%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
করোনা: দেশে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ১৫১
দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১৫১ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪০ হাজার ৯৬৬ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ৭১ জন
এ সময়ে শনাক্তের হার ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ সাত হাজার ১৫১ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৪
দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৪০
ডেঙ্গু: দেশে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ২৮৫
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবা সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় নতুন এই মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৮৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮০
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৭ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯৩৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৬৬ জন ঢাকায় এবং ১৭১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২১১
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৪ হাজার ৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ১৪৮ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৯৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩ হাজার ১২১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২ হাজার ৩৫৮ জন ঢাকার ও বাকি ৭৬৩ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২০১
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে: মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সকল মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র বর্জ্য উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, এ বর্ধিত বর্জ্য নিষ্পত্তি করতে না পারলে দেশের সার্বিক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিবে। সেজন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে গৃহস্থলীর বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের বর্জ্য নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য এক যুগান্তকারী অর্জন।
তিনি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমিনবাজার ল্যান্ডফিলের ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট’ -এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ বিষয়ক এক সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।
সভার আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলে, ইনসিনারেশন ব্যবস্থা অনুসরণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বর্জ্য নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যাতে পরিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন থাকে। ঢাকার আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে এই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট নির্মাণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিদিন তিন হাজার টন মিক্সড বর্জ্য থেকে উৎপাদন করা হবে।
স্পন্সর হিসেবে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ ইনসিনারেশন প্লান্টে যুক্ত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রকল্প আগামী ২৪ মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ২৫ বছর পর্যন্ত ক্রয় করবে।
মন্ত্রী জানান এ প্রকল্পের সর্বমোট ধরা হয়েছে তিনশত মিলিয়ন ইউএস ডলার।
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধারণা ও অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি জানান, টেকসই উন্নয়নের জন্য এ ধরনের প্রকল্পের কোনো বিকল্প নেই। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন আমাদের বর্জ্য নিষ্পত্তি হবে তেমনি বিদ্যুতের মত অতি প্রয়োজনীয় শক্তিও আমরা উৎপাদন করতে পারব যা আমাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার কিছুটা সংকুলান হবে।
এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে এ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বলেন, সম্পূর্ণ বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় তা আমাদের বিদ্যুৎ খাতকে আরও শক্তিশালী করবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তার নাগরিকদের আরও উন্নত সেবা প্রদান করতে পারবে।
আরও পড়ুন: সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বুধবার বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন।
এটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সহিংসতা ও সংঘাত উত্তরণে সংলাপ ও সম্প্রীতির মাধ্যমে শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে বাংলাদেশকে অবশ্যই পাইলট প্রকল্প স্থগিত করতে হবে: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশনটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ এটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন এবং এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। ন্যায়বিচার, সাম্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার জন্য শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয় এই উচ্চ সভাটিতে।
এবারের রেজুলেশনটি বিশ্বব্যাপী নানাবিধ ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় সকল সদস্য রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করে।
এটি সর্বস্তরে প্রতিরোধমূলক কূটনীতি ও সংলাপ জোরদার করার ওপর জোর দেয়। সংঘাত প্রতিরোধ ও সমাধানে নারীর অগ্রণী ভূমিকার পুনর্ব্যক্ত করে এটি এই ধরনের প্রক্রিয়ায় নারীদের পূর্ণ, সমান ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া, রেজুলেশনটি সহিংসতা ও সংঘাতের অন্তর্নিহিত কারণসমূহ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে আরও উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়।
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রেজুলেশনটির প্রাসঙ্গিকতা বহুগুণে বেড়েছে। এর ফলে জাতিসংঘের প্রধান প্রধান কার্যাবলীতে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি বৃহত্তর পদচিহ্ন রাখতে পেরেছে এবং একটি প্রভাব সৃষ্টিকারী রেজুলেশনে পরিণত হতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে এটি একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত, যা বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে জাতিসংঘ সনদের দায়বদ্ধতার পরিপূরক হিসেবেও ভূমিকা রেখে চলেছে।’
এ বছর ১০০টির বেশি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুলেশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণা এগিয়ে নিতে একটি ব্যাপক সমর্থন হিসেবে বিবেচিত।
রেজুলেশনটির প্রতি অব্যাহত এই সমর্থন এবং প্রতিবছর সর্বসম্মতভাবে এটি গ্রহণ, শান্তির প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় ধরনের আস্থারই সাক্ষ্য বহণ করে।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালের গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতির দাবি জাতিসংঘের এজেন্ডায়
বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম আগা খান এবং আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের (একেডিএন) প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আগা খান একাডেমি ঢাকা প্রতিষ্ঠার কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন। কারণ, এটি দেশের আরও উন্নয়নে অবদান রাখবে এমন ভবিষ্যতের বাংলাদেশি নেতা তৈরি করতে চায়।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের শিক্ষা ও জলবায়ু অগ্রাধিকার নিয়ে প্রিন্স রহিম আগা খান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা করেছেন।
তিনি সরকারের চলমান সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান, বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে।
প্রিন্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে মহামান্য আগা খান এবং আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের অব্যাহত অঙ্গীকারের কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
একেডিএন অনুসারে, প্রায় সাত দশকের সহযোগিতার ভিত্তিতে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত একটি প্রোটোকল অব কো-অপারেশনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করা হয়।
প্রিন্স রহিম স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছর ধরে অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে উন্নতি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাংলাদেশের ভালো অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন।
বিশ্বব্যাপী একেডিএন-এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রিন্স রহিম ২০২২ সালে আগা খান একাডেমি ঢাকায় উদ্বোধনসহ বাংলাদেশে সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
একাডেমিটি একটি বর্ধিত আন্তর্জাতিক স্নাতক পাঠ্যক্রম এবং নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ প্রদান করে, যাতে স্নাতকদের দেশ ও বিশ্বজুড়ে তাদের সমাজে অবদান রাখতে ক্ষমতায়ন করা যায়।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে প্রিন্স রহিম কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে একেডিএন-এর অভিজ্ঞতা ও কর্মসূচি তুলে ধরেন এবং সবুজ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য নেটওয়ার্ক কর্তৃক গৃহীত জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রিন্স রহিম আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্যের হার আমরা শতকরা ৪০ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে আর চরম দারিদ্র্যের হার ১৮ ভাগ থেকে ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মাশরুমের চাষ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
তাছাড়া আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে আমরা মাশরুম বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।
বুধবার (১৪ জুন) বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-বিএআরসি মিলনায়তনে মাশরুম চাষের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাশরুম খুবই সম্ভাবনাময়। এটি খুবই পুষ্টিকর, যাতে প্রোটিন আছে ২২ ভাগের মতো। যেখানে চালে শতকরা ৮ ভাগ, গমে প্রায় ১২ ভাগ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া এটি অর্থকরী ফসল।
সেমিনারে দেশের প্রত্যেক উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের ২০০ থেকে ৩০০ মাশরুম উদ্যোক্তা তৈরির নির্দেশ দেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাদের বিবৃতিটি দেখে মনে হয়েছে, বিএনপি বিবৃতি দিয়েছে। এটি বিএনপির ইইউ শাখার বিবৃতির মতো হয়েছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে উল্লেখ করে দলটির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ইইউ পার্লামেন্টের ৬ জন সদস্যের এই বিবৃতি ভিত্তিহীন ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
দেশে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশে কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩। যা গত বছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি।
এ বছর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু।
এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। সে হিসাবে এ বছর ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বুধবার (১৪ জুন) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এবারও দেশে উৎপাদিত গবাদিপশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বিদেশ থেকে পশু আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই। দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোনভাবেই আমরা বাইরের প্রাণির ওপর নির্ভরশীল হবো না।
অবৈধভাবে দেশে পশু আসলে আমাদের অর্থ দেশের বাইরে অবৈধভাবে চলে যায়।
তিনি বলেন, কোরবানির হাটে এ বছর কোনোভাবেই রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ পশু বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্যে গত বছরের ন্যায় এবারও সারাদেশে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও রেলে কোরবানির গবাদিপশু পরিবহন করা হবে। যে অঞ্চলে গবাদিপশুর উৎপাদন বেশি সে অঞ্চল থেকে যে অঞ্চলে উৎপাদন কম সে অঞ্চলে রেলের মাধ্যমে পশু পরিবহন করা যায়।
এক্ষেত্রে রেল বিশেষ সুযোগ দেবে। কম খরচে পশু পরিবহনের সুযোগ করে দিবে। দেশের সর্বত্র যাতে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত থাকে সে অনুযায়ী পশু পরিবহনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
খামারিরা যাতে পছন্দ অনুযায়ী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারে এবং জোর করে কেউ পথে পশু নামাতে না পারে সেজন্য খামারিরা চাইলে ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
