সারাদেশ
পদ্মায় নৌকাডুবিতে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ফিল্টেরহাট এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নিখোঁজ সানজিদা উপজেলার চরজগন্নাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
পড়ুন: সিলেটে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরেকজনের লাশ উদ্ধার
শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রজব আলী শেখ জানান, রবিবার(৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ১৩ শিক্ষার্থী। ফিল্টেরহাট ঘাটে নৌকার মাঝি না পেয়ে তারা নিজেরাই নৌকা চালিয়ে নদী পার হয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে নদীর মাঝামাঝি পৌঁছালে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে ১২ জনকে উদ্ধার করলেও সাজিদা নামের এক ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে, তবে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এখনও তার মৃতদেহ খুঁজে পায়নি।
আরও পড়ুন: নৌকাডুবি: সুনামগঞ্জের হাওরে নিখোঁজ ২ কৃষক
গড়াই নদীতে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ১
পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একই স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে উপজেলার শরৎনগর বাজার এলাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এবং জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শরৎনগর বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও যদি কোন পক্ষ মিছিল-সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পড়ুন: পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ১৪৪ ধারা জারির চিঠি পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছি। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের ৭-৮ দিন আগে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়া ছিল। এটা আমাদের চলমান কর্মসূচি, সেটা সরকার পতনের নয়, শুধুমাত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচি। এমন কর্মসূচিতে যদি বাধা দেয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে অগণতান্ত্রিক ও অসভ্যতা আর কি হতে পারে?
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, বিএনপির এটা মূলত নৈরাজ্য সৃষ্টির কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ভাঙ্গুড়া তো শান্তিপূর্ণ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তাই এখানে যেন কোন ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা একটা কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।
আরও পড়ুন: পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
পাবনায় ‘চরমপন্থী’ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এরশাদ শেখ (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চলনা গ্রামের মাদারতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ শেখ চলনা গ্রামের মাদারতলা এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।
পড়ুন: পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকালে জমির ফসল ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র প্রথমে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাতে দুই গ্রুপ আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়ায় এবং বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি চলে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
তিনি জানান, আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ এরশাদ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আরও উত্তেজনা দেখা দেয় এবং বেশ কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিরোধের জেরে সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনায় চেয়ারম্যানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা
রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৯, আহত ৫০
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় রবিবার রাতে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নয়জন নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোরশেদ জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের ইকোরচালী হাজীপাড়া এলাকার খারুভজ ব্রিজের কাছে প্রবল বৃষ্টির সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ‘জয়না পরিবহন’-এর একটি বাসের সঙ্গে ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: রংপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ২
তিনি জানান, এসময় ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফরহাদুজ্জামান জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আরও চারজন মারা যান।
এছাড়া আহত দু’জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
টাঙ্গাইলে রাইসমিলে দুর্ঘটনা, ৩ শ্রমিক নিহত
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার দুবাইল এলাকায় রবিবার রাতে একটি অটোমেটিক রাইসমিলের সাইলো ভেঙে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রামের ঘোরাহারা গ্রামের নুরুল ইসলাম, একই জেলার ভবদার বাজার গ্রামের নাজমুল ওরফে আরিফ এবং নাইমুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকালে একতা এগ্রোফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড নামের ওই রাইসমিলে নতুন সাইলো ও ক্রাসার মেশিন সংযোজন করা হয়। তিন শিফটে কাজ চলা কারখানার রাতের শিফটের ছয় কর্মী কাজ শুরু করেন। রাত ৯টায় বিকট শব্দে সাইলো, ক্রাসার মেশিন প্রায় এক হাজার মন বস্তাবন্দী চালসহ ভেঙে পড়ে। কর্মরত শ্রমিকরা সবাই এর নিচে চাপা পড়ে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। গুরুতর আহত নুরুল ইসলামকে গোপালপুর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অপর দু’জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে গোপালপুর ও মধুপুর উপজেলার দুটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট অভিযান চালাচ্ছে।
পড়ুন: বিআরটি গার্ডার ট্র্যাজেডি: দুর্ঘটনার ১২ কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত সংস্থা
আগস্টে ৪৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৯
পতেঙ্গায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরের দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, রবিবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা সমুদ্র উপকূলের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নিহতের শরীরের পেছনের দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বয়স আনুমানিক (৪০)।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাড়ির উঠান থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
সীমান্ত টহল: টেক্সাসের রিও গ্র্যান্ডে ৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতায় কাতারের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে
আইনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতায় কাতারের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট ফর কো-অপারেশন ইন দ্য লিগ্যাল ফিল্ড’ শীর্ষক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এটি কাতারের সঙ্গে আইনগত সহায়তা চুক্তি। এর মানে এই নয় যে, আসামি বিনিময় হবে। এটা হলো- ওদের লিগ্যাল সিস্টেমটা কেমন আছে, কীভাবে অপারেট করে, ওদের শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা কেমন, ওদের জেলা বা এগুলো কীভাবে চলে? তাদের (কাতার) সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের আইন মন্ত্রণালয়ের একটা চুক্তি হবে। চুক্তি হলে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে যে আইনি ক্ষেত্রগুলো আছে, সেখানে সহযোগিতা করা যাবে।’মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনি ক্ষেত্রে ওদের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, এদের সঙ্গে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম (বিনিময় কর্মসূচি) করতে পারবে। এখান থেকে লোক ওখানে যেতে পারবে। ওদের কর্মকর্তারা এখানে আসতে পারবে।’তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে সেক্ষেত্রে বারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবে। ওদের বার কীভাবে চলে, আমাদের বার কীভাবে চলে। উভয় দেশ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় করতে পারবে।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রীআন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের প্রটোকল ৫০(এ) এবং ৫৬ সংশোধন অনুসমর্থনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইসিএ ও (ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন) কাউন্সিলের সদস্য হলো ৩৬ জন, এটাকে ৪০ জন করতে হবে। আর এয়ার নেভিগেশনের কমিশনের সদস্য সংখ্যা ১৯ থেকে ২১ করতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক চুক্তি, এটা আগেই করা ছিল। তাই ছোট দুটি সংশোধনের জন্য এটা মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও সংখ্যালঘুরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
মাদার অব হিউম্যানিটি পদকের নাম পরিবর্তন
‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক’-এর নাম বদলে ‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক’- নির্ধারণ করেছে মন্ত্রিসভা।
পদকটির নাম পরিবর্তন করে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা’র নাম সংশোধনসহ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
রবিবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:নওগাঁ ও মেহেরপুরে ২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালার নাম সংশোধনের একটা প্রস্তাব ছিল। এর আগে যখন পুরস্কার দেয়া হয়েছিলো তখন জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যরা বলেছিলেন, এই নামটা পরিবর্তন করা দরকার। সেজন্য তারা তিনটি নাম প্রস্তাব করেন, রবিবার মন্ত্রিসভা আলাপ-আলোচনা করে এটার নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২২’ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে মাদার অব হিউম্যানিটি পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছিলো। আজকে মন্ত্রিসভা এটাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে জনগণের কাছে যান, জ্বালানি বিভাগকে মন্ত্রিসভা
মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন
আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন: হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রসঙ্গে এএনআইকে শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছিল তাদের দৃষ্টি এড়াতে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে দিল্লির পান্ডারা রোডে একটি ভিন্ন পরিচয়ে বসবাস করতেন।
এই ঘটনার প্রায় পাঁচ দশক পরে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী তার এ ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
১৯৭৫ সালে খুব অল্প সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী বর্ণনা করেন হাসিনা। যখন তিনি তার পরমাণু বিজ্ঞানী স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে জার্মানিতে যান।
১৯৭৫ সালের ৩০শে জুলাই শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে বিদায় দিতে তার পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে এসেছিলেন। এটা একটা সুখকর বিদায় ছিল এবং শেখ হাসিনার কোনো ধারণা ছিল না যে এটাই বাবা-মায়ের সঙ্গে তার শেষ দেখা হবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার স্বামী বিদেশে থাকায় আমি একই বাড়িতে (আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে) থাকতাম। সেদিন সবাই সেখানে ছিল: আমার বাবা, মা, আমার তিন ভাই, দুই ভাইয়ের স্ত্রী। তারা আমাদের বিদায় দিতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন... সেটাই ছিল শেষ দিন, আপনারা জানেন।’
পনেরো দিন পরে ১৫ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনা এমন খবর পান, যা তার জন্য বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তার পিতার মৃত্যুর খবরেই ভয়াবহতা থামেনি, এরপর একে একে তিনি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মৃত্যুর কথা জানতে পারেন।
শেখ হাসিনা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। অবিশ্বাস্য যে কোনো বাঙালি এটা করতে পারে। কিন্তু তখনও আমরা জানতে পারিনি কিভাবে, আসলে কি ঘটেছে। আমরা শুধুমাত্র জানতে পারি যে একটি অভ্যুত্থান হয়েছিল এবং তারপরে আমরা শুনেছিলাম যে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম না যে পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমদিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত একটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিসেস ইন্দিরা গান্ধী অবিলম্বে খবর পাঠিয়েছিলেন যে তিনি আমাদের, মানে নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিতে চান। আমরা আশ্রয়ের প্রস্তাব পেয়েছি... বিশেষ করে যুগোস্লাভিয়া থেকে মার্শাল টিটো ও মিসেস গান্ধীর কাছ থেকে। আমরা সেখানে (দিল্লি) যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা যদি দিল্লি যাই, সেখান থেকে আমরা আমাদের দেশে ফিরে যেতে পারব। এবং তারপরে আমরা জানতে পারব পরিবারের কতজন সদস্য এখনও বেঁচে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি খুব কঠিন সময় ছিল।’
তিনি আরও বলেন, জার্মানিতে নিযুক্ত তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীই প্রথম ব্যক্তি যিনি তার পরিবারের গণহত্যার বিবরণ দেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কয়েক মুহুর্তের জন্য, আমি জানতাম না আমি কোথায় আছি। কিন্তু আমি আমার বোনের কথা ভেবেছিলাম... সে আমার থেকে ১০ বছরের ছোট। তাই, আমি ভাবলাম সে এটা কিভাবে নেবে। এটা তার জন্য খুব কঠিন ছিল... দিল্লিতে, প্রথমে, তারা আমাদেরকে সমস্ত নিরাপত্তাসহ একটি বাড়িতে রেখেছিল, কারণ তারাও আমাদের নিয়ে চিন্তিত ছিল।’
তিনিও সম্ভাব্য (হত্যার) টার্গেট বলে মনে করেন কিনা জানতে চাইলে হাসিনা বলেন, যারা তার বাবাকে হত্যা করেছে, তারা অন্য আত্মীয়দের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে এবং তার আত্মীয়দের কয়েকজনকে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিহত ১৮ জন সদস্যের মধ্যে বেশিরভাগই আমার আত্মীয়, কিছু গৃহকর্মী ও তাদের সন্তান এবং কিছু অতিথি নিহত হন।
ষড়যন্ত্রকারীদের স্পষ্ট লক্ষ্য ছিল- বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ যেন আর ক্ষমতায় না আসে।
তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর...তারা তাকেও রেহাই দেয়নি। আমরা যখন দিল্লিতে ফিরে আসি, তখন সম্ভবত ২৪শে আগস্ট… তখন আমি প্রধানমন্ত্রী মিসেস গান্ধীর সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের ডাকলেন... সেখানে আমরা জানতে পারলাম কেউ বেঁচে নেই। তিনি আমার স্বামীর জন্য একটি চাকরি এবং এই পান্ডার রোডের বাড়ির জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন। আমরা সেখানেই থাকলাম।
‘প্রথম ২-৩ বছর এটা মেনে নেয়া খুব কঠিন ছিল। আমার বাচ্চারা, আমার ছেলের বয়স ছিল মাত্র চার বছর। আমার মেয়ে, সে ছোট ছিল… দুজনেই কাঁদত। তারা আমার মা, আমার বাবার কাছে ফিরে যেতে চাইতো এবং তারা এখনও আমার ছোট ভাইকে সবচেয়ে বেশি মনে রেখেছে’, আর যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এত কিছু হারিয়ে গেলেও, হাসিনাও বুঝতে পেরেছিলেন যে তাকে আগামীর কথা ভাবতে হবে।
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এই অপরাধ, তারা শুধু আমার বাবাকে হত্যা করেনি, পরো জাতিকে তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকেও দূরে সরিয়ে দিয়েছে। সব কিছু, শুধু এক রাতে, সবকিছু বদলে গেল। এবং সেই খুনিরা... তারা এখনও আমাদের তাড়া করছে। আমরা কোথায় ছিলাম তারা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিল, তাই আমরা যখন পান্ডারা রোডে থাকতাম, তখন আমাদের নাম পরিবর্তন করতে হয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবং আপনি নিজের নাম, নিজের পরিচয় ব্যবহার করতে পারছেন না এটা খুবই বেদনাদায়ক ছিল।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এত বড় দলের দায়িত্ব নেয়ার কথা আমি কখনও ভাবিনি।’
সেসময় শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন এবং এমনকি ১৯৮০ সালের ১৬ই আগস্ট লন্ডনে একটি জনসভায় দেয়া ভাষণে তিনি তার বাবার খুনিদের শাস্তির দাবি জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের বিচারের আওতায় আনা বা তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য, যাতে তারা বিচারের আওতায় আসে, কারণ তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছিল। একটি অধ্যাদেশ ছিল... খুনিরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং দায়মুক্তি পেয়েছে... তারা দাবি করেছিল যে হ্যাঁ, তারা এই অপরাধ করেছে এবং তারা খুব সোচ্চার ছিল। কারণ তারা ভেবেছিল তারা খুব শক্তিশালী।’
সে সময় তিনি অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করার ক্যাম্পেইন চালিয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘একদিকে আমরা সবাইকে হারিয়েছি, অন্যদিকে আমি বিচার চাইতে পারি না। ন্যায়বিচার করা হচ্ছিল না। তাই এমন অবস্থা হয়েছিল। তারপর আবার, ১৯৮০ বা ৮১’র দিকে আমি দিল্লিতে ফিরে আসি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছিল। ‘আওয়ামী লীগের একটি সম্মেলন হয়েছিল, এবং সে সময় তারা আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে দলের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিল।’
আরও পড়ুন:নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি জানান, অবশেষে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে আবার দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা আমাকে বেশ কয়েকবার হত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি বেঁচে গিয়েছি। দিবালোকে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। আমি জানি না কিভাবে বেঁচে গেলাম। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা আমাকে ঢেকে দিয়েছে, মানব ঢাল বানিয়েছে, তাই তাদের গাঁয়ে সব স্প্লিন্টার ঢুকেছে কিন্তু আমি... আমি বেঁচে গেছি... তারা আমার মিটিংয়ে একটা বিশাল বোমা রেখেছিল... কোনোরকমে এটা আবিষ্কৃত হলো... তাই, আমি আবার বেঁচে গেলাম। আমি জানি না... আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন, হয়তো আল্লাহ আমাকে কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন পালনের জন্য।’
আরও পড়ুন:রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাদ্য আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার মন্ত্রীসভা বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই পাঁচটি দেশের সঙ্গে খাদ্য আমদানি চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শুধু এর ওপর নির্ভর না করে বিকল্প হিসেবে আরও কয়েকটি উৎসকে প্রস্তুত রাখতে হবে যাতে শেষ মূহুর্তে কোনো জটিলতা না হয়।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এছাড়াও, রাশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানিতে কোনো সমস্যা নেই, আমরা চেক করেছি। প্রয়োজনে অনান্য দেশ থেকে আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
আরও পড়ুন:রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই মুহুর্তে দেশে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুদ আছে। নভেম্বরে বিশ্বে যে খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা আছে, তাতে অনেক কমফোর্টেবল অবস্থায় আমরা আছি।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী