সারাদেশ
কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। সোমবার ভোর রাত পৌনে ৪টার থেকে ৪টা মধ্যে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জাতীয় মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের শশীধরপুর গ্রামের মৃত বারী দফাদারের ছেলে গাফফার (৩৮), আজিল প্রামানিকের ছেলে সানোয়ার ওরফে ছানু প্রামানিক (৪০), ইনতা সর্দ্দার (৪৬) ও নঁওগার শাপাহার থানার তাতেল গ্রামের মফিজুলের ছেলে এমদাদুল (৪২)।
আরও পড়ুন: আগস্টে ৪৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৯
পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে স্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটিতে করে ব্যাপারীরা কাঁচামাল কিনতে কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর আসছিলেন। ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের আলাউদ্দিন নগরে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ভটভটিকে ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ভটভটির তিন যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
এছাড়া একই সময়ের কাছাকাছি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জাতীয় মহাসড়কের মহিষাডাঙ্গায় সড়কে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত এবং ছয়জন আহত হন। আহতদেরকে করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কুষ্টিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী জানান, দুটি দুর্ঘটনাই ট্রাকের সঙ্গে ঘটেছে। ভোররাতে অন্ধকারে চালকরা দেখতে না পেয়ে অন্য যানবাহনের সাথে ধাক্কা দেয়।
ওসি জানান, লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শহররক্ষা বাঁধে ভাঙন: পাইকগাছা পৌরসদরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
খুলনার পাইকগাছায় শিবসার জোয়ারে অতিরিক্ত পানির চাপে পৌরকর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে নদীর বুক চিরে গড়ে ওঠা শহর রক্ষাবাঁধ ভেঙে সদরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে থানা সদরের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর, কাঁচা বাজারসহ নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। রবিবার রাতে জোয়ার থেকে বাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরে পানি ঢুকতে শুরু করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, নদীতে জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপে সদ্য নির্মিত শহররক্ষা বাঁধের থানার সামনের অংশ ভেঙে গেছে। এতে ওই এলাকা দিয়ে প্রবল গতিতে বাঁধ অভ্যন্তরে পানি ঢুকে পড়ায় থানার সামনের নির্মিত বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর, কাঁচা বাজার, কাঁকড়া পট্টিসহ নিম্নাঞ্চলে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পথচারীসহ, দোকানিদের ভোগান্তির পাশাপাশি নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে বৃক্ষরাজির।
এর আগে পাইকগাছা পৌরকর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে পৌরশহর রক্ষার নামে অপরিকল্পিতভাবে শিবসা নদীর চরভরাটি অংশ ঘিরে বাঁধ নির্মাণ করে।
চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু এ বাঁধের উদ্বোধন করেন।
শুরু থেকেই চরম সমালোচনার মুখেও শুধুমাত্র শহররক্ষার স্বার্থে বাঁধটি সম্পন্ন হয়। এর মাত্র কিছু দিনের মধ্যেই বাঁধের অভ্যন্তরে খণ্ড খণ্ড করে বেড়িবাঁধ দিয়ে দখল করে শুরু হয় মাছ চাষ। শিবসার চরভরাটি বিস্তীর্ণ এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা বনায়ন প্রকল্পের অভ্যন্তরে পানি জমি থাকায় সেখানকার গাছেও ব্যাপকহারে মড়ক শুরু হয়।এ পরিস্থিতিতে, ৭ দিনের মধ্যে বাঁধ অপসারণের জন্য স্থানীয় পৌরসভাকে নির্দেশ দেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম। তবে এরপরও বাঁধটি অপসারণ না হলেও শেষ পর্যন্ত শিবসার জোয়ারের অতিরিক্ত পানির চাপ সহ্য করতে পারেনি।
শিবসা নদীর তীরে ১৯৯৭ সালে পাইকগাছা পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছরেও নদী তীরে কোন বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি যথাযথ কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় প্রতি পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় শিবসায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে তা ঢুকে পড়তো পৌর অভ্যন্তরে। এতে জনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি দোকানপাট, রাস্তা-ঘাট লোনা পানিতে তলিয়ে যেত। সবুজ বৃক্ষরাজিতেও পড়তো নেতিবাচক প্রভাব।
সর্বশেষ সমালোচনার মুখেও পৌর কর্তৃপক্ষের দেয়া বাঁধটি স্থাপন হলে সুযোগ পায় দখলদাররা। তারা বাঁধের অভ্যন্তরে খণ্ড খণ্ড করে বাঁধ দিয়ে দখলে নিয়ে শুরু করে মাছ চাষ। এছাড়া বাঁধের অভ্যন্তরে জমে থাকা পানিতে মৃত্যু হয় বনায়নের বহু গাছের।
পড়ুন: বন্যা: পাকিস্তানকে সাহায্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি গুতেরেসের আহ্বান
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে নিলামযোগ্য কনটেইনার খুলে পাওয়া গেছে মনোকুলার (এক চোখে দেখার যন্ত্রাংশ) সহ তিনটি এয়ারগান। এ গুলো আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের গুপ্তখালের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে (অকশন ইয়ার্ড) ইনভেন্ট্রির সময় এয়ারগান গুলো পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া নির্গমনে আতঙ্ক
জানা যায়, দেশের নতুন অধ্যাদেশে এয়ারকুলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনারের ইনভেন্ট্রির সময় তিনটি এয়ারগান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো পাখি শিকারের কাজে ব্যবহৃত এয়ারগান। তবে চালানটি কার নামে এসেছে, কে পাঠিয়েছেন, কবে এসেছে এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে ২ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু!
চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট
চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন খালাস না নেয়ার কারণে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুর থেকেস চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে।
প্রথম দিন ধ্বংস করা হয়েছে ৩০টি কন্টেইনার পণ্য। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
তিনি বলেন, রবিবার থেকে পণ্য ধ্বংস করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩৮২টি কনটেইনার আছে, যেগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও পচনশীল পণ্য রয়েছে। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়েছিলো। আমদানিকারকরা বিভিন্ন কারণে বন্দর থেকে এগুলো খালাস করেননি। আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করার। কাস্টমসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পণ্য আনন্দ বাজার ডাম্পিং ডিপোতে ধ্বংস করা হবে। তবে কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য সিলেটে ধ্বংস হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
তিনি বলেন, এর আগেও কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর আগে গত ৮ তারিখেও ৬৩টি কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংসযোগ্য কন্টেইনারের মধ্যে রয়েছে ১৩৬টি রেফার্ড কন্টেইনার, ৩২টি ড্রাই কন্টেইনার। বাকি ২১৪টি বিভিন্ন অফডকে থাকা ড্রাই কন্টেইনার।
মেয়াদোত্তীর্ণ এসব পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। এ কারণে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাটিচাপা দেয়া হবে। এ কারণে কোনো দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে আনা এসব কন্টেইনারভর্তি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস নেয়নি আমদানিকারকরা। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিস দেয়া হয়। নোটিস দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে সেসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। যেসব পণ্যের মেয়াদ থাকে না এবং পচে যায় সেগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক অফিসার ফারুক হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের মোট কনটেইনার ধারণক্ষমতার প্রায় ১৫ শতাংশ ধ্বংসযোগ্য ও নিলামযোগ্য। এগুলো যখন বন্দরে ছিল, তখন এগুলোর পিছনে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যয়ও হয়েছে। এখন এ পণ্যগুলো ধ্বংস করায় নতুন জায়গা খালি হবে। নতুন যে কনটেইনারগুলো সে জায়গা দখল করবে আমরা সেখান থেকে চার্জ পাব। এতে করে আমাদের বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। অর্থাৎ সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে সাত দিনের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। রবিবার থেকে সপ্তাহ ব্যাপী এই বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
অভিযানের প্রথম দিনে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির নতুন ১৮ ওয়ার্ড: নাগরিক সেবায় নেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় চৌদ্দটি (১৪) মামলায় মোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় আজমপুর এলাকায় এডিস ও ডেঙ্গু বিরোধী নাগরিক সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে সাত (০৭) দিনের বিশেষ অভিযানের ঘোষণা দেন।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন গুলশান-২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন ৫১ নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর-১২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন।
উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা প্রাপ্তি স্থানসমূহের লাভা ধ্বংস করে লার্ভা প্রাপ্ত তিনজন ভবন মালিককে ৩টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: প্রায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর নং ১, ৩ ও ৫ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনার করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে ৩টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ৩৯নং ওয়ার্ডের খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসে লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এডিস মশা নির্মূলে সতর্ক করে দেয়া হয়। সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মশক নিধনে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান শুরু
ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান: সপ্তম দিনে ৩.৪৫ লাখ টাকা জরিমানা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশবাহী ৪র্থ রুশ জাহাজ মোংলায় ভিড়েছে
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ নিয়ে আরও একটি রুশ জাহাজ খুলনার মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। রবিবার ‘এমভি ইসানিয়া’ নামের রাশিয়ান পতাকাবাহী ওই জাহাজটি বন্দরের ৮নং জেটিতে নৌঙ্গর করে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার লজিস্টিক লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. শিবলী জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমাদানি করা মালামাল নিয়ে এমভি ইসানিয়া নামে এই জাহাজটি ১৭ আগস্ট রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসে। ২৪ দিনের মাথায় জাহাজটি মোংলা বন্দরে এসে ভিড়েছে।
তিনি জানান, জাহাজটিতে ২৭৪ প্যাকেজে ৯৮৭ মেট্রিকটন ওজনের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল মালামাল রয়েছে। জাহাজটি থেকে মালামাল খালাস করার পর সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন হামলার পর দ্বিতীয় রুশ জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে
তিনি আরও জানান, এই জাহাজটির শিপিং এজেন্টে কনভেয়ার শিপিং লাইন। কনভেয়ার শিপিং লজিস্টিক লিমিটেড পণ্য খালাস করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মালামাল পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে রয়েছে।
মোংলা বন্দর সূত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে আমদানি করা মালামাল মোংলা বন্দর ব্যবহার করে আনা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মাঝখানে রাশিয়া থেকে মালামাল আসা বন্ধ ছিল।
১ আগস্ট রাশিয়া থেকে আবারও রূপপুর পারমাণবিক বিদুকেন্দ্রের মালামাল মোংলা বন্দরে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাশিয়া থেকে চতুর্থ চালানে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে জাহাজ এমভি ইসানিয়া মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১ আগস্ট রাশিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি কামিল্লা, ৫ আগস্ট লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ড্রাগনবল এবং ৬ সেপ্টেম্বর বেলিজ পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ইউনিউইসডম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভেড়ে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন হামলার পর প্রথম রুশ জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে
বরিশালে ৯ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
পূর্ণিমা ও সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বরিশাল।
জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদী, ঝালকাঠীর বিষখালী নদী ও ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৫ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
কুড়িগ্রামে কমেছে নদ-নদীর পানি, বেড়েছে ভাঙন
এছাড়া, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯সেন্টমিটার ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অন্যদিকে, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
তবে বরগুনা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিষখালী নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে।
পাউবোর জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুম জানান, আরও দুই দিন জোয়ারের সময়ে পানি বাড়বে। পানি বৃদ্ধির কারণে বিভাগের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ জেলা-উপজেলা সদরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্য উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, রবিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৬৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাত এবং হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে এক থেকে দুই ফুটেরও বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। পানির উচ্চতা আরও দুই থেকে তিন ফুট বাড়তে পারে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন ও বরিশাল নদী বন্দরকে এক নম্বর সতকর্তা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বরিশালে বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রী হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা অপরবর্তীত থাকতে পারে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে তীরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র-ধরলা নদীর পানি বাড়ছে, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
ফরিদপুরের নদ-নদীর পানি বাড়ছে, ডুবছে ফসল
গুলিস্তানে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
পথচারীদের জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রবিবার গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সকাল ১১টায় থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে।
অভিযানে অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাথ দখলের দায়ে ৯জনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ডিএসসিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর ধারা ৯২ এর উপধারা ৭ ও ৮ এর অধীনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান
মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরুর পর থেকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচলের পরিমাণ বেড়েছে। তাই মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনসাধারণের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনার আলোকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স এবং বঙ্গভবন ও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারগামী ফ্লাইওভার থেকে গুলিস্তান চত্ত্বর এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই রেড জোন থেকে সকল প্রকার হকার এবং রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদে রবিবার অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
সম্পত্তি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত তিন দিন এখানে টানা মাইকিং করা হয়েছে। আমরা এখানে কোনও হকার বসতে এবং কাউকে অবৈধভাবে দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করতে দেবো না। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
তিনি জানান, রাস্তা ও পায়ে হাঁটার পথসমূহকে লাল, হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এর আগে রবিবার সকালে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ডিএসসিসি প্রণীত মহাপরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় রেখে রাস্তা ও হাঁটার পথ যানবাহন ও জন চলাচলের জন্য নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা করবে।
অভিযানকালে করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল হক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের দূর্গম পাহাড়ে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান
খুলনায় অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক পল্ট্রি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার ভূজপুর থানার হাসনাবাদ এলাকা থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মো. ইউসুফ (৩৮) ওই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাত ১১ টার দিকে নিজের মাছের প্রজেক্ট ও মুরগির খামারে উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন ইউসুফ। কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় রবিবার সকালে তার স্ত্রী তাকে খুঁজতে গিয়ে মাছের প্রজেক্টের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
তাদের দাবী দুর্বৃত্তরা ইউসুফকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, সকালে পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ফুটবলারের আত্মহত্যার অভিযোগ
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাবনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত,অভিযুক্ত আটক
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের হান্ডিয়াল সুইসগেট এলাকায় এ ঘটনার পর পর অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত, আহত ৫
নিহত হাফিজুর রহমান (২৬) ওই ইউনিয়নের হাসুপুর গ্রামের ইউসুফ উদ্দিনের ছেলে।
আটক রমজান আলী ফকির (৩৮) বাঘলবাড়ি গ্রামের ইছামুদ্দিন ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছুরিকাঘাতে বিজিবি সদস্য নিহত
চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন জানান, সকালে হাফিজ স্থানীয় সুইস গেটের পাশের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় রমজান আলী তাকে ডেকে সুইসগেটের পাশে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় হাফিজকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত রমজান আলীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
আরও পড়ুন: ছুরিকাঘাতে কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আহত
সহকারী পুলিশ সুপার জানান,তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।