সারাদেশ
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ৫
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলছে।
রবিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।।
এদিকে কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল ওই এলাকায় নিখোঁজদের খোঁজে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপে ভোলায় ৫ ট্রলারডুবি, ৬ জেলে নিখোঁজ
শনিবার সন্ধ্যায় বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে এ পর্যন্ত ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন জানান, ২ শিশু ও ৩ নারীসহ ৫ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
পিকনিকের জন্য ব্যবহৃত ট্রলারটি সিরাজদিখান উপজেলার খেতেরপুর ইউনিয়ন থেকে পদ্মা সেতু এলাকা ঘুরে ফিরছিল।
জেলা প্রশাসক রিপন জানান, দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করতে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবির ৫ দিন পর ৫ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ে ২৫০ পরিবার
চট্টগ্রামে ২ দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়গুলোতে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান নিজে উপস্থিত থেকে শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে নগরীর আকবরশাহ এলাকার বিজয়নগর ও ঝিল পাহাড়গুলোতে অভিযান চালিয়ে ২৫০টি পরিবারকে দু’টি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠান।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ২ দিন ধরে চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম মহানগরে ৬টি সার্কেলের মাধ্যমে ভাগ করে পাহাড় রক্ষায় ও মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। প্রতিদিন মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে প্রাণহানী ঠেকাতে খোলা হল ১৯ আশ্রয়কেন্দ্র
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পাহাড়ে যাতে মানুষের আর প্রাণ না দিতে হয় সে জন্যে কাজ করছি। মাইকিং থেকে শুরু করে সকলকে সচেতন করার লক্ষে প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে। আজকেও আমি নিজে ঝুকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ২৫০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তাদের জন্য শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতি বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। চট্টগ্রামের সকল পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারকে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত কয়েকদিন আগে বেলতলী ঘোনায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বসবাসরতদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যারা পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা ও নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে। যারা পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামুতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
সাজেকে পাহাড় ধস, সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর যানচলাচল স্বাভাবিক
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের স্থাপত্য বিভাগের রজতজয়ন্তী উদযাপন
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) স্থাপত্য বিভাগের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘ওল্ড ঢাকা’ ও ‘ইউএপি একোলেডস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (৫ আগষ্ট ) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এই প্রদর্শনীটির উদ্ধোধন করেন।
এরপর এক আলোচলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘দেশের ঐতিহ্য ও ইতিহাস ধরে রাখার জন্য ইউএপি স্থাপত্য বিভাগ যে আয়োজন করছে ও যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। এইসকল প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে দৃড় প্রতিজ্ঞ।’
অনুষ্ঠানে ইউএপির স্থাপত্য বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অর্জন নিয়ে সংকলিত বই ‘ইউএপি একোলেডস’র মোড়কও উন্মোচন হয়।
আরও পড়ুন: সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
বৃহত্তর তৃণমূল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে পারে: কে এম খালিদ
মানসিক শক্তি না থাকলে বইয়ের পেশায় থাকা যায় না: মোস্তফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, পেটের ক্ষুধা নিয়ে অন্য পেশায় যুক্ত না হয়ে আপনারা বইয়ের পেশায় যুক্ত থেকেছেন। এটি কিন্তু মানসিক শক্তি না থাকলে করতে পারতেন না। বহু প্রকাশক আছেন যারা সব খরচের পর একজন দিনমজুরের সমান আয় করতে পারেন না।
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোস্তফা জব্বার আরও বলেন, এটি কেবলমাত্র ব্যবসা নয়। এটি অন্তরের সঙ্গে যুক্ত এবং এ পেশায় আত্মার সঙ্গে সর্ম্পক না থাকলে কেউ বইয়ের ব্যবসা করেনা। এখানে যারা আছেন তাদের এই ব্যবসার প্রতি আলাদা ভালোবাসা আছে। তা না হলে অন্যকোন ব্যবসা করতে পারতেন। পান দোকানদারি কিংবা চা বিক্রি করলেও এরচেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় থাকা যেতে পারে। তাই আমি মনে করি এখানে যারা যুক্ত আছেন তারা আসাধারণ কাজ করছেন। তাই এ পেশায় থাকাও এক ধরনের গর্বের।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
তিনি বলেন, আমি ১৯৮৭ সালের ২৮শে এপ্রিল প্রথম কম্পিউটারের বোতাম স্পর্শ করেছিলাম। আমি কিন্তু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র না এবং বুয়েটে কোন কারিগরি বিদ্যা অর্জন করিনি। আমার এখন অস্বস্তিটা কেটে গেছে। এক সময় লোকজন মনে করতো আমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং সেজন্য কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে পারি। পরে যখন জেনেছে আমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র; তখন অবাক হয়েছে, কেউ কেউ আবার ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও করে বলেছে- বাংলায় পড়ে কিভাবে কম্পিউটার জানি। আমি এখন আর সেই অস্বস্তিতে ভুগি না। কারণ বাংলা পড়ে যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, তাহলে আমি বাংলা পড়ে কেন প্রকাশক কিংবা বাংলা হরফ বানাতে পারবো না। আমার কৃতিত্বটা ওখানেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমিতির সহ-সভাপতি কায়সার-ই-আলম প্রধান, শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, ওয়াহিদুজ্জামান সরকার জামাল, মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন ও উপদেষ্টা ওসমান গনি। অনুষ্ঠানে ‘বাপুস: স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দৃঢ়প্রত্যয়ী’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল।
লিখিত বক্তব্যে শ্যামল পাল বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শরিক হতে বাপুস-এর যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়ন করতে হলে চলতি প্রতিযোগিতামূলক সমাজে প্রধান দুই চালিকাশক্তি হিসেবে প্রকাশক এবং বিক্রেতাদের টিকে থাকার কোনো বিকল্প নেই। কেননা এই টিকে থাকার ওপরই নির্ভর করে পাঠ্য, পাঠসহায়ক, সৃজনশীল এবং মননশীল বইয়ের প্রকাশনা এবং তার বিকিকিনির বাজারব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে সচল রাখা। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে সমস্যাগ্রস্ত প্রকাশক ও বিক্রেতাদের বাপুস-এর সদস্যকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতার পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যা মূলত প্রত্যক্ষ প্রভাবক হিসেবে লক্ষ্যস্থিত শিক্ষার্থী এবং পাঠকদের উপকৃত করবে।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালকগণ, দেশের ৬৪ জেলা ও উপজেলা শাখাসমূহের নেতৃবৃন্দ ও বিপুল পুস্তক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে যমজ ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলো- মুরাদনগর উপজেলার কবির হোসেনের ছেলে মো. হাসান (৮) ও মো. হোসেন (৮)। তারা জমজ ভাই।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো ৩ জনের
বিজয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তানভীর হোসেন পারভেজ বলেন, ওই শিশুদের বাবার বাড়ি মুরাদনগরে। গত এক বছর আগে তাদের বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মারা যাওয়ার আগে কবির হোসেন বাচ্চাদের নানার বাড়ি সদর দক্ষিণের বিজয়পুর ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামে তাদের জন্য বাড়ি করার ব্যবস্থা করেন।
বাড়ি করার সময় জমির এক কোণ থেকে গর্ত করে মাটি তুলে ঘরের ভিটা বানান। এই গর্ত অনেক গভীর।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তারা খেলা করার একপর্যায়ে এক ভাই সেই গর্তে পড়ে গেলে আরেক ভাই তাকে দেখে বাঁচাতে যায়। এ সময় দুজনে ডুবে মারা যায়। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় একদিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
আট শহীদের কবরের উপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ 'আটকবর'
চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয় শহীদ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহে আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ সমরে শহীদ হন। দেশ স্বাধীনের পর আট শহীদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ৫ আগস্ট স্থানীয় শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ দিনটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত মর্মান্তিক ও স্মরণীয় দিন।
আর এই আট শহীদের কবরের উপর নির্মিত স্মৃতিসৌধেই শ্রদ্ধা জানিয়ে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বছর স্মরণ করা হয়।
এদিনে সম্মুখ সমরে বেঁচে ফেরা মুক্তিযোদ্ধা আসগর আলী ফটিক জানান, ৫ আগস্ট সকালে পাকিস্তানি দালাল কুবাদ খানের দুজন লোক চতুরতার আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে এসে খবর দেয়, রাজাকাররা তাদের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের এ কথা বিশ্বাস করে মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামানের নেতৃত্বে আমরা একদল মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র নিয়ে বাগোয়ান গ্রামের মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিমে দু দলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হতে থাকি। নাটুদহ ক্যাম্পের পাকসেনারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠের আখখেতে অ্যাম্বুস অবস্থায় লুকিয়ে থাকে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের অ্যাম্বুশের মধ্যে পড়ে যাই।
এখানে পাকসেনাদের সঙ্গে আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ সময় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের কৌশলে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে শত্রুকে আক্রমণ করতে থাকি। এ অবস্থায় যেকোনো একজনকে কাভারিং ফায়ার দিয়ে নিজ দলকে বাঁচাতে হয়। মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামান সেই ফায়ারের দায়িত্ব নিয়ে শহীদ হন। এ সময় অন্য সাথীদের বাঁচাতে সক্ষম হলেও সম্মুখ সমরে শহীদ হন আটজন বীর। ওই সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত হয়।
পরে জগন্নাথপুর গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ রাস্তার পাশে দুটি কবরে চারজন করে আটজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহ দাফন করেন।
কালক্রমে এই আটজন মুক্তিযোদ্ধার কবরকে ঘিরেই এ স্থানটির নামকরণ হয়েছে আটকবর।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ৫ আগস্ট জেলার আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা- হাসান জামান, সাইফুদ্দিন তারেক, রওশন আলম, আলাউল ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল ইসলাম, কিয়ামুদ্দিন ও আফাজ উদ্দীন সম্মুখ সমরে শহীদ হন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
সাতক্ষীরার দেবহাটায় মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমান করে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে ছেলের ‘আত্মহত্যা’
কলেজ ছাত্রী আসমা খাতুন মনিরা (১৯) দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমজাদ আলীর মেয়ে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আসমা খাতুনের। মায়ের বকুনিতে অভিমান করে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার জানায়, ময়নাতদন্তের জন্য আসমা খাতুনের লাশটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
যাত্রাবাড়ীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নারী নিহত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় রিকশা আরোহী এক নারী নিহত হয়েছেন। শনিবার (৫ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তার নাম নাজমা বেগম। তার বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার উখিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় নারী নিহত
তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শনির আখড়ার দিকে যাওয়ার সময় ম্যানহোলের ঢাকনার সঙ্গে রিকশাটির ধাক্কা লাগে। এতে রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।
তখন পেছন থেকে সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রাইভেটকার চাপায় নারী নিহত
সিরাজগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানচাপায় নারী নিহত
কুড়িগ্রামে সেচ পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকের ছড়া গ্রামে ধান খেতে পানি দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মো. শাহাদুল ইসলাম (৩২) উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ছিট পাইকের ছড়া গ্রামের শহিদ মোড় এলাকার শামছুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর চকবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মো. শাহাদুল ইসলাম শনিবার সকালে ধানখেতে পানি দেওয়ার জন্য সেচ পাম্পের সুইচ দেন।
একাধিকবার চেষ্টা করেও বৈদ্যুতিক মোটরে সংযোগ না পাওয়ায় মেইন সুইচ বন্ধ না করেই সুইচ বোর্ড খুলেন।
এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেচ পাম্পের পাশের পুকুরে পড়ে যান তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পরে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষকের
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল কাঠমিস্ত্রির
সীতাকুণ্ডে প্রাইভেটকারকে কন্টেইনার লরির চাপা, অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেল ৫ যাত্রী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার লরির নিচে চাপা পড়ে প্রাইভেটকার দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও ভাগ্যক্রমে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী বেঁচে গেছেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঢাকামুখী একটি লরি হঠাৎ করে একটি প্রাইভেটকারের উপর উল্টে পড়ে। এসময় কারের চালকসহ পাঁচ যাত্রী লরির নিচে চাপা পড়েন। তারা উদ্ধারের জন্য কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন।
খবর পেয়ে পুলিশ, কুমিরা ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় তাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে আসামি বহনকারী বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকার ও ক্রেনের সহায়তায় কন্টেইনার লরিটিকে সরাতে সক্ষম হই। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় চাপা পড়া লরিটিকে সরিয়ে প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচ যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারের চালক সামান্য আহত হলেও বাকিরা অক্ষত ছিলেন। পাঁচ যাত্রীর মধ্যে একটি শিশুও ছিল। চার যাত্রীর বাড়ি ফটিকছড়িতে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল জানান, চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে দুই শিশুসহ চারজন যাত্রী নিয়ে প্রাইভেটকারটি ফৌজদারহাট বন্দর সড়ক দিয়ে ইউটার্ন করে শহরের দিকে যাওয়ার পথে কারটি আবার ক্যাডেট কলেজের সামনে ইউটার্ন করে উত্তরমুখী যাওয়ার সময় কন্টেইনার লরটি কারের উপর পড়ে। তবে কারের পাঁচ যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২