সারাদেশ
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভোলার ২ যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের নিয়ে খেতে যান ও অপরজন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী হিসেবে কর্মস্থলে যোগ দেন। দুই পরিবারে চলছে স্বজনদের আহাজারি।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এমদাদুল হক জোনায়েদ আাহমদ (২৪) বৃহস্পতিবার মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষে ৪ বন্ধু নিয়ে ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান। অগ্নিকাণ্ডে বের হতে না পেরে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শুক্রবার বিকালে তার মৃতদেহ ভোলায় আনা হলে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
তার স্বজনরা জানান, ভোলার বিএভিএস সড়কের অবসরপ্রাপ্ত ভূমি অফিসের জেলা কর্মকর্তা মাইনুল হক হারুনের একমাত্র ছেলে। মা-বাবা ও দুই বোনসহ তারা ঢাকায় বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার বাসা থেকে মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বের হন। পরীক্ষা শেষে ৪ বন্ধু মিলে বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
খাবারের অর্ডার দেওয়ার পর বন্ধুরা গল্প করছিলেন। এর মধ্যে সিয়াম টয়লেটে যান। টয়লেটে গিয়ে ধোঁয়া দেখে তিনি দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নিচে চলে আসেন এবং ফোনে বন্ধুদের দ্রুত নামতে বলেন।
বন্ধুরা সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেলে সেখানে বিস্ফোরণে আগুন চলে আসলে তারা ৩ বন্ধু আটকা পড়ে আর বের হতে পারেননি।
এ অবস্থায় শেষবারের মতো তার মায়ের সঙ্গে মোবাইলে রাত ১০টার দিকে কথা হয়। জোনায়েদ বলেন, ‘মা আমি বেইলি রোডে আছি। আমি আসতেছি।’
এটাই ছিল তারা শেষ কথা। এরপর তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই জোনায়েদের মৃত্যু হয়। পরে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আংটি দেখে জোনায়েদকে শনাক্ত করা হয়।
এদিকে ভোলায় খলিফাপট্টি জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে কালিবাড়ি রোড বিল্লা মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সন্ধ্যার দিকে দাফন করা হয়।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের চাকরিতে যোগ দেন ভোলা সদর উপজেলা চর কুমারিয়া গ্রামের মো. সিরাজের ছেলে মো. নয়ন।
দরিদ্র কৃষক বাবাকে অর্থের যোগান দিতে কাচ্চি রেস্টুরেন্টে কাজ নেন। আর তার জীবিত ফেরা হয়নি বাড়িতে। অগ্নিকাণ্ডে আদরের ছোট ছেলেকে হারিয়ে শুক্রবার সারাদিন প্রলাপ করেছেন মা। আর নির্বাক বাবা অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন ছেলেকে শেষবার দেখার জন্য।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪৬টির মধ্যে ৩৯টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
দুর্ঘটনার প্রায় ৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ছেলের মৃত্যুর খবর পান নাজমা ও তার পরিবার। সেই থেকেই চলছে তার বিলাপ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা ১৯ বছর বয়সী নয়ন ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চাকরির সন্ধানে ঢাকায় যান। বাবুর্চির সহকারী হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে যোগদান করেন। ওইরাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শুক্রবার সকালে পরিবারের কাছে মৃত্যুর খবর আসে।
এদিকে নিহতের ভাই দুপুরে ঢাকা মেকিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ চিহ্নিত করেন। নয়নের বাবা-মায়ের দাবি কর্মস্থলে এমনভাবে আর কাউকে যেন প্রাণ দিতে না হয়। সিরাজ-নাজমা দম্পত্তির ৬ সন্তানের মধ্যে নয়ন সবার ছোট।
নয়নের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের মৃত্যুর খবরে নির্বাক নয়নের বাবা মো. সিরাজ। ছেলের এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যর খবর কোনোভাবেই মানতে পারছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর আসার পর থেকেই নির্বাক বসে আছেন। ছেলের লাশের অপেক্ষায় গ্রহর গুনছিলেন। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে এসেছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
লালমনিরহাটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
মহাসড়ক পাড় হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সোলাইমান আলী (৭০) নামে মসজিদের সাবেক এক ইমাম নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সোলাইমান আদিতমারী এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় বাইতুন নুর জামে মসজিদের সাবেক ইমাম।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় আগুনে পুড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আদিতমারী বুড়ির বাজার জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটের সামনে আসেন সোলাইমান আলী। পরে অটোরিকশা থেকে নেমে সড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল পেছন দিক থেকে তাকে ধাক্কা দেয়।
এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তার মৃত্যু হয়।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
মাদারীপুরে বাসের ধাক্কায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
মাদারীপুরে বাসের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার তাঁতিবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের তাঁতিবাড়ি এলাকায় আসলে রাস্তা পাড় হবার সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরিষা খেতে ঘাস বিক্রেতার পোড়া লাশ
মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি বাসটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবার অনেক আগেই বাস নিয়ে পালিয়ে যায় চালক। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
এখনো নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঘরের দরজা ভেঙে নারীর গলিত লাশ উদ্ধার
ঢাবির টিএসসি এলাকা থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মো. নুরুল ইসলাম নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত শিক্ষার্থীর মো. নুরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী। বাবুবাজারের বাসিন্দা মো. মুসলিম ও রেশমা বেগমের ছেলে তিনি। তিনি সিদ্ধেশ্বরী কলেজ থেকে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
এ খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এরপর ঢাকা মেডিকেলে দগ্ধ লাশের পকেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড পাওয়া যায়। তার বন্ধুরা হাসপাতালে এসে লাশটি শনাক্ত করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
এছাড়া বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
নওগাঁয় আগুনে পুড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মানায় বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে এবং অনেককে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক পরিদর্শন এবং তথ্য থেকে আমরা যতটুকু জানতে ও দেখতে পেয়েছি, এই ভবন নির্মাণে অনেক গাফিলতি রয়েছে। এই ভবন নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বিএনবিসি কোডে যে নির্ণায়কগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিদর্শনে দেখলাম, ১০ তলা ভবন হওয়া সত্ত্বেও মাত্র একটি সিঁড়ি রয়েছে এবং সেই সিঁড়িটাও নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী প্রশস্ত না। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ তলার উপরে ভবন হলেই একটি ভবনে দুটো সিঁড়ি থাকতেই হবে এবং একটি সিঁড়ি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত থাকবে। অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধ্বসসহ যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে সেটি ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই ভবনে তা মানা হয়নি বলেই অগ্নিকাণ্ডে এত হতাহত হয়েছে।’
এ সময় সরকারের কাছে পাঠানো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ বিধিমালা দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তাপস বলেন, এ ধরনের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন ও পরিপালন একান্ত আবশ্যক। বিগত বছরগুলোতে যে দুর্যোগগুলো হয়েছে সেগুলোর আলোকে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি সাড়া প্রদানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি খসড়া নীতিমালা প্রনয়ণ করছে। তাছাড়া ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করে আমরা একটি নীতিমালা সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। সেটি নিয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মত বিনিময় চলছে। আমরা আশা করব, সরকার দ্রুত এই নীতিমালাটির অনুমোদন দেবে।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গবেষণায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: তাপস
চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
জমিতে পানি দেওয়ার দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ
বগুড়া সদরে ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে আব্দুল করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নামুজা ইউনিয়নের বগারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত করিম ওই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে চুপ থেকে বিএনপি-জামায়াত গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর জাহিদ জানান, ফসলের জমিতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে বগারপাড়া গ্রামের আলাল মিঞার সঙ্গে করিমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। করিম সকালে শ্যালক খায়রুলকে নিয়ে নতুন ফসলি জমিতে পানি সরবরাহ করতে গেলে আলাল ও তার অজ্ঞাত দুই সহযোগী তাদের বাধা দেন।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে করিম জমির মধ্যে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে করিমকে শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে আলাল ও তার সহযোগীরা পলাতক৷
এসআই আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাতাহাতির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধাক্কায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে করিম মারা গেছেন। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’- রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিসা তার বাবা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (সদর) নাসিরুল ইসলাম শামীমকে কল দিয়ে শেষ বারের মতো এই অনুরোধ করেছিলেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) লামিসার চাচা রফিকুল ইসলাম সুমন লামিসার এ আকুতির কথা জানান গণমাধ্যমকর্মীদের।
চাচা রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বইমেলা ঘুরে বান্ধবীদের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে যান লামিসা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন হিমাগারে আগুন
সেখানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে লামিসা তার বাবাকে ফোন করে বলেন- ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও।’
এরপর আর কোনো কথা হয়নি লামিসার সঙ্গে। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও লামিসার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, ছোট বেলা থেকেই খুবই শান্ত প্রকৃতির মেয়ে লামিসা। ওর মা আফরিনা মাহমুদ মিতু ২০১৮ সালে মারা যান।
চাচা বলেন, ‘বড় বোন হিসেবে সবার খেয়াল রাখত লামিসা। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে থেকে এসএসসি ও হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে লামিসা বুয়েটে ভর্তি হন। তিনি মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
লামিসা দুই বোনের মধ্যে বড়। ছোট বোন রাইসা এ বছর ভিকারুননিসা কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন নাসিরুল ইসলাম।
এদিকে লামিসার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে বইছে শোকের মাতম। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তার লাশ শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাড়িতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: প্রিয়ন্তীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই
মহেশপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
ঝিনাইদহের মহেশপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল দিকে উপজেলার সস্তার বাজার ও গয়েশপুর গ্রামে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার যোগিহুদা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে জিসান ও যাদবপুর ইউনিয়নের বড়বাড়ি গ্রামের রবিউল্যার ছেলে মমিনুর রহমান।
আরও পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, জিসান মোটরসাইকেল নিয়ে লেবুতলা গ্রামে যাওয়ার পথে একটি আলমসাধুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে জিসান গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, অপরদিকে একই উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মমিনুর রহমান মোটরসাইকেল নিয়ে বাঁশ বোঝায় ভ্যানকে ধাক্কায় দেয়। এতে মমিনুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মহেশপুর থানায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৩
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৮ জনের জেল-জরিমানা
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়আশ্রম মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করায় আট জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল দিকে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৩ ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মাছ ধরার ট্রলার ও ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, দুই মাস মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার সময় অভিযান চালিয়ে দুই জেলে ও দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ছয় জেলেকে আটক করা হয়।
আটক জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি মাছ ধরার ট্রলার ও ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় ও মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ৩টি হাসপাতাল ও ডায়াগনোসিস সেন্টার সিলগালা, ২টির জরিমানা
মেঘনায় নিষিদ্ধ জালে মাছ ধরায় ১৫ জেলেকে জরিমানা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরিষা খেতে ঘাস বিক্রেতার পোড়া লাশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি সরিষা খেত থেকে তোফাজ্জল ইসলাম নামে এক ঘাস বিক্রেতার পোড়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বহরম এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
নিহত তোফাজ্জল ইসলাম সদর উপজেলার রানীহাটি ইউনিয়নের চকবহরম এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে। এছাড়া তিনি ভ্যান চালিয়ে ঘাস বিক্রি করতেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ জানান, বৃহস্পতিবার তোফাজ্জল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। শুক্রবার একজনের পোড়া লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, পরিবারের সদস্যরা তার লাশ শনাক্ত করেছেন। আগুনে তার শরীর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির টিএসসি এলাকা থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে ঘরের দরজা ভেঙে নারীর গলিত লাশ উদ্ধার