সারাদেশ
রাজশাহীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে চাচাতো দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’পক্ষের আরও অন্তত ছয়জন।
শনিবার বিকালে উপজেলার চারঘাটের ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাঁকড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দেদার হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান (৪৫) ও জেকের হোসেনের ছেলে আকরাম হোসেন (৬০)। আজিজুর ও আকরাম সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজিজ ও আকরাম দুই ভাইয়ের মধ্যে তাদের পারিবারিক সূত্রে পাওয়া এক একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। আকরাম সেই এক একর জমি নিজের দখলে রেখে চলতি মৌসুমে গম রোপণ করেছিলেন। শনিবার বিকালে গমের জমিতে সার প্রয়োগ করতে গেলে আজিজ তার পক্ষের লোকজন নিয়ে এসে তাকে সার দিতে নিষেধ করেন। এসময় আকরামও তার লোকজনকে খবর দেয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের হাসুয়ার আঘাতে আজিজ ও আকরাম গুরুতর আহত হন।পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু
এছাড়াও এ ঘটনায় দুই গ্রুপের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
পুলিশের চারঘাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, সংঘর্ষে মারা যাওয়া দু’জনের লাশ হাসপাতালে আছে। আহতরাও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, লাশ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ‘হোটেল ঝিলিক’ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে শনিবার সকালে অজান্তা বেগম নামের এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বামী পরিচয় দেয়া সুজন (৩২) পটুয়াখালীর বাউফল সদরের রফেজ সিকদার ও আমেনা বেগমের ছেলে বলে হোটেলের রেজিস্ট্রারে উল্লেখ রয়েছে।
হোটেল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সুজন ও অজান্তা বেগম নামের দুজন পর্যটক হোটেল ঝিলিকের ২০৪ নাম্বার রুম ভাড়া নেয়। পরে গতকালকে সারাদিন তারা হোটেলে অবস্থানসহ বাইরেও ঘোরাঘুরি করে বলে জানায় তারা। শনিবার সকালে নিহত নারীর অবস্থানকৃত রুম চেক আউটের জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ওই পর্যটককে হোটেলের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে আবাসিক হোটেল থেকে জাহাজ শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হোটেল ঝিলিকের মালিক লিয়াকত আলী জানান, আজকে সকাল ১০টায় হোটেল চেক আউটের সময় হলে তাদেরকে ফোন দেয়া হয়। ফোনে না পেয়ে রুমে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ পওয়া যায়নি। রুমের ভেতর থেকে তালা লাগানো থাকায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেই, পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। তবে স্বামী পরিচয় দেয়া সুজনকে পাওয়া যায়নি। ওইরুম থেকে আলামত হিসাবে একটি স্মার্ট ফোন, একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। হোটেল রেজিস্ট্রিকৃত নাম পরিচয় নিয়ে আমরা তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, লাশটিকে ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফাঁকা বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফুলবাড়ীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহে ৭ দিনের ব্যবধানে ফের একই ট্রেন লাইনচ্যুত
সাত দিনের ব্যবধানে একই ট্রেনের একই বগি লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় নগরীর কেওয়াটখালিতে চট্টগ্রামগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হলে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হলে ময়মনসিংহের সঙ্গে তিনটি রেলপথে তিন ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার ফলে এই তিনটি রেলপথের বিভিন্ন স্টেশনে আন্ত নগর, মেইল ও লোকাল ট্রেন আটকা পড়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহীনুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত
ময়মনসিংহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনের মালবাহী বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ময়মনসিংহের সঙ্গে নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম এই তিনটি রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কেওয়াটখালী লোকশেড থেকে একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার একই সময়ে এই ট্রেনের একই বগি কয়েকশ’ মিটারের ব্যবধানে লাইনচ্যুত হয়েছিল। এতেও সাড়ে ৩ ঘন্টা ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ট্রেন লাইনচ্যুত: খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চাঁদপুরে মোটরসাইকেলের চেনে বোরকা পেঁচিয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
চাঁদপুরে মোটরসাইকেলের চেনে বোরকা পেঁচিয়ে এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের জাফরবাড়ী নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জান্নাত আক্তার (১৯) ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নম্বর পাইকপাড়া ইউনিয়নের বালিচাটিয়া গ্রামের আলী আহমদ পাটওয়ারীর মেয়ে।
পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, জান্নাত তার ছেলে বন্ধু খলিলুর রহমানের (২৬) সঙ্গে ফরিদগঞ্জের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে হাজীগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর হয়ে রওনা হয়। ঘটনাস্থলে আসলে অসতর্কতার কারণে মোটরসাইকেলের চেনে তার বোরকার নীচের অংশ পেঁচিয়ে এক পর্যায়ে সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় এবং এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে লঞ্চে ছুরিকাঘাতে যাত্রী নিহত, আটক ৮
তিনি আরও বলেন, সঙ্গে সঙ্গে খলিল নিজেই তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহের ভুইয়া ইউএনবিকে জানান, মোটরসাইকেলের চেনে বোরকা পেঁচিয়ে জান্নাতের অকাল মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। জান্নাতের বন্ধু খলিলুর রহমান থানায় আটক রয়েছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, নিহত জান্নাত ও তার বন্ধু খলিলুর রহমানের অভিভাবকরা রাতে থানায় এসেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চাঁদপুরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সর্ফমার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক আহত!
কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপি'র ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপি'র যুগ্ম সম্পাদক আফজল হোসেনসহ আটজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গেলে তাদের (বিএনপি) ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী।
অপরদিকে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল আলম নাশকতার মামলার আসামি আট বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান।
ওসি জানান, মিরপুর পৌর এলাকা থেকে আজ সকালের দিকে নাশকতা মামলার আসামি বিএনপির আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোর কার্যক্রম চলছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী জানান, শুক্রবার সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মিরপুর উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতারা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে গেলে সেখান থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপি'র মিরপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খোকসায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত
খোকসায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিজয় দিবসে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে দলীয় পতাকা নামিয়ে অফিসটি বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে খোকসা বাজারস্থ থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কার্যালয়টি বন্ধ করে দেয় বলে দলটির নেতারা অভিযোগ করেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে থানা বিএনপির অফিসটি খুলে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে স্থানীয় নেতারা। তারা এখান থেকে দলবদ্ধ হয়ে বিজয় র্যালি নিয়ে খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এখানেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমে থানা পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। একজন এসআইএর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল থানা বিএনপির কার্যালয়টির আশেপাশে অবস্থান নেয়। পরে অফিস থেকে দলীয় পতাকাটি নামিয়ে থানা বিএনপির অফিসটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য করে বলে স্থানীয় বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: খোকসায় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ সভাপতির ভাই গুলিবিদ্ধ
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আহমেদ রাজু ঘটনার সময় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের চাপে দীর্ঘদিন ধরে থানা বিএনপির প্রধান কার্যালয়টি তালাবন্ধ রাখা হয়। মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনের জন্য তারা সকালে অফিসটি খোলেন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তারা শহীদ মিনারে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে পুলিশ তাদের দলীয় পতাকা নামিয়ে কার্যালয়টি বন্ধ করতে বাধ্য করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল জানান, ওপরের নির্দেশে তারা বিএনপির দলীয় পতাকা নামিয়ে অফিস বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, এমনিতে তাদের ওপর একটি থ্রেট রয়েছে। এ ছাড়া প্রধান দুই দল একত্রে ফুল দিতে গিয়ে যাতে এক না হয়। সেই জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বিএনপি নেতা নাফিজ আহমেদ রাজুর নেতৃত্বে শহীদ বেদিতে তারা ফুল দিয়েছে। পার্টি অফিস বন্ধের বিষয়ে বলেন, অফিসটি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: খোকসায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরেও দেখা মেলেনি কয়েদির, খোকসার উপকারাগারে হাঁস-মুরগির খামার
পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
খুলনা মহানগরীতে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে নগরীর আড়ংঘাটা থানার বাইপাস সড়কের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো-নগরীর আড়ংঘাটা মোড়লপাড়ার মো. খোরশেদ মোড়লের ছেলে বেল্লাল মোড়ল (৪৬), দেয়ানা মধ্যপাড়ার মৃত ফরুক আলম চৌধুরীর ছেলে মো. আজিজুর রহমান ওরফে মিঠু চৌধুরী (৪০), দিঘলিয়া ব্রহ্মগাতী গ্রামের রেজা মুন্সির ছেলে মো. জিহাদ মুন্সি (২৪) ও আড়ংঘাটা দক্ষিণপাড়ার মো. আব্দুস সাত্তার শেখের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২২)।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, নগরীর আড়ংঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
