সারাদেশ
দুদকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পাননি হলমার্কের জেসমিন
ব্যাংক থেকে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের জামিন আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ জেসমিনের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবীখুরশীদ আলম খান।
এর আগে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রুল মঞ্জুর করে এ মামলায় জেসমিন ইসলামকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ জামিনের পর কারামুক্তি পান জেসমিন ইসলাম। পরে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১৫ জুন তার জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী আত্মসমর্পণের পর থেকে জেসমিন ইসলাম কারাগারে রয়েছে।
তবে দীর্ঘদিনেও এ মামলায় দুদক চার্জশীট না দেয়ায় ফের হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন জেসমিন ইসলাম। আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করায় হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে আপিল বিভাগে যেতে বলেন।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এই মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। ওই দিন বিকালেই তাকে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম এবং তার স্বামী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন।
প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় মামলায়।
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুদকের করা মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। এ মামলায় জেসমিন ইসলাম একই বছরের ৬ অক্টোবর জামিন পান।
আরও পড়ুন:ইউএস-বাংলার ব্যাংকক ফ্লাইটের টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
কেরানীগঞ্জে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয় সদস্য গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন।
তারা হলেন-বেগম (৬০), ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬), মো. সাহাদৎ হোসেন (২০) মারিয়া আক্তার (৮) ও মো. ইয়াছিন (১২।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উর রশিদ জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জিঞ্জিরার মান্দাইল এলাকার একটি বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানায় ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ৩
আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, বিস্ফোরণে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন:কাবুলে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১০
ঢাকায় গোডাউনে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক: খুলনায় ৪ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
খুলনার ২২টি অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সোমবার সকাল থেকে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় লাইসেন্স ও আবেদন না থাকায় নগরীর চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের চিঠি দেয় খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. মঞ্জুরুল মুর্শিদ বলেন, খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক পরিচালিত হয়ে আসছে। তারা রাতারতি অলিগলির মধ্যে গড়ে তুলছে এ সব সেন্টার।
তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীর শান্তিধাম মোড়ের ‘শান্তিধাম ল্যাবকেয়ার’ ডায়াগস্টিক সেন্টারের কোন আবেদন না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া শাসছুর রহমান রোডে ‘ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’, ‘এক্সপার্ট শ্যাম্পল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এবং টুটপাড়ার তালতলা এলাকার ‘সুর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ডায়গনস্টিক সেন্টার’ এর কোন লাইসেন্স না থাকায় বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে খুলনায় ১ ভাই নিহত, অপর ভাই আহত
তিনি জানান, অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কোনভাবেই চলতে দেয়া হবে না। তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, জেলার ৯ উপজেলায় সোমবার সকাল থেকে অনুসন্ধান চালানো হয়। এসময় প্রতি উপজেলায় দু’টি করে মোট ১৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালকদের চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, দ্রুত বৈধ কাগজপত্র নিয়ে সিভিল সার্জন দপ্তরে হাজির হতে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় অলিগলির মধ্যে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তাদের অনেকেরই ক্লিনিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। তাছাড়া অনেকেই আবেদন করে এখনও লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারেনি। তারা যদি কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত
খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোরে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
যশোরে ৫২ বছর বয়সী এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ৭টার দিকে শহরের আশ্রম রোডের বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রওশনারা রোশনি আশ্রম মোড় এলাকার সাবেক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মৃত মুস্তাফিজুর রহমান মনুর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুর থেকে ২ ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানায়, রোশনির দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে আমেরিকা প্রবাসী এবং মেয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। সোমবার সকালেও তিনি ফোনে আমেরিকা প্রবাসী নাতি নাতনিদের সঙ্গে কথা বলেন। বিকালে নিহতের মা ওই বাড়ির ঘরের দরজায় তালা লাগানো এবং ঘরের ভেতরে জিনিসপত্র এলোমেলো দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘরের বক্সখাট থেকে রোশনির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে যুবকের লাশ উদ্ধার
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, নিহতের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সকালেও তাকে অনেকে জীবিত দেখেছেন। দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর লাশ!
সিলেটে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরীর শাহপরান থানাধীন টুলটিকর এলাকায় নিজ বাড়ির জানালার গ্রিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাজমিন বেগম (৪০) ওই এলাকার মিয়াবাগের বন্ধন হাউসের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী। তিনি একই এলাকার মিরাপাড়ার (মৃত) ইছন মিয়ার মেয়ে।
প্রতিবেশীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সন্তানরা ঘরে টেলিভিশন দেখছিল। হঠাৎ তারা তাদের মাকে (রাজমিন) ঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে। এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ওড়না খুলে রাজমিনের ঝুলন্ত দেহ নামান। পরে খবর পেয়ে তার স্বামী সবজি ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন শ্যালককে নিয়ে বাসায় এসে রাজমিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশের ধারণা, রাজমিন বেগম (৪০) নামের ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
রাজমিনের চাচা রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে এসে রাজমিনকে মৃত দেখতে পাই। আমাদের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় আমার ভাতিজিকে নাছির উদ্দিন মারধর করে। এতে সে মারা যায়। আর সকালে অসুস্থতার নাটক করে নাছির উদ্দিন আমার ভাতিজিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি জানান, গত কয়েকমাস ধরে নাছির উদ্দিন আরেকটি বিয়ে করবে বলে আমার ভাতিজির সম্মতি নিতে চাপ দিচ্ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এর আগেও রাজমিনকে মারধর করেছে নাছির উদ্দিন।
নাছির মৃত রাজমিনের লাশের ময়না তদন্ত করাতে ইচ্ছুক নয় বলেও জানান রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি- ময়না তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করে নাছিরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হোক।
এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিকভাবে রাজমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। তিনি জানান, সন্তানেরা তার দেহ জানালায় ঝুলতে দেখে চিৎকার করে। পরে প্রতিবেশীরা এসে দেহটি নামান।
লাশের ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুকুরে মিলল গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূর লাশ!
উঠানের আম গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ!
পুকুরে মিলল গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূর লাশ!
সিলেটের কানাইঘাটে পুকুর থেকে গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে বাড়ির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মুসলিমা বেগম কানাইঘাট উপজেলার বীরদল আগফৌদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী হেলাল আহমদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নাটোরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
পরিবার সূত্র জানায়, রবিবার রাতে শিশুসন্তান আরিফ আফসারকে নিয়ে নিজের কক্ষে ঘুমাতে যান মুসলিমা বেগম। ভোরে আরিফের কান্না শুনতে পেয়ে পরিবারের লোকজন মুসলিমাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে রুম বন্ধ করে দেয়া। ভেতরে ঢুকে তারা শিশু আরিফকে হাত বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। মুসলিমাকে ঘরে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বাড়ির পুকুরঘাটে তার জুতা দেখতে পান।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত তাজুল ইসলাম বলেন, রহস্যজনক এই নিখোঁজের খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুকুরে তল্লাশি চালায়। এসময় গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় মুসলিমার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা মনে করা হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: উঠানের আম গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ!
খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরিশালে সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে শাহ আলম (৪০) নামে এক সিএনজি চালককে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক আড়ত মালিক ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
রবিবার রাত তিনটার পর বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহ আলমকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহ আলম বরিশাল নগরীর রসূলপুর এলাকার মোসলেম হাওলাদারের ছেলে। তিনি আগে নগরীর পোর্ট রোডের ফলের আড়ত সুজন বাণিজ্য ভান্ডারে কাজ করতেন। পরে নগরীতে সিএনজি চালানো শুরু করেন তিনি।
শাহ আলমের স্বজন শুভ বলেন, শাহ আলম ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুজন খানের আড়তে কাজ করতেন। সুজন খান এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পেত শাহ আলমের কাছে। বর্তমানে শাহ আলম সিএনজি চালক।
তিনি আরও বলেন, রবিবার রাত ১১টার দিকে শাহ আলম সিএনজি নিয়ে রসূলপুর আসার পথে সুজন খান ও তার লোকজন শাহ আলমকে আটকে সুজনের পোর্ট রোডস্থ আড়তে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে পাওনা টাকা না পেয়ে শাহ আলমের চালিত সিএনজি রেখে তাকে রিকশায় করে পাঠিয়ে দেয় সুজন। এরপর শাহ আলম রাস্তায় বসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, আমরা প্রথমে শুনেছিলাম গতরাত ৩টার দিকে রিকশায় করে বাসায় যাওয়ার পথে রসূলপুর ব্রিজে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহ আলম। এরপর রিকশা চালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি শাহ আলম নামের ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে এবং এর ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এসব বিষয় শুনে আমরা শাহ আলমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। সোমবার ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ দিলে সেই অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পেকুয়ায় হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
মীরসরাইয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহী শহরে চালু হলো সিটি সার্ভিস
হঠাৎ অটোরিকশা বন্ধ করে জনগণকে জিম্মি করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এই নৈরাজ্য থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে সোমবার সকাল থেকে রাজশাহী নগরীতে নামানো হয়েছে ইন্টার সিটিবাস। অল্পপরিসরে সাধারণ যাত্রী এসব বাসে করে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চালক-মালিকদের একাংশ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শহরের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীসহ লাখো মানুষ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিয়ালের কামড়ে ১৮ কৃষক আহত
এই সুযোগে কিছু অটোচালক ও চার্জার চালিত রিকশা চালকদের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া আদায় করে নেয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে দিনভর নগরীতে বিভিন্ন জায়গায় হট্টগোলও দেখা দেয়।
রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বলেন, গত দুদিন থেকে অটোরিকশা চালক-মালিকরা চলাচল বন্ধ করে দিলে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়ে। এছাড়াও অটোচালকদের জিম্মিদশা থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাথমিক অবস্থায় ৩০টি বাস চলাচল করছে। সোমবার বিকাল থেকে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেছে।
রাসিক মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে সিটিং সার্ভিস বাস নামানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত নিজেদের উদ্যোগে এই সার্ভিস চালু করা হচ্ছে পরবর্তিতে এসব চিন্তা ভাবনা করা হবে বলে জানান।
ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ছাড় রাখা হয়েছে কিনা এসব বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। শহরের মধ্যে ৫ টাকা ১০ টাকা ভাড়া এভাবেই চলবে।
তবে কেবল মাত্র শুরুর পরে এসব বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাজশাহী সিটির ৯৫২ পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশ
প্রেমের টানে রাজশাহীতে মালয়েশিয়ান তরুণী
স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যাচেষ্টার অভিযোগ
শেরপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার পর কীটনাশক পান করে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ভোরে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়া পরানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পারভীন বেগম (৩২) অভিযুক্ত মো.শফিকুল ইসলামের (৩৮)স্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারকে জানায়, বয়ড়া পরানপুর গ্রামের সোহরাব আলীর মেয়ে পারভীন বেগমের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয় হাওড়া আমতলা গ্রামের মন মিয়ার ছেলে মো.শফিকুল ইসলামের। সুমি ও পারভেজ নামের তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। শেরপুর পৌর শহরের আল বারাকা প্রাইভেট হাসপাতালে পারভীন আয়ার কাজ শুরু করেন। গত কয়েক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। রবিবার রাতে শফিকুল তার শ্বশুর বাড়িতে যান। সোমবার ভোরে ঘুমন্ত স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার পর শফিকুল নিজে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
সকালে তাদের কোন শব্দ না পেয়ে শ্বাশুড়ি জামেলা বেগম ঘরে উঁকি দিয়ে পারভীনের লাশ মেঝেতে ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হওয়া অবস্থায় শফিকুলকে দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে বাড়ির অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসেন এবং সদর থানায় খবর দেন।
আরও পড়ুন:সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘ব্ল্যাকমেইল’
সংবাদ পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পারভীন বেগমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠান এবং শফিকুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠান।
পুলিশ বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে গভীর অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান আছে।
আরও পড়ুন:গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু
প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা!
আ.লীগের তোপের মুখে ভোলা ছাড়লেন হাফিজ ইব্রাহিম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে ভোলায় এসে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও তোপের মুখে ভোলা ছাড়লেন ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশি পাহারায় ভোলা ছাড়েন তিনি।
এদিকে, সোমবার সকালেও ভোলা শহরে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাফিজ ইব্রাহিম শনিবার রাতে ভোলা এসে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে রাত্রি যাপন করেন। রবিবার সকালে বোরহান উদ্দিন বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে হাফিজ ইব্রাহিমের অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা কারণে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে বোরহান উদ্দিন যেতে দেয়নি। এতে করে হাফিজ ইব্রাহিম ক্ষুব্ধ হয়ে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন:আ.লীগ নেতা নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক