সারাদেশ
শরীয়তপুরে মাহিন্দ্রা চাপায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় বালু বহনকারী মাহিন্দ্রার চাপায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের সুরেশ্বর-পন্ডিতসার সড়কের পশ্চিম নন্দনসার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিফাত শিকদার (১৪) পশ্চিম নন্দনসার গ্রামের ইসমাইল শিকদারের ছেলে এবং হালইসার নন্দনসার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেলা ১১টার দিকে রিফাত বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে করে ঘড়িসার বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা সুরেশ্বরে বালু ব্যবসায়ী ছাত্তার মালতের মাহিন্দার সঙ্গে রিফাতের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাহিন্দ্রার চাকার নিচে পরে গুরুতর আহত হয় রিফাত। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ‘দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে মাহিন্দাটি জব্দ করা হয়েছে কিন্তু চালক ও সহযোগীরা পালিয়েছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। নিহত শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ চালকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চালক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বোয়ালখালীতে ট্রাক উল্টে চালক আজিজুর রহমান (৩৮) এবং রাঙ্গুনিয়ায় ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে সিএনজি চালক মোহাম্মদ আবদুল হান্নানের (৩৪) মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে একটি মাছবোঝাই ট্রাক রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর বাজার থেকে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় একটি সিএনজি অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে যাত্রী নিয়ে রোয়াজারহাট আসছিল। দুটি গাড়ি চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী আপন ক্লাবের সামনে এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সিএনজি অটোরিকশাটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অটোরিকশাচালক আবদুল হান্নানের। দুর্ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ২
রাঙ্গুনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকচালক পলাতক রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়া শ্রীপুর বুড়া মসজিদ সড়কে একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ধানের জমিতে পড়ে উল্টে পড়ে ট্রাকটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক আজিজুর রহমান। তিনি পটিয়ার ধলঘাট ইউনিয়নের ঈশ্বরখাইন দক্ষিণ সমুরা গ্রামের শফি সওদাগরের মেজ ছেলে।
বোয়ালখালী থানার এসআই নুরে আলম জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের জমিতে পড়ে যায় ট্রাকটি। ট্রাকের ভেতর চাপা পড়ে মারা যান চালক। চালকের লাশ স্বজনরা পটিয়ায় নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকের ধাক্কায় স্ত্রী নিহত, স্বামী-ছেলে আহত
সাভারে ডাকাতি, হাত-পা বেঁধে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট
সাভারে একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত সদস্যরা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১) ভোররাতে সাভার পৌর এলাকার মধ্যে রাজাশন এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
বাড়িটির সদস্যরা জানান, ভোররাতে দোতলা বাড়ির ছাদের গেট দিয়ে ৬ জন পুরুষ ও ১ জন নারী প্রবেশ করে বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেধে আলমারি ভেঙে ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২০ হাজার টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান তারা।
পরে খবর পেয়ে সকালে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী বলেন, ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৫
সাভারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট
পাবনায় বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ২
পাবনার ফরিদপুরে চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জারের ছেলে ও চালকলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)। অপরজন চাতালে কাজ করা গোপাল নগর গ্রামের পাখি খাতুনের ছেলে তারেক হোসেন (৫)।
জানা গেছে, ফরিদপুর থানার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে চালকলের ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় চাতালের মালিক জাহাঙ্গীর আলমের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
অপরজন তারেক হোসেনের গায়ে বয়লারের টুকরা আঘাত করে গুরুতর আহত হয়। এ সময় ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বয়লার বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে চাতালের মালিকের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে তার মৃত্যু হয়। আর শিশুটি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়। তিনিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
লাশ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মাগুরায় ট্রাকের ধাক্কায় স্ত্রী নিহত, স্বামী-ছেলে আহত
মাগুরায় ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়ার পথে ট্রাকের চাপায় ডেইজি বেগম (২৭) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে এবং তার স্বামী ও ছেলে আহত হয়েছেন।
বুধবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে স্বামী ও ছেলের সঙ্গে শহরে যাওয়ার পথে পেছন থেকে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দিলে সবাই গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পর এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ডেইজির মৃত্যু হয়। তার স্বামী ও ছেলে আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, ডেইজি বেগম মাগুরা শহরের পারলা বেলতলা এলাকার ভাড়াটিয়া ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ট্রাকটি ধাক্কা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
‘আমি আর বিচার চাই না’
কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে হত্যার আট বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তার পরিবার বিচার পায়নি। দোষীদের চিহ্নিত করতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তার পরিবার অপরিসীম দুর্ভোগ সহ্য করেছে এবং এখন ন্যায়বিচারের কোনো আশা দেখছে না।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী তনু। ২০১৬ সালের ২০ মার্চে বাসা থেকে বের হওয়ার পর কুমিল্লা সেনানিবাসের জঙ্গলে তার মরদেহ পাওয়া যায়। গতকাল বুধবার সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর হয়েছে। এই ৮ বছরেও তনুকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ বা অন্য কোনো সংস্থা।
এদিকে, গত ৩ বছর তনুর পরিবারের খবর নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় বিচার পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছেন তনুর মা-বাব।
তনুর মা আনোয়ারা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পিবিআই ঢাকায় বসে বসে বক্তৃতা দেয়। আমাদের ডেকে পাঠিয়ে উল্টো হয়রানি করে। আমরা গরিব। তাই বলে আমরা কারো গোলাম না যে যার কারণে মেয়ে হত্যার বিচার পাব না। তাকে অনেক কষ্ট করে লালন করেছি। কী বেদনা নিয়ে বেঁচে আছি, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।’
আরও পড়ুন: ছয় বছরেও তনু হত্যা মামলার অগ্রগতি নেই
তিনি বলেন, ‘কলিজার টুকরাটা কবরে। তাকে ছাড়া ঈদ কীভাবে করব? এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যদি দুনিয়ায় না হয়, আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রাখলাম। আল্লাহর বিচার বড় বিচার।’
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, তনুর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুই মসজিদে দোয়া ও এতিম শিশুদের ইফতারের আয়োজন করেন তিনি।
বিচার না পাওয়ায় তিনি বলেন, ‘আমি আর বিচার চাই না। বিচার চেয়ে কী লাভ? গরিবের ওপর জুলুমের বিচার হয় না।’
তনুর পরিবার জানায়, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেনি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ ও ডিবির পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি, কুমিল্লা। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ৩ জন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘খুবই কষ্ট লাগে তনুর খুনিরা পাঁচ বছরেও শনাক্ত হয়নি’
সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে ৩ জনকে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর মধ্যে ২০২০ সালের নভেম্বরে মামলাটির দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়া হয়। পিবিআই ঢাকার একটি টিম দায়িত্ব পাওয়ার শুরুর দিকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ঘুরে যান।
২০২৩ সালের ৮ আগস্ট তনুর খালাতো বোন লাইজু জাহানের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। নির্ধারিত সময়ে তনুর বাবা-মা ও ভাইসহ লাইজু জাহান কুমিল্লা পিবিআই কার্যালয়ে হাজির হওয়ার পর তাদের জানানো হয় তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ, তাই সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
মামলায় সাক্ষ্য দিতে লাইজু তার সিলেটের স্বামীর বাড়ি থেকে একদিন আগে কুমিল্লায় পৌঁছেন। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে লাইজু, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম ও তনুর ছোট ভাই রুবেল হোসেন কুমিল্লার নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় পিবিআই অফিসে পৌঁছেন। পরে তাদের জানানো হয় তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ, তাই সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মজিবুল হক বলেন, ‘সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা আসামিদের শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য বের হতো, তাদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। পরিবারের প্রতিটি সদস্য ও আত্মীয়স্বজন এমনকি শিক্ষকরাও সাক্ষ্য দিয়েছে, আর কী বাকি রইলো?’
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-দক্ষিণের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৩ ঘণ্টা নাটোরের ইয়াছিনপুর স্টেশন এলাকায় আটকা ছিল। এ সময় ব্যাহত হয় ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন চলাচল।
নাটোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আসাদুজ্জামান বলেন, লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আাসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুধবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে নাটোর স্টেশন ছাড়ার পর ইয়াছিনপর স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালে সিঙ্গেল লাইনে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আটকা পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ৪ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক
তিনি আরও বলেন, দুর্গম স্থানে ট্রেন আটকা পড়ায় যাত্রীদের মাঝে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাটোরের আব্দুলপুর জংশন থেকে মালগাড়ির ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেনটিকে পুনরায় নাটোর স্টেশনে ফিরিয়ে আনা হয়। সেখানে ইঞ্জিন পরিবর্তনের পর রাত ১১টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
আসাদুজ্জামান বলেন, এ সময় খুলনা মেইলসহ বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে কয়েকটি ট্রেন।
আরও পড়ুন: বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ১৪ ঘণ্টা পর ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
চাঁদপুরে অটোরিকশা-প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন গুরুতর আহত
চাঁদপুর-রায়পুর সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিতে থাকা চার যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ইচলি চৌরাস্তা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বুলু বেগম, মামুন, মো. বিল্লাল ও মো. আলমগীর।
আহতদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে বুলু বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাকি আহত মামুন, মো. বিল্লাল ও মো. আলমগীরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীদের জন্য 'প্রত্যয়' পেনশন প্রকল্প চালু : অর্থ মন্ত্রণালয়
স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, সংবিধিবদ্ধ এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থায় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম (ইউপিএস) -এর অধীনে ‘প্রত্যয়’ নামে একটি নতুন স্কিম চালু করেছে সরকার।
বুধবার(২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এই প্রকল্প কার্যকর হবে।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ জারি করা এসআরও (নং-৪৭-আইন/২০২৪) অনুযায়ী সকল স্বা-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারী যারা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং পরে যোগদান করেছেন তারা নতুন স্কিমের আওতায় আসার যোগ্য হবেন।
এছাড়া এসআরও'র মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেশন স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করুন: এ কে আজাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'প্রত্যয়' স্কিম প্রবর্তনের ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/গ্র্যাচুইটি সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে।’
তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি বাকি আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে নতুন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই বছরের ১ জুলাই এবং তার পরে নতুন যোগদানকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। কারণ তারা অবসরকালীন মাসিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন।’
এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেশিরভাগ কর্মচারী গ্র্যাচুইটি এবং কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) এর আওতাভুক্ত। সেই ব্যবস্থায়, কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসাবে সামান্য পরিমাণ অঙ্কের অধিকারী, তবে কোনও মাসিক পেনশন নেই।
ফলে অবসর পরবর্তী জীবনে তারা প্রায়ই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। অবসর পরবর্তী জীবনে কর্মীদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার 'প্রত্যয়' প্রকল্প চালু করেছে।
'প্রত্যয়' স্কিম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, যেটি কম, কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক স্কীমে অংশগ্রহণের জন্য প্রদান করা হবে।
এরপর উভয় অর্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর নামে অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
যেমন, সংশ্লিষ্ট ইন্সিটিটিউট বা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা দিলে ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পর প্রতি মাসে ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা পেনশন পাবেন।
এক্ষেত্রে ৩০ বছর মেয়াদে কর্মচারীর নিজস্ব বেতন থেকে পরিশোধিত মোট জমার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা (প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা জমা) এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিশোধিত চাঁদার মোট পরিমাণ ৯ লাখ টাকা।
প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য মোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। উপকারভোগী ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলে ওই ব্যক্তি ১৫ বছরে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা বা তার বেশি পেনশন পাবেন, যা কর্মচারীর নিজস্ব আমানতের ১২ দশমিক ৪৭ গুণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে সেন্সর ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ রেলপথ সংসদীয় কমিটির
দুর্ঘটনা রোধে স্বয়ংক্রিয় ট্রেন স্টপেজের জন্য সেন্সর সিস্টেম ও প্রযুক্তি চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার(২০ মার্চ) সংসদ ভবনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, শফিকুল ইসলাম শিমুল, সাইফুল ইসলাম, শফিকুর রহমান এবং নুরুন নাহার বেগম।
বৈঠকে সম্প্রতি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা, আসন্ন ঈদযাত্রায় বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মসূচি, যাত্রীসেবা ও টিকিট ব্যবস্থাপনা এবং ধীরাশ্রম কন্টেইনার ডিপো নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ১৪ ঘণ্টা পর ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করতে ট্রেনের সামনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
এছাড়াও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে একতলা ভবনের পাইলিংয়ের পর নির্মাণ কাজ কেন বন্ধ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও নুরুন নাহার বেগমকে সদস্য করে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়।
সহজডটকমের সঙ্গে অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম নিয়ে চুক্তি অনুযায়ী যন্ত্রপাতি সরবরাহের সর্বশেষ অগ্রগতি কতটুকু তা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে অবশিষ্ট কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
রেলওয়ের জমির পরিমাণ, লিজ নেওয়া জমি এবং জমি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং কারা ব্যবহার করছে সে বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য আগামী বৈঠকে পেশের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৯ বগি লাইনচ্যুত