মন্ত্রী বলেন, কেউ খামারে পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা যাবে না। কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলেও তাকে হাসিল দিতে হবে না। হাটে আনার পথে কেউ পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল আদায় করতে পারে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় মন্ত্রী বলেন, হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সে জন্য হাটে আনার পথে, বাড়িতে ও পশু বিক্রি করা যাবে। তবে রাস্তায় হাট বসানো যাবে না।
এ ছাড়া ডিজিটাল হাটের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করা যাবে।
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
আ.লীগ সরকার অবাধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে উচ্চ মান প্রতিষ্ঠা করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, তার সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মান স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মতো কোনো বিতর্কিত নির্বাচন আওয়ামী লীগের শাসনামলে হয়নি, হবেও না।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
বর্তমানে জেনেভায় অবস্থানরত শেখ হাসিনা সংসদে আওয়ামী লীগের কাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-১১) এর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সংসদ নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সংস্থা নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন, যা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশ নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বে অবাধে নি
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতা দখল করতে আসেনি। জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছে যাতে জনগণ তাদের সরকার নির্বাচন করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অবাধ, নির্ভীক, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কে দেশ চালাবে তা জনগণই ঠিক করবে।
তিনি বলেন, এটা জনগণের শক্তি। আমাদের সরকার জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, তার সরকার 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ প্রণয়ন করেছে এবং আইন অনুযায়ী ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে স্বাধীন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সব সরকারি কর্মকর্তা/প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বে আসবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক ম্যান্ডেট অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।
আ.লীগ সভাপতি বলেন, তারা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, যারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চান তারা তা করতে পারেন।
আমাদের সরকার জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সুইজারল্যান্ড নতুন সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবে
বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড দক্ষতা প্রশিক্ষণ সক্ষমতা এবং জ্ঞান ভাগাভাগি অংশীদারিত্ব বাড়াতে বুধবার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে দক্ষ জনশক্তি, বিশেষ করে চিকিৎসা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে রপ্তানির সুযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেইন বেরসেট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের পর প্যালাইস ডেস নেশনসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে এই চুক্তি সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে ৮-১০টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা
সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জুর্গ লাউবার এবং সুফিউর রহমান নিজ নিজ সরকারের পক্ষে ‘নলেজ পার্টনারশিপ অ্যান্ড স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বেরসেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি সই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশের মধ্যে দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞান ভাগাভাগি করার পথ প্রশস্ত করবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, সুইজারল্যান্ডের কিছু বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিশেষ করে জুরিখে একটি যা প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ওপর বিশেষায়িত। এই ইনস্টিটিউট সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে।
বাংলাদেশ গবেষণা ও উদ্ভাবনে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য জুরিখের এই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তার নতুন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযুক্ত করতে চায়।
সুইজারল্যান্ড দক্ষ বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানি করতে চায়, বিশেষ করে চিকিৎসা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে। এজন্য দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
চুক্তির আওতায় সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশে প্রাথমিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করবে যাতে তারা প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ করতে পারে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: বিপিডিবি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
কোরবানির বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ে অপসারণে সকল সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে যাতে অসুবিধার সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে প্রস্তুতি পর্যালোচনামূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের পূর্বেই সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে, যাতে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়। জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও সংগ্রহ করা সহজ হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, পশুর হাট যেন ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সকল আয়োজন রাখা হবে।
ছাদ বাগান বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করে ছাদে বাগান এবং সবজি চাষ করাকে উৎসাহিত করার জন্য সকল সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকায় বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্সে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপোষ করেননি: তাজুল ইসলাম