সারাদেশ
পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি। ফলে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে।
গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি পেঁয়াজের চালানটি। ফলে পেঁয়াজগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ নিরীক্ষক কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে চার দিন আগে আসে। গাড়িতে ৯০ টন পেঁয়াজ রয়েছে।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল বলেন, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে এসে বসে আছি। পেঁয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেউ আনলোড করতে আসছে না। কবে নাগাদ খালাস হবে সেটাও জানতে পারছি না, খালাসের জন্য কোনো আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছে কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজ নামে একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত পাঁচ দিন আগে থেকে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে বন্দরে পড়ে আছে। পেঁয়াজের চালান খালাস না হওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা আর শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সন্ধ্যার পর থেকে চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে, সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে ছিন্নমূল দরিদ্র লোকজন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।
উত্তরের জেলা লালমনিরহাট হিমালয় পর্বতের খুব কাছাকাছি হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শীতের আবহ তেমন না হলেও হঠাৎ ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের পোশাক পেল পথশিশুরা, সঙ্গে দেয়া হলো চাইনিজ খাবার
একইসঙ্গে জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় কমেছে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে লালমনিরহাট ও তার আশপাশে জেলাগুলোতে। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দিনের বেলা খানিক সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ কম থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। রবিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি বিকাল গড়াতেই শীত আরও বেশি অনুভূত হয়।
জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ছিন্নমূল গরিব অসহায় মানুষ শীতের কারণে বেশি কষ্টে আছে। শীতের কারণে কৃষকরা মাঠে যেতে পারছে না ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। এ ছাড়াও অন্যান্য পেশার লোকজন শীতের কারণে কাজে যেতে পারেনি।
লালমনিরহাটের মোঘলহাট এলাকার কৃষক লোকমান বলেন, এ বছরে শনিবার থেকে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে মাঠে যাওয়া যাচ্ছে না, আর মাঠে গেলে বেশিক্ষণ টিকা যায় না। বাধ্য হয়ে বাসায় চলে এসেছি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
জেলের জালে ১৫০ কেজি ওজনের হাঙর
বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে আটকা পড়েছে ১৫০ কেজি ওজনের একটি হাঙর। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) হাঙরটি জালে আটকা পড়ে।
পরে আনোয়ারায় উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ গহিরার উঠান মাঝির ঘাট এলাকায় প্রায় সাত ফুট লম্বা হাঙরটি নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে পর্যটকবাহী নৌকায় হাঙরের ধাক্কা, আহত ৬
জেলেরা জানান, শনিবার ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান কাইয়ুম মাঝি। সন্ধ্যায় বিশাল আকৃতির হাঙরটি জালে আটকা পড়ে। রাতে সেটি উঠান মাঝির ঘাটে নিয়ে আসা হয়। হাঙরটি এই মৌসুমের সবচেয়ে বড়।
আনোয়ারা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার রাশিদুল হক বলেন, হাঙর মাছ ধরা ও বিক্রি করা বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য আইনে নিষিদ্ধ। তারপরও মানুষ এটা শিকার করছে।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য দপ্তর সূত্র জানায়, ১২ বছর আগেও বাংলাদেশে যে সংখ্যায় হাঙর ছিল, এখন তা অনেক কমে এসেছে। বছর তিনেক ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ মূল্যের কারণে হাঙর শিকারের প্রবণতা বেড়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে বড় আকারের হাঙর প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ১০ মণ হাঙর জব্দ
হাইতিতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হিলি সিপি ক্যাম্পে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ছোটখাটো সমস্যা বিজিবি-বিএসএফ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যেতে পারে: শ্রিংলা
সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ, চোরাচালান, মাদক পাচার ও অনুপ্রবেশ রোধে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্বে দেন বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্বে দেন ভারতের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি মহিনদার সিং। এছাড়া উভয় বাহিনীর ব্যাটালিয়ন অধিনায়কসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি মহিনদার সিংয়ের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসে। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিজিবির কর্মকর্তারা।
বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে সীমান্তে হত্যা ও মাদক চোরাচালান শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা, অবৈধ সীমান্ত পারাপার রোধ, কাঁটা তারের বেড়া কর্তন বন্ধসহ দুই বাহিনীর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৪ দিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু
জাফলংয়ে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে মানিক মিয়া (৫৭) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার ১১ নম্বর মধ্য জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত চা বাগানসংলগ্ন নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: করতোয়া নদীতে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
নিহত শ্রমিক মানিক মিয়া উপজেলার মধ্য লাখেরপাড় গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মানিক মিয়াসহ আরও কয়েকজন শ্রমিক নদীর পাড়ে গর্ত থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। একপর্যায়ে বালুচাপা পড়েন মানিক মিয়া। এসময় তার সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা উদ্ধার করে জৈন্তাপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল বলেন, তিনি বয়স্ক বালু শ্রমিক ছিলেন। ঠান্ডাজনিত কারণে স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়েছে। রবিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ছয়টি ট্রাকে করে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়।
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো আমদানি করেছে। বেনাপোল বন্দরে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা বিস্ফোরকের ট্রাকগুলো ঘিরে রেখেছেন। আশপাশের এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
বেনাপোলের মেসার্স নাজমুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজমুল হোসেন জানান, পণ্য চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হবে। পরে ট্রাকগুলো রবিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের উদ্দেশে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল কারিম জানান, খননকাজ পরিচালনার জন্য ভারত থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড।
তিনি আরও জানান, দ্রুত যাতে পণ্য খালাস নিতে পারেন তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘরর্ঘে দুই সাংবাদিকসহ যুবদল ও ছাত্রদলের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ শহরে শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এসময় গাড়িসহ দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন রাষ্ট্রদূতের
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শহরের শায়েস্তানগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট, শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এতে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপির নেতা-কর্মীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এসময় মাইটিভির প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ, দেশটিভির প্রতিনিধি আমির হামজা, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন, ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম এবং যুবদল নেতা শেখ রাসেল গুলিবিদ্ধ হন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন সেলিম জানান, মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে এসে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালালে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
তিনি আরও বলেন, মানববন্ধনে বিএনপির সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার শিপা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সাবেক এমপি শেখ সুজাতসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে তিনি এবং ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত
নাটোরে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজ থেকে খালে পড়ে চালক নিহত
নাটোরের নলডাঙ্গায় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজ থেকে খালে পড়ে চালক কামাল হোসেন (৪৫) নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নলডাঙ্গা উপজেলার বামনগ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে বাসচাপায় রিকশাচালক নিহত
পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে নলডাঙ্গা উপজেলার বামনগ্রাম এলাকায় ব্রিজ পার হওয়ার সময় অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে চালক কামাল হোসেনকে (৪৫) উদ্ধার করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান জানান, রাস্তাটি পিচ্ছিল থাকায় ব্রিজে উঠার সময় অটোরিকশাটি ছিটকে ব্রিজ থেকে খালে পড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরে কামাল হোসেনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা, চালক নিহত
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, পাচ্ছে। তবে গত সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে ওঠানামা করছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পানির তোড়ে ভেঙে পড়ল সেতু
শীত নিবারনের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের রমজান আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়েছে তাতে রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। এরকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর বেশ সমস্যা হবে।’
জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩১ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ভাণ্ডারে মজুদ রয়েছে আরও ১৫ হাজার কম্বল।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
১ জানুয়ারি থেকে খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে চলাচল করবে ৩ জোড়া নতুন ট্রেন
যাত্রী সুবিধার কথা বিবেচনা করে খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে ৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এর আগে ২ নভেম্বর খুলনা-মোংলা নতুন সেকশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পথে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অনুসারে, এর মধ্যে খুলনা-যশোর পথে এক জোড়া এবং যশোর-মোংলা পথে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
খুলনা থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ৬টায়, যশোর পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১০মিনিটে, যশোর থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে এবং খুলনা পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে। মোংলা থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে, ট্রেনটি যশোর স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে, সেখান থেকে ১টা ৫৫ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে।
অন্যদিকে মোংলা থেকে ট্রেন ছাড়বে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে, যশোর পৌঁছাবে বিকাল ৭টা ১০ মিনিটে, যশোর থেকে বিকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ৯টায়। যশোর থেকে মোংলা পর্যন্ত এ ট্রেনের ভাড়া ধরা হয়েছে, শোভন সাধারণ ১২৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা ও প্রথম শ্রেণির সিট ২০০ টাকা।