%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
বঙ্গবাজারের বিপরীতে বরিশাল প্লাজা মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর বঙ্গবাজারের বিপরীতে বরিশাল প্লাজা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার চারদিন পর ওই এলাকায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টা ৫ মিনিটের দিকে মার্কেটের চতুর্থ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নেভাতে দমকল কর্মীদের প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশপাশের কয়েকটি মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের আগুন ৭৫ ঘণ্টা পর নিভল
চট্টগ্রামে টিসিবির গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ডিএসএ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ছাত্র জনতার সমাবেশের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শাহাবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিট ও অন্যান্য বামপন্থী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- র্যাবের হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনের বিচার নিশ্চিত করা, যাকে বিক্ষোভকারীরা বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে। ডিএসএ-এর অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে মুক্তি দেওয়া এবং প্রক্রিয়াধীন থাকা ডেটা সুরক্ষা আইন (ডিপিএ) প্রণয়ন না করা।
আবু সাঈদ খান বলেন, ‘এই আইনটি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছিল কিন্তু এটি মানুষের নিরাপত্তা এবং চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির সমালোচনা করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু এই আইনটি দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলার জন্য একটি বাধা হিসাবে দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাস, তবে এর বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন মতামত থাকতে হবে। কিন্তু এই আইন মানুষকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে বাধা দেয় যা যুদ্ধের মানসম্পন্ন গবেষণার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা।এই আইনটি বিলুপ্ত করা ছাড়া আমাদের পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন করা হলেও এখন সংবিধানের নীতি লঙ্ঘন করে জনগণের নিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
তিনি আরও বলেন, ‘ডিএসএ হলো একটি আইন যেখানে কিছু ধারা রয়েছে যা অপরাধীদের দায়মুক্তি দিতে এবং ভিন্নমতকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রণয়ন করা হয়।’
এই সরকারকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিএসএ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি কিন্তু এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ এই সরকারের কিছু করার জন্য কোনো আইনের প্রয়োজন নেই। আমরা ইতোমধ্যেই এমন অনেক মামলার কথা জানি, যেগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযুক্তকে প্রথমে এবং কয়েক ঘণ্টা পরে গ্রেপ্তার করেছে। তারা মামলা করেছে।অন্যদিকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অনেক মামলা রয়েছে, যেগুলোকে সরকারের নির্বাহী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে তাদের সুতো মনে করে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের দেশ অবশ্যই একটি স্বাধীন দেশ, কিন্তু আমাদের মানুষ স্বাধীন নয়। আওয়ামী সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছে কিন্তু ২০০ বছরের পুরনো আইন (অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-১৮২৩) এখনও আমাদের দেশে কাজ করছে যার সমস্ত ঔপনিবেশিক চরিত্র রয়েছে এবং যা এখনও মুক্ত ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বাধা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে কিছু ব্যক্তি একটি পত্রিকার লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। তবে আমরা জানি তারা কারা ছদ্মবেশে, তারা কেউ নয়, তারা সরকারের লোক এবং তারা আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চায়।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা এখানে এসেছি আমাদের অধিকার ফিরে পেতে। আমরা স্বাধীন জীবন যাপন করতে চাই, আমরা স্বাধীনভাবে আমাদের মতামত ও চিন্তা প্রকাশ করতে চাই। সরকারের সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
অধিবেশন চলাকালীন ডিএসএ, ডিপিএ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিষয়ভিত্তিক কার্টুন এবং গণস্বাক্ষর প্রচারণা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি: বাংলাদেশ র্যাবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বলে আশা যুক্তরাষ্ট্রের
মাদারীপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাএীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মাদারীপুরের শিবচরে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে কারখানার ভিতর আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ৭ এপ্রিল সকালে মেয়েটি তার পূর্ব পরিচিত মবিল কারখানার শ্রমিক সাজ্জাতের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ধর্ষণের শিকার হন।
পারিবারিক সূএ জানায়, শিবচর উপজেলার বাখরের কান্দি এলাকায় মিজান সরদারের মবিল কারখানা নিকটস্হ নানা বাড়িতে থেকে ওই মেয়েটি লেখাপড়া করছিল।শিশুটি কারখানায় গেলে কারখানার মালিক মিজান সরদার (৪৫) সাজ্জাতকে অন্য কাজে পাঠিয়ে মেয়েটিকে কারখানার ভিতরে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটির বাবা মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে ধর্ষণকারী মিজান তাকে লাঞ্চিত করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ধর্ষক মিজান সরদার বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
নারায়ণগঞ্জে ছোট ভাইকে হত্যা করে ড্রামে করে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে বড় ভাইসহ আটক ৩
ব্যক্তিগত মুহুর্তে উত্যক্ত করায় ছোট ভাই সাত বছরের শিশু সৌরভকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই ও ভাবীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা এসব তথ্য জানান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- নিহত সৌরভের সৎ বড় ভাই সানি মিয়া (১৯), তার স্ত্রী আয়শা আক্তার (১৮) ও তার শ্বাশুড়ি শিল্পী বেগম (৩৫)।
পুলিশ আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, শ্বাশুড়ির পরামর্শে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ছোট ভাইকে হত্যা করে একটি ড্রামে ভরে খাটের নিচে রেখে দেয় সানি। পরে রাতে সুযোগ বুঝে স্ত্রীর সহযোগিতায় বাড়ির পেছনে পরিত্যাক্ত কচুঁর ঝোপে ফেলে দেয় লাশটি।
এরপর বৃহস্পতিবার বন্দর উপজেলার কুঁড়িপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে বন্দর থানায় নিহত শিশু সৌরভের মা-বাবা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকা থেকে শিশু সৌরভের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশুটির মা কুলসুম বেগম মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঘর থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ থাকে সে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মসজিদের মাইকে সৌরভের নিখোঁজের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, আটক ৫
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পরিত্যক্ত জায়গা শিশুর লাশটি পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। শিশুটি সোনারগাঁ উলিপুরা গ্রামের সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে ও বন্দর রাজা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহত শিশুর সৎ ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, ও শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে তাদের বিবাহিত জীবনে ব্যক্তিগত মুহুর্তের সময় উত্যক্ত করার কারণে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। প্রথমে লাশ খাটের নিচে রাখা হয়। পরে রাতে লাশটি নিয়ে পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে রাখে।
নিহত শিশুর পিতা সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, আমরা সন্তানের ওরা এভাবে হত্যা করবে আমি কখনও কল্পনা করতে পারি নাই। আমরা এই খুনের বিচার চাই, ফাঁসি চাই।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ছুরিকাঘাতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত, আটক ১
বঙ্গবাজারের পোড়া চাদর কিনলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া মার্কেট থেকে উদ্ধার হওয়া একটি পোড়া চাদর কিনলেন ৪০ হাজার টাকায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে তাদের পুড়ে যাওয়া পোশাক কেনাবেচার উদ্যোগ নিয়েছে দাতব্য সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।এই পোশাক সংগ্রহের মাধ্যমে তারা সমাজের বিত্তবানদের কাছে বিক্রি করছে। এই বিক্রির টাকা ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এরই অংশ হিসেবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন থেকে বঙ্গবাজারে পোড়া একটি চাদর ক্রয় করেন প্রতিমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই পোশাক ক্রয় করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হবে: পলক
এসময় তিনি বলেন, আমি এবং আমার সহকর্মীদের সবার কাছে যা ছিল তা মিলে ৪০ হাজার টাকায় এই চাদরটি কিনলাম। ভয়াবহ আগুনে আনুমানিক প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন তাদের কিছুটা আর্থিক ও মানসিক সহযোগিতা দরকার। আমরা ১৭ কোটি মানুষ যার যতোটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়ে কি এই পাঁচ হাজার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো না?
তিনি আরও বলেন টাকা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো ব্যবসায়ীর পাশে আমরা আছি।
তিনি সৃজনশীল, উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বঙ্গ বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং তাদের যেকোনো মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে সবসময় থাকবেন বলেও জানান।
প্রতিমন্ত্রী সামর্থ্য অনুযায়ী বঙ্গবাজারের অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপায় ৩ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মহানগররীর আকবরশাহ থানার বেলতলি ঘোনা এলাকায় পাহাড় কেটে সড়ক তৈরির সময় পাহাড় ধসে অন্তত তিন শ্রমিক নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও কয়েকজন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যার আগে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের মধ্যে খোকা (৪৫) নামে এক যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা এনামুল হক।
তিনি বলেন, পাহাড়ের মাঠি ধসে হতাহতের খবর পেয়ে ‘আমরা কাজ করছি৷ হতাহতের সংখ্যা এখনও জানানো যাচ্ছে না।’
এদিকে পাহাড় ধসের খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে যান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- আজকে ইফতারের পূর্বমুহূর্তে আনুমানিক বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে আকবর শাহ মাজারস্থ বেলতলী ঘোনা নামক এলাকায়য় শ্রমিকরা পাহাড়ের মাঠি কাটার সময় পাহাড় ধসে বেশ কয়েকজন মাটি চাপা পড়ে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনজন মারা যায়।
উল্লেখ্য, আকবরশাহ এলাকার বেলতলী ঘোনায় রাস্তা করার জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছে এমন অভিযোগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়েছিল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের সময় পাহাড় কাটার অভিযোগে মো. শাহজাহান (৪০) নামে একজনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ সময় পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটরও জব্দ করা হয়। অভিযানে অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আহমেদ ও আকবরশাহ থানার সাব ইন্সপেক্টর আলাউদ্দিন।
ব্যাপক উন্নয়নের পেছনে সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিগত তিন মেয়াদে ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ধারা বাহিক অগ্রগতি, সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ক্ষেত্র তৈরি করেছে।’
জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপনকালে এ কথা বলেন সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সুযোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) সফলভাবে বাস্তবায়ন, দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনা, বাংলাদেশের ক্রমান্বয়ে টেকসই উন্নয়ন, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার মতো
অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন, খাদ্য স্বয়ংক্রিয়তা অর্জন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জনগণ, নারীর ক্ষমতায়ন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীরনিবাস (ঘর) নির্মাণ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ।
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে, জনজীবনের উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের এক বিস্ময়।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি দিবসে গোপালগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রস্তাবে বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছরের শুভ মুহুর্তে, সংসদ অভিমত যে সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ মান উন্নয়নে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। জনগণের জীবন এবং তাদের আশা-আকাঙ্খার সফল বাস্তবায়ন এবং এভাবে গণতন্ত্র সুদৃঢ় হবে, একটি শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সকলের জন্য সমতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, আমরা সবাই মিলে এই প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করব। সংবিধান, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ এবং সোনার বাংলা গড়ে তোলা- এটাই আমাদের দৃঢ় প্রত্যয় হওয়া উচিত।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংসদে ভাষণ দেন।
১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সংসদের অধিবেশন হয়।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলার কৌশল নিয়ে ইইউ, দক্ষিণ এশিয়ার নীতি নির্ধারক-বিশেষজ্ঞদের আলোচনা
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের স্টেকহোল্ডাররা কৃষি ও কৃষির কারণে পরিবেশগত অবনতির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যকর পুষ্টি এবং খাদ্য বর্জ্য হ্রাসের বিষয়ে একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সকলেই একমত যে সামগ্রিক এবং দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপগুলো অবশ্যই নিতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের পাঁচটি দেশের মধ্যে আলোচনা সম্প্রতি শেরাটন নয়াদিল্লিতে এবং অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইইউ-অর্থায়নকৃত বৃহত্তর 'সবুজ চুক্তি' প্রসঙ্গে ইইউ ওয়ার্কশপ সিরিজের অংশ হিসেবে 'ফার্ম টু ফর্ক' (এফ২এফ) কৌশলকে সমর্থন করে।
কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেন সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চলমান চরম আবহাওয়া, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহের চেইন এবং সম্প্রদায়গুলোকে ব্যাহত করেছে। যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং ক্ষুধা বা স্থূলতার মতো খাদ্য সম্পর্কিত স্বাস্থ্য হুমকির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
উপরন্তু, বর্তমান খাদ্য উৎপাদন, পরিবহন এবং প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতিগুলো খাদ্য শৃঙ্খলে দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ২১ থেকে ৩৭ শতাংশ সহ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অবদানকারী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনের ডিরেক্টরেট-জেনারেল ফর ফুড সাসটেইনেবিলিটির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ক্লেয়ার বুরি কর্মশালার উদ্বোধন করে বলেন, ‘ইউরোপে, আমাদের নাগরিকরা জলবায়ু এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছে।’
‘তাদের সুপারিশগুলো আমরা যে টেকসই নীতিগুলো তৈরি করছি, এবং আমরা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে যে সহযোগিতামূলক কাজগুলো বিকাশ করতে চাই তা এগিয়ে যাওয়ার পথকে সমর্থন করে।’
ডা. কোয়েন ভ্যান ডাইক জোর দিয়েছিলেন যে ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, তথ্য বিনিময় করতে হবে এবং জোট তৈরি করতে হবে। বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ
সঠিকভাবে, ‘আমাদের এটি ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়: খাদ্য ব্যবস্থা একটি জটিল ধারণা এবং ১৯৫০ এবং ৬০-এর দশকের সবুজ বিপ্লবের চেয়ে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ’ ভারতে আইএফপিআরআই-এর দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর ড. শহীদুর রশিদকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এই কর্মশালাটি ইইউ এবং ভারতের চারটি প্রতিবেশী দেশ (ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং বাংলাদেশ) এর মধ্যে মাটির স্বাস্থ্য এবং জৈব উৎপাদন সম্পর্কে মতামত বিনিময়ের অনুমতি দেয়। এরমধ্যে রয়েছে কীটনাশক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালস টেকসই ব্যবহার; এবং খাদ্যের ক্ষতি এবং অপচয়।
ফুড সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, নেপালের সভাপতি অতুল উপাধ্যায় বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যকর, টেকসই খাদ্যের দিকে পরিবর্তনের প্রচার সহযোগিতার মাধ্যমে করতে হবে। খাদ্য ব্যবস্থা প্রত্যেকের ব্যবসা।’মনে রেখে যে তার সবুজ চুক্তির অংশ হিসাবে, ইইউ তার খাদ্য ব্যবস্থাকে (ফার্ম থেকে ফর্ক কৌশল) প্রতিযোগিতামূলক স্থায়িত্ব, মানব ও গ্রহস্বাস্থ্যের সুরক্ষা এবং সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে রূপান্তর করার জন্য উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ এবং প্রতিশ্রুতি প্রস্তাব করেছে। খাদ্য মূল্য শৃঙ্খলের সমস্ত অভিনেতাদের জীবিকা, ক্রিস্টিনা লাসো সানজ-ইসি ডিজি সান্টে-এ ইউনিট এ-৫ (দ্বিপক্ষীয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক)-এর ডেপুটি হেড- আশ্বস্ত করে কর্মশালাটি সমাপ্ত করে দেন যে ‘আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিভঙ্গি এবং লক্ষ্য এবং উপায়গুলো চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি না। তাদের অর্জন করতে; আমরা এইখানে, একসঙ্গে জোট গড়তে চাই।’
আরও পড়ুন: তিস্তা নিয়ে কূটনৈতিক যোগাযোগে ভারতের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি বাংলাদেশ
দেশে ৩ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে তিনজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও দুজন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ পাঁচ হাজার ৫৬১ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ৬ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে ৪ জনের করোনা শনাক্ত
সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শুক্রবার সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংসদীয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিগুলোকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংসদের সামগ্রিকভাবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা রয়েছে। প্রথমত, শ্রেণী, পেশা ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সমাজের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করা; দ্বিতীয়ত, আইন প্রণয়ন এবং সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং তৃতীয়ত তদারকির মাধ্যমে নির্বাহী শাখার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিগুলোকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে পারলে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে।
শুক্রবার জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিশেষ অধিবেশনে’ ভাষণ দানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র তাল মিলিয়ে এগিয়েছে'- লক্ষ্য করে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র বিরাজ করলেই উন্নয়ন ও অগ্রগতি এগিয়ে যায়। আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভাবে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
উন্নয়নকে স্থায়ী ও টেকসই করতে হলে তৃণমