%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেনের মেয়াদ বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এর আগে মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান দায়িত্ব ছেড়ে তাকে দেশে ফিরতে বলেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: রোম-ঢাকা রুটে বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে মত বিনিময় সভা
তবে সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তার মেয়াদ বাড়িয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
ভূঁইয়া সাবেক সিনিয়র সচিব এবং ২০২০ সালে জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান।
সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের আগে ভূঁইয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করেন।
ভূঁইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের উইলিয়ামস কলেজ থেকে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ডিভাইস ব্যবহারে জালিয়াতি, ভাই-বোন আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানের ভেতর ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করায় ভাই ও বোনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২টি অস্ত্র-গুলি জব্দ, যুবক আটক
আটরা হলেন- জেলার বিজয়নগর উপজেলার টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে রিনা আক্তার ও ছেলে আব্দুল জলিল।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হলে রিনা আক্তার প্রায় আধা ঘণ্টা পেরোলেও না লিখে বসে ছিলেন। তখন কেন্দ্রে পরিদর্শকের সন্দেহ হলে রিনার দেহ তল্লাশি করা হয়। কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখকে জানানো হয়। শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ সময়ের ১০ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করতেন।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি বিশাল চক্র। তিনি তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করেন। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আটকের চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রকে ডেকে নিয়ে খুন, আটক ৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ কেজি গান পাউডার জব্দ, আটক ১
জালিয়াতি রোধে বুয়েট উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ যন্ত্রের সাফল্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত ডিভাইস জালিয়াতি শনাক্তকরণ সিস্টেমের কার্যকর প্রয়োগের ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি ও বদলি পরীক্ষা দেওয়ায় আটক ১৮
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রথম ধাপের পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা নজরে আসায় মন্ত্রণালয় এ ধরনের অপপ্রয়াস রোধককল্পে কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ খুব স্বল্প পরিমাণে এসেছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ যাতে না উঠে সেজন্য কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের অধ্যাপক এস এম লুৎফুলর কবিরকে দায়িত্ব দেয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আরও বলেন, বুয়েট ইনোভেশন টিম স্বল্পসময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন শনাক্তকরণে সহজ ও কার্যকর সিস্টেম উদ্ভাবন করে। এতে শুক্রবারের লিখিত পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫ জেলায় এ সিস্টেমের সহজ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সচিব বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ ধরনের সিস্টেম চালু করা গেলে ডিভাইসমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে।
তখন কেউ পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা ২০২৩ এর তৃতীয় ধাপে ও শেষ ধাপের লিখিত পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ- ৩টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত) অনুষ্ঠিত হয়।
এ পর্বের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার, যুবক আটক
গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের চর ও দোসর হয়ে কাজ করেছেন। এই সত্য উন্মোচন হওয়ায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোভাবে সাহায্য করছে, এমন কি একবেলা খাইয়েছে বা এক গ্লাস পানি খাইয়েছে জানলেও সেসব পরিবারের ওপর নেমে আসত অকথ্য নির্যাতন। আর জিয়াউর রহমান যুদ্ধক্ষেত্রে থাকে আর তার পরিবার বেগম খালেদা জিয়া দুই সন্তান নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানিদের সঙ্গে আরাম-আয়েশে থাকে। এ থেকেই তো পরিষ্কার যে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে, গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। এর তো আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। আর জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চিঠি লিখেছিলেন, তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট, তোমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা কর না। সেই চিঠির কপি আমার কাছেও আছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি মিথ্যাচার করে বলে- আওয়ামী লীগ নেতারা তখন কোথায় ছিল, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। এই সরকারের অধীনেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেছেন। যদিও কোনো সম্মুখ সমরে কখনো যাননি।'
বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করার অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বিফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে ২১ বছর ধরে তারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে মানুষের কাছে আড়াল করেছে, বিকৃত করেছে। কিন্তু গত ১৫ বছরে মানুষ আবার সঠিক ইতিহাস জেনেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণাটি পরদিন ২৬ তারিখ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান কয়েকবার পাঠ করেন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন।'
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী সে সময়ের বর্ণনা দিয়ে বলেন, 'চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধরত মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে এমবুশ নিয়ে আছেন, নড়লে যুদ্ধের ক্ষতি হবে। তখন এ দেশের মানুষের ওপর হামলার জন্য আসা পাকিস্তানি অস্ত্র সোয়াত জাহাজ থেকে খালাস করতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যাওয়ার পথে জনগণের বাধার মুখে পড়া মেজর জিয়াউর রহমানকে ডেকে এনে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করানো হয়। প্রথম কয়েকবার তিনি ভুল পড়েন, আওয়ামী লীগ নেতারা ঠিক করে দিলে আবার পাঠ করেন।'
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্কুলে ছুটির ঘণ্টা বাজায় যে দপ্তরী, সে ছুটির সিদ্ধান্ত নেয় না, টিভি-রেডিওতে যে উপস্থাপক সংবাদ পাঠ করে, সে ওই সংবাদ সৃজনকর্তা নয়।’
ড. হাছান আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণার একজন পাঠকমাত্র। জিয়া নিজেও কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি, যেটি নিয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচার করে।'
এ সময় সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনে, তরুণ সমাজকে বিপথে যাওয়া, জঙ্গিবাদে প্রলুব্ধ হওয়া থেকে বিরত রাখতে পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায়, সারাদেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটাতে আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. হাছান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে এ দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটেছিল, স্বাধীনতার পরেও তা চলেছিল। ১৯৭৫ সালের পর তা ব্যাহত হয়। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সংস্কৃতিমনা মানুষকে সারাদেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানোর আহ্বান জানাই।
সভার আয়োজক ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, কবি রবীন্দ্র গোপ, জোটের সহসভাপতি চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, সহসভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাঁচ হাজার বছরের জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সবজির মূল্য স্থিতিশীল হলেও সব ধরনের মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে গরু ও মুরগিসহ অন্যান্য মাংসের দাম চড়া থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম।
শুক্রবার মহাখালী, কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ ও শান্তিনগরসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় গরু ও মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী
গত শুক্রবার গরুর মাংস মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।
মানভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০৫০ থেকে ১১৫০ টাকায়, আজ তা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে প্রতি কেজি মোরগের দাম ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাতগুলোর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির খাদ্য ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে।
প্রায় সব সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও শুক্রবার ঢেঁড়স, সজনে, লম্বা শিম ও করলার মতো নতুন সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
সজনে ছাড়া বাকি সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার মান ভেদে প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম হালিপ্রতি ৭০ টাকা এবং ঘরে পালন করা মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে: রুমানা আলী
আগামী জুন মাসের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।
তিনি বলেন, কোনো আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের টাইম স্কেলের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
রুমানা আলী বলেন, পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।
কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
চীনের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তাসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাস, চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়ং এবং অ্যাটাশে লি জিচেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তারা চীনা শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাট খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে চীন তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা
সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রামে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন শেষে নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা হন রাজা।
সফররত ভুটানের রাজাকে বিদায় জানান নৌ পরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতণ করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছেন। সেখানে মধ্যান্য ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাউথ এশিয়ার মহাপরিচালক রকিবুল হক, চিফ অব প্রটোকল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. আমিনুর রহমান।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৫ মার্চ) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। সফরকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দিপক্ষীয় বৈঠক ও সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি মহান স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজা ও রানি।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজাকে ঢাকায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
কোনো ধরনের দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না: বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য
কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতি প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন উপাচার্য।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্য দীন মোহাম্মদ
দায়িত্ব নিয়েই সবার উদ্দেশে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হয়ে ধরিয়ে দেবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।’
নবনিযুক্ত উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমি কারো অন্যায় আবদার শুনব না। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে নয়, আমি আপনাদের বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের পাশে থেকে সব সমস্যা সমাধান করব।’
চিকিৎসকদের উদ্দেশে নতুন উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই আমি সবচেয়ে খুশি হব। অন্যকিছু দিয়ে আমাকে খুশি করা যাবে না। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তিনিই দায়িত্ব নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আমার বন্ধু। তিনি আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। আমি শারফুদ্দিন আহমেদকে শুভেচ্ছা জানাই।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি সুনির্দিষ্ট কোনো গ্রুপের লোক নই। আমি কোনো ধরনের গ্রুপে যেতে চাই না। এ বয়সে আমার কোনো গ্রুপিংয়ের প্রয়োজন নেই। আমাকে যে আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে পাঠিয়েছেন, আমি সেটাকে মূল্যায়ন করতে চাই।’
উদ্বোধনের দীর্ঘদিন পরও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু না হওয়া প্রসঙ্গে নতুন উপাচার্য বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার দায়বদ্ধতা আছে। আমি বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক-ট্রেইনারদের নিয়ে এসে আমাদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। আশা করি সেবায় প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম জায়গায় অবস্থান করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উপাচার্য হিসেবে তার একমাত্র এজেন্ডা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ-তে সফল লিভার প্রতিস্থাপন
কুড়িগ্রামের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিনে কুড়িগ্রামের ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কুড়িগ্রামের ধরলাপাড়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থানটি পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’র জন্য প্রস্তাবিত কুড়িগ্রাম এলাকাটি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুটানের রাজা।
অর্থনৈতিক অঞ্চলসংলগ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা ও পোর্ট কানেক্টিভিটি নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
জিটুজি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য রাজা তার সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
একইসঙ্গে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান রাজা।
উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হলে পুনরায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শনের আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা
রাজা এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থানীয় ও আঞ্চলিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও জানান, ভূটান থেকে এ বিষয়ে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বিনিয়োগের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবে।
এর আগে গত সোমবার (২৫ মার্চ) জিটুজি (সরকার ও সরকার পর্যায়ে) ভিত্তিক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ভুটানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে স্মারকে সই করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
এছাড়া গত ২৭ মার্চ রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুনের দ্বিপক্ষীয় সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজার সফর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সাক্ষ্য: যৌথ বিবৃতি
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ মে মাসে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজার সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ দেখায় ভুটান।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় মাধবরামে ২১৯ দশমিক ৬৪ একর জমিতে বাংলাদেশ সরকার ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে জিটুজি ভিত্তিতে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা