সারাদেশ
‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ করেছে এবং ভবনে তালা ঝুলিয়েছে।
তারা ন্যায়বিচারের দাবিতে ছয় দফা দাবি নিয়ে স্লোগানও দিতে থাকে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের ও পুলিশের হামলার বিচার করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সকল শিক্ষার্থীর জন্য ক্যাম্পাসে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা প্রণয়নে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ছাত্র আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘পুলিশ এই ঘটনায় নিষ্ক্রিয় ছিল, বরং তারা আমাদের দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে।’
এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকায় বৈঠক এখনও শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীর মৃত্যু: পাল্টা অভিযোগ রাবি প্রশাসনের
বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এ ঘটনা ঘটে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম জানান।
আহতদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের অন্তত ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকাশ। বাসের সিট নিয়ে চালক শরিফুল ও তার সহকারী রিপনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর এলাকায় পৌঁছালে তাদের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। যা শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে পরিণত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর গেটে বেশ কয়েকটি দোকান ও পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীর মৃত্যু: পাল্টা অভিযোগ রাবি প্রশাসনের
২২ ঘণ্টা পর সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামের আগুন ২২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (১২ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার সকাল ৮টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন পুরোপুরি নেভাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শিক্ষাসফরের বাসে আগুন, আহত ১০
আগুন নেভানো হলে সেনাবাহিনী ঘটনা সম্পর্কে ব্রিফ করবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা।
শনিবার রাতে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক বদিউল আলমকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, গুদামের ভেতরে ২৭০০ টন তুলা থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছোট কুমিরা এলাকায় ইউনিটেক্স গ্রুপের তুলার গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে দুটি স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভায় এবং রাত ১২টার দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু আগুন আবার জ্বলে উঠলে, এলাকায় অবিরাম জল সরবরাহ না থাকায় দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খায়। শনিবার রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের আরও ছয়টি ইউনিট যোগ দেয়।
এছাড়া আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৪ মার্চ উপজেলার সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে ছয়জন দগ্ধ এবং প্রায় ৩৩ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘন্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি
সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘন্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি তুলার গোডাউনে শনিবার সকালে লাগা আগুন দীর্ঘ ৯ ঘন্টা চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস জানায় যে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলেও বড় ধরণের আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হচ্ছে।
এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা হিঙ্গুরী পাড়া এলাকায় ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে ‘ইউনিটেক্স’-এর মালিকানাধীন তুলার গোডাউনে আগুন লাগে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, ‘এখনও কুমিরা, সীতাকুণ্ড ও নগরীর আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্টেশনের ৯টি ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গুদামটিতে তুলার বড় বড় গাইড থাকায় আগুন সহজে নির্বাপণ করা যাচ্ছে না। এরমধ্যে আশেপাশের যত পুকুর ছিল সবগুলোর পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা পানি সংকটে পড়েছি। আশেপাশের গ্রাম থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
এর আগে দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পরে আবার ভেতর থেকে আগুন জ্বলে ওঠে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রফিক জানান, গোডাউন সংস্কারে টিনে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল।
ধারণা করা হচ্ছে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। পরে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চান। এরপর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, তুলার গুদামের পাশের নেমসন ডিপোকে আগুন থেকে রক্ষায়ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পানি সংকটের কারণে কাজে বেগ পেতে হচ্ছিল। তবে দুপুরের পর নেমসন কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করলেও বিকাল থেকে আবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এসএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লোকমানের মালিকানাধীন গুদামটি ইউনিটেক্স লিমিটেড ভাড়া নেয়। তাদের নিজস্ব সুতা তৈরির কারখানার জন্য সেখানে অনেক তুলা মজুত করা হয়।
রাতে এই রির্পোট লিখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের টিম ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক বসতঘরে আগুন
চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
কুমারখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লাইনম্যানের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন লাইনম্যান নিহত এবং হেডমিস্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কুমারখালী পৌরসভার খোকনমোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লাইনম্যানের নাম মো. মানিক হোসেন (৪০)। তিনি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
আহত হেডমিস্ত্রী রাজু হোসেন (৪৫) একই এলাকার মৃত তছলেম হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, কুমারখালীর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ড্রিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ( ওজোপাডিকোলি) পৌরসভার খোকনমোড় এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করছিলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। উন্নয়ন কাজের জন্য বেলা দুইটা পর্যন্ত বিদ্যুত লাইন বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন সহকারী প্রকৌশলী মো. রাজু হোসেন। কাজ চলাকালীন সময়ে শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে রাজুর কথা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বেলা দেড়টার দিকে লাইন চালু হলে বিদ্যুতায়িত হয়ে লাইনম্যান মানিক ও হেডমিস্ত্রি রাজু গুরুতর আহত হন। পরে অন্যান্য শ্রমিকরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজুকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠান।
আরও পড়ুন: উল্লাপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
এবিষয়ে শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা খোকন মোড়ে কাজ করছিলেন। রাজু স্যারের সঙ্গে তাদের বারবার কথা হচ্ছিল। দুইটা পর্যন্ত লাইন বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু আগেই লাইন চালু হলে দুর্ঘটনায় মানিক মারা যান এবং হেডমিস্ত্রি আহত হন।
এবিষয়ে কাজের ঠিকাদার ময়েজ উদ্দিন বলেন, তিনি অন্য সাইডের কাজে ছিলেন। লাইন বন্ধ রাখার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লাইন চালু হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী ওজোপাডিকোলি'র প্রকৌশলী মো. মখলেছুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী রাজু হোসেন বলেন, এক অঞ্চলের লাইন বন্ধ করে শ্রমিকরা অন্য অঞ্চলে কাজ করছিলেন। ঠিকাদারের ভুলেই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, বিদ্যুত অফিস দুইটার পরিবর্তে দেড়টার দিকে লাইন চালু করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চরফ্যাশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
মতলবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
‘অবৈধ’ সরকার যদি আরও কিছুদিন থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না: আমীর খসরু
দেশের জনগণ বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অতিসত্বর বিদায় দেখতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,বাংলাদেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে পথে,মাঠে ও সমাবেশে প্রত্যেক জায়গায় আজ একটাই প্রশ্ন; এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে কবে বিদায় দিবেন? আমরা নিশ্বাস ফেলতে পারছিনা। আরও কিছুদিন এ অবৈধ সরকার যদি থাকে আমরা কেউ বাঁচবো না।’
শনিবার নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় প্রতিটিদিন অতিবাহিত করছি। আমাদের মুক্তি দিন, দেশকে মুক্ত করেন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ম্যাসেজ। পরিষ্কারভাবে এটা জনগণের সিদ্ধান্ত এবং তারা অতিসত্বর সরকারের বিদায় দেখতে চায়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিস্ফোরণগুলো হচ্ছে, এগুলোকেও তারা রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একটা সরকারের আমলে যখন এগুলো ঘটে, তখন বোঝা যায় সে সরকার দেশ পরিচালনাতে ব্যর্থ। তারা রাজনীতি করছে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরশাদের পতনের সময় মন্দিরে মন্দিরে আক্রমণ হয়েছিল। স্বৈরাচারেরা যখন পতনের অবস্থানে চলে যায়, তারা তখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে; তারা এগুলো আরও করবে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। এ দলটি রাজনৈতিকভাবে দৈন্যদশায় পড়ে গেছে। দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী অংশ নেন।
নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কের মূল অংশ থেকে শুরু হয়ে একদিকে কাজীর দেউরি মোড়,অন্যদিকে লাভলেইন হয়ে জুবলী রোড পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশের মানুষ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেয়।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘চরম দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে চরম দুর্নীতি চলছে। এই অবৈধ সরকার দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি অবনতির মূলে রয়েছে বিনা ভোটে নির্বচিত অবৈধ সরকারের এমপি, মন্ত্রী ও আমলারা। যার ফলে গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় গ্রেডে। এটি একটি হাইব্রিড সরকারের শাসন ব্যবস্থা। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ কথা বলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে আর ভোট ডাকাতির চেষ্টা করবেননা। বিএনপি ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য রাজপথে আছে। প্রয়োজনে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।’
এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর,যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, অ্যাড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নছরুল কদির, জেলা ড্যাব এর সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম জানে আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
দেশব্যাপী বিএনপির ‘সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপ-রাজনীতি’র বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা।
শনিবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তার পাশে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
এসময় রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। এখানে ধর্ম, জাত ও পাত কোন বিষয় না। সকলে মিলেমিশে কাজ করতে হবে দেশের উন্নয়নের জন্য। বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে লুটপাট করেছে কারা। যারা দুর্নীতি করেছে; তারাই লুটপাট করেছে। ওই সময়ে তাদের অত্যাচারে মানুষ কতটা অসহায় ছিল সবাই জানে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ওই সময়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবু আমরা সহ্য করে আছি, কারণ আমরা যদি তাদের মত আচরণ করি সারাদেশের মানুষ আমাদেরও তাদের মতই ভাববে। তাই আমরা অত্যন্ত ধৈর্য্য নিয়ে দেশ পরিচালনা করছি। আজকে তারা ঠাকুরগাঁওসহ সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে সহ্য করতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তারা নিরপেক্ষ থাকার কথা থাকলেও তারা নিরপেক্ষ থাকেনি। তাই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। তত্ত্বাবধায়কসহ যে কোনও অনির্বাচিত সরকারই নিরপেক্ষ নয়; ইতোপূর্বে তা প্রমাণ হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আসম গোলাম ফারুক রুবেল, সহ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, অ্যাড. ফললুল হক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকারসহ জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঘোড়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত
রাজস্থলীতে পাথরবোঝাই ট্রাক উল্টে নিহত ১,আহত ২
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক উল্টে একজন নিহত এবং দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের সীমান্ত সড়কের ৫ কিলো আমতলী পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাজান (৫৫) বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আলি হোসেন মুসল্লির ছেলে।আহতেরা হলেন- বান্দরবানের আলিকদম এলাকার নজির আহমদের ছেলে রবিউল হোসেন (২৫) এবং চট্টগ্রামের পটিয়ার চন্দরাইশ এলাকার হেদায়েতের ছেলে ইউনুচ আলী (৩২)।
আরও পড়ৃুন: কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর চালকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, রাজস্থলী থেকে পাথরবোঝাই করে ট্রাকটি সীমান্ত সড়কে যাচ্ছিল। পথে ৫ কিলো আমতলি পাড়া এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ট্রাকের চালক, হেলপার ও লেবার গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় ও ২৬ ইসিবির সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে রাজস্থলী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত তিন জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়। চমেক যাওয়ার পথে বদ্দারহাট এলাকায় শাহাজানের মৃত্যু হয়। অন্য দুইজন রাজস্থলী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, রাজস্থলীর সীমান্ত সড়কে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যাওয়ার খবর শুনেছি। দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গাড়িটিতে পাথরবোঝাই ছিলো বলে থানায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।
গাড়িটি খালি করা হলে থানায় নিয়ে আসা হবে বলেও ওসি জানান।
আরও পড়ৃুন: বাগেরহটে ট্রাক ও পিকআপের ধাক্কায় নিহত ২
সিরাজগঞ্জে বাউল অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ৯
সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় শুক্রবার রাতে বাউল শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু মানুষের হামলায় কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছে।
এসময় প্রায় ৫০টি চেয়ার, কি-বোর্ড,প্যাড ও হারমোনিয়াম ভাঙচুর করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ বাউল শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি সঞ্জীব কুমার সরকার বলছেন, ‘শুক্রবার বিকালে সংগঠনের ১৮ বছরপূর্তি উপলক্ষে্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। আলোচনা শেষে আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় তারা প্রায় ৫০টি চেয়ার, কি-বোর্ড,প্যাড ও হারমোনিয়াম ভাঙচুর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় দুর্বৃত্তদের মারধরে সাউন্ড অপারেটর সুমন ও বাউলশিল্পী হারুনসহ ৯ জন আহত হয়েছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশের ওপর জেলেদের হামলা, ফাঁড়ির ইনচার্জসহ আহত ১৬
চট্টগ্রামে সালিসি বৈঠকে হামলা, যুবক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইন জব্দ, আটক ১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক কেজি ৩৭০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় একজনকে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার সকালে উপজেলার দোভাগী গ্রামে এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক আরিফ হোসেন(৪৫) দোভাগী গ্রামের মানারুল ইসলামের ছেলে।
দুপুরে র্যাব-৫ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ রাজশাহীর সদর কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনজয় কুমার সরকারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল শনিবার দোভাগী গ্রামে আরিফ হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। এ সময় এক কেজি ৩৭০ গ্রাম হেরোইনসহ গৃহকর্তা আরিফ হোসেনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে ১০ হাজার ৮০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
বেনাপোলে যাত্রীর পেট থেকে ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১