সারাদেশ
প্রেমিকের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে পড়ে প্রেমিকার মৃত্যু!
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রেমিকের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে পড়ে গুরুতর আহত তুলি (১৮) দীর্ঘ আট দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মারা গেলেন। বৃহস্পতিবার বিকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার টগরাই হাট এলাকায় ঘুরতে গিয়ে প্রেমিক সোহাগ (২২) তাকে অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৃত তুলি কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পাঠান পাড়া গ্রামের মো. তৈয়ব আলীর মেয়ে। আর সোহাগ একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজারহাট থেকে কুড়িগ্রাম শহরে ফেরার পথে টগরাই হাট এলাকায় একটি সেতুর ওপর তুলিকে অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যান সোহাগ।
পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে তরুণীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
প্রেমিকের সাথে ঝগড়া: বরিশালে তরুণীর অবাক কাণ্ড
মায়ের সাথে পরকীয়া, প্রেমিককে হত্যা করে ছেলে
চট্টগ্রামে জাহাজ থেকে পড়ে চীনা নাগরিকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে একটি বিদেশি জাহাজ থেকে পড়ে এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চীনা নাগরিক হু হাইকিয়াং (৩৮) মায়েকর্স জাকার্তা জাহাজের ক্রু হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘মায়েকর্স জাকার্তা’ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য নিয়ে আসে। আজ সকালে বহির্নোঙরে নোঙর করতে গিয়ে ছিটকে সাগরে পড়ে যান হাইকিয়াং হু।
এ সময় কোস্টগার্ডকে খবর দেয়া হলে কোস্টগার্ডের টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নাবিক ‘হাইকিয়াং হু’কে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে দুপুরের দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্ত ও লাশ নিহতের নিজ দেশে পাঠানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক চীনা নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে ডুবে গেছে পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ
শ্রমিক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অর্থসহ আটক ৫: র্যাব
ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশিদের বাড়িতে বিএসএফ’র হামলার অভিযোগ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশিদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর কুটিচন্দ্রখানা নাখারজান গ্রামে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিএসএফ সদস্যরা টানা হেচড়া করে বাড়ির মালিকসহ আরও তিন জনকে লাঞ্ছিত করেছে। এ নিয়ে বিজিবি বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে চোরাকারবারীদের ধাওয়া করতে গিয়ে ভুলবশত বাংলাদেশে রাতের অন্ধকারে প্রবেশ করেছেন বলে বিজিবিকে তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
স্থানীয় জায়দুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীমান্তে আন্তর্জাতিক ৯৪১ নং মেইন পিলারের সন্নিকটে দু’দেশের মাদক চোরাকারবারীরা মালামাল পার করার সময় ভারতীয় ১৯২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন সেউটি-২ ছাবরী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করে। মাদক চোরাকারবারীরা তাদের ধাওয়া খেয়ে বাংলাদেশের নাখারজান গ্রামে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের পিছু নেন। পরে ওই গ্রামের নিরহ রফিকুল ইসলাম বাড়িতে সন্দেহ করে গেট খোলার জন্য চাপ দেয় বিএসএফের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
হামলার শিকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিএসএফকে বলেছি মাদক চোরাকারবারীরা আমার বাড়িতে প্রবেশ করেনি। তারপর আমার ঘরের বেড়ার টিন গেট ভাঙচুর করেছে। পরিবারের সদস্যকে লাঞ্ছিত করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তারা দ্রুত ভারতে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বাংলাদেশি ২ যুবককে বিএসএফ’র মারধর
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম তৌহিদুল আলম জানান, ভুলবশত বিএসএফ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আমরা প্রতিবাদ জানানোর কারণে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা ভুল স্বীকার করেছেন। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে তারা জানিয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ফেনীতে ‘আইস’ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ফেনীর মহিপালে ২০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মিথাইল অ্যামফিটামিন বা আইস জব্দ করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার সাব্বির কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ফেনী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ জানান, সাব্বির টেকনাফ থেকে আইস নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিপালে অবস্থান নেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় মহিপালে গাড়ি পাল্টানোর সময় তাকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ মাদকদ্রব্য ঢাকায় পৌঁছে দেয়ায় তার দায়িত্ব ছিল বলে জানান সাব্বির। আইসের মালিক ও সরবরাহকারী কাউসার নামের এক ব্যক্তি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় বুধবার রাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার সাব্বির ও পলাতক কাউসারকে আসামি করে একটি মামলা করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ‘আইস’সহ তরুণী আটক
১০ কোটি টাকার ‘আইস’ জব্দ
সিরাজগঞ্জে র্যাবের অভিযানে ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
‘ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের আপন ভাইয়ের মতো’
ভারতীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব দেবব্রত পাল বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের আপন ভাইয়ের মতো।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করি প্রতিবেশি দু’দেশ একে অপরের আপন ভাইয়ের মতো। ভাইয়ে ভাইয়ে ছোট খাটো বিরোধ থাকতে পারে সেটা আবার কিছু সময় পরেই ঠিক হয়ে যায়। বিবাদমান যে কোন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে। ছিট মহলসহ নানা সমস্যার সমাধান হয়েছে, আগামীতে আরও হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভারতীয় হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি
বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় দেবব্রত পাল এসব কথাগুলো বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হবে। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সম্ভাবনার দার উন্মোচন হচ্ছে। এদেশের যে কোন সমস্যায় আমরা ছিলাম আগামীতেও থাকবো। আমরা একে অপরের প্রতি আস্থাশীল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত ও জরুরিভাবে টিকা পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ে যারা বিরোধী ছিল আজও তারা সক্রিয় রয়েছে। তারাই আমাদের নিয়ে (ভারতকে) কথা বলার চেষ্টা করে।’
ফরিদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মানিক, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, পান্না বালা, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিজয় পোদ্দার, শেখ ফয়েজ আহম্মেদ, জাহিদ রিপন, রেজাউল করিম, সঞ্জিত দাসসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা।
কালিয়ার স্কুলছাত্র তামজিদ হত্যা মামলায় ৫ আসামির খালাশ
নড়াইলের কালিয়ায় ক্রিকেট খেলতে গিয়ে২০১১ সালে সতীর্থ খেলোয়াড়ের ব্যাটের আঘাতে স্কুলছাত্র মো.তামজিদ খন্দকার (১৫) নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পাচঁ আসামির সকলকেই বেকসুর খালাশ দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ সাড়ে ১০ বছর পর বৃহস্পতিবার নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো.কেরামত আলী আসামিদের খালাশের এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা
আসামি পক্ষের আইনজীবি অ্যাড.কাজী বদরুল আলম জানান, কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় ছেলেদের ক্রিকেট খেলার সময় বিগত ২০১১ সালের ১২ মার্চ বিকালে ওই গ্রামের তৈয়ব খন্দকারে ছেলে কলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র তামজিদ তার সহপাঠী সতীর্থ খেলোয়াড় একই গ্রামের তারিকুল ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমানের ব্যাটের আঘাতে আহত হয়। পরদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৫ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মামলাটি নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে বিচারের জন্য ন্যস্ত হলে আদালত ১৬ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে গত বুহস্পতিবার আসামীদেরকে বেকসুর খালাশ প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে বাড়িতে ডেকে হত্যার পর প্রেমিকের ‘আত্মহত্যা’
বাদি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড.নূর মহম্মাদ ও অ্যাড.মো.তোজাম্মেল হক। রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অ্যাড.নুর মহম্মাদ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সীমানায় আটকে মানবতা!
বাংলাদেশ-ভারতের আইনী জটিলতায় গুরুতর আহত ভারতীয় নাগরিক কার্তিক বিশ্বাস (৫৬) নিজ দেশে ফিরতে পারছেন না। ফলে মানসিক ভারসাম্যহীন এই মানুষটি গত ১৫-২০দিন ধরে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসুস্থ্ হয়ে ভর্তি ছিলেন। গত ৫ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ভারত পাঠাতে নেয়া হচ্ছে না কোন উদ্যোগ। গত বছরের নভেম্বর মাসে তিনি ভুল করে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশে চলে আসেন। তিনি ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের পতিরাম থানার নাজিরপুর গ্রামের গনপতি বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি
গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় পুরুষ ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে শুয়ে আছে এক বয়স্ক। পাশের বেডের রোগীরা জালালেন তার নাম কার্তিক বিশ্বাস। গত ১৫-২০দিন ধরে পায়ে আঘাত নিয়ে ভর্তি আছেন। পায়ে আঘাত ছাড়াও তিনি ডায়াবেটিক সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালের নার্স ছাড়া তাকে সেবা করার কেউ নেই।
এদিকে ভারতে যোগাযোগ করা হলে কার্তিক বিশ্বাসের স্ত্রী বেবি বিশ্বাস জানান, ‘গত ২৭ নভেম্বর সকালে বাড়ীর বাইরে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কার্তিক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। এরপর আত্মীয়-স্বজন সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া না গেলে গত ১৪ ডিসেম্বর বালুরঘাট থানায় জিডি করি । ৭/৮ মাস পর খবর পাই তাকে বাংলাদেশের জয়পুরহাটে দেখা গেছে। সেখান থেকে আবার তিনি হিলি আসার পথে গত ১৫-২০দিন আগে রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে ডান পায়ে চরম আঘাত পেয়ে হিলি (হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে তার ডান পা ইনফেকশন হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে দ্রুত দেশে ফিরাতে না পারলে তা পা কেটে ফেলতে হতে পারে। আমরা দুই দেশের সরকারের কাছে আবেদন করছি আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
আরও পড়ুন: ভারতে ৩ বছর কারাভোগ শেষে ফিরলো ১০ বাংলাদেশি
কার্তিক বিশ্বাসে বোন অনিতা বিশ্বাস জানান, আমার অসুস্থ্ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাংসদ, জেলা প্রশাসক (ডিএম), বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোন সাড়া পাইনি। মানবিক বিবেচনায় তাকে দ্রুত আনা না হলে হয়ত আমার ভাই সেখানে মারা যেতে পারে। বর্তমানে তিনি খুবই অসুস্থ্।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, গত ৫ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য কার্তিককে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি হাকিমপুর হাসপাতালে প্রায় ২০ দিনের মতো ভর্তি ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিক সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।
আরও পড়ুন: ভারতে পাচার হওয়া ৭ তরুণী দেশে ফিরলেন
বরিশালে সিএনজি চাপায় নারী পথচারীর মৃত্যু
বরিশাল নগরীতে সিএনজি চাপায় এক নারী পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে।নিহত রিনা বেগম (৪০) লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা ও সালাম হাওলাদারের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, সিএন্ডবি রোড থেকে নথুল্লাবাদের দিকে দ্রুতগতিতে একটি সিএনজি যাচ্ছিল। এসময় রাস্তা পার হতে যাওয়া এক পথচারী সিএনজির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় সিএনজি চালককে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, গত রাতে সিএনজির চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে এবং সিএনজি চালক আটক আছেন। নিহতের লাশ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে আছে সুরাতাহাল রিপোর্ট শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর উল্টে পথচারীর মৃত্যু
নবাবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নামাজে সেজদারত অবস্থায় মুসল্লির মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগজ্ঞে এক মসজিদে নামাজে সেজদারত অবস্থায় একজন মুসল্লি হঠাৎ মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের কাজী বাড়ি জামে মসজিদে মাগরিবের ওয়াক্তের সময় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫) উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউপির মালিগাঁও গ্রামের মুকছুদ আলীর ছেলে ও পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় আরও ২ মুসল্লির মৃত্যু
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, মাগরিবের নামাজের আযান শুনে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তার অটোরিকশাটি সড়কের একপাশে রেখে মসজিদে ঢুকেন। অটোরিকশার যাত্রীরাও তার সাথে নামাজ পড়তে জামায়াতে শরীক হন। কিন্তু নামাজের শেষ রাকাতে সেজদায় গিয়ে এরপর তিনি আর উঠে বসেননি। ইমাম ও মুসল্লিরা সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করলেও জাহাঙ্গীর সেজদাতেই ছিলেন।
মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, সালাম ফেরানোর পরও ওই মুসল্লি সেজদারত অবস্থায়ই ছিলেন। ওই অবস্থায় উদ্বিগ্ন মুসল্লিরা তাকে একটু নাড়া দিলে তিনি এক পাশে ঢলে পড়েন। সবাই তখন তার চোখ- মুখ দেখে বুঝতে পারেন তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আসলে সেজদারত অবস্থায়ই তিনি মারা গেছেন। পরে স্থানীয় এক চিকিৎসক এসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আরও ২ মুসল্লির মৃত্যু
স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী কবির হোসেন বলেন, মাগরিবের ফরজ তিন রাকাত নামাজ পড়াকালীন সময়ে সেজদারত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই মুসল্লি। পরে এই খবর জেনে পরিবারের লোকজন এসে লাশ নিয়ে যায়।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্শকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কাঁপলো সিলেট
সিলেটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা ২৮ মিনিটে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিকটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৫.৬। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকা থেকে ৪৭৭ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মিয়ানমারে।
আরও পড়ুন: তিন দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো সিলেটসিলেট নগরের লালবাজার এলাকায় একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি ৯ তলার ফ্ল্যাটে থাকি। মধ্যরাতে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ পুরো ভবন কেঁপে উঠে। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিশেষত বাচ্চারা কান্না শুরু করে দেয়। আমরা যারা উঁচু ভবনে থাকি তারা কাঁপুনিটা বেশি অনুভব করতে পারি।সিলেটকে ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বারবারই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সক্রিয় চ্যুতির কারণে এখানে বড় ধরণের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে।এর আগে গত ৭ জুন এক মিনিটের ব্যবধানে সিলেটে দুই দফায় ভূমিকম্প হয়। তার আগে গত ৩০ মে ও ৩১ মে পাঁচ দফা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সিলেট। বারবার ভূমিকম্পের ফলে সিলেটের মানুষজনের মাধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০সর্বশেষ গত ৭ জুলাই সিলেটসহ দেশের কয়েকটি জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সে ভূমিম্পের মাত্রা ছিলো পাঁচ দশমিক ২। যার উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ২৪২ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের লক্ষিপুর।এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। এমন ভূমিকম্পে আতঙ্ক নয়, সতর্ক ও প্রস্তুতি থাকা দরকার।