%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
বিশ্বরেকর্ড গড়া হলো না ক্ষিতীন্দ্রের
একুশে পদক পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যকে অবশেষে হার মানতে হল অসুস্থতার কাছে।
বিশ্বরেকর্ড গড়তে সোমবার সকালে সিলেট থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দূরে ভৈরবে পৌঁছার লক্ষ্য নিয়ে সাঁতার শুরু করেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সুনামগঞ্জ থানার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিপাটি নামক স্থানের পাশের সুরমা নদীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে নৌকায় তোলা হয় এবং যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সাঁতার শুরু করেছেন ৭০ বছরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র
সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে পানিতে ডুবে কমিশনারের মৃত্যু
মঙ্গলবার তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের পর সেখানে উপস্থিত চিকিৎসকরা জানান, যেহেতু বৃষ্টি হয়েছিল আর নদীর পানি প্রচুর ঠাণ্ডা তাই আজ সকাল থেকেই উনার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, আমরা বার বার অনুরোধ করলেও উনি উনার গন্তব্যে যাওয়ার প্রত্যয়ে সাঁতার চালিয়ে গেলেও অবশেষে শরীরের কাছে হার মানতে হয়েছে। উনি প্রায় ৩৩ ঘণ্টা সাঁতার কেটে ৮৩ কিলোমিটার জলপথ পাড়ি দিয়েছেন।
এর আগে বিশ্বরেকর্ড গড়তে সোমবার সকালে সিলেট থেকে সাঁতার শুরু করেছিলেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। নগরীর সুরমা কিনব্রিজ পয়েন্ট সংলগ্ন চাঁদনিঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি।
তার ২৮৫ কিলোমিটার সাঁতরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাটে পৌঁছানোর কথা ছিল। এতে প্রায় ৭০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে তার ধারণা ছিল। এইটুকু পথ সাঁতরে যেতে পারলে টানা সাঁতারের বিশ্বরেকর্ড হবে বলেও জানিয়েছিলেন ক্ষিতীন্দ্র।
তার এই সাঁতারে সার্বিক সহযোগিতায় থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারু আ. মালেককে কেউ মনে রাখেনি
বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিলেন ৪০ সাঁতারু
সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ র্শীষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তলাবিহীন ও ভিক্ষুকের দেশ খ্যাত বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। উন্নয়নের এই ধারা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের চিহ্নিত করতে অবশ্যই কমিশন হওয়া দরকার। এদের চিহ্নিত করতে না পারলে আবারও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে যেতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর সকলকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, কোন বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, খুনিরা জানতো যে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে শেষ করতে পারলে বাংলাদেশকে হত্যা করা সম্ভব। এছাড়া প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের নৃসংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই রাজাকার ও আইয়ুব খানের মন্ত্রী সভার সদস্যদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। খুনিদের কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটা প্রমাণ করতে রকেট সায়েন্স লাগে না।
এছাড়া ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন না করলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শেষ হতো না। কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। সাতজন বিচারপতি এই মামলার আপিল শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবরকম পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর জীবনটাই ছিল বাংলাদেশের মানুষকে নিজের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করার কাজে। সেজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে সবসময় চরমশত্রু মনে করতো এবং তাঁকে বারবার কারাগারে পাঠায়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য নেন।
আরও পড়ুন: জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে: ফরিদ আহাম্মদ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ জানান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কাঁচা বাজারগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ঢাকা সাউথ সিটি ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ফুড সিস্টেম’ এর ১১তম বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি আমরা একটা প্রবিধান করেছি। সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো যথাযথভাবে এড্রেস করব। আমরা আশাবাদী, আগামী দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত একটি প্রবিধান পেয়ে যাবো। এরপরে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা কাঁচা বাজারগুলোয় শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাঁচাবাজার ও সুপারশপ বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে: ডিএমপি
প্রবিধানের অভাবে এতদিন ঢাকা শহরের অধিকাংশ কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা কষ্টসাধ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, আমাদের তথ্য মতে, ঢাকা শহরে কাঁচা বাজারের সংখ্যা চার শতাধিক। কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাজারের সংখ্যা খুবই কম। এটা পঞ্চাশেরও নিচে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী এটা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। এখানে বলা হয়েছে যে, প্রবিধান দ্বারা আমরা এই কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করব। এর আগে এই প্রবিধান করা হয়নি বলে বেসরকারি বাজারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও তদারকি করা সহজ ছিল না। কিন্তু প্রবিধান চূড়ান্ত হলে এই কার্যক্রম সহজতর হবে।
করপোরেশন কেবল এককভাবে নয়, সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব উল্লেখ করে তিনি জানান, বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের একটি স্থায়ী কমিটি রয়েছে। কিন্তু এককভাবে এই কমিটি তা পারবে না। আমরা আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমাদের স্থায়ী কমিটির পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, আমাদের স্যনিটারি পরিদর্শক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট এনজিগুলোর সমন্বয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা হবে। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আশা করি সকলে মিলে ঢাকার কাঁচা বাজারগুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।
এছাড়াও বৈঠকে অঞ্চল-৩ এর বাবর আলী মীর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৯ নম্বর আসনের শেফালী আক্তার ও ২১ নম্বর আসনের সেলিনা খাঁন, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকা ও ইনস্টিটিউট অব প্রফেশনাল ট্রেনিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট (আইপিটিএম) এবং কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সামাজিক দূরত্ব: কাঁচাবাজারের সময় বাড়ানোর দাবি বিএইচআরসি’র
অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে: দেবপ্রিয়
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং তারপর লিটারে মাত্র ৫ টাকা কমানো হল অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
তিনি বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা কমানো প্রতারণা।
তিনি আরও বলেন, দক্ষতার অভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ইআরএফ ডায়ালগ-এ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা বৈদেশিক লেনদেনে নয়, বরং দেশীয় আর্থিক খাতের দুর্বলতা।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মন্দা ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে এর বিরূপ প্রভাব কমানো যেতে পারে।
তিনি অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে চারটি বিচ্যুতিও চিহ্নিত করেছেন, যা বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এই বিচ্যুতিগুলো হলো- বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না পাওয়া, রাজস্ব উৎপাদনে দুর্বলতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাব এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে বৈষম্য।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি এখন সরকারি বিনিয়োগ দ্বারা চালিত হচ্ছে কারণ জিডিপিতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের অনুপাত কয়েক বছর ধরে বাড়েনি এবং এখনও জিডিপির ২৩ থেকে ২৪ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সিডিপিতে পুনর্নিযুক্ত হলেন ড.দেবপ্রিয়
অন্যদিকে, জিডিপিতে সরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৫ থেকে ৬ শতাংশ থেকে ৭ থেকে ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ হয়নি কারণ এফডিআই এখনও জিডিপির এক শতাংশের নিচে যা একটি গতিশীল অর্থনীতির জন্য যথেষ্ট নয়’।
গত ১০ বছরে গড়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা উল্লেখ করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেন, এটি ইঙ্গিত দেয় যে আয় বাড়ছে। ‘তাহলে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না কেন... হিসেব-নিকেশে কোনো গরমিল আছে কি?’
তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, রাজস্ব আহরণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করতে পারছে না, পাশাপাশি খাদ্য সহায়তার আওতা বাড়ানোও সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার শুল্ক ও মাসুল কমাতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার জন্য তারা রাজস্ব সংগ্রহের জন্য পরোক্ষ করের ওপর প্রচুর নির্ভর করে; যা সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলেছে।’
দেবপ্রিয় অভিযোগ করেন, ভৌত অবকাঠামো খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ২০টি মেগা প্রকল্পে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ জিডিপির এক শতাংশ।
তিনি জানান, রাজনৈতিক শক্তি রাজনৈতিক ঘাটতি পূরণের জন্য দ্রুত গতিতে দৃশ্যমান ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সামাজিক সুরক্ষা নেট ভাতা বিতরণে বড় আকারের বৈষম্য হয়েছে। কারণ তখন প্রমাণিত হয়েছিল যে দুর্বল লোকদের জন্য সরকারি পরিষেবাগুলো পাওয়া সহজ ছিল না।
দেশে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা মহল নীতিনির্ধারকদের প্রশংসা পাচ্ছেন, যার জন্য মেধাভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানের মানবসম্পদ উন্নয়নের অপর্যাপ্ত বিকাশ ঘটেছে।
ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দেশের রপ্তানি, সরকারি ব্যয় কমে যাওয়াটা বড় উদ্বেগের: সিপিডি
২০টি মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রয়োজন: দেবপ্রিয়
আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে চলতি আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
যশোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩৫টি, নওগাঁয় ৩১টি, ঠাকুরগাঁও ও নড়াইলে ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নির্দেশ দেয়া হয়েছে যারা অনিয়ম করেছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমরা তাদের কাছে সুপারিশ পাঠাচ্ছি, তারা এটা পরীক্ষা করবে এবং অনেক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল হবে বলে আমরা মনে করতেছি।
আরও পড়ুন: কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন চাষীরা ধান লাগানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে। তাদের সারও কিনতে হয়। হয়তো ডিলার বলতেছে গাড়ি আসেনি বা কোন কারণে আজকে সার নেই, কাল আসেন। কৃষক হয়তো বলে না থাকলেও কিছু দাও, তখন চালাকি করে কারসাজি করে দাম বেশি নিচ্ছে। ডিসি, এসপি, কৃষি কর্মকর্তাদের টেলিফোন করি, সবাই বলে আমাদের এখানে সারের কোন সমস্যা নেই। আমাদের গুদামে সারের সংকট নেই, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি সার দিচ্ছি। তারপরও কেন দাম বাড়বে। এখানে আমাদের প্রশাসনের কিছুটা ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে। দাম বাড়ার তো কোন কারণ নেই। সংকট নেই।
প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসনের লোক থাকতে পারে, সেটাও আমরা দেখছি। খুব শক্তভাবে, কঠোরভাবে আমরা এটা করার চেষ্টা করছি। রংপুর ও বগুড়ায় এটা বেশি হয়েছে, আমরা এগুলো তদন্ত করছি।
আগস্টে আজকে পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানি করা এক লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এক লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবর ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুদ অনেক বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও দাম কমেছে ভোজ্যতেলের। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডলারের দাম যদি আর না বাড়ে এবং কমের দিকে যায়, তাহলে বাজারে এর একটা প্রভাব পড়বে। এছাড়া ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) বৈঠকে বসবে।
আরও পড়ুন: সরকারকে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের অনুরোধ ক্যাবের
সামনে ভোজ্যতেলের দাম কমবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আমরা অনেক বার বাড়িয়েছি। আবার এ পর্যন্ত তিনবার কমিয়েছি। আপনারা লক্ষ্য করবেন ৬ বা ৭ টাকা সয়াবিনে বাড়ানো হয়েছে, আবার ৭ টাকা পাম অয়েলে কমেছে।
তিনি বলেন, ইন্টারেস্টিং একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় আমাদের সয়াবিন তেল কিন্তু ৩৫ শতাংশের মতো ইমপোর্ট হয়। ৬৫ শতাংশ ইমপোর্ট হয় পাম অয়েল। অতএব সার্বিক ইমপ্যাক্টটা ভালো হয়েছে। আমরা আবারও বসবো খুব শিগগিরই। সময় হয়ে গেছে, হয়তো প্রথম সপ্তাহেই আমরা বসবো। এ সময় আমরা দেখে ঠিক করবো কি হওয়া উচিত। একটা ক্যালকুলেশন সিস্টেম আছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিযানে খালি জরিমানা করেছে। আমি বলেছি টাকা-টুকা জরিমানা বাদ, মামলা করেন অন্যায় যারা করে তাদের বিরুদ্ধে। কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে তারা সঠিক না ভুল। দুই লাখ লাভ করলো, ৫০ হাজার জরিমানা করলে, সে তো মনের আনন্দে আছে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮ ভোজ্যতেল শোধনাগারের বিরুদ্ধে বিসিসির মামলা
ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ে শিগগিরই ট্যারিফ কমিশন বসবে: মন্ত্রী
আমরা ব্যাচেলেটের সফরের মাধ্যমে কিছু লোকের মুখোশ খুলে দিয়েছি: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সাম্প্রতিক সফরের মাধ্যমে সরকার সুশীল সমাজের একটি অংশসহ কিছু লোকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও মুখোশ খুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কাজে বিশ্বাস করি। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও আমাদের যথেষ্ট সদিচ্ছা রয়েছে (মানবাধিকার বিষয়গুলো দেখার জন্য)। আমরা এটা প্রমাণ করতেও পারি।’
তিনি বলেন, কিছু লোক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছিল, এটা খুবই ‘নিচু ও নোংরা’ কাজ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সফরকালীন সময়ে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, তারা আসলে আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে (বিএনপি-জামায়াত) সহায়তা করছেন। ‘এটি সরকারকে অপমান করার একটি অশুভ প্রচেষ্টা।’
তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াত তাদের লোকজন নিয়ে দেশে-বিদেশে ক্রমাগত ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।
কিছু মানুষ জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের আলোচনার বাইরে গিয়ে কিছু বিষয় উত্থাপন করায় প্রতিমন্ত্রী তার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘের কার্যপ্রণালী কিভাবে চলে সে সম্পর্কেও তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই।
শাহরিয়ার বলেন, সুশীল সমাজের একটি অংশের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ব্যাচেলেট স্পষ্ট করে বলেছেন যে বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত দাবিগুলো সমাধান করা তার আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে নেই।
তিনি এই ধরনের প্রচেষ্টাকে ‘আপত্তিকর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর চর্চা নয়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বুঝতে পেরেছেন এই মানুষগুলো কোথা থেকে এসেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী।
তিনি অবশ্য বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার জন্য সরকার সুশীল সমাজের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তবে এর একটি অংশের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, তথাকথিত বিরোধী দলগুলোর একটি বড় ‘ভুল ও ভ্রান্ত ধারণা’ রয়েছে যে তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলে তাদের অনেক দাবি পূরণ হবে। ‘তারা বোকার স্বর্গে বাস করে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাচেলেট নিজে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি তবে তার সহকর্মীকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে নিযুক্ত করেন।
বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তার এই সফর জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা গড়ে তুলবে এবং বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সাহায্য করবে।
ঢাকায় ব্যাচেলেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন ও শিক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সরকার কখনই লবিস্ট নিয়োগ করেনি, করার পরিকল্পনাও নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেছেন ইউএনডিপির নতুন আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফান লিলারকে স্বাগত জানান এবং ইউএনডিপি’র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আকিম স্টেইনার কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে স্টেফান লিলার বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধভাবে অপপ্রচারের মোকাবিলা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে স্টেফান লিলার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে উত্তরন, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইউএনডিপি'র পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।
সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং কাউকে পেছনে ফেলে না যাওয়ার চেতনায় বাংলাদেশে ইউএনডিপি'র কর্মসূচি নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন, বৈষম্য হ্রাস, যুব কর্মসংস্থান, জলবায়ু কার্যক্রম, পরিবেশ সুরক্ষা ও জ্বালানি সক্ষমতার মত বিষয়কে গুরুত্ব দেয়।
স্টেফান লিলার সুইডেনের একজন নাগরিক। তিনি একজন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। তার সংঘাত, সংঘাত-পরবর্তী, নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশের প্রেক্ষাপটে কাজ করার প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, লিঙ্গ, উন্নয়ন অর্থায়ন, জ্বালানি ও পরিবেশ, সুশাসন ও আইনের শাসনে তাঁর নীতিগত ও বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বাংলাদেশে তার বর্তমান দায়িত্ব গ্রহণের আগে, তিনি উরুগুয়েতে ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি হিসাবে এবং এর আগে মলদোভায় ইউএনডিপি ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব লজ এবং মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিষয়ে মন্তব্যহীন দিল্লি
শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কখনও শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। কারণ আমাদের সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা অভিযোগ করে লাভ নাই। বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না, হতে দেয়া হবে না।’
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারকে হত্যা, শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার সরকার পরিকল্পিতভাবে বাজেট প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে দেশকে লাভবান করতে গ্রহণ করা হয়েছে।
পড়ুন:আ.লীগ নেতা নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণের আগে আমরা চিন্তা করেছি দেশ ও দেশের মানুষ এটি থেকে কিভাবে লাভবান হতে পারবে। একটি বড় প্রকল্প থেকে মোটা অংকের কমিশন নিতে সর্বোপরি আমরা কখনও চিন্তা করিনি।’ ‘শেখ হাসিনা কোন প্রকল্প থেকে এভাবে (টাকা কামাই করতে) চিন্তা করেনি,’ তিনি যোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সময়মতো বিদেশি বিনিয়োগের ব্যয় পরিশোধ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ধারের টাকায় ঘি খাই না। আমাদের ঋণের পরিমাণ খুব বেশি নয় যে আমরা কোন প্রকার ঋণের ফাঁদে পড়ে যাবো।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আ.লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আ.লীগের সহ-সভাপতি সাদেক খান এমপি এবং এমএ কাদের খান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত এবং নূরুল আমিন রুহুল এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই: প্রতিমন্ত্রী
দেশে করোনায় একদিনে ১৭২ রোগী শনাক্ত
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। এসময়ে নতুন ১৭২ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩২৩ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১১ হাজার ৭৩২ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার চার দশমিক ০৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ২০১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় বন্ধ হওয়া ৬ ট্রেন চালু হয়নি, দুর্ভোগে যাত্রীরা
দেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য, শনাক্ত ২৪৩