সারাদেশ
ফরিদপুরের ২০ প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনের ২০ প্রার্থীর অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা নির্বাচন কমিশনার।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন: মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
প্রতীক বরাদ্দের সময় উপস্থিতি ছিলেন- রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানসহ চার সংসদীয় আসনের প্রার্থী, তাদের প্রস্তাবক ও সমর্থকরা।
জেলার চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। তারা হলেন-
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
ফরিদপুর-১ আসনে আরিফুর রহমান দোলন।
ফরিদপুর-২ আসনে আইনজীবী জামাল হোসেন মিয়া।
ফরিদপুর-৩ আসনে ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ ও
ফরিদপুর-৪ আসনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে চার প্রার্থী চূড়ান্ত, প্রতীক বরাদ্দ আজ
ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন প্রতীক পেয়ে বলেন, আমার পছন্দের প্রতীক পেয়ে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে দোয়া কামনা করছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর জেলা রিটারিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, চারটি আসনে যারা দলীয় প্রার্থী হয়েছেন তারা সেই দলের প্রতীক পেয়েছেন। এর বাইরে চারটি সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পছন্দের ঈগল পাখি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার এবারের ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ১১২ জন ভোটার এই নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আগামী সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত করবেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৩ আসনের উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ
কুমিল্লায় সদ্য বসানো নলকূপ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস
কুমিল্লার লাকসামে সদ্য বসানো একটি নলকূপ থেকে দিন-রাত অনবরত গ্যাস বের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাটার পূর্ব পাড়া আবুল কালামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় উৎসুক লোকজনের ভিড়। পাশেই বসানো নলকূপ থেকে পানি ও স্বশব্দে গ্যাস বের হচ্ছে।
লোকজন নলকূপের গ্যাসে আগুন ধরিয়ে দিলে অনর্গল জ্বলতে থাকে।
বাড়ির মালিক আবুল কালাম বলেন, আমার ভাগ্নেকে থাকার জন্য এ জায়গাটা দিয়েছি। তারা সেখানে ঘর উঠাচ্ছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে মিস্ত্রিরা নলকূপটি বসায়। বেলা ১১টায় কাজ শেষ করার পর দেখা যায়, কোনো চাপ ছাড়াই পানি পড়ছে। নলকূপের মুখ দিয়ে গ্যাসও বের হচ্ছে। এ সময় ছেলেরা গ্যাসের মধ্যে দেয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণে দগ্ধ ১০
অবৈধ গ্যাস সংযোগ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
খুলনায় পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষেও গতি নেই কাজের
খুলনায় প্রথম ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজের গতি নেই।
কার্যাদেশের দুই বছরে কাজ এগিয়েছে মাত্র ২১ শতাংশ। এরই মধ্যে ফুরিয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। ফলে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এই ভবনে শুধু ক্যান্সার রোগীদের সেবাই নয়, সেবা পাবে কিডনী ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরাও। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে দাবি গণপূর্ত বিভাগের।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনী ও হৃদরোগের পৃথক তিনটি ইউনিট হবে।
হাসপাতালের বহির্বিভাগের পেছনে ২৩ হাজার ২৫০ দশমিক ৪৬ বর্গমিটার জমিতে দুটি বেজমেন্ট ফ্লোর ও ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। এই ভবন নির্মাণের জন্য এমবিপিএল ও এসএনবিপিএল (জেভি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের চুক্তি হয়েছিল ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর। সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ এপ্রিলের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এগিয়েছে মাত্র ২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৩০ টাকায় প্রতি প্যাকেট ‘কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি’ বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪
গণপূর্ত বিভাগ থেকে জানা গেছে, খুলনায় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পের ডিপিপি মূল্য ১৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ কোটি ৩৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে বেজমেন্টসহ ১৫ তলা ভবন নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। যার ২১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে গণপূর্তের দাবি।
জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় দুটি বেজমেন্ট ও ১৫ তলা ভবনসহ ১৭ তলা পাইল ফাউন্ডেশন হবে।
বেজমেন্ট-২ থেকে ৭ম তলা পর্যন্ত হবে ক্যান্সার ইউনিট। এতে থাকবে লিনিয়র এক্সলেটর, সিটি সিমুলেটর, ব্রাকিথেরাপি, কেমোথেরাপি।
৮ম তলা থেকে ১১ তলা পর্যন্ত হবে কিডনী ইউনিট। এখানে থাকবে কিডনী ডায়ালাসিস ইউনিট, কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট ওটি, পোস্ট ট্রান্সপ্লান্ট, আইসিইউ।
আর ১২ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত হবে হৃদরোগ ইউনিট। এই ইউনিটে থাকবে সিসিইউ, আইসিইউ, কার্ডিয়াক ওটি, পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি, ক্যাথ ল্যাব।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় থাকবে র্যাম্প, চলন্ত সিঁড়ি এবং কোভিড-১৯ এর লিফট ইত্যাদি। থাকবে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এস.টি.পি), ৩০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, ১০০০ কেভিএ জেনারেটর, লিফট, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএন বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক শেখ দাউদ হায়দার বলেন, প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও জমিতে স্থাপনাসহ নানা জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।
ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার শেখ গোলাম কুদ্দুস বলেন, দুটি বেজমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতি মাসে ভবনের একটি করে ছাদ ঢালাই দেওয়া সম্ভব। একদিকে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলবে, অন্যদিকে ফিনিশিংয়ের কাজ চলবে। দ্রুত ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, প্রকল্প গ্রহণের অনেক পরে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এটি সময় সাপেক্ষ। এখন পর্যন্ত ২১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
কেরাণীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণে দগ্ধ ১০
কেরাণীগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণে একই পরিবারের চারজনসহ দগ্ধ হয়েছেন ১০ জন। দগ্ধদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। দগ্ধদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কাউটাই ঋষিপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১
কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম সুমন জানান, দগ্ধ ১০ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, দগ্ধদের নাম পরিচয় জানতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরির্দশন করে আসলে নাম পরিচয় জানানো হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শেরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
বিশেষ করে শীত ও কুয়াশার কারণে চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে আরও বড় দুর্ভোগে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্যের উত্তাপ না থাকায় ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ অবস্থায় সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। শহর কিংবা গ্রামে শীতের দাপটে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা নামা করছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে আগামী দুই থেকে তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক সরকার বলেন, শীত তো নেমে গেছে। যারা গরীব মানুষ তারা কষ্টে আছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে শীতবস্ত্র পাইনি। পেলে এখানে বিতরণ করা হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী দুই থেকে
তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। পরে আবারও কমতে শুরু করবে। তখন ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
সিরাজগঞ্জে ঠান্ডাজনিত শিশুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে
সিরাজগঞ্জে হাড় কাঁপানো তীব্র কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে জেলার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শীত ও ঠান্ডাজনিত কারণে প্রায় এক সপ্তাহে বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ৬ শতাধিক শিশুকে এই ধরণের রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হওয়া শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ছুঁটছে বাবা-মাসহ স্বজনরা। এজন্য শিশু ও বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরাও এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৩ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
এতে হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে এসব রোগীর চাপও।
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ফরিদুল ইসলাম বলেন, শীতজনিত কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মজুদ রয়েছে এবং সার্বক্ষণিক রোগীদের দেখাশোনা করা হচ্ছে। তবে শীতজনিত কারণে আগের তুলনায় হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। সেজন্য চিকিৎসক ও নার্সরা সার্বক্ষণিক রোগীদের পর্যবেক্ষণ করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে শীতের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে বিশেষ করে গরিব ও অসহায় পরিবারগুলো খারাপ অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫৪
যশোরে পুরোনো ভবন ভাঙার সময় শ্রমিকের মৃত্যু
যশোরের অভয়নগরে পুরাতন ছাদের ঢালাই অংশ ভেঙ্গে পড়ে বিল্লাল হোসেন (৩৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে অভয়নগর উপজেলার এ দুঘর্টনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, মিলের ভিতরে পুরোনো স্টাফ কোয়ার্টারের ভবনের ছাদের অংশ ভেঙ্গে শ্রমিক বিল্লাল হোসেনের গায়ে পড়ে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। অন্য শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
নিহত বিল্লাল হোসেন খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বাগালিয়া ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের আনোয়ার গাজীর ছেলে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়, বিল্লাল হোসেন যশোর জে জে আই জুট মিলের ভিতরে স্টাফ কোয়ার্টারের পুরাতন ভবন ভাঙ্গার জন্য শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। রবিবার পুরোনো ভবন ভাঙ্গার সময় স্টাফ কোয়ার্টারের ছাদের ঢালাই অংশ ভেঙ্গে তার গায়ের উপরে পড়ায় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঢাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলচালক আহত, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় রঞ্জন মজুমদার নামে এক মোটরসাইকেলচালক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকচালক মো. বেল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদ আলী এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে শ্যামলী শিশুমেলা ক্রসিং থেকে আগারগাঁওয়ের দিকে যাওয়ার পথে একটি ডাম্প ট্রাক ওই মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক রাস্তায় ছিটকে পড়েন। দুর্ঘটনার পর ট্রাক না থামিয়ে চালক সামনে এগোতে থাকেন। এতে মোটরসাইকেলটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। রাস্তায় ঘর্ষণের ফলে প্রথমে মোটরসাইকেল এবং পরে ট্রাকের নিচের অংশে আগুন ধরে যায়। এক পর্যায়ে আগারগাঁও ক্রসিংয়ে থেমে যায় ট্রাক।
ওসি আরও জানান, মানিকগঞ্জের ঘিওর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে রঞ্জন মজুমদার এ দুর্ঘটনার শিকার হন। বর্তমানে তিনি পঙ্গু হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনায় তার ডান-পা ভেঙে গেছে। গ্রেপ্তার ট্রাক চালকের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৬ দিন পর স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নিখোঁজের ছয় দিন পর বাগান থেকে শাহীন আলী নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ডাংমড়কা এলাকার একটি মাঠের মেহগনি বাগান থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহত শাহীন আলী উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের তেকালা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সানেহ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে শাহীন আলী তার দাদার ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওই স্কুলছাত্রকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরের দিন মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়।
এবিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। গত ছয় দিন আগে ভ্যান গাড়িসহ শিশুটি নিখোঁজ হয়। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ঘের থেকে মাছ চাষির লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে রাজমিস্ত্রির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ১১ আসনে আ. লীগের ২ প্রার্থীসহ ১৯ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার
ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে ১৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
রবিবার কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ময়মনসিংহ-৫ ও ময়মনসিংহ-৮ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
এছাড়া জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জাকের পার্টির সাতজন, জাসদের ছয়জন, তরিকত ফেডারেশনের একজন ও তিজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফলে নির্বাচনে ১১টি আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী আইনজীবী এস.এম শিব্বির আহমেদ লিটন, জাকের পার্টির সঞ্জিত সাহা।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মতিউর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী।
ময়নসসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী আইনজীবী নজরুল ইসলাম চুন্নু ও জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুল হাই আকন্দ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. শামছুল আলম খান।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ও জাকের পার্টির এসএম দেলোয়ার হোসেন।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির মো. জুয়েল রানা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে জাকের পার্টির মো. শফিকুল আলম।
ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান। ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মো. সাদিক হোসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে ১০৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই বাছাইয়ে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে আরও পাঁচজনের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে।
বৈধ প্রার্থী নান্দাইলের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপিলে প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
ফলে ৮৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে ১৯ জন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নির্বাচনে ১১টি আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় ২ জন নিহত
ময়মনসিংহে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে নিহত ২, আহত ৪