকালে হঠাৎ কয়েকজন সেখানে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং ডা. দুলালের কর্মীদের উপর চেয়ার ছুড়ে মারে।
ডা. দুলালের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সালেহ আহমদ জানান, সন্ধ্যায় আমাদের নির্বাচনী সভায় আকস্মিক হামলা চালান নৌকার প্রার্থীর কর্মী ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মনা ও তার সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, হামলার ঘটনায় আমার কর্মী-সমর্থকরাসহ সাধারণ ভোটাররা ভীত হয়ে পড়েছেন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা হিংসাত্মক আচরণ শুরু করেছেন। তারা আমার কর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন।
এ ঘটনার পর ডা. দুলাল রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। আমি বিষয়টি শুনেই খবর নিয়েছি। আমার কোনো কর্মী-সমর্থক এমন করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের বলে দিয়েছি- নির্বাচনি প্রচারকালে কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে। তবে ৭ জানুয়ারি সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে সিলেট-৩ আসনের ভোটাররা। কারণ আমি উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই অবিরাম এই আসনের মানুষের জন্য কাজ করেছি।
চট্টগ্রামে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণকালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীসহ ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া এলাকায় উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী এই লিফলেট বিতরণে অংশ নেন। পরে তারা চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠার জন্য অপেক্ষা করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের শিকার বিদেশি ফটোগ্রাফার
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব আলাউদ্দিন, মঘাদিয়া যুবদলের সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম, বিএনপি নেতা অলি আহম্মেদ, যুবদল নেতা দিনাজ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জাহেদ, মাঈন উদ্দিন টিপু, ১৫ নম্বর ওয়াহেদ ইউনিয়নের ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শরীফ মাহমুদ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন, সাহেদ খান ও রিয়াজ মাহমুদ।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদুল ইসলাম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্বাচন প্রতিহতের লক্ষ্যে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
৬ ঘণ্টা পর চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচল শুরু
মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা এই ফেরিঘাটে নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এতে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা শত শত যানবাহন নদীর উভয় প্রান্তে আটকা পড়ায় যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আলম চৌধুরী জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সকাল ৬টার দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ৯ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশা: চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে টানা কয়েকদিন ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েও ভোটের মাত্র চারদিন আগে সিলেট বিভাগের একে একে ৪জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এমন প্রার্থীদের অভিযোগ, ভোটে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব, ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির প্রভাব, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায়, বিভিন্ন চাপ, হুমকি, দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সহযোগিতা না পাওয়া, টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার ঘটনা ঘটছে ইত্যাদি।
তবে নির্বাচন কমিশন সবসময় আশ্বস্ত করছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের। সেই লক্ষে ভোটগ্রহণের আগে ও পরের কয়েকিদন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে রয়েছে বিজিবি। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বিভিন্ন প্রার্থীদেরকে শাস্তির মুখেও পড়তে হচ্ছে।
প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচনী বিধিমালায় তারা প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন। তাছাড়া প্রার্থীরা লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগও দিচ্ছেন না; তাই প্রার্থীদের এ ধরনের ঘোষণা ব্যক্তিগত।
তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বলছেন, যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দেওয়া বিভিন্ন অভিযোগ ভিত্তিহীন। জনপ্রিয়তা না থাকায় তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানান অজুহাত খুঁজছেন ও অভিযোগ দিচ্ছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্ন্ত সিলেট বিভাগের ৪ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে নিজের বাসায় প্রেস ব্রিফিং করে ভোট থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আবদুল মান্নান তালুকদার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এর মাত্র একদিন আগে হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ও হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পালও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
বর্জনের কারণ হিসেবে প্রার্থীরা যা বলছেন-
নির্বাচনকে পাতানো ফাঁদ উল্লেখ করে শেষ মুহূর্তে এসে ভোট বর্জনের ঘোষণার কারণ হিসেবে সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী শামছুল আবেদীন বলেন, ‘ভোটের অধিকার রক্ষার্থে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।’
‘সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে কাজ করছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। কেউই নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। এটি একটি পাতানো ফাঁদ। তাই এই ফাঁদ থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম।’
হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মুনিব বাবুকে সমর্থন করায় তার সমর্থনে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় পার্টির আবদুল মান্নান তালুকদার বলেন, ‘আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি, এটা আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন।’
হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে। আছে ক্ষমতাসীনদের পেশীশক্তির প্রভাব।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মোছাম্মাৎ জিলুফা সুলতানাকে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন যেসব অভিযোগের বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘ওই প্রার্থী যেসব অভিযোগ করছেন এসব বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তিনি যা বলছেন ওই প্রার্থীর উচিত ছিল একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া। তাহলে আমরা তদন্ত করে দেখতাম কিংবা অ্যাকশন নিতাম। ওই প্রার্থী মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ করে নাই। ওনি যা বলেছেন ওনার ব্যক্তিগত মতামত। আমি ওনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই।’