%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা: জাতিসংঘ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট বাংলাদেশের
ভোটদানের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ জানিয়েছে, ‘আমরা তা করেছি কারণ আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান এবং সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির বিষয়ে জাতিসংঘের সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি অবশ্যই সর্বত্র, সবাইকে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই সর্বজনীনভাবে মেনে চলতে হবে।’
বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, ‘জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
বাংলাদেশ আরও বলেছে যে তারা বিশ্বাস করে যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে যেকোনো দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিত।
ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য আরব ভূখণ্ডের অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিন্ন অবস্থান নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর বাংলাদেশ বিশেষভাবে জোর দিয়েছে।
ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ইউক্রেনের সংঘাতের ধারাবাহিকতা ও এর বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে যুদ্ধের মতো বৈরিতা বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা কোনো জাতির উপকার করতে পারে না। সংলাপ, আলোচনা ও মধ্যস্থতা হচ্ছে সংকট ও বিরোধ সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।
বহুপাক্ষিকতার দৃঢ় বিশ্বাসী হিসেবে বাংলাদেশ বলেছে যে জাতিসংঘ ও এসজি (মহাসচিব) অফিসের পাশে থাকা অব্যাহত রাখব এবং আমরা যেভাবে পারি তাদের সমর্থন করব।
বাংলাদেশ আরও বলে, ‘আমরা আহ্বান জানাই যে সর্বস্তরের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের জন্য জাতিসংঘ ও এসজি অফিসকে অবশ্যই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং সবার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে।’
তাই বাংলাদেশ বিরোধের সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কূটনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরু করার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কর্তব্যনিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘের
মহাত্মা গান্ধীর মূল্যবোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং: শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি, এনএসইউ
টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৩ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ) শীর্ষ দুটি বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ এ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংটিতে ১০৪টি দেশ ও অঞ্চল থেকে এক হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নেয়। বিশ্বব্যাপী এই তালিকায় ৬০১ থেকে ৮০০তমের মধ্যে ঢাবি ও এনএসইউ স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি সিন্ডিকেট নির্বাচন: আওয়ামীপন্থী নীল দলের জয়
তালিকাটি পাঠদান, গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গী-এই চারটি ক্ষেত্রে ১৩টি সূচক বিবেচনায় করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বিশ্বব্যাপী এক হাজার ২০১ থেকে এক হাজার ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় টানা সপ্তমবারের মতো তালিকার শীর্ষে রয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় গত বছর যৌথ পঞ্চম স্থান থেকে যৌথ তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
১৭৭টি প্রতিষ্ঠানসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামগ্রিকভাবে সর্বাধিক প্রতিনিধিত্বকারী দেশ হিসেবে জায়গা করে নেয়। শীর্ষ ২০০ স্থানের মধ্যে ৫৮টি স্থান নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব করেছে দেশটি।
শীর্ষ ২০০ এর মধ্যে ১১টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে চীন চতুর্থ অবস্থানে আছে। এতে চীন অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে নেদারল্যান্ডের সঙ্গে পঞ্চম অবস্থানে আছে।
আফ্রিকার পাঁচটি দেশ প্রথমবারের মতো তালিকায় প্রবেশ করেছে। এগুলো হচ্ছে-জাম্বিয়া, নামিবিয়া, মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে ও মরিশাস।
শিক্ষাদানের বিবেচনায় হার্ভার্ড ও গবেষণায় অক্সফোর্ড শীর্ষে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের তালা
যৌন নিপীড়ন: ঢাবির শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’
আগামী ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় বারের মত 'ক' শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে সারাদেশে একযোগে এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে পালিত হবে শেখ রাসেল দিবস ২০২২।
বুধবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান।
দিবসটি উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ১৮ অক্টোবর সকাল ৬টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: লিসবনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
সকাল সাড়ে ৬টায় স্ব স্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবে।
আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টায় পরিকল্পনা কমিশনের সামনে থেকে বিআইসিসি প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সকলের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যা লী অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) হল অব ফেমে শেখ রাসেল দিবস-এর উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, হল অব ফেমে দুপুর আড়াইটায় ‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ড ন্যায় বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার, একই স্থানে সন্ধ্যা ৬টায় ‘কনসার্ট ফর পিস এন্ড জাস্টিস’ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও ১৬ অক্টোবর রাত ৯টায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘ট্রাজিক এন্ড অব শেখ রাসেল: এ শেম ইন হিউমেন হিস্টোরি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে দেশের সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাংকন, দাবা, জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন অতিথি পরায়ণ, বন্ধুবৎসল ও প্রাণচাঞ্চল্য ভরপুর একজন শিশু। শেখ রাসেলের এই অকাল প্রয়াণে সুখ-দুঃখ হয়তো কোনদিন আমাদের শেষ হবে না। শেখ রাসেল দিবসে সারা বাংলাদেশের সাড়ে তিন কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, শেখ রাসেলের নির্মলতা, তার দুরন্ত এবং নির্ভীক শৈশবের গল্প সেটি আমরা পৌঁছে দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের এই শিশু-কিশোরদেরকে সেই বিজয়ের গৌরবগাঁথা ইতিহাস থেকে বারবার বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা শেখ রাসেল জাতীয় দিবস ২০২২ এর মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করেছি ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’ এই শব্দগুলোর মধ্য দিয়ে শেখ রাসেলকে আমরা স্মরণ করতে চাই। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু-কিশোর-কিশোরীদেরকে একটি নির্মল শৈশব-কৈশোর এবং একটি নির্ভীক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আরও পড়ুন: নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বিনা উদ্ভাবিত ‘শেখ রাসেল’ ধান
গুলিস্তানে শেখ রাসেল কমপ্লেক্সে আগুন
দিনাজপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরিফ উদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
দণ্ডিত রেজোয়ান সাদ্দাম (২৬) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা, ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট তৈয়বা বেগম জানিয়েছেন, দিনাজপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা রেজোয়ান সাদ্দাম যৌতুক দাবিতে স্ত্রী লায়লা বানুকে (২২) গেল ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই পিটিয়ে হত্যা করেন।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা সাজ্জাদ বাদী হয়ে রেজোয়ান সাদ্দামের বিরুদ্ধে পরদিন নবাবগঞ্জ থানায় হত্যা দায়ের করেন।
আসামি সাদ্দাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয়।
এছাড়াও মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারক। এতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও অন্যায্য
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাণিজ্য সক্ষমতার বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার-প্রসারে গুরুত্বারোপ করেছেন সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি।
রিয়াদে বুধবার তার কার্যালয়ে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
মহামারি কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, এটা বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ভাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।
এ সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান। তিনি এ বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
মন্ত্রী ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে জানান, তার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে নেয়া সাম্প্রতিক উদ্যোগের বিষয়ে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি এ মাসের শেষে দু’দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য ১৪তম যৌথ কমিশন সভার বিষয়েও অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ১৩৭টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের বিষয়ে মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে কার্যকরী সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশের মৎস্য, হালাল মাংস, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স ও সিরামিক পণ্যের মতো অগ্রসরমান বিভিন্ন খাতের উল্লেখ করে সৌদি আরবে এসব পণ্য আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া দুপক্ষের মধ্যে বাংলাদেশে চলমান সৌদি বিনিয়োগ এবং এ বিষয়ে সৌদি প্রস্তাবের ওপরও বৈঠকে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুপক্ষের সম্মতির কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সহায়তা চান।
মন্ত্রী এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সক্ষমতার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর প্রচার-প্রসারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও তিনি এফবিসিসিআই ও ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার্স এন্ড কমার্সের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া সৌদি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সফরের আমন্ত্রণবার্তা পৌঁছে দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশের বানিজ্য মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুটি ভাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের নুতন মাত্রা হিসেবে দ্বিপক্ষীয় কার্যকর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে পারস্পারিক সহায়তার আশ্বাস ব্যক্ত করে বৈঠকের সমাপ্তি হয়। সভায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাস হতে মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা ও ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকার বাতাসের মান ‘গ্রহণযোগ্য’
ঢাকার বাতাসের মান আবারও ‘গ্রহণযোগ্য’ অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৬৩ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার স্থান ৪৫তম।
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘গ্রহণযোগ্য’ বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।
পাকিস্তানের লাহোর, চীনের বেইজিং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যথাক্রমে একিউআই ১৯৭, ১৬৮ ও ১৬১ স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘ভালো’
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’বলে মনে করা হয়।
একইভাবে, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
ক্রমাগতভাবে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু এবং অক্ষমতার জন্য বায়ু দূষণ শীর্ষ ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে৷ বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার কারণে হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ এবং ক্যান্সার হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: একিউআই: ঢাকার বাতাসের মান ‘ভালো’
আজ সকালে ঢাকার বাতাস ‘ভালো’ পর্যায়ে
নাটোরে রাস্তা নিয়ে বিরোধে একজনকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নীলছড়া গ্রামে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিংড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুলসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ছকির শেখ (৫৬) ওই গ্রামের মৃত দবির শেখের ছেলে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে ছকির শেখের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুলের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আশরাফুল রড দিয়ে ছকিরকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাধা দিতে গিয়ে আব্দুর রহিম নামে অপর এক গ্রামবাসী পিটুনির শিকার হন। তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আশরাফুল ও তার সহযোগী বরকত আলীকে আটক করে।
পড়ুন: ডাকাত সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
ইরাবের বার্ষিক প্রকাশনা মোড়ক উন্মোচন করলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইরাব) প্রকাশনা মোড়ক উন্মোচন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ইরাবের বার্ষিক এ প্রকাশনার এবারের বিষয় ছিল চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা।
আরও পড়ুন: ইরাবের বার্ষিক প্রকাশনা মোড়ক উন্মোচন করলেন শিক্ষামন্ত্রী
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মোড়ক উন্মোচন শেষে দীপু মনি বলেন, তৃতীয় শ্রেণির বাচ্চাদের থেকে কোডিংয়ের বই শুরু হয়ে গেছে। এখন থেকে বাচ্চারা খেলতে খেলতে শিখবে। রোবোটিক্সের ওপরে, আইওটির ওপরে বাচ্চারা শিখবে। সেটা আসলেই কত ভালো কাজ করবে, আমি আমার এলাকার তিনটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে একটা পাইলটিং শুরু করেছি। সেটা শেষ হোক, তারপর দেখে বুঝে পরিকল্পনা গ্রহণ করবো।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, নতুন এমপিও’র আপিলের ফলাফল শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। এর কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাব্বির নেওয়াজ, শরীফুল আলম সুমন, নিজামুল হক। এছাড়াও ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম, সাধারণ সম্পাদক ফারুক, সহ-সভাপতি এমএইচ রবিন , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আসিফ কাজল এবং মাসউদুল হক, রকিবুল হক, ইসমাইল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ জুবায়ের প্রমুখ।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী
সারা বিশ্বেই কমবয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নেপাল বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর নেপালে বেড়ানে যান। নেপালে হাইড্রোলিক পাওয়ার প্লাট-এ উৎপাদিত প্রায় পাঁচশত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়টি চুড়ান্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নেপালের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্যপণ্য, পেপার এবং পেপার বন্ড, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেট্রনিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে ব্যাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীক সুবিধা সৃষ্টি এবং সফর বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম হলেও এ বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য নেপালে রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৪ দশমিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এছাড়া নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নেপাল সফর করেন। উভয় দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালুর ফলে এতে নতুনমাত্রা যুক্ত হবে। মঙ্গলা, বাংলাবান্ধা ও বেনাপোল বন্দর ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ ও লাভজনক করবে। পদ্মাসেতুর সুফল পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেপালের সক্ষমতা খুবই কম, পণ্যের শুল্কায়ন সহজ হলে বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি গঠন করে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।
বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে। নেপাল এ বিষয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তাদের আওতাধীন আটটি শিল্প অঞ্চল (ইপিজেড) ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড উচ্চ কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় এবং বিনিয়োগ দেখেছে। বুধবার এই তথ্য জানায় বেপজা।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইপিজেড থেকে রপ্তানি ২০২২ অর্থবছরে আট হাজার ৬৬৫ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ বছরে রপ্তানি ৩০ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
এর আগে ২০১৯ অর্থবছরে এটির কাছাকাছি পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৫২৪ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার।
ইপিজেডের মোট রপ্তানির ৫৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ ছিল পোশাকের চালান। বাকিটুকু ছিল গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, টেক্সটাইল, তাঁবু, ক্যাপ, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য।
এছাড়াও, বেপজা ২০২২ অর্থবছরে ৪০৯ দশমিক ৮০ মিলিয়ন বিনিয়োগ রেকর্ড করেছে। যা আগের সমস্ত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বছরে বিনিয়োগ ২০ দশমিক ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার মতে, আগের ২০১৫ অর্থবছরে রেকর্ড ছিল ৪০৬ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিনিয়োগ কারখানায় ৬৪ হাজার ১৬০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, যা সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন(তাইওয়ান এবং হংকং), জাপান, ভারত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশসহ ৩৭টি দেশের বিনিয়োগকারীরা ইপিজেডে ছয় হাজার ৪০ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত, আটটি ইপিজেডের ৪৫৬টি অপারেশনাল এন্টারপ্রাইজ থেকে মোট রপ্তানি ৯৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যেখানে ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ দুই হাজার ৩৬৫ জনের।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন