%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
পহেলা বৈশাখে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আগামী ১৪ এপ্রিল দেশে উদযাপিত হওয়া বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে কোনো নাশকতার আশঙ্কা নেই। পহেলা বৈশাখে রাজধানীতে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের দেয়া দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ পুলিশ: আইজিপি
আইজিপি বলেন, কোনো হুমকি থাকুক বা না থাকুক, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রমজান মাসে ঢাকা মহানগরীর সব শপিংমলে ইতোমধ্যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্তরে নিরাপত্তা বলয়ও তৈরি করা হয়েছে।
মানুষ যাতে সহজে শপিংমলে আসা-যাওয়া করতে পারে সেজন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশরা সার্বক্ষণিক রাস্তায় থাকে, যাতে রমজানে নগরবাসীকে রাস্তায় ইফতার করতে না হয় এবং তারা সময়মতো তাদের বাড়িতে পৌঁছাতে পারে।
তিনি বলেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের আগে মানুষ যাতে কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য ঢাকা শহর ছাড়াও সারাদেশের বিভিন্ন মার্কেটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া আমরা সব মার্কেটে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। পুলিশের সকল ইউনিট জনগণকে নিরাপত্তা দিতে একযোগে কাজ করছে।
ব্রিফিংকালে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান আইজিপির
আইন মেনেই পুলিশ বিএনপির ৫৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে: আইজিপি
তারেক-জোবায়দার দেশের বাইরে থেকে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, পলাতক থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোর্টে হাজির না হয়ে আইনি লড়াই করার কোনো নজির নেই। করোনার সময়ে দুই ভাই (রণ হক শিকদার) দেশের বাইরে থেকে জামিন আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাদের জামিন শোনেননি। উল্টো দেশের বাইরে থেকে জমিন আবেদন করায় আদালত তাদের জরিমানা করেছিলেন। তাই পলাতক থেকে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানেরও আইনি লড়াই করার সুযোগ নেই।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পলাতক হওয়ায় তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে আইনি লড়াই করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও আইন অনুযায়ী কখনো কোনো পলাতক ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ না করে কোনো ধরনের আইনগত প্রতিকার চাইতে পারেন না।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলাটি করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা, অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে অভিযুক্ত করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ মামলায় পলাতক তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। দুজনের পক্ষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুনানিতে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এই আইনজীবী।
তবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তাদের আইনের আশ্রয় নিতে কে নিষেধ করেছে? তিনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে, আর বলবেন তাকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তারা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান।
দুদকের এই আইনজীবী আরও বলেন, এর আগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দেন। তারা তা করেননি। নতুন একটা আবেদন নিয়ে এসেছেন। তাই তাদের আবেদন খারিজ করে অভিযোগ শুনানি শুরু করার প্রার্থনা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানি নিয়ে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের পক্ষে আইনজীবী থাকবে কি না এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
‘অফলাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বেই’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাইবারজগতের সবখানে দায়িত্বশীল আচরণ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অফলাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বেই। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে বাস্তবজীবনে আমরা কতোটা দায়িত্বশীল।
সোমবার রাজধানীর বারিধারায় অ্যাস্কট দ্য রেসিডেন্স ভবনে ‘অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ: অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড প্রটেকশন অব ডিজিটাল সিটিজেনশিপ অ্যান্ড রাইটস’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের যৌথ আয়োজনে ‘ফস্টার রেসপনসিবল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রমোট ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া প্রকল্পটির অধীনে আয়োজিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন গণ্যমান্য আইনজীবী ও স্বনামধন্য মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার হচ্ছে: মন্ত্রী
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তায়েফ হোসেন বলেন, ‘অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কথা বলছি। তবে এর পাশাপাশি অফলাইনের তথা বাস্তবজীবনের সচেতনতায়ও নজর দিতে হবে’।
এছাড়া ‘লাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বে ‘।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অফলাইন জগতকে এত বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি যে কোথাও খেতে বসলে খাবারের স্বাদ উপভোগ না করে তার ছবি তুলে আপলোড করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে সবকিছু সচেতনতা দিয়েও হয় না, আইনের শাসনও দরকার হয়’।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সচেতনতা, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্বাধীন মতপ্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার ইত্যাদি সংক্রান্ত সচেতনতা, ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের মুক্ত ও নিরাপদ বিচরণ কীভাবে নিশ্চিত করতে পারবে এ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা হয় কর্মশালায়।
কর্মশালায় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা। তাদের কথায় নানা কার্যকর ও বাস্তবমুখী পরামর্শ উঠে আসে।
কর্মশালাতে এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা অ্যাডভোকেসি ব্রিফটি সবার সামনে তুলে ধরেন ইন্ডিপেনডেন্ট কনসাল্টেন্ট মো. মোজাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হতে সহায়তা করা এবং তাদের মাঝে গঠনমূলকভাবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে’।
পরবর্তীতে তিনি এই ব্রিফটিতে উল্লেখ করা বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে উপস্থিত সবার সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রাঞ্জল মতবিনিময় সেশন পরিচালনা করেন।
এছাড়া দেশের অনলাইন দুনিয়াকে তরুণ নাগরিকদের জন্য আরও সহায়তামূলক করে তোলার জন্য করণীয় বিভিন্ন পরামর্শ এই আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: ইউটায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে লাগবে অভিভাবকের সম্মতি
ঈদের ছুটি আরও ১ দিন বাড়ল
ঈদে ঘরমুখী মানুষদের স্বার্থে সরকার ২০ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটি এক দিন বাড়িয়েছে।
সোমবার সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঈদের ছুটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সরকারি ছুটি
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সুখবর হল ২০ এপ্রিল ছুটি থাকবে যাতে মানুষের ঈদযাত্রা সহজ হয়।
এছাড়া ১৯ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি পড়ার কারণে এখন সরকারি কর্মচারীরা ঈদুল ফিতরের সময় কমপক্ষে পাঁচ দিনের ছুটি পাবে।
এদিকে ঈদুল ফিতর ২২ এপ্রিল হলে (২৯ দিনের রমজানের ক্ষেত্রে) পাঁচ দিনের ছুটি হবে। আর ২৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতর হলে ছুটি আরও একদিন বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: মৃত্যু নেই, আক্রান্ত ১২
আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ও ঢাকার বাইরে নতুন ভর্তি হয়েছেন আরও দুইজন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৭ জন ঢাকার মধ্যে এবং পাঁচজন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ০১ জানুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৮৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৫৭ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৩১ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮৫৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৪৩৪ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪২৩ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া এখন পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু ০৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে শনাক্ত ও মৃত্যুশূন্য দেশ
দেশে ৮ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে আটজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ৩ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ পাঁচ হাজার ৫৭৬ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে ৪ জনের করোনা শনাক্ত
ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সোমবার সকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতায় মন্দিরে ভাঙচুর : ডা. জাফরুল্লাহ
এদিকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফি বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
সরকারের দায়িত্ব শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া: ডা. জাফরুল্লাহ
খুলনায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনার তেরখাদা আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে খুলনার একটি আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বিকালে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি পলাতক ছিলেন। অপরদিকে এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
নিহত পলাশ ওরফে সবুজ ওই গ্রামের জনৈক লুৎফর রহমানের ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- উপজেলার বারাসাত গ্রামের তকুব্বর ফকিরের ছেলে রোমান ফকির ও একই গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিলু।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুরাদ শরীফ ও খসরু মোল্লা। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলমঙ্গীর হোসেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলার ৩ নং আসামি মিলু মোল্লার বাড়িতে পলাশের প্রায়ই যাতায়াত ছিল। এ কারণে মিলু মোল্লা পলাশ এবং তার স্ত্রী রিক্তা বেগমকে সন্দেহ করত। এ অবস্থায় মিলু মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর রাত ৯ টায় বাড়ি থেকে পলাশকে ডেকে নেয়।
তারপর থেকে অনেক খোঁজ নেওয়ার পর পলাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে পলাশের পরিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আসামি মিলু মোল্লা তার স্ত্রীর অবৈধ প্রেমকে ঠেকানোর জন্য অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বারাসাত গ্রামের উত্তর পাশে বিলের ভেতর নিয়ে গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।
ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর আসামি রোমান মোল্লা তার শশুর বাড়ি রাজাপুর এসে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে পলাশ হত্যাকাণ্ডের গোমর ফাঁস করে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন নিহত পলাশের মা বেগম বিবি বাদী হয়ে চারজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে এ হত্যা মামলার আসামি রোমান ফকির গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলার আসামি রোমান ফকিরের দেখানো স্থান থেকে পলাশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা উপজেলার পাতলা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই বাবর আলী খান চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২২ জন আদালতে সাক্ষী দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, ভ্যানচালক আটক
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত থেকে রবিবার ২ দশমিক ৩৩ কেজি ওজনের ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক সন্দেহভাজন এক স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটকের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।
জব্দকৃত সোনার বারগুলোর বাজার মূল্য ১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বলে বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
আটক সাহাবুল মিয়া (৩৫) জীবননগর সদরপাড়া এলাকার মৃত মোকসেদ মণ্ডলের ছেলে।
৫৮-বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, এক ভ্যানচালক জীবননগর সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সোনার বার পাচার করবে এমন খবর পেয়ে জীবনপাড়া এলাকায় বিজিবির একটি টহল দল অবস্থান নেয়। পরে, তারা তার ভ্যানসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করে এবং ভ্যানের সিটের পেছনে লুকানো ২০টি বার জব্দ করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা করেছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
গ্রেপ্তারের ৩ ঘন্টার মধ্যে ছাড়া পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুক্তাদির
মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য জাপানের ভিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি আশা করেন যে বাংলাদেশ তার নতুন ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি) রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যা চলতি বছরের ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও ঘোষণা করেছেন।
দেশটির নৌবাহিনী জাপান মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের জেএস উরাগা (মাইন সুইপার টেন্ডার) এবং জেএস আওয়াজি (মাইন সুইপার ওশান) ইউনিটের শুভেচ্ছা বন্দর পরিদর্শনের পর চট্টগ্রাম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে ইওয়ামা এবং তার স্ত্রী রবিবার চিটাগাং ক্লাবে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, বাংলাদেশ নৌ ফ্লিটের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং মাইনসুইপার ডিভিশন ওয়ান এর কমান্ডার ক্যাপ্টেন নাকাই ইচি প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, প্রতিটি দেশের জন্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি আনার পাশাপাশি এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে একটি নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আদেশ নিশ্চিত করার জন্য এফওআইপি উপলব্ধি করতে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই সফরটি বাস্তব সহযোগিতার একটি উদাহরণ।
নতুন পরিকল্পনায় এফওআইপি -এর জন্য সহযোগিতার চারটি স্তম্ভ চালু করা হয়েছিল – ‘শান্তির নীতি এবং সমৃদ্ধির নিয়ম,’ ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপায়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা,’ ‘মাল্টি-লেয়ার কানেক্টিভিটি,’ এবং ‘নিরাপত্তার জন্য প্রচেষ্টা প্রসারিত করা এবং বাতাসে সমুদ্রের নিরাপদ ব্যবহার।’
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