%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
সংলাপে যোগ দিতে ১০ নভেম্বর ভারতে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ১০ নভেম্বর ভারতে আসছেন। তার সঙ্গে যোগ দেবেন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।
বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তারা বার্ষিক ২+২ সংলাপে অংশ নিতে ভারত সফর করবেন, যেখানে তারা অন্যান্য দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করবেন।
২০১৮ সালে ২+২ সংলাপ শুরু করা হয়। যেখানে দুই দেশ কৌশলগত ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
এছাড়াও, সেক্রেটারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এটি সেক্রেটারির এশিয়া সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত, উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত রাখতে ভারতের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা হবে আলোচনার অন্যতম বিষয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সম্পর্কে মার্কিন সিনেটরদের অবহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইমরান
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সংঘাত এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করবেন নেতারা।
ইসরায়েল-হামাসের বিষয়ে, ভারত সরকার হামাসের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দায় সরাসরি ছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ গাজায় টেকসই মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ‘ভারতের সঙ্গে এই সংঘাতের বিস্তার রোধ, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যগুলো আমরা ভাগ করি।’
আরও পড়ুন: সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
ঢাবিতে অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন ও ডিইউ রাইটার’স হাবের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সিম্পোজিয়াম।
বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে এই সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়।
সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোহাম্মদ আখতার হোসেন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরিপয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের দায়িত্বরত ড. বার্নার্ড স্পেনার।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আ.ন.ম. ফখরুল আমিন ফরহাদ।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে আন্তর্জাতিক সৌর জোটের ৬ষ্ঠ অধিবেশন অনুষ্ঠিত
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় দায়িত্বরত ছিলেন মহিউদ্দীন ভূইয়া ও খাদিজা আক্তার ঊর্মি। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের হেড অব কমিউনিকেশন রাইসা নাসের।
আলোচনায় ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেডের সভাপতি মাসুদ খান বলেন, ‘আমাদেরকে পরিচালিত করে আমাদের মন। তাই আমাদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে আমাদের মনস্তত্ত্ব অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে। তাই মানসিক প্রশিক্ষণ আমাদের জন্য প্রয়োজন। নেতিবাচকতাকে পরাভূত করে ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানসিক প্রশিক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শারীরিক প্রশিক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষম থাকার জন্য শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই।’
এটুআই প্রোগ্রামে সোশ্যাল ইনোভেশনের প্রধান মানিক মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের পড়ালেখা ও চাকরিজীবনের দক্ষতায় অনেক বড় একটা বিস্তর ফারাক আছে, যে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত নয়। কিন্তু কাজের সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং সমসাময়িক চাকরির বাজারের মধ্যে একটা যোগাযোগ তৈরি করতে হবে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারপার্সন মাহবুব রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘দক্ষতা বিষয়টি আমরা কখনোই এড়িয়ে যেতে পারব না। অনেক রকম দক্ষতা বা স্কিলের মধ্যে ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে লাগবেই এবং এটা আমাদের গুরুত্বের সঙ্গেই শেখা উচিত। এর পাশাপাশি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
বার্নার্ড স্পেনার তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এই বিশাল জনসংখ্যার কোয়ালিটি যদি বৃদ্ধি করা যায় তাহলে অনেক বড় একটা বিপ্লব সাধন হবে। এখনই প্রয়োজন যুবসমাজের ডিজিটাল স্কিল বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ক্লাসের লেখাপড়া ক্যারিয়ার গঠনের সামান্যতম অংশ। জীবনে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতার বিকাশ করতে হবে। এর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি ও যোগাযোগ দক্ষতা বিকাশ অন্যতম।’
এছাড়াও প্যানেল মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরান হোসেন ভূইয়া এবং সাদিয়া নূর খান। অনুষ্ঠানের ফুড পার্টনার হিসেবে ছিলো কুপার্স।
উল্লেখ্য, অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন যাবত যুবসমাজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক বিকাশের জন্য কর্মশালা, আলোচনা সভা ও অনলাইন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্পের সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব দলের প্রতি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের আহ্বান
সহিংসতা পরিহার করে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক' নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে সকল পক্ষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় বলেছে, ‘ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের
বার্তায় বলা হয়, 'অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে যুক্তরাজ্য সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা পরিহার এবং একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।’
এর আগে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন সারা কুক।
বৈঠকে তিনি গত ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাজ্যের গভীর উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকের পর মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, 'কূটনীতিক হিসেবে আমরা সুশীল সমাজ ও বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম কর্মী, ব্যবসায়ী নেতা, চেম্বার অব কমার্স, রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ এবং আরও অনেক ধরনের সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলি।’
মুখপাত্র বলেন, এই কথোপকথন বাংলাদেশকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে তাদের সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের
সহিংসতা বর্জন করে সংযম বজায় রাখার আহ্বান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারাহ কুকের
সাংবাদিকদের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ডেলিগেটস কনফারেন্স-২০২৩-এ তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, 'আমি যেহেতু এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং এবারও এখানে এসেছি, তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বিজেডব্লিউটি গঠনের সময় তিনি নগদ টাকা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার নগদ টাকা দিয়ে ট্রাস্ট ফান্ডের সূচনা করেন।পরে তিনি বিভিন্ন সময়ে আরও অনুদানও দেন।
বিএফইউজের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা 'সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতিমালা-২০১২' এবং 'বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪' প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, এই আইনের অধীনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারকে কল্যাণ অনুদান হিসেবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সময়ের প্রথম পর্যায়ে বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৩৫০ জন সাংবাদিকের মধ্যে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।
দ্বিতীয় ধাপে ২০২০-২১, ২০২১-২০২২ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তার আওতায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৭২৭ জন সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারতের সহায়তায় ৩ প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের তিন জ্যেষ্ঠ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাশকতার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মামলায়ও তাদের আসামি করা হতে পারে।
আইজিপি বলেন, চলমান তদন্তে উসকানিমূলক হামলার পেছনে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে 'বঙ্গবন্ধু ২য় সাউথ এশিয়া সাম্বো-কুরাশ প্রতিযোগিতা ২০২৩' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ আটক ৯
তিনি বলেন, হত্যা ও নাশকতার মামলা তদন্তাধীন। তাদের (বিএনপির তিন নেতা) নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের তথ্য পাওয়া গেলে তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
তিনি বলেন, হামলা বা হুমকি সত্ত্বেও পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘আমরা সেসব অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের দায়িত্ব পালন থেকে পিছপা হব না এবং যেকোনো ধরনের উসকানির মুখেও আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করব। আমাদের এমন প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য আছে। বাংলাদেশের প্রতিটি পুলিশ সদস্যের মনোবল দৃঢ়।’
আইজিপি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে এবং যারা এ ধরনের কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হঠাৎ করে মানুষ, সম্পত্তি ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হলেও পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, 'আমরা ওই সময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেয়নি। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে তাদের (বিএনপি নেতাদের) গ্রেপ্তার করেছি।
আরও পড়ুন: মিয়া আরেফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মিয়া আরেফির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর ভার্চুয়াল আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ডের মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরেফিকে আটক করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বুধবার এ মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: মিয়া আরেফির বিষয়ে কনস্যুলার অ্যাকসেস চেয়েছে মার্কিন দূতাবাস
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি কার্যালয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয়ে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জাহিদুল ইসলাম আরেফি। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। তবে, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানায়, জাহিদুল ইসলাম আরেফী মার্কিন সরকারের কেউ না।
জাহিদুল ইসলাম আরেফির জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে থাকেন। মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসেন জাহিদুল ইসলাম আরেফি।
আরও পড়ুন: বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া মিয়া আরেফিকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক
সংহতি ও বন্ধুত্ব থেকেই শ্রীলঙ্কাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছে বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার বন্ধুপ্রতীম দেশ শ্রীলঙ্কার জনগণের জন্য ১০ কোটি টাকার চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,‘এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে সংহতি ও বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রুওয়ান্থি দেলপিটিয়া, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে প্রতিটি দেশ বিভিন্ন মাত্রায় নিজস্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এই কঠিন সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেকোনো দেশকে, বিশেষ করে তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে তার সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা দিতে দ্বিধা করে না। ‘আমাদের কার্যক্রমের মূল ভিত্তি হলো বিশুদ্ধ সদিচ্ছা এবং সুতো ছাড়াই বন্ধুত্ব।’
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান, সিরিয়া, তুরস্ক ও সর্বশেষ ফিলিস্তিনকে ওষুধ ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর শ্রীলঙ্কায় অনুদান হিসেবে প্রায় ২০ কোটি টাকার ওষুধ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা সময় ও খরচ কমাবে:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এখন থেকে সেবাগ্রহীতারা সহজে এই গুরুত্বপূর্ণ স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা পাবেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এটি সেবাগ্রহীতাদের সময় ও খরচ কমাবে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কন্স্যুলার লাউঞ্জে ‘জার্নি টোয়ার্ড স্মার্ট কনস্যুলার সার্ভিস’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীতে বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে গুণগত সেবার মান আরও বাড়ানো হবে। এজন্য সার্ভার আপগ্রেডেশনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা অটিজম ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের মর্যাদা নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কন্স্যুলার সেবা স্মার্ট হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ দালালদের খপ্পর থেকে বাঁচবেন। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সুবিধার্থে ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, ইতালিসহ ৮টি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনকে হারাতে চাইলে টাকার ঝুড়ি ও সাশ্রয়ী প্রস্তাব নিয়ে আসুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মহাপরিচালক (আইসিটি) ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্রবিষয়ক ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম, মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাপরিচালক (কনস্যুলার) শাহ্ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর, এটুআই এর উপসচিব সালাহ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগানকে সামনে রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এটুআই এর সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ কনস্যুলার ডকুমেন্টের সত্যায়নে বারকোডিং প্রথা চালু করেছে। এ ছাড়া দেশের সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে সফরের নিমিত্ত ভিসাপ্রাপ্তি ত্বরান্বিত করার জন্য নোট ভারবাল ও লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। খুব শিগগিরই বিদেশে গমনইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবাটি অনলাইন করা হবে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী কয়েকটি দেশ মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নির্বাচনকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সিরাজ-উদ-দৌলা খান ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ নভেম্বর করার একটা সম্ভাব্য সময় থাকলেও একদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ উদ্বোধন করলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে ১ ডিসেম্বর।
এর আগে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে তার একদিন আগেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ রেলপথ।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর