সারাদেশ
ঢাকা বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার: এপিবিএন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার এক কোটি টাকা মূল্যের ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের দাবি করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, আজ (সোমবার) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৫ নম্বর ব্যাগেজ বেল্ট এলাকার কাছে একটি ডাস্টবিনের ভেতর কালো স্কচ টেপে মোড়ানো দুটি সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘পরে সেখান থেকে এক কেজি ১৬০ গ্রাম ওজনের ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।’
উদ্ধার স্বর্ণের বারগুলো কাস্টমসের গুদামঘরে রাখা হয়েছে বলে জানান এএসপি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ, যাত্রী আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দরে ২৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানযাত্রী আটক
ময়মনসিংহে ধারের ১০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া এলাকায় পাওনা একশ’ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে জীবন দিতে হলো আরেক বন্ধুকে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে আকুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের নাম নাহিদ (২৫)। সে ওই এলাকার দুস মোহাম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, নগরীর আকুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার হৃদয় ও নিহত নাহিদ একে অপরের বন্ধু। তারা এক সঙ্গে চলাফেরা করতেন। সম্প্রতি হৃদয়ের কাছ থেকে একশ’ টাকা ধার নেয় নাহিদ।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল প্রতিযোগিতায় কলেজছাত্র নিহত
তিনি আরও জানান যে সময় মতো ধারের টাকা পরিশোধ নিয়ে ঘটনার দিন দুই জনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হৃদয় কাচের টুকরা দিয়ে নাহিদের পেটে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় সে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যাওয়াই কাল হলো মাদরাসা ছাত্রের
বরিশালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২
বরিশালের মুলাদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল।
নিহতরা হলেন- হেলাল ব্যাপারী ও কামাল ব্যাপারী।
ওসি জানান, মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের তয়কা গ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ আকন ও হাজি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই দুই পক্ষের মাঝে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হেলাল ব্যাপারী ও কামাল ব্যাপারী নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। এরই মধ্যে ডিবি ও পুলিশের বড় একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে শিশু নিহত, আহত ১০
বায়ুদূষণের দায়ে ৯ ইটভাটাকে ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ঘোষিত অভিযানে বায়ুদূষণের দায়ে ৯ টি যানবাহনকে ৯ হাজার টাকা, সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা ও ৯টি ইটভাটা হতে ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার (১০ এপ্রিল) পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং, বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখা, ঢাকা অঞ্চল কার্যালয় ও সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয় এর উদ্যোগে ঢাকা জেলার মানিকমিয়া এভিনিউ, ভাষানটেক, পিরেরবাগ ও সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
নির্মাণ সামগ্রী খোলা অবস্থায় রেখে বায়ুদূষণের দায়ে ঢাকার পীরেরবাগ এলাকায় মোবাইল কোর্টে তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৫ হাজার টাকা এবং ভাষানটেক এলাকায় চারটি প্রতিষ্ঠান হতে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মানিকমিয়া এভিনিউ এলাকায় মোবাইল কোর্টে যানবাহনের কালো ধোঁয়া দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে ৯ টি যানবাহন হতে হতে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ এলাকায় মোবাইল কোর্টে অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে ৯টি ইটভাটা হতে মোট ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং কর্তৃক পরিচালিত বায়ুদূষণ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের দায়ে ৭ যানবাহন ও ৬ ইটভাটাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা
বায়ু দূষণ: ঢাকায় ৮ যানবাহন, ৬ প্রতিষ্ঠান ও ৬ ইটভাটার জরিমানা
কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি, অবমুক্ত পোনার মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন এবং যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই সময় থেকে কাপ্তাই হ্রদের মাছ পরিবহন ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও বালুভর্তি ট্রলারের সংর্ঘষে আহত ৭, নিখোঁজ ২
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণ প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ’- বিষয়ক সভায় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাইফুল ইসলাম, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস, নৌপুলিশ প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ভাসমান অবস্থায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে পানির স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্মে
বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
বগুড়ার শিবগঞ্জের দেউলিতে ‘৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে’ নির্মিত বাড়ির মালিক সাখওয়াত হোসেন টুটুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ৯ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। দুদকের বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বাদী হয়ে রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এ মামলা করেন।
সাখওয়াত হোসেন এএইচজেডি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও বগুড়ার শিবগঞ্জের দেউলি গ্রামের মৃত আব্দুল হাই সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জানা যায়, সাখওয়াত হোসেন টুটুল তার গ্রামে শ্বেতপাথর দিয়ে প্রাসাদোপম বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ২০০৬ সাল থেকে ১০ বছর ধরে এক একর জমিতে বাড়িটি নির্মাণে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে কথিত আছে। তবে সেই বাড়িতে কেউ বসবাস করেন না। সাখাওয়াত সপরিবারে ঢাকায় থাকেন।
এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকার মতিঝিল থানায় রূপালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ৯৩ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম একটি মামলা করেন।
মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি কারাগারেও ছিলেন কিছু দিন।
দুদকের বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, সাখাওয়াত হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেওয়া হলে তিনি ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
বিবরণীতে দেখা যায়, তার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ টাকা। কিন্তু যাচাইকালে তার স্থাবর-অস্থাবরসহ মোট গ্রহণযোগ্য সম্পদ পাওয়া যায় ৯ কোটি ২৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৭ টাকার।
এই হিসাবে সাখাওয়াত জ্ঞাত-আয়বহির্ভূতভাবে ৯ কোটি ৩২ লাখ ১৩ হাজার ৮৬১ টাকার সম্পদ ভোগ-দখলে রেখেছেন।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুদক আইন-২০০৪ সালের ২৭-এর (১) ধারায় সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ
বিএনপি নেতা মিনু, দুলুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঢাকায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা: ৪ জন গ্রেপ্তার
ঢাকার প্রগতি সরণিতে রবিবার রাতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্স ভাঙচুরের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার চারজন হলো-মো. হালিম (চালক), হাসান মাহাদী অমি (হেলপার), মো. উজ্জ্বল মিয়া ও পারভেজ মিয়া।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ২২টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
যোগাযোগ করা হলে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, রবিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে ভাটারা থানার অন্তর্গত প্রগতি সরণিতে একজন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট একটি কাভার্ড ভ্যানকে থামার জন্য সংকেত দেন। গাড়ি থামলে ট্রাফিক সার্জেন্ট চালক হালিমকে কাগজপত্র দেখাতে বললে তিনি রাজি হননি।
তিনি জানান, চালক মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে থাকেন এবং তারপর ট্রাফিক সার্জেন্টকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলেন। ট্রাফিক সার্জেন্ট কাগজপত্র ছাড়া কথা বলতে অস্বীকার করেন, তখন তর্ক শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে চালক ও তার হেলপারসহ কয়েকজন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ভাটারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করেছে।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
কুষ্টিয়ায় বাস ধর্মঘট: ৪ দিন পর প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার
প্রশাসনের আশ্বাসে তিন দিন পর কুষ্টিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের ফলপ্রসু বৈঠক শেষে কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আক্তারুজ্জামান আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে আমাদের দাবি মেনে না নিলে ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনে যাব।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির সমাবেশের দিন বাস ধর্মঘট
এর আগে বাস শ্রমিকদের মারধর ও বাসের ট্রিপ বাড়ানোকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে ফরিদপুর ও খুলনাগামী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় কুষ্টিয়া জেলার বাস মালিক ও শ্রমিকরা। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
পরিবহন নেতারা জানান, ঝিনাইদহ মোটর শ্রমিক নেতারা বাসের নতুন ট্রিপ চাইছেন। এটা নিয়েই মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে মালিকেরা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বৈঠক করেন। এ সময় সেখানে বাসের স্টাফদের মারধর করা হয় এবং একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এমন অবস্থায় কুষ্টিয়ার পরিবহন সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের কার্যালয়ে বৈঠক করে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন।
এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার বাস মালিক-শ্রমিকদের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক হয়। তবে সেখান থেকে কোনো সমাধান হয়নি।
তাই সোমবার দুপুরে আবারও বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
এসময় সেখানে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলমসহ কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার পরিবহন শ্রমিক নেতা ও বাস মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব: কুষ্টিয়ায় দুই রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট
সুনামগঞ্জে ২ দিনের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
পোস্টার লাগানো নিরুৎসাহিত করতে মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি শিল্প
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন শহরের অবকাঠামো এবং পাবলিক স্পেসে ব্যাপকভাবে পোস্টার লাগানোকে নিরুৎসাহিত করতে ঢাকার মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারগুলোতে আকর্ষণীয় গ্রাফিতি আর্ট করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ফ্লাইওভারের পিলারে পোস্টার লাগানো বন্ধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে চায়। তাই ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট যত্রতত্র পোস্টার বন্ধে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মগবাজার চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসক কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মেয়র পদে লড়তে আতিকুলের মনোনয়নপত্র জমা
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘শহরের ফ্লাইওভারের পিলারের দিকে তাকালে আমরা সব জায়গায় পোস্টার দেখতে পাই। আমি সবাইকে এটা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করতে চাই। অন্যথায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। জেল ও জরিমানা হবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র আতিকুল ইসলাম চিত্র শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিতে নিজেই রঙ তুলির আচরে গ্রাফিতি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মেয়র বলেন, ‘দেশটা আমাদের, এই শহরটাও আমাদের। এই দেশ, এই শহর বাইরের কারো নয়। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। অথচ যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে আমরা নিজেরাই এই শহরে দৃশ্য দূষণ করছি।’
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘আমরাই শব্দ দূষণ করছি, বায়ু দূষণ করছি। শহরের দূষণ বন্ধে আমাদের নিজেদের ঠিক হতে হবে, সচেতন হতে হবে। শুধু সরকার, সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নিলে হবে না। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
মেয়র আতিক বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশন থেকে পোস্টার-ব্যানারে ভরা অসুন্দর পিলারগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছি। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে চাই। পিলারগুলোতে চিত্রকর্মের মাধ্যমে শিক্ষণীয় ম্যাসেজ দেওয়া হবে। যেমন-হর্ন বাজাবেন না, পোস্টার না লাগাই, গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন, আসুন দেশকে ভালোবাসি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন রিকশায় যারা পেইন্টিং কাজ করতেন, তাদের যেন সম্পৃক্ত করি। তাই রিকশা পেইন্টিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদের এই গ্রাফিতি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মগবাজার ফ্লাইওভারে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে বাকি ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের পিলারেও গ্রাফিতি করা হবে।’
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সুন্দর পিলারগুলোতে পোস্টার লাগাবেন না। শহরকে রক্ষায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের গ্রাফিতি কার্যক্রম রয়েছে। আমরাও কিন্তু চাইলেই পারি। সবাই সচেতন হলে আমরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব।’
এসময় ফ্লাইওভারের পিলারের সৌন্দর্য রক্ষায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর ঘোষণাও দেন তিনি।
শরীয়তপুরে একটি বাঁশের সাঁকোতে ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর পদ্মা সেতুর নিকটবর্তী একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ছয় গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম একটি বাঁশের সাঁকো।
এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ ঘোচাতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করে।
ছয় মাস আগে ব্রিজ নির্মাণের সময়সীমা শেষ হলেও দৃশ্যমান হয়েছে মাত্র কয়েকটি পিলার। এছাড়া দুই বছর ধরে ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
এদিকে ব্রিজের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করে ভোগান্তির হাত থেকে এলাকাবাসীকে উদ্ধারের দাবী জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ পরিবারের যাতায়াতে আড়াই কোটি টাকার সেতু!
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ১২ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে ৯৫ মিটার দৈর্ঘ্য একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে হামিম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২২ সালে ব্রিজটি হস্তান্তরের কথা ছিল। পাঁচটি পিলার দৃশ্যমান হলে করোনাকালীন সময়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজ কন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। কাজ বন্ধের দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ায় এলজিইডির পক্ষ থেকে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। এখনও পুনরায় ব্রিজের কাজ শুরু হয়নি। তবে খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে বলে দাবি করেছেন জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানায়, ছোট কৃষ্ণনগর আকন কান্দি, পশ্চিম সেনের চর হাওলাদার কান্দি, পূর্ব সেনের চর মাদবর কান্দি, পশ্চিম সেনের চর ঢালী কান্দি, ডাগু ঢালী কান্দি, রবজ আলী সিকদার কান্দি ও হাসেমদি মুন্সি কান্দির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল একটি বাঁশের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে কৃষকের উৎপাদিত ফসল, ব্যবসায়ীদের মালামাল বহন, শিক্ষার্থীসহ ছয় হাজার মানুষের যাতায়াত ছিল। ব্রিজ নির্মানের কথা বলে ২০২০ সাল থেকে সেই সাঁকো ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
তিন বছরেও সেখানে ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। বিপাকে পড়েছে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
এছাড়া খুব দ্রুত ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
হামিম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান ওকু মাদারীপুরে থাকায় তার মতামত প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ব্রিজের পাশে থাকেন ঠিকাদার গার্ড (চৌকিদার) তোতা মিয়া।
তার সঙ্গে আলাপ কালে তিনি জানায়, ঠিকাদার ও সাইড ঠিকাদার ফোনে তাকে অবগত করেছেন। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমন মোল্লা বলেন, ব্রিজের প্রকল্প ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার যোগদানের পূর্বে থেকেই ব্রিজের কাজ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া ঠিকাদারকে একাধিকবার চিঠি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ব্রিজের কাজ শুরু করবে বলে ঠিকাদার জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ২ বছর পর হিলি দিয়ে ট্যুরিস্ট যাতায়াত শুরু