র্যাব-৬ এর এ কর্মকর্তা জানান, আড়ংঘাটা এলাকায় ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী ঘুরতে বের হন। ঘোরাফেরা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আড়ংঘাটা বাজারে যাওয়ার পথে চার ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। পরে তারা ভয়ভীতি দিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামীকে একটি স্থানে আটকে রাখে। পরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে চার ব্যক্তি পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় আসামিরা মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি কোথাও জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে গভীর রাতে ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেয়। ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। পরে ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আড়ংঘাটা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনা জানতে পেরে অভিযানে নামে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তি ও সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় ভিকটিম তার স্বামী জীবন শেখকে নিয়ে ঘোরার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা দৌলতপুর থেকে একটি ইজিবাইকযোগে আড়ংঘাটা বাইপাস মোড়ে এসে নামে। বাইপাস মোড়ে কিছু সময় ঘোরা ফেরার পর পায়ে হেঁটে তারা আড়ংঘাটা বাজারের দিকে আসার পথে মোড়ল পাড়াস্থ নূরানী জামে মসজিদের নিকট আসলে উল্লেখিত আসামিরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের পথরোধ করে। ভিকটিমের স্বামীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে অভিযুক্ত বেল্লাল মোড়লের বাড়ির একতলা ছাদে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় ৪নং আসামি মো. রাসেল শেখ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি জানাজানি করলে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
ভিকটিমের স্বামী জানায়, পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদেরকে তল্লাশির নাম করে একটি স্থানে নিয়ে যায়। পরে আমাকে চোখ বেঁধে একটি স্থানে আটকে রাখে। আমার স্ত্রী দুই ঘন্টা পর অজ্ঞাত স্থান থেকে আমাকে ফোন দিয়ে কান্নারত অবস্থায় ঘটনার বিবরণ দেয়।
তিনি ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়। পরে শুনানি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: লোহাগাড়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
যশোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু
যশোরের মনিরামপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিপুর বটতলা এলাকায় মনিরামপুর-রাজগঞ্জ সড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার মাছনা গ্রামের নাহিদ হোসেন (২২) ও মোহনপুর গ্রামের শিহাব হোসেন (১৮)। সম্পর্কে তার খালাতো ভাই।
খবর পেয়ে মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ দুটি উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভাই নিহত
মনিরামপুরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রাতুল মোল্লা বলেন, ‘বুধবার রাতে দুই যুবক একটি মোটরসাইকেলে চড়ে রাজগঞ্জের দিক থেকে মনিরামপুরে যাচ্ছিলেন। পথে কাশিপুর বটতলা এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর সঙ্গে আঘাত লাগে। এতে তারা ছিটকে সড়কের পাশের খেজুর গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়।
মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান দুই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই র্যাবসহ নিহত ৩
সঙ্খ নদীর বেড়িবাঁধের ওপর পড়েছিল বিরল প্রজাতির শকুনটি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেটির ঠাঁই হয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সঙ্খ নদীর বেড়িবাঁধে শকুনটি আহতাবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা সেটি উদ্ধার করে। পরে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও একটি হিমালয়ী গৃধিনী শকুন উদ্ধার
আনোয়ারা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র দাশ বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার দোলন কান্তি দাশসহ আমরা শকুনটি লোকজনের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। শকুনটি অসুস্থ হওয়ায় আকাশে উড়তে পারছে না। এর বয়স ১৩ থেকে ১৪ মাস হবে। শরীরের ওজন ২৫ থেকে ৩০ কেজি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির এই শকুনটি আজ বৃহস্পতিবার বিকালে চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা এই পাখিটির চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তুলবে বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার পর বন বিভাগ কার্যালয়ে বিলুপ্তপ্রায় শকুন
গাইবান্ধায় বিরল প্রজাতির ৫ শকুন উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এসময় আরও দু’জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুরের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. নয়ন (১৮) ওই এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে।
আহতেরা হলেন-দুর্ঘটনায় নিহত বাবা
নয়নের বাবা সালাউদ্দিন ও শামসুল আলম নামের আরেক ব্যক্তি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুর সবুর।
তিনি জানান, নিহত নয়ন ও তার বাবাসহ তিনজন মোটরসাইকেলে করে ব্যাংকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এসময় গুরুতর আহত হন নয়ন ও তার বাবা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর পর পুলিশ কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করেছে।