সারাদেশ
সিলেটে বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের হিলালপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
নিহত পুলিশ কনস্টেবল আবুল হোসেন হবিগঞ্জের বাহুবল থানায় কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের হিলালপুরে হেরা এন্টারপ্রাইজের একটি বাস আবুল হোসেনের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন জানান, এ বিষয়ে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেটের সড়কে নিহত ২৬, আহত ৬৬
লালমনিরহাটে অটোরিকশা ধাক্কায় নিহত ১
গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে দেশীয় মদপানে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায় গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে দেশীয় মদপান করে মামা-ভাগ্নের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার উপজেলা হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অতিরিক্ত মদপানে যুবকের মৃত্যু!
নিহতরা হলেন- বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে দীপু সরকার ও গাজীপুরের প্রসেনজিৎ সরকার। প্রসেনজিৎ দীপু সরকারের বড় বোনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ে উপলক্ষে তাদের বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। গায়ে হলুদে রাতে কয়েকজন মিলে দেশীয় মদ খেলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে দীপু ও প্রসেনজিৎ মারা গেছেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মদপানে ২ জনের মৃত্যু
পাবনায় মদপানে যুবকের মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে হোটেল শ্রমিকের মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাঁটা পড়ে শাবলু মিঞা নামে এক হোটেল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। রবিবার (৩ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে শহরের আকাশতারা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাবলু শহরের কুরশাপাড়া এলাকার জলিল মিঞার ছেলে তিনি আকাশতারা এলাকায় সুনীল পালের মালিকানাধীন সেতু হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। এছাড়াও শাবলু মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-ছেলেসহ ৩ জন নিহত
হোটেল মালিক সুনীল পাল বলেন, শাবলু অসুস্থতার কথা বলে বাড়িতে যাওয়ার জন্য হোটেল থেকে বের হয়। পরে শুনি এখানে সে ট্রেনে কাটা পড়েছে।
নিহতের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, শাবলু কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। হোটেল থেকে বাড়িতে আসার পথে ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে তার শরীর তিন খণ্ড হয়ে যায়। লাইনের ওপরেই তার দেহের অংশ পড়ে ছিল।
বগুড়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার বলেন, লাশ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া মেনে শাবলুর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু
পাবনায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মুক্তিযোদ্ধার, আহত ৪
পাবনার সাঁথিয়ায় ট্রাকচাপায় আকসেদ মন্ডল নামে এক মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এসময় আরও চারজন আহত হয়।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বড় পাথাইলহাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহত মুক্তিযোদ্ধা আকসেদ মন্ডল সাঁথিয়া উপজেলার বড় পাথাইলহাট গ্রামের মৃত নশের আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের জহুরুল ইসলাম, শাহিদা খাতুন, নুর ইসলাম মন্ডল ও রতন মোল্লা।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বাঘাবাড়ি-চাটমোহর আঞ্চলিক সড়কের সাঁথিয়া বড় পাথাইল হাট নামক স্থানে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দোকানে ঢুকে পড়ে।
এসময় দোকানে বসে থাকা মুক্তিযোদ্ধা আকসেদ মণ্ডল ঘটনাস্থলেই নিহত ও চারজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ওসি আরও জানান, জানাযা ও দাফন শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করবে। চালক পালিয়ে গেছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ময়লাবাহী ট্রাকচাপায় গার্মেন্ট শ্রমিক নিহত, মহাসড়ক অবরোধ
পলাশবাড়ীতে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ৪
নকল সরবরাহ করায় মাদরাসা অধ্যক্ষের দুই বছরের কারাদণ্ড
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে স্মার্টফোনের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করার দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩ মার্চ) চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌর এলাকার চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। একইসঙ্গে তাকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাবাকে মারধর করায় ছেলের ২০ দিনের কারাদণ্ড
ছায়েদুল উপজেলার রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভদ্রগাছা গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত ইউএনবিকে জানান, শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে মবোইলের ফোনের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করেন অধ্যক্ষ ছায়েদুল ইসলাম। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্টারে ২৫ থেকে ৩০ কপি নকলের প্রিন্ট বের করেছেন তিনি। ওই শিক্ষককে পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি আরও জানান, তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে হোয়াটসঅ্যাপের নকলের হুছবি পাওয়া যায়। ওই অধ্যক্ষ জানান, তার এক ছাত্র এগুলো সমাধান করে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। পরে তিনি কেন্দ্রের প্রিন্টারে প্রিন্ট করে রুমে রুমে নকল সরবরাহ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
মেঘনায় জাটকা ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
শিবালয়ে কবর থেকে কঙ্কাল চুরি, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কবর থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এতে স্থানীয় মানুষের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরংগাইল গ্রামের জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে এই কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে কোনো একসময় কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকালে কবরস্থানে কবর জিয়ারত করতে গেলে বিষয়টি টের পান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গয়াল-ইল্যান্ডের কঙ্কাল তৈরি করলেন বাকৃবি অধ্যাপক
এ সময় কবরস্থানের অনেকগুলো কবর খোঁড়া দেখতে পান এবং মৃত মানুষের হাড় (কঙ্কাল) কবরস্থানের চারপাশে দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জান্নাতুল বাকি কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রফিক বলেন, মাস ছয়েক আগে উপজেলার বরংগাইল এলাকার করিম ব্যাপারীর ছেলে মারা যায়। আজকে তার স্ত্রী ছেলের কবর জিয়ারত করতে সকালের দিকে কবরস্থানে আসেন। এরপর তার মাধ্যমেই জানতে পারি কবরস্থানের অনেকগুলো কবর খোঁড়া হয়েছে। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কবরস্থানে গিয়ে দেখি ২২টির মতো কবর খুঁড়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে আটটি কবর পুরোপুরি খোঁড়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে ওই আটটি কবর থেকে দুর্বৃত্তরা কঙ্কালগুলো চুরির করেছে। প্রত্যেকটি কবর খোঁড়ার পর আবার মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কবরের মাটিগুলো যে আলগা তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কতগুলো কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, কঙ্কাল চুরির ঘটনা শুনার পর পরই ওই কবরস্থানে গিয়ে আটটি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পাই। তবে বাকি কবরগুলোও আংশিক খোঁড়া ছিল।
এ বিষয়ে শিবালয় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রউফ সরকার বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সরেজমিনে কবরস্থান পরিদর্শন করেছি।
সেখানে কবরস্থান কমিটির লোকজনসহ স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছি। কয়েকটি কবর খোড়া দেখা গেছে। তবে কতগুলো কঙ্কাল চুরি হয়েছে এখনো নিশ্চিত নয়।
কঙ্কাল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চার মাস আগে চুরি হওয়া ২ লাশের কঙ্কাল উদ্ধার
কঙ্কালের সূত্র ধরে সন্দেহভাজন খুনি গ্রেপ্তার
ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেটের সড়কে নিহত ২৬, আহত ৬৬
জানুয়ারি মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কিছুটা কমেছে, তবে আহতের সংখ্যা বেড়েছে অনেক।
ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট বিভাগে ২৫টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬৬ জন।
রবিবার (৩ মার্চ) নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট বিভাগীয় কমিটি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়, সিলেট বিভাগে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৬৬ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে- সিলেট জেলায় ১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলায় দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
মৌলভীবাজারে চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন ও হবিগঞ্জ জেলায় চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ১০ জন মোটরসাইকেলচালক ও ৮ জন সিএনজি অটোরিকশাচালক এবং চারজন পথচারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক নিহত
এছাড়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে পাঁচটি দুর্ঘটনায় ছয়জন, মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতটি দুর্ঘটনায় ১২ জন, বেপোরোয়া গতির কারণে দুইটি দুর্ঘটনায় দুইজন, ট্রাক ও মাইক্রোবাস চাপায় চারটি দূর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, চারজন নারী ও একজন শিশু রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মিশু গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানান, পাঁচটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রাশিত ঘটনা ও নিসচা সিলেটের শাখা সংগঠনগুলোর তথ্যের ভিক্ততে নিসচা বিভাগীয় কমিটি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: যশোরের মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চুয়াডাঙ্গায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী আটক
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার ছয়ঘড়িয়া থেকে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে তাছলিমা খাতুন (২৫) নামে একজন নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। এ সময় তার কাছ থেকে ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
আটক তাছলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন কামাড়পাড়া এলাকার রেজাউল করিমের মেয়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্তে যাওয়ার পথে তাছলিমা খাতুন নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি।
তিনি বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে করে সীমান্তে যাচ্ছিলেন। পরে ওই ইজিবাইক তল্লাশি করে ১ কেজি ৩২০ গ্রাম (১১৩.১৬ ভরি) ওজনের ১১টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
এসব স্বর্ণের আনুমানিক দাম ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আটক নারীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আটক নারীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, ৩ বাংলাদেশিকে আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে
২৫০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা ও শতকোটি টাকা লোকসান নিয়ে রংপুর বিভাগের মধ্যে এখনো চালু রয়েছে একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও চিনিকল।
৬৭ বছরের পুরনো যন্ত্রপাতি, অনুন্নত জাতের আখ চাষ, মান্ধাতার আমলের চাষ পদ্ধতিতে আকড়ে থাকা, পরিচর্যায় অবহেলাসহ অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস লিমিটেড চলতি মৌশুমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।
এমন সাফল্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে ধ্বংসপ্রায় মিলটির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের মধ্যে।
চলতি মৌশুমে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উৎপাদন শুরু হয় গত বছরের ২২ ডিসেম্বর এবং মিল বন্ধ হয় ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ মিলটি চালু ছিল মোট ৫৪দিন। এ সময়ের মধ্যে ছোটখাটো দু’একটি ত্রুটির কারণে দু’এক ঘণ্টা মিল বন্ধ থাকলেও বড় কোনো ‘শাটডাউনে’ যায়নি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাট চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু
এটিকে, একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন মিল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এবার ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের টার্গেট নিয়ে মিল চালু হলেও ৭৪ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন আখ মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। এতে চিনি উৎপন্ন হয়েছে ৪ হাজার ২১ মেট্রিক টন। চিনি আহরণের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। যদিও আহরণ হারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ।
চিনি আহরণের এ নিম্ন হারের বিষয়ে কথা বললে সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান কবির বলেন, ‘নিম্ন হারের প্রধান কারণ হলো ৬৭ বছরের পুরনো যন্ত্রপাতি। বিভিন্ন দেশে যেখানে সর্বোচ্চ ২৫ বছর একটি মিলের যন্ত্রপাতির স্থায়িত্ব হয়ে থাকে সেখানে আমাদের এ মিল ৬৭ বছর পরেও চিনি উৎপাদন করে যাচ্ছে। এছাড়াও উন্নত আখের জাত আমরা এখনও কৃষকের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। মাঠ পর্যায়ে অন্য ফসলের চেয়ে আখের চাষে কৃষকেরও কিছু অবহেলা আছে, ফলে কাঙ্খিত ফলাফল আসছে না।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু, লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার টন
তিনি আরও জানান, এই অঞ্চলে (পঞ্চগড় ও সেতাবগঞ্জসহ) মাত্র ৪ হাজার ৬১০ একরে আখ চাষ হচ্ছে। একরপ্রতি আখের ফলন বাড়াতে হবে। এই ফসল চাষে অন্য ফসলের মতো যত্ন বাড়াতে হবে।
শাহজাহান কবির বলেন, আগামী ২৪-২৫ মৌসুম থেকে আখের দাম বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে যেখানে প্রতি কুইন্টাল আখ মিলগেটে ৫৫০ টাকা এবং বাইরে ৫০০ টাকা। ২০২৪-২৫ সালে বাড়িয়ে করা হয়েছে মিলগেটে প্রতি কুইন্টাল ৬০০টাকা এবং বাইরে ৫৮৭টাকা। এতে করে কৃষকরা আরও বেশি করে আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে তিনি আশাবাদী।
এ কারণেই তিনি প্রত্যাশা করছেন আগামী আখ মাড়াই মৌশুমে ৯০ হাজার মেট্রিক টন আখ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে কৃষককে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করাই এখন প্রধান কাজ বলে তিনি মনে করেন। ইতোমধ্যে কৃষকদের মাঝে আখচাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আখের অভাবে জয়পুরহাট চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ
২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনে কাঁকড়া সংগ্রহে ফিরছেন জেলেরা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞ শেষে আবারও শুরু হয়েছে কাঁকড়া আহরণের জন্য বন বিভাগ থেকে ‘পাস-পারমিট’ প্রদান। তাই দীর্ঘ সময় অলস বসে থাকার পর সুন্দরবনে নদী ও খালে কাঁকড়া আহরণের জন্য সরঞ্জম নিয়ে ছুটছেন জেলেরা।
শুক্রবার থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ শুরু হলেও আহরণের নৌকা ও মালামাল সংগ্রহ করতে ও প্রস্তুতি নিতে দেরি হওয়ায় আজ রবিবার (৩ মার্চ) সকালে ভাটিতে বনের গহীনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে মোংলা, রামপাল, দাকোপসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা।
পূর্ব সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। জলভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল আছে। এসব খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
করমজল বন্যপ্রাণী ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকে। বাকি অংশের নদী ও খালে বন বিভাগের বৈধ পাস-পারমিটধারী প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুধু কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
১৯৯৮ সালে কাঁকড়া রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকেই প্রতিবছর দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাস-পারমিট বন্ধ রাখা হয় বলে জানান তিনি।
কাঁকড়া আহরণকারী মোংলার জয়মনি এলাকার আনিছুর রহমান জানান, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো লোক সুন্দরবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যান না। যারা যান, তারা প্রায় সবাই দরিদ্র। দুই মাস নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দরিদ্র জেলেদের চরম দুর্দিন গেছে। বন্ধের দিনগুলোয় সরকারি কোনো ভাতার ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে তাদের। শুক্রবার সকালে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পেয়ে তারা আশার আলো দেখছেন।
একই এলাকার ছগির মোল্লা জানান, ‘সংসারে সাতজন সদস্য। সুন্দরবনে একদিন না গেলে তার চুলা জ্বলে না। দুই মাসের কাঁকড়া আহরণ বন্ধে দিনমজুরি করে কোনোমতে সংসার চালিয়েছি। মহাজনের কাছ থেকেও ধার নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
জেলেদের অভিযোগ, বনবিভাগ যে উদ্দেশ্যে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা সফল হয়নি। কারণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও গোপনে অসাধু লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে কাঁকড়া আহরণ করা হয়েছে এর বহু প্রমাণ রয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, কাঁকড়ার বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবনে বিভিন্ন নদী-খালে দুই মাস জেলেদের কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। ২ মার্চ থেকে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে জেলেরা প্রবেশ নিষিদ্ধ অভয়াশ্রম ছাড়া অন্য নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ করতে পারবেন। তবে কেউ যাতে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি নিয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে না পারে, সেজন্য বনরক্ষীদের স্মার্ট পেট্রোলিং টহল ও অন্যান্য কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ইঞ্জিনচালিত কোনো নৌকা বা ট্রলার কাঁকড়া পরিবহনের ক্ষেত্রে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
শুধু পরিবহন করতে পারবে যে নৌকায় কাঁকড়া আহরণ করে সেই নৌকায়। আর এ ব্যতিত ট্রলার যোগে পরিবহন করছে যদি এ রকম কাউকে পাওয়া বা এর সঙ্গে বন রক্ষীদের কেউ জড়িত থাকে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় কাঁকড়া ধরায় ২৪ জেলে আটক