%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
আগামীকাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, শিক্ষা কার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্তি
আগামীকাল (২৫ নভেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ বছরে পদার্পন করছে।
খুবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই।
এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়।
একই বছরের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য এ বছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অংশীজনদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কালজয়ী মুজিব ও শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পরে মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন, সন্ধ্যা ৬টায় গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- যোহর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা।
এছাড়া ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুবি অ্যালামনাইয়ের 'খুরশীদ-আক্তার' প্যানেলের পরিচিতি সভা ও ইশতেহার ঘোষণা
সিলেট নগরীতে রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
সিলেট নগরীর রাস্তার পাশ থেকে এক রিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত রিকশা চালক নাম বাচ্চু মিয়া (৫৫) নরসিংদীর মাইজের চর এলাকার আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে। নগরীর বরইকান্দি ১ নাম্বার রোডের একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, বাচ্চু মিয়া প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে রিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি রিকশা চালিয়ে হুমায়ুন রশিদ চত্বরে আসলে চলন্ত অবস্থায় রিকশা থেকে পড়ে যান। এ সময় রিকশায় যাত্রী ছিল না। পরে পথচারীসহ স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশে সরিয়ে নিলে সেখানেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার
এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রিকশা চালক বাচ্চু মিয়া স্ট্রোক করে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার
রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
রাশিয়ান ফেডারেশনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান ১৯ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর রাশিয়ার ইভানোভো অঞ্চল সফর করেন।
সফরকালে তিনি এই অঞ্চলের গভর্নর ভসক্রেসেন্সকি স্তানিস্লাভ সের্গেইভিচের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সংঘটিত হয়েছে সে সম্পর্কে গভর্নরকে অবহিত করেন।
তিনি দু’দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ খাতে রাশিয়ার আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করেন।
ইভানোভো শহরটি রাশিয়ার পোশাক শিল্পের জন্য বিখ্যাত এবং এই শহরে অনেক পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূত গভর্নর সের্গেইভিচকে অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত।
দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় এ সময় গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়।
আরও পড়ুন: ৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরামে ভাষণ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বগুড়ায় বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সম্প্রতি দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক ৫৫ বছর বয়সী এক বিএনপি নেতর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মান্দাইল গ্রামের সরিষাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল মতিন (৫৫) মান্দাইল গ্রামের মৃত কফিলের ছেলে। তিনি বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাহী সদস্য ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই দিন থেকে তিনি বাড়ি থেকে পলাতক ছিলেন।
মতিনের শ্যালিকা শাহনাজ খাতুন জানান, স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে গত চার মাস ধরে মতিন শেরপুরে মেয়ের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। বুধবার সকালে তিনি কিছু গরম কাপড় নিতে বাড়িতে আসেন এবং কিছুক্ষণ পরে আবার চলে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ফ্ল্যাট থেকে দুই বোনের লাশ উদ্ধার
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সরিষাখেতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, অক্টোবরের শেষদিকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে দেশের বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলেছিলেন,‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।’
আরও পড়ুন: মানব সম্পদ ও জলবায়ু সহনশীলতার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা আমরা বারবার তুলে ধরেছি।’
সাংবাদিকরা রুশ কর্মকর্তার মন্তব্যের বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও দূতাবাসের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
২৯ অক্টোবর থেকে চলমান হরতাল-অবরোধে ৩১০টি ভাঙচুর ও ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগ হয়েছে: পুলিশ
গত ২৯ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর অবরোধ ও হরতাল চলাকালে সারাদেশে ৩১০টি ভাঙচুর ও ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে আগুন দেওয়া হয়েছে মোট ২৯০টি গাড়িতে।
এছাড়া গত ৬ ও ১৫ নভেম্বর ঝালকাঠি ও পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর এবং সিরাজগঞ্জে দুটি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
উল্লেখিত সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় কর্তব্যরত অবস্থায় এক পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হন।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত রেলওয়েতে মোট ২৪টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কমলাপুর, টাঙ্গাইল ও জামালপুর রেলস্টেশনে ৩টি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর মধ্যে রমনা থেকে দুইজন, বংশাল থেকে দুইজন, মুগদায় চারজন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থেকে দুজন, মোহাম্মদপুর থেকে একজন, পল্লবী থেকে আটজন, কাফরুল থেকে একজন, গুলশান থেকে পাঁচজন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে একজন, খিলক্ষেতে দুজন ও উত্তরা পূর্ব থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়াদের অনেকেই জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ভাঙচুর ও নাশকতার মতো সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগের ঘটনার তথ্য দিয়ে অগ্নিসংযোগকারীদের ধরতে সহায়তা করলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ অবরোধ কর্মসূচি: সারা দেশে ২৩৩ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২৮ টহল দল মোতায়েন
যুবদলনেতা ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক মো. মামুনুর রহমান ছিদ্দিকীর আদালত এ রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আতাউর রহমান এ তথ্য জানান।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- ইমরান নাহিদ, শাহিন, সেন্টু, মাসুম, হায়দার আলী বাবলা ও রিয়াজ উদ্দিন।
ছাত্রদল দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন আনোয়ারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ কোতোয়ালি থানার বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আসামিরা বিএনপির হরতাল সফল করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে রিকশাচালক কামাল হোসেন আহত হন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান ১৩ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে শেষে সাব-ইন্সপেক্টর নাজিম উদ্দিন ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত আট জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সিভিল এভিয়েশন একাডেমির বর্ণাঢ্য সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সহযোগিতায় এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও বোয়িং কোম্পানির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় সিভিল এভিয়েশন একাডেমির বর্ণাঢ্য সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ৫ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত তিন সপ্তাহব্যাপী আইকাও গভর্নমেন্ট সেফটি ইন্সপেক্টর-এয়ারওর্দিনেস (জিএসআই-এয়ার) কোর্স অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, আইকাওয়ের সহযোগিতায় ‘বিহেভিয়ার ডিটেকশন’-শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী এভিয়েশন সিকিউরিটি কোর্স অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল এভিয়েশনের ক্যাপাসিটি বিল্ড আপের জন্য আন্তর্জাতিক কোর্সগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনে নতুন যোগদানকারী ২৫৬ জন প্রশিক্ষণার্থীদের ১২টি বিষয়ভিত্তিক ট্রেড কোর্সসহ মোট ১৮টি কোর্সের আওতায় ২৮৭জন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্যক ভূমিকা পালন করবে।
সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোয়িং কোম্পানির প্রতিনিধি রিতিশ পিল্লাই।
তাছাড়া, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরের সদস্য, পরিচালক, সহকারী পরিচালক, কোর্সের প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থী এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনায় সফলতার জন্য এটুআই পেল ‘আইএসও সনদ’
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সিভিল এভিয়েশন একাডেমির সার্বিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং যুগোপযোগী আধুনিক প্রশিক্ষণ দান নিশ্চিত করার মাধ্যমে সিভিল এভিয়েশন খাতকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন খাতকে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সিভিল এভিয়েশন হাব-এ পরিণত করার লক্ষ্যে সিভিল এভিয়েশন একাডেমিকে কার্যকরী ভূমিকা পালনের সার্বিক নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) তার সমাপনী বক্তব্যে সিভিল এভিয়েশন একাডেমিতে আইকাও গোল্ড সদস্য সনদপত্র সংগ্রহের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তার বক্তব্য শেষ করেন।
এতে বিগত ছয় মাসের ১৮টি কোর্সের আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ২৮৭জন প্রশিক্ষণর্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্যক ভূমিকা পালন করবে।
উক্ত কোর্স পরিচালনার জন্য ৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন ও আর্থিক ব্যয় মঞ্জুরী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। যা স্থানীয় প্রশিক্ষণ খাত থেকে ব্যয় করা হবে।
অতএব, ওই কোর্সের অনুকূলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ টাকা মো. মজিবুর রহমান মিয়াজী, সহকারী পরিচালক (মিটিওরলজি) এর অনুকূলে অগ্রিম দেওয়া যেতে পারে। অগ্রিম গ্রহণকৃত টাকার প্রকৃত খরচ বিল ভাউচারের মাধ্যমে পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে।
সিভিল এভিয়েশনের ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ জোন- এ ইন্সট্রাক্টর্স ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ জোন এর জন্য আইকাও ট্রেইনার প্লাস এর সহযোগিতায় আইকাও-টিআইসি কোর্স, পার্ট-২ অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল এভিয়েশনের ক্যাপাসিটি বিল্ড আপের জন্য এই তিনটি আন্তর্জাতিক কোর্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসার কোর্সের সনদ বিতরণ
সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিজেএস-ইএমকে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম
ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরের অবস্থার অবনতি ও খাদ্য সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে নৌকার ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় আসা অব্যাহত রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি আঞ্চলিক জরুরি প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'সংকটের মূল কারণ হলো মিয়ানমারের অবৈধ সামরিক জান্তা- এর সমাধান না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।’
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশে নৌকায় করে ১ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পৌঁছেছে।
অ্যান্ড্রুজ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও সহায়তা প্রদানের জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকারের প্রশংসা করেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যাদের জরুরি ভিত্তিতে পুষ্টি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: আমরা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে মনোনিবেশ করছি: আফরিন আখতার
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে তাদের উপকূলে নৌকা থেকে নামিয়ে নেওয়ার ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষের উদাহরণ অনুসরণ করার জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কারণ, আরও রোহিঙ্গা শরণার্থী নৌকায় করে তাদের উপকূলে আসতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ায় বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গাদের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং অভ্যন্তরীণ আইন অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করায় ইন্দোনেশিয়া সরকারকে অভিনন্দন জানানো উচিত। কিন্তু তারা একা এটা করতে পারে না। এটি একটি জরুরি অবস্থা, এবং একটি জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। তাদের জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রয়োজন রয়েছে যারা সমুদ্রে চলাচলের অনুপযোগী জনাকীর্ণ নৌকায় সমুদ্রে আটকা পড়ে থাকতে পারে।’
অ্যান্ড্রুজ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংকটের মূল কারণটি চূড়ান্তভাবে সমাধান না করা পর্যন্ত সংকট আরও জটিল হতে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সমাধান ততক্ষণ সম্ভব নয়, যতক্ষণ না জান্তা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও নাগরিকত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার গঠনে বাধা দেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারের জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে যাওয়ার জন্য জান্তাকে অস্ত্র, অর্থ ও বৈধতা না দিয়ে সংকটের মূল কারণগুলো সমাধান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
জাতিসংঘের দূত বলেন, যতক্ষণ না রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা, মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করে স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবশ্যই পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা তহবিল প্রদান করতে হবে এবং পুনর্বাসনসহ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য টেকসই সমাধান নিয়ে ভাবতে হবে।
অ্যান্ড্রুজ এ বছরের শুরুতে আচেহ ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, এর মধ্যে পিডির একটি শরণার্থী শিবিরও ছিল। যেখানে তাকে বলা হয়েছিল যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বিপজ্জনক যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ বলেন, 'আমি ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাহিদা মেটাতে মানবিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছি। এর মধ্যে সম্প্রতি আগমনকারীদের জন্য আশ্রয়শিবির নির্মাণও রয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশুসহ শোষণ ও মানব পাচারের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য সেবা প্রদান করা উচিত।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
অ্যান্ড্রুজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই আগমন বাংলাদেশে খারাপ পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গার আগমনের ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, কে তাদের দোষ দিতে পারে? বাবা-মায়েরা ভঙ্গুর পর্যায়ে পৌঁছেছেন, কারণ তাদের সন্তানরা ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছে এবং শিবিরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে।’
‘এই পরিবারগুলো অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভিড়যুক্ত নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে চড়ছে, কারণ তারা বিপদগ্রস্ত এবং কোনও বিকল্প দেখছে না।’
তিনি বলেন, 'অতীতে কেউ কেউ যেমন করেছে- কোনো রাষ্ট্রই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নামতে বাধা দেবে না। নৌকাগুলোকে সমুদ্রে ঠেলে দেবে না।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
সুন্দরবনে এক জেলের জালে ধরা পড়া ২৭টি মেদ মাছ বিক্রি হলো লাখ টাকায়। এতে বেজায় খুশি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের জেলে বাবলু কয়াল।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে শ্যামনগরের নীলডুমুর ঘাটে পাইকারি এক ক্রেতা ৬০০ টাকা কেজি দরে মাছগুলো ১ লাখ টাকায় কিনে নেন।
জানা গেছে, গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের বাবলু কয়াল বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে কয়েকদিন আগে মাছ ধরতে সুন্দরবনে যান। বুধবার রাতে সুন্দরবনের মাহমুদা নদীতে জাল ফেলেন তিনি। সেই জালেই একসাথে ২৭টি মেদ মাছ ধরা পড়ে। যার ওজন ১৭০ কেজি। মাছগুলো বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামনগরের নীলডুমুর ঘাটে আনা হলে ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন এক পাইকারি ক্রেতা।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. শরিফ হোসেন বলেন, খানিকটা কাইন মাছের আকৃতির মেদ মাছ খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এরা নদীতে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। সচরাচর জালে এমাছ মাছ ধরা পড়ে না। তবে মাঝে মাঝে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে মেদ মাছ। গত বছর এক জেলে এক সঙ্গে প্রায় ৩০০টি মেদ মাছ পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মাছের গায়ে ‘আল্লাহু'!
পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটেই বিক্রি দেড় কোটি টাকার মাছ