সারাদেশ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চাঁদপুরে ১০ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ১০ জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে এ সময় দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জেলেদের এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের লালপুর ও খেরুদিয়া এলাকার নাছির হোসেন (৩০), সফিকুল ইসলাম (২০), আব্দুস সুক্কুর গাজী (২০), খোকন বেপারী (২৩), ফারুক দর্জি (৩০), মনির হাওলাদার (২০), মো. ফারুক খান (৩২), মো. নাছির (২৯), আউয়াল হাওলাদার (৬৩) ও গোলাম মো. রাসেল (২৩)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মা ইলিশ ধরায় ১৩ জেলের কারাদণ্ড
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম অভিযানে মেঘনা নদী থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। ওই সময় ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টচার্য বলেন, আটক জেলেদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়ার পর জেল হাজতে পাঠানো হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং নৌকা দুটি কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ভোলায় ১১ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় সম্পদ ইলিশ প্রজনন রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কুমিল্লায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা
কুমিল্লার চান্দিনায় সম্পত্তির লোভে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার ১০নং গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের মো. সোলেমান মিয়ার ছোট মেয়ে সালমাকে (১৪) গত ২ অক্টোবর ভোরে প্রতিবেশিরা বাড়ির পাশে পুকুরে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে চান্দিনা থানায় সংবাদ দেয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে টাকার জন্য মা-মেয়েকে হত্যা
সংবাদ পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে থেকে লাশ উদ্ধার করে। তবে লাশের গলায়, কাঁধে, পেটে, পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত কিশোরীরর বাবা মো. সোলেমান আপন ভাতিজা মো. শাহজালাল ও মো. শাহ কামালেরর বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই চান্দিনা থানা পুলিশ এই হত্যার রহস্য উদঘাটনে ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম চালায়।
আরওপড়ুন: চট্টগ্রামে ২ মেয়েকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
তদন্তকালে ঘটনার দিন নিহতের বাবা ও আসামিদের অবস্থান এবং এজাহারের বক্তব্যের সাথে তথ্যের গরমিল পাওয়া যায়। এছাড়াও সাক্ষীদের কথাবার্তা ও ঘটনার রাতে তাদের অবস্থান সম্পকে পরস্পর বিরাধেী বক্তব্যে দেয়। পরে পুলিশ ওই কিশোরীরর বাবা, উকিল, অভিযুক্তের শ্বশুর প্রতিবেশি আ. রহমান ও বন্ধু মো. খলিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
তারা জানান, নিহতের বাবা সাথে তার ভাতিজা শাহজালাল ও শাহ কামালের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে সোলেমান তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এবং বিরোধীয় জায়গা দখল করার জন্য তার নিজের মেয়ে সালমাকে নিশৃংসভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে অন্তঃসত্ত্বা মা ও মেয়েকে হত্যা
এই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত দু’জনকে আটক করেছ। আটকরা হলেন, আ. রহমান ও মো. খলিল। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রাজশাহীতে চালককে গলাকেটে হত্যার পর রিকশা ছিনতাই
রাজশাহী নগরীতে চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিকশাচালক আবদুল কাদের (৫৫) নগরীর শ্রীরামপুর এলাকার মৃত কাবেজ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, রাত দেড়টার দিকে আবদুল কাদের রিকশা নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন কে বা কারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করলে তিনি মারা যান। পরে তার রিকশাটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: সাভারে বাসচালককে গলাকেটে হত্যা, ভ্যানচালক আটক
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়েরেরও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মা ও ২ শিশুকে গলাকেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ৭০ দোকান
পটুয়াখালী শহরের নিউমার্কেট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল বিভাগের ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মন্তাজ উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এবং আমতলি ও বাকেরগঞ্জের দুটি ইউনিট ঘটনা স্থলে পৌঁছায়। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে কাজ চলছে।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহ্ফুজুর রহমান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে তবে এখনও ধোঁয়া উড়ছে, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ফাষ্ট ফুডের দোকানে খাবার শ্বাসনালীতে বেঁধে শিশুর মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি
যাত্রীরা ট্রেনে যেতে না পারায় স্টেশনে বিক্ষোভ
রাজশাহী রেল স্টেশনে নিয়ম ভঙ্গ করে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী পদ্মা ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকেট দিয়েছিল রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। সেই টিকেটে ট্রেনে যেতে না পারায় বিকেলে যাত্রীরা স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এই টিকেটগুলো কাউন্টার থেকে দেয়া হয়নি বলে যাত্রীরা জানান।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটায় পদ্মা ট্রেনের টিকিট কেটেও যেতে না পারায় স্টেশন ঘেরাও করে ভাংচুরের চেষ্টা চালান বিক্ষোভরত যাত্রীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পশ্চিম রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আরও পড়ুন: ৯ মাসে চলন্ত ট্রেনে ১১০ পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে: মন্ত্রী
পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহা ব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা পদ্মা ট্রেনের টিকিটেই পরবর্তীতে ট্রেনে যেতে পারবে। এছাড়া খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ১০৬টি আসনের একটি নির্দিষ্ট কোচ লাগানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী কমিউটার ট্রেনে গিয়ে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তারা ঐ কোচে ঢাকা যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের নির্ধারিত আসনের চাইতে যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। যার ফলে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হচ্ছে ‘শাটল ট্রেন’
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলা
প্রতারণার আভিযোগে এবার চট্টগ্রামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাত জনের নামে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে নুরুল আবছার পারভেজ নামে এক গ্রাহক মামলাটি করেছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেল।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবি গোলাম মাওলা মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ই-অরেঞ্জ সারাদেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কয়েকদিন আগে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এবং প্রতারিতদের অর্থ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাবো।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ মে এর পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন গ্রাহক নুরুল আবছার পারভেজ। নির্দিষ্ট সময়ের পরও এমনকি এখন পর্যন্ত গ্রাহককে কোনও পণ্য সরবরাহ করেনি। অর্ডার নেয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়, কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান নামের তিনজন ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ ৩ জন কারাগারে
একই অভিযাগে এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত ও কুমিল্লার আদালতেও সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, কর্মকর্তা আমান উল্লাহ ও সাবেক কর্মকর্তা নাজমুল আলম রাসেল অন্য এক প্রতারণা মামলায় ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে আটক আছেন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিকসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে
গৌরনদীতে কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় এক কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল ৯টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গোলাম ফজলে রাব্বি (১৯) উক্ত এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান মোসলেম ব্যাপারীর ছেলে। সে সরকারি গৌরনদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকার বিপুল নাগের বাগানের জাম গাছে রাব্বির লাশ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
এ ঘটনায় নিহত রাব্বির বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এছাড়া মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে ‘আত্মহত্যা’!
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকার: আটক ৩
মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক তিনজনকে জেল ও জরিমানা করেন। এছাড়া এ সময় প্রায় ২৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, এক টন মাছ ও দুইটি নৌকা জব্ধ করা হয়।
দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাফুজুল হাসনাইন জানান, মঙ্গলবার বিকালে দৌলতখানের মেঘনা নদী থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকারের অপরাধে দুই জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জালও জব্দ করা হয়। পরে আটক জেলে ইউছুফকে এক বছর কারাদণ্ড ও নয়ন নামে আরেক জেলেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া আফরোজ।
আরও পড়ুন: ভোলায় নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু
এদিকে তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন জানান, বুধবার সকালে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শশীগঞ্জ মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে হারুন নামে এক মাছ বিক্রেতাকে আইন অমান্য করে নদীর মাছ বিক্রি করায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তজুমদ্দিন উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন। পরে জব্দকৃত মাছ এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া এ সময় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ভোলা সদরে আড়াই হাজার মিটার, তজুমদ্দিনে পাঁচ হাজার মিটার, মনপুরায় পাঁচ হাজার মিটার, ও একটি মাছ ধরার নৌকা, চরফ্যাশন উপজেলায় ২৭ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, এক টন মাছ ও একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত অবৈধ জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং মাছ দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আসামি ভোলার জামিন
ভোলায় নসিমনচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
উখিয়ার লম্বাশিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির মধ্যে বাকি তিনজনেরও তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আব্দুস সালাম,মোহম্মদ জিয়াউর ও মো. ছালাম।
আরও পড়ুন: শিগগিরই মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত রবিবার একই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দুই আসামি ছলিম উল্লাহ ও শওকত উল্লাহকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের অফিসে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ২ জনের ৩ দিনের রিমান্ড
পঞ্চগড়ে পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার একটি পুকুর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। বুধবার জেলার সাতমেরা ইউনিয়নের জোতহাসনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকেয়া বেগম (২৫) ওই গ্রামের এরশাদ হোসেনের স্ত্রী। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী। মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্বামী এরশাদ হোসেনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান খান জানান, এরশাদ হোসেনের বাড়ির পাশের পুকুরে প্রতিবেশী এক নারী রোকেয়ার লাশ দেখতে পায়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। এলাকাবাসী বিষয়টি আমাদেরকে ও পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পঞ্চগড় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, মেয়ে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে, কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভোরবেলা জামাই ফোন করেছিল। এলাকায় এসে জানলাম রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হোটেল থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা না হত্যা তা জানার পর বা অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।