%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
দেশে আরও ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে চারজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি দুইজন দেশের অন্যান্য জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৮৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৬২ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮৬৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৪৪০ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪২৪ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে মিয়ানমারে ‘নিরাপদ সুরক্ষা অঞ্চল’ তৈরির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমারে একটি ‘নিরাপদ সুরক্ষা অঞ্চল’ তৈরি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা তাদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সঙ্গে টেকসই সমাধানের জন্য আলোচনা করেছি (রোহিঙ্গা সংকটের)। ‘আমরা বলেছি আমাদের অগ্রাধিকার হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প শিগগিরই বাস্তবায়নের আশাবাদ শাহরিয়ারের
তিনি বলেন, মার্কিন পক্ষ উল্লেখ করেছে যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনও প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল নয়।
মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে তারা (রোহিঙ্গারা) একবার সেখানে (মিয়ানমার) যাবে, তারা অনুকূল পরিবেশ পাবে। আপনি (মার্কিন) একটি নিরাপদ সুরক্ষা অঞ্চল তৈরি করুন। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশেই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মার্কিন সরকার অব্যাহত মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে উদারভাবে আতিথ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতিথেয়তা করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং ২০১৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তায় প্রায় দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের কথা তুলে ধরেন, যার মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি পরিষেবা সরবরাহের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নতুন সহায়তায় ২৩ দশমিক আট মিলিয়ন মার্কিন ডলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেদারল্যান্ডসের বৃহত্তর সমর্থন চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পাইলট প্রকল্পের আলোচনায় ‘সম্পৃক্ত নয়’ ইউএনএইচসিআর
দেশের সব ধর্মের অধিকার সমুন্নত রেখেছে আ.লীগ সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সব ধর্মের অনুসারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করে তখনই সব ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করেন যে ধর্ম ব্যক্তির কিন্তু উৎসব সবার।
তিনি প্রতিনিধি দলকে বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্তের নেতৃত্বে নেতারা বলেন, বর্তমানে দেশে চাকরি, নিয়োগ, পদোন্নতির মতো সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর হয়েছে।
তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান কারণ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ডা. জাফরুল্লাহ অত্যন্ত স্পষ্টবাদী, দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন: বিএনপি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোমেন
সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ জানিয়ে দিয়েছে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়।
‘আমরা বলেছিলাম আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি, কিন্তু এটা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রোধ করার জন্য নয়। আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে,” পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষকে এসব কথা বলেছেন।
মোমেন বিপুল সংখ্যক সংবাদপত্র ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের চালু থাকার কথা উল্লেখ করেন যাকে তিনি ‘অতি সক্রিয়’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের মতে, সভায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ‘গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভয় দেখানো’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক
বাংলাদেশে শ্রম খাত সংস্কারের চলমান ও সম্পন্ন কাজের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই প্রচেষ্টা যথাযথভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নতিতে চলমান ইউএস-বাংলাদেশ পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন।
মোমেন শ্রমের মানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স
কর্পোরেশনের (ডিএফসি) অধীনে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশকে বিবেচনা করার জন্য মার্কিন পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিএফসি হলো আমেরিকার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন। এটি আজ উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সমাধানে অর্থায়নের জন্য বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল অপর রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করছে না: মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে একত্রে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ইরানের প্রতি এ আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যের অন্যতম অংশীদার। বাংলাদেশ ইরান থেকে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করলেও এর পরিমাণ খুব বেশি নয়।’
আরও পড়ুন: ভুটান-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি সই: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন. ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইরান ওআইসির (অরগানাইজেশন অব ইসলামিক করপোরেশন) সদস্য। আবার উভয় দেশেই ডি-৮ এর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০০৬ সালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি ২০২২ সালে দুই দেশ দ্বৈত শুল্ক পরিহারেও চুক্তি সই করে।’
এসময় দ্বৈত শুল্ক পরিহার চুক্তিটি অনুসমর্থন করার জন্য ইরানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।
উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইরানের পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু-প্রতীম দেশ। উভয় দেশেই প্রাচীনকাল থেকেই সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।’
বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণই লাভবান হচ্ছে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করেন ইরানি রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিসিবির কাজের অসঙ্গতি দূর করতে ১ কোটি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা বিনিয়োগ, কৃষি, মৎস্য, ওষুধ, সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ব্যাপকভাবে বাড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, বুধবার শ্রীলঙ্কার বিদায়ী হাইকমিশনার প্রফেসর সুদর্শন ডিএস সেনভিরাইন তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয়, যা ঐতিহাসিক বন্ধন এবং বহু অভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কাসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দেয় বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচির ৯০ শতাংশই দেশিয় সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হয়।
তিনি উল্লেখ করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে কঠোর পরিশ্রম করছে।
বাংলাদেশে তার দায়িত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করায় তিনি হাইকমিশনারকে অভিনন্দন জানান।
শ্রীলঙ্কার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ি এবং পায়রায় কয়লাচালিত পাওয়ার প্লান্টের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে আঞ্চলিক সংযোগের কেন্দ্রে পরিণত করতে সাহায্য করবে।
করিম বলেন, উভয়ই সমুদ্র অর্থনীতির ওপর জোর দেয়।
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, পর্যটন, গভীর সমুদ্রবন্দর এবং ওষুধ খাতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
তিনি পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী ২৫-২৮ এপ্রিল জাপান সফরে যাচ্ছেন
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে আলোচনা করতে ২৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ কর্মসূচির প্রথম কিস্তির ব্যবহার এবং দ্বিতীয় কিস্তি বিতরণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল ২৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বুধবার ইউএনবিকে জানায়, ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত মিশনটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ তিন থেকে চার সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: আর্থিক খাত সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসছে আইএমএফ দল
গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ কর্তৃক অনুমোদিত চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণের মধ্যে ৪৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।
২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ পরিশোধ করা হবে। সে হিসাবে আরও ছয়টি কিস্তি বাকি রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আইএমএফ সাধারণত প্রতিটি কিস্তি বিতরণের আগে সম্মতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় কিস্তি বিতরণের আগে ঋণের শর্ত পূরণ পর্যালোচনা করতে আগামী সেপ্টেম্বরে আইএমএফের একটি দল আসবে।
সাধারণত প্রতিটি বাজেট ঘোষণার আগে আইএমএফের একটি মিশন ঢাকায় আসে বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে। সূত্র থেকে আরও জানা যায়, এখন যেহেতু তাদের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি চলছে, তাই বাজেট সহায়তার পাশাপাশি ঋণের শর্ত পূরণের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসবে।
আরও পড়ুন: ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ: আইএমএফ অনুমোদন করতে পারে সোমবার
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধকালীন ফিল্ড হাসপাতাল এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সরকারি কাজে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত ড. মোমেন এক শোকবার্তায় মরহুম জাফরুল্লাহ চৌধুরীর রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মুক্তিযুদ্ধের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মহৎ প্রচেষ্টার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্মরণ করে শোকবার্তায় ড. মোমেন বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সারাজীবন কাজ করে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদানও তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ওষুধ শিল্প ও জনস্বাস্থ্য খাতে ড. জাফরুল্লাহর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ মঙ্গলবার রাত ৯টায় ১৪,৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড গড়ল
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশ রেকর্ড গড়েছে।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল রাত ৯টায় সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৪২৩ মেগাওয়াট।
সূত্র জানায়, ভারতীয় আদানি গ্রুপ থেকে আমদানি করা ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ার পরে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। আমদানি বিদ্যুতের দাম এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১৪ টাকার ওপরে হতে পারে এবং গড় উৎপাদন খরচ ৭ টাকার নিচে।
বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্থাপন করা হবে ৫০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র
মোংলায় ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন