সারাদেশ
মাদারীপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের রাজৈরে এবাদত মুন্সী হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিনাজপুরের বিরল থানার একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাব-৮, মাদারীপুর ক্যাম্প এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার বাবু খালাসী (২০) উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের কাচাবালী গ্রামের মজিবর খালাসীর ছেলে।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র্যাব-৮ মাদারীপুর ও র্যাব-১৩ দিনাজপুর যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করো হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, চলতি মাসের ১৫ আগস্ট রাজৈরের কবিরাজপুর এলাকায় শিকদার সপিং মার্কেটে গল্প করার সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবু খালাসীর ছুরিকাঘাতে এবাদত মুন্সী ও শাহাদত মুন্সী আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৫ আগস্ট এবাদত মুন্সী মারা যায়। এ ঘটনায় ২৬ আগস্ট রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
রক্ত দেয়ার কথা বলে ডেকে হোটেলে ২ তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ!
সিলেট মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মহানগরীর পাঠানটুলাস্থ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই তরুণী সিলেটের জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, ঘটনার পাঁচদিন পর গত ২৮ আগস্ট দুই তরুণী জালালাবাদ থানায় উপস্থিত হয়ে মামলার আবেদন করেন, পরে আদালতের সঙ্গে কথা বলে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাইমিন রহমান রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ গ্রামের মৃত তহুর আলীর ছেলে জুবেল (৩১), পাঠানটুলা এলাকার আলী আকবরের ছেলে রানা আহমদ শিপলু ওরফে শিবলু (৩৫), সুনামগঞ্জ সদর থানার হরিনাপাট গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জন ছাড়াও ধর্ষণকাণ্ডে সহায়তাকারী তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫)।
এছাড়া এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে বাগেরহাটে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে আইএলটিএস পড়ার জন্য সিলেট নগরে আসেন বালাগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী (১৮)। নগরীতে এসে আরেক নাট্যশিল্পী তরুণীর (২৫) সঙ্গে শাহজালাল উপশহরের একটি বাসায় থাকতেন। সেই সুবাদে ওই এলাকার স্নেহা বিউটি পার্লারে গিয়ে তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়।
তানিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে। তিনি শাহজালাল উপশহরের এইচ ব্লকের ৪ নং রোডের আলী ভিলা নামক পাঁচতলা বাসায় ভাড়া থাকেন।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে আইএলটিএস করতে আসা তরুণীর তানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানিয়া ফোন করে ওই তরুণীকে বলে, তার ভাইয়ের জন্য এবি পজিটিভ রক্ত প্রয়োজন। এমন ফোন পেয়ে ওই তরুণীর এবি পজিটিভ রক্ত হওয়ায় ওই তরুণী তার রুমমেট বান্ধবীকে নিয়ে রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালের সামনে যান। সেখানে গিয়ে তানিয়াকে দেখতে পেয়ে রক্ত দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তানিয়া বলে, রক্ত দেয়ার আগে তার এক কাজিনের বাসায় একটু প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন শেষ করে তারা হাসপাতালে যাবে।
এ কথা বলে কৌশলে ওই দুই তরুণীকে হাসপাতালের পাশের গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলায় নিয়ে যায় তানিয়া। তাদের দুজনকে কক্ষে বসিয়ে রাখেন। এসময় তানিয়ার সহযোগী কয়েকজন তরুণ ও যুবক এসে ওই দুই তরুণীকে আটকে রাখে এবং রাত সাড়ে ১১টা থেকে একের পর এক ১০-১২ জন যুবক তাদের দুজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এছাড়াও ভুক্তভোগী এক তরুণীর (১৮) কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে যান তানিয়া ও ধর্ষকরা।
পরদিন (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ভিকটিম দুই তরুণীকে এক কক্ষে নিয়ে তাদের কাছ থেকে ‘ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি’ এ মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় এবং এ কথাগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তাদের ছেড়ে দেন তানিয়া ও তার সহযোগীরা। জিম্মি দশা থেকে ছাড়া পেয়ে পাঁচ দিন পর দুই তরুণী জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বান্ধবীর আমন্ত্রণে সিলেটে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
রাজশাহীতে অবৈধ ক্লিনিকে অভিযান, তালা দিয়ে পালালেন মালিকরা
রাজশাহীতে অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে সিভিল সার্জনের দপ্তর। এ অভিযানের খবরে অন্তত পাঁচটি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মালিক এবং তাদের লোকজন পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে পরে আদেশ দেয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুকের নেতৃত্বে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার অবৈধ লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এসময় কয়েকটি ক্লিনিকে জরিমানা করা হয়। খবর পেয়ে অন্যান্য অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিক তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যান ওইসব ক্লিনিকের কর্মচারী ও নার্সরাও।
রাজশাহী সিভিল সার্জন আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, রাজশাহীতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। নগরীতে তিনটি এবং নয় উপজেলায় নয়টি টিম অভিযান শুরু করেছে।
নিবন্ধন ছাড়া কাউকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে দেয়া বা চিকিৎসার নামে কাউকে বাণিজ্য করতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফের অভিযান
নেত্র নিউজ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের অভিযোগে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’-এর ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন হাসিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুদ্দিন আহম্মেদ তারেক।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন হাসিনুর রহমানকে।
আদালতের বিচারক গোলাম ফারুখ মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপারকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি নুরুল ইসলাম কাকন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম সারওয়ার রাজীব বলেন, মামলার আসামি হাসিনুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার নাথের পাথুয়া বিনয়ঘর গ্রামে। তিনি বর্তমানে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছেন। তিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
মামলার অপর আসামি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন।
তিনি বলেন, হাসিনুর রহমান একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্র, সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে নেত্র নিউজের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন ভিডিওসহ পোস্ট ভাইরাল হয় নেত্র নিউজ থেকে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়।
মিথ্যা, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক এই অপপ্রচারের কারণে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছে বাদী।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
বরিশালে ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা
বরিশালে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
বন্ধ করে দেয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো- রয়েল সিটি সেন্টার, বরিশাল সিটি সেন্টার ও সাইন্স ল্যাব।
অভিযানের প্রথম দিনে বরিশাল নগরীর বান্দরোডস্থ শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কাগজপত্র বিহীন দুটি সিটি স্ক্যান সেন্টারসহ তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় আটশ’র মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। আমরা বরিশাল নগরীতে অভিযান করছি। এছাড়া জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স নেই, খুলনার ২৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের মোট পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। এর মধ্যে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র সঠিক থাকায় সেটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে রয়েল সিটি স্ক্যান নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের বৈধ কোন কাগজপত্রই নেই।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটি সেন্টার নামের যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেটির লাইসেন্স আছে ‘সি’ ক্যাটাগরির। কিন্তু সেখানে সিটি স্ক্যান করা হয়। সিটি স্ক্যানের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স থাকতে হবে। সেটা দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটি সেন্টারে অভিযানকালে দেখা গেছে, ‘হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে একটি স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে সিটি স্ক্যান করার জন্য বরিশাল সিটি সেন্টারে পাঠিয়েচেন চিকিৎসক। স্লিপে চিকিৎসকের সিল ও সই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
অপরদিকে, সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ‘সি’ ক্যাটাগরির হলেও সেখানে হরমন টেস্ট করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী হরমন পরীক্ষার জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স থাকতে হবে। সেটা না থাকায় সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের পূর্ব পাশে সাইন্স ল্যাব নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির কোন কাগজপত্রই নেই। সে কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে জরিমানা
মাগুরায় নিবন্ধনবিহীন ৭ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ
ক্লিনিক থেকে চুরি যাওয়ার ২দিন পর নবজাতক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রাম মহানগরীর আনোয়ারায় ইপিজেড এলাকার ‘মমতা মাতৃসদন’ থেকে একটি চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পূর্ব বারখাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চুরি যাওয়া ওই নবজাতক আনোয়ারা উপজেলার গহিরা এলাকার মো. শহিদ ও তাসমিন আক্তার দম্পতির সন্তান।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পোশাককর্মী ও স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মমতা মাতৃসদন ক্লিনিকে মায়ের কাছ থেকে কৌশলে নবজাতকটি নিয়ে পালিয়ে যায় এক নারী। বিষয়টি হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে।ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, মমতা মাতৃসদন থেকে চুরি হওয়া নবজাতকটি আনোয়ারা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একদম্পতি ও তাদের এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনই নবজাতককে লালন-পালন করার জন্য চুরি করেছিল।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জে উদ্ধার হওয়া নবজাতককে দত্তক নিলেন সেনা কর্মকর্তা
চুরি হওয়া নবজাতকের মামা রায়হান উদ্দীন বলেন, শুক্রবার অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চাটির জন্ম হয়। মোটামুটি বাচ্চাটির সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। রবিবার বিকালে এক নারী নার্স সেজে বাচ্চাকে ইনজেকশন দিতে হবে বলে ক্লিনিকের নিচতলায় নিতে চাইলে আমার বোন তাকে নার্স মনে করে অনুমতি দেন। পরে নিচতলায় গিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বাচ্চাকে পাওয়া যায়নি। সিসিটিভির ফুটেজে এক নারী নবজাতককে নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে নবজাতক উদ্ধার!
হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে নবজাতক উদ্ধার
ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে ৬টি ভিডিও লিংক অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
উসকানিমূলক ও জন জীবনে অস্থিরতা তৈরি করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া এমন ছয়টি ভুয়া সংবাদ ও ভিডিও লিংক অবিলম্বে সরানোর পাশাপাশি তা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ফেসবুক ও ইউটিউবে সব নিউজ ও ভিডিও প্রকাশ বিষয়ে সত্যতা নিরূপণে আইন অনুসারে জবাবদিহির কৌশল নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে ২১ আগস্ট ছয়টি ভুয়া ভিডিও লিংক সরানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসহ এই দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক ও ইউটিউব) বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান।
পরে নোটিশের জবাব না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রিট করেন আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান ও আরাফাত হোসেন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি বিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
রিটে উল্লেখ করা হয়, তারা অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন; যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা এবং জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে, যা সংবিধানের ২৭,৩১,৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন।
এছাড়া বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭এ-এর ধারা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ৮, ১৩, ১৬,২৫ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।
আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা এবং দেশে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে এমন কাজ করা হচ্ছে।
রিটে দাবি করা হয়, বিটিআরসি ও ডিএসএ’র স্পষ্ট নীতি ও ফেসবুক ও ইউটিবের সাম্প্রতিক রেগুলেশন না জানার কারণে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এসব ভিডিও তাদের নিজেদের নীতি পরিপন্থি।
দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
অর্থ পাচারের মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে মঙ্গলবার নোটিশ জারি করেছেন হাইকোর্ট।
নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন।
আগামী ২৩ অক্টোবর মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে দুদকের আইনজীবী এ আবেদন করেন।
গত ২২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো.আসিফুজ্জামান অর্থ পাচার মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন।
তার শারীরিক অবস্থা খারাপের কথা বিবেচনা করে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেন আদালত।
এর মাধ্যমে সম্রাট চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন এবং তার মুক্তিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
জামিনের শর্ত হিসেবে বিচারক তাকে তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলেছেন এবং তাকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আদালতের অনুমতি নিতেও বলা হয়েছে।
সম্রাট ১০ এপ্রিল অর্থ পাচার মামলায় এবং ১১ এপ্রিল মাদক মামলায় ও অস্ত্র আইনের একটি মামলায় জামিন পান।
বহিষ্কৃত এই যুবলীগ নেতা গত বছরের ২৪ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কারাগারে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০১৯ সালের অক্টোবরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব।
পরদিন র্যাব তার কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান চালায়। তার কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল এবং দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া জব্দ করা হয়েছে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন:সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব
সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি অভিযোগ দায়ের করেন র্যাব-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল খালেক। আরমানকে মাদক মামলার আসামি করা হয়।
শেখর চন্দ্র মল্লিক নামে একজন উপপরিদর্শক অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
জ্ঞাত আয়ের বাইরে দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন সিআইডির উপপরিদর্শক রাশেদুর রহমান। গত নভেম্বরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন:দুদকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পাননি হলমার্কের জেসমিন
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
সিলেটে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার২
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সাড়ে ১২শ' পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুজনকে গ্রেপ্তার করার দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার রণকেলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার রণকেলী উত্তর গ্রামের রকলিছ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৩) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার লগাটি গ্রামের আব্দুল মন্নান ফারুকের ছেলে ফাহিম আহমদ (২৯)।জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) পার্থ সারথি দাসের নেতৃত্বে রণকেলী উত্তর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে এক হাজার ২৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজধানীতে আটক ৩, ইয়াবা জব্দ
এছাড়াও অভিযুক্ত ফাহিম আহমদকে ১০ পিস ইয়াবা ট্যবলেট সহ গ্রেপ্তার করা হয়।এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও তিনজন পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আসামিসহ পলাতক আরও তিনজনের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করা হয়।মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিদেরকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ ও ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ, আটক ২
কক্সবাজারে ৩ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ
দুদকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পাননি হলমার্কের জেসমিন
ব্যাংক থেকে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের জামিন আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ জেসমিনের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবীখুরশীদ আলম খান।
এর আগে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রুল মঞ্জুর করে এ মামলায় জেসমিন ইসলামকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ জামিনের পর কারামুক্তি পান জেসমিন ইসলাম। পরে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১৫ জুন তার জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী আত্মসমর্পণের পর থেকে জেসমিন ইসলাম কারাগারে রয়েছে।
তবে দীর্ঘদিনেও এ মামলায় দুদক চার্জশীট না দেয়ায় ফের হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন জেসমিন ইসলাম। আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করায় হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে আপিল বিভাগে যেতে বলেন।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এই মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। ওই দিন বিকালেই তাকে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম এবং তার স্বামী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন।
প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় মামলায়।
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুদকের করা মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। এ মামলায় জেসমিন ইসলাম একই বছরের ৬ অক্টোবর জামিন পান।
আরও পড়ুন:ইউএস-বাংলার ব্যাংকক ফ্লাইটের টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের