%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পাঁচ দিনব্যাপী মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন রবিবার ঢাকায় শুরু হয়েছে।
বৈঠকে বিভিন্ন নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয় যেমন সীমান্ত হত্যা, মাদক, অস্ত্র, গোলাবারুদ, নারী ও শিশু পাচার, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে সোনা চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও নদী তীর রক্ষা, সশস্ত্র চরমপন্থী বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তথ্য বিনিময়, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) বাস্তবায়নের জন্য যৌথ উদ্যোগ, বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হয়।
ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোর উপায় নিয়েও দুই পক্ষ কথা বলেছেন।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ২০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অপরদিকে তার ভারতীয় সমকক্ষ শ্রী পঙ্কজ কুমার সিং নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আগামী ২১ জুলাই একটি জয়েন্ট রেকর্ড অফ ডিসকাশনস (জেআরডি) স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে সম্মেলন শেষ হবে।
সম্মেলন উপলক্ষে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ভারতীয় প্রতিনিধি দল পদ্মা সেতু ও কক্সবাজার পরিদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন শুরু গুয়াহাটিতে
বিজিবি-বিএসএফের স্থগিত হওয়া সীমান্ত সম্মেলন ১৬-১৯ সেপ্টেম্বর
সোমবার ৩ দিনের বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘চমৎকার’ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অব্যাহত রেখে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে ১৮ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত তিনদিনের বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
জেনারেল মনোজ পান্ডের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই প্রথম বিদেশ সফর।
রবিবার ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) জানিয়েছে, সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে সোমবার শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে সফর শুরু করবেন।
এরপর তিনি নিরাপত্তা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন এবং প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়াও জেনারেল মনোজ পান্ডে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
সফরের দ্বিতীয় দিনে সেনাপ্রধান মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
এরপর তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অ্যান্ড অপারেশন ট্রেনিং-এর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। যা বাংলাদেশের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান, যা জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তি অভিযানে কর্মসংস্থানের জন্য শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়।
এরপর মিরপুরের বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর পরিদর্শন করবেন তিনি।
পিআইবি বলেছে, জেনারেল পান্ডের সফর ‘দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং অনেক কৌশলগত বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতার জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন: এনামুল হকের মৃত্যুতে ভারতীয় হাইকমিশনের শোক
অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় মোদি
নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ‘তলোয়ারের বিপরীতে রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানো’ বক্তব্যে বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহিংসতাকে উসকে দেয়ার শামিল এমন আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী বক্তব্যকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে দেখা যায়, রবিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর দিনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সব দল সহযোগিতা না করলে আমরা সেখানে ব্যর্থ হয়ে যাব। আপনাদের সমন্বিত প্রয়াস থাকবে, কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকে রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি যদি দৌড় দেন, তাহলে আমি কী করব?’
আরও পড়ুন: বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন সংবাদে গভীর বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি দায়িত্বশীল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রের নির্বাচনসমূহ স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং সবার জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিত করার দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত। কিন্তু নির্বাচনে সবার সহযোগিতা চাইতে গিয়ে সম্ভাব্য সহিংসতা প্রসঙ্গে তিনি যে তলোয়ারের বিপরীতে তলোয়ার বা রাইফেল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন- প্রকান্তরে তা সহিংসতাকেই উসকে দেয়। এ ধরনের সহিংসতা সহায়ক বক্তব্য যে কোনো নাগরিকের জন্য যেখানে অপরাধ প্রবণতার দৃষ্টান্ত, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে থেকে জনাব আউয়ালের এমন বক্তব্য আত্মঘাতী, অপরিণামদর্শী এবং অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেননা সিইসির এমন বক্তব্য নির্বাচন কেন্দ্রিক পেশী শক্তির ব্যবহার, বুথ দখল কিংবা ভোটারদের ভোট দিতে না দিয়ে জোরপূর্বক বাক্স ভরার যে অরাজকতা বিগত কয়েকটি নির্বাচনকে নামমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত করেছে, তাকেই উৎসাহিত করার নামান্তর। টিআইবি আশা করে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার এহেন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেবেন এবং তলোয়ারের বিপরীতে রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শটি প্রত্যাহার করে নেবেন।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনও নির্বাচন কমিশনের অঙ্গীকার হওয়া উচিত। কিন্তু নির্বাচনকালীন সহিংসতাকে রোধের নামে পাল্টা সহিংস আচরণের এই পরামর্শ সহিংসতা ঠেকাতে যথোপযুক্ত কৌশল প্রণয়নে কমিশনের ব্যর্থতাকে স্পষ্ট করে দেয়। একই সঙ্গে তা নির্বাচনের বিভিন্ন অংশীজন বা রাজনৈতিক দলগুলোকে বা তাদের ছত্রছায়ায় স্বার্থান্বেষী মহলকে সহিংসতা বেছে নিতেই উৎসাহিত করবে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা আশা করি কমিশন এ ধরনের সহিংসতা সহায়ক প্রস্তাবের পথ পরিহার করে নির্বাচনকালীন সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে কার্যকর কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবে। পাশাপাশি কোনো প্রকার সহিংসতা, বিশেষত নির্বাচনকালীন সহিংসতাকে উসকে দেয় এমন কোনো বক্তব্য দেয়া থেকে কমিশন নিজেকে বিরত রাখবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির
জাপানের রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ব্যাখা দিল টিআইবি
পানির মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
রাজধানীতে পানির মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের জন্য ঢাকা ওয়াসাকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসার এলাকাভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ বিষয়ক টেকনিক্যাল স্টাডির (কারিগরি গবেষণা) ফলাফল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।মন্ত্রী বলেন, পানির দাম অবশ্যই যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। মানুষের জন্য যেন কষ্টকর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার কম মূল্যে পানি সরবরাহ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠান যাতে অকার্যকর না হয় সে দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ভুর্তকি দিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারবে না। পানির দাম কত হবে তা ওয়াসার বোর্ড সভার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে। অযৌক্তিকভাবে পানির দাম যেমন বাড়ানো উচিত নয়, তেমনি যৌক্তিক মূল্য প্রদানে অসহযোগিতা করার সুযোগ নেই। উৎপাদন খরচ কোনভাবেই বিক্রয়ের চেয়ে কম হতে পারে না। শুধু দাম বাড়লেই প্রতিষ্ঠান লাভজনক হবে না। যদি সেখানে অব্যবস্থাপনা থাকে। অব্যবস্থাপনা বা দুর্নীতির কারণে পানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতিকে কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।
আরও পড়ুন: পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
তিনি বলেন, অভিজাত এলাকায় বসবাসরত মানুষকে যে মূল্যে পানি দেয়া হয় বস্তিবাসী বা নিম্নবিত্তদের তার থেকে কম মূ্ল্য পানি সরবরাহ করা উচিত। গরিব মানুষের কাছ থেকে রাজস্ব নিয়ে ধনীদের কম দামে পানি দেয়ার সুযোগ নেই। এজন্য জোনভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। আর শুধু পানি নয় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ হওয়া উচিত।মন্ত্রী জানান, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের মূল শহরে বেশি মানুষ বসবাস করে না। কারণ এখানে বসবাস করা অনেক ব্যয়বহুল। তাই ব্যয় সংকোচনের জন্য পার্শ্ববর্তী শহরে বসবাস করে। সকালে ট্রেনে করে মানুষ শহবে এসে অফিস করে বিকেলে চলে যায়। আমরাও যদি আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে পারি তাহলে ঢাকার মানুষকে আশপাশের শহরে রিলোকেট করা সম্ভব হবে।এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সবাই ঢাকায় থাকতে চায়। দেশের সব মানুষকে ঢাকায় রাখা যাবে না। আবার ঢাকা থেকে মানুষকে জোর করে বের করে দেয়াও যাবে না। শহরমুখী মানুষের চাপ কমাতে গ্রামগুলোকে উন্নত করতে হবে। আধুনিক নাগরিক সেবা গ্রামে পৌঁছে দিতে সরকার আমার গ্রাম আমার শহর দর্শন বাস্তবায়ন করছে। শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। গ্রামে বসে শহরের আধুনিক সব নাগরিক সেবা পেলে মানুষ শহরে আসবে না বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। শহরের সেবা গ্রামে পৌঁছে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কাজ করছে।সকল প্রতিষ্ঠান কাজ করার জন্য একদিকে যেমন সুযোগ দিতে হবে তেমনি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বশীল হতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিককে দ্রুত সেবা দেয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। দিনের পর দিন সেবাগ্রহীতাকে কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না বলেও সতর্ক করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা জাহান।
আরও পড়ুন: পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা নিরসনে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৩
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে, এসময় ৫৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২২ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৭০ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৫২ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকায় মোট এক হাজার ৪৯১ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২৩২ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৪৯৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদেরমধ্যে এক হাজার ৩২০ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ১৭৮ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি
রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কর্তৃক কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তাকে অনেক বিব্রত করেছে।
রবিবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজন হলে আমরা সংসদ স্পিকারের কাছে যেতে পারি।
গত ৭ জুলাই সংসদ সদস্য ওমর ফারুক রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
পরদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুন: দেশবিরোধী অপশক্তি পাঠ্যবই নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করছে: শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আউয়াল রাজুসহ অন্যদের উপস্থিতিতে সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক চৌধুরী ও অধ্যক্ষ সেলিম রেজা দুজনেই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অস্বীকার করেন।
সেলিম রেজা বলেন, আবদুল আউয়াল তাকে সংসদ সদস্য ফারুকের কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন, সেখানে পৌঁছে তিনি বিভিন্ন কলেজের আরও সাতজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে দেখতে পান। ‘পরবর্তীতে প্রধান ফোরাম কমিটি গঠন এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের থামাতে সংসদ সদস্য ওমর ফারুককে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, সেদিন আর কিছুই হয়নি।’
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক বলেন, একটি সিন্ডিকেট ইস্যু তৈরির জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়েছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম কলেজ শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে বিকৃত রূপ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মূলত ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য তাদের ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে এবং অধ্যক্ষ সেলিম ও আব্দুল আউয়াল একে অপরকে আক্রমণ করে যা আমাকে থামাতে হয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
স্কুল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকেও রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল সহযোগিতা না করলে কমিশন ব্যর্থ হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সমন্বিত প্রয়াস থাকতে হবে। কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকেও কিন্তু রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি দৌড় দিলে আমি কী করবো? আমরা সাহায্য করবো। পুলিশ ও সরকারের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’
রবিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) একটি টিমের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন সিইসি। এ বৈঠকের মাধ্যমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপের শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওইসিডির দূতদের গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশ্বাস সিইসি’র
তিনি বলেন, ‘আমরা সহিংসতা বন্ধ করতে পারব না। আপনাদেরও (রাজনৈতিক দলগুলো) দায়িত্ব নিতে হবে। আপনারা খেলোয়াড়। আপনারা মাঠে খেলেন। আমরা রেফারি। আমাদের অনেক ক্ষমতা আছে। ক্ষমতা কম নয়। আমরা ক্ষমতা প্রয়োগ করবো।’
২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পারফরম্যান্স দিয়ে বর্তমান কমিশনকে বিচার না করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন হাবিবুল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সময় বাহাউদ্দিনকে কুমিল্লা সিটি ছাড়ার নির্দেশ ইসি দেয়নি: সিইসি
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নেব। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। যদি সব দল সহযোগিতা না করে, আমরা সেখানে ব্যর্থ হব।’
সিইসির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, আইন শটগান নিয়ে দাঁড়ানোর অনুমতি দেয় না। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় সিইসি আর কোনো মন্তব্য করেননি।
গাজীপুরে তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
গাজীপুরের টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকায় আউটার সিগন্যালে তেলবাহী ট্রেনের দুটি বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে বিকল্প রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুর রাকিব জানান, আখাউড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তেলবাহী ট্রেনটি রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে টঙ্গী স্টেশনে প্রবেশ করে। ট্রেনটি ৪ নম্বর লাইন থেকে ৫ নম্বর লাইনে প্রবেশের সময় এর মাঝখানের দুটি বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেন চলাচল ব্যাহত হলেও অপর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করলে ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রেন লাইনচ্যুত: ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ
লাইনচ্যুত: ৭ ঘন্টা পর ঢাকা-সিলেট ট্রেন চলাচল শুরু
নিয়ন্ত্রণ নয়, সুরক্ষায় ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় বরং উপাত্ত সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে আয়োজিত পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন যাতে সর্বজনীন হয় এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পৃথিবীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে জুলাই-আগস্ট মাসে আরও ২-৩টি পরামর্শ সভা করা হবে এবং এসব পরামর্শ সভার মাধ্যমে উঠে আসা যুক্তিসঙ্গত সুপারিশগুলো গ্রহণ করে সকলের জন্য মঙ্গলজনক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে।
এই আইনের দ্বারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে যে সুরক্ষা ও নিশ্চিয়তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেয়ার ক্ষমতা কারও নেই। বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে, সেজন্য আমরা সেখানে হাত দিবোই না।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের এবং রাষ্ট্রের তথ্যের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক, আইসিটি এক্সপার্ট তারিক এ বরকতুল্লাহ বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন আইনটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো আছে: আইনমন্ত্রী
বিচার বিভাগের সমস্যা সমাধানে কার্পণ্য করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
গ্রিসে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো বিমানটি বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে আসছিল: সার্বিয়ান মন্ত্রী
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো বিমানটি ল্যান্ড মাইনসহ ১১ টন অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শনিবার গভীর রাতে কাভালা শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং এতে থাকা আট আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। বিমানটি সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাচ্ছিল।
আন্তোনভ-১২ কার্গো বিমানটি ইউক্রেনের কার্গো এয়ারলাইন মেরিডিয়ান পরিচালিত।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আন্তোনভ-১২ বিধ্বস্ত হওয়া এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী লোকজনকে বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপালে বিমান বিধ্বস্ত, মিলেছে সর্বশেষ লাশের খোঁজ
রবিবার সকালে স্থানটি নিরীক্ষা করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি জানিয়েছে, সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ও গ্রিক পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মীরা এটিকে নিরাপদ বলে মনে না করা পর্যন্ত সেখানে যাবেন না।
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের ফায়ার ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মারিওস অ্যাপোস্টোলিডিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে (বাতাসের) পরিমাপ কিছুই দেখায়নি। কিন্তু তবুও ওই স্থানে অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে।’
‘অন্য কথায় তীব্র ধোঁয়া ও তাপ, সেইসঙ্গে একটি সাদা পদার্থ যা আমরা চিনতে পারি না। তাই একটি বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর দলকে আমাদের জানাতে হবে এটি কী ও আমরা ওই স্থানে প্রবেশ করতে পারি কি না।’
উড্ডয়নের পরপরই ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি রানওয়েতে পৌঁছাতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় সময় রাত প্রায় পৌনে ১১টার দিকে বিমানটিকে দেখতে পান।
আরও পড়ুন: হাইতিতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী নেবোজা স্টেফানোভিচ বলেছেন, আন্তোনোভ এএন-১২ প্রায় ১১ টন সার্বিয়ার তৈরি অস্ত্র বাংলাদেশে পরিবহন করছিল।
ঢাকার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে এটি জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারতে যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল।
তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো সংযোগের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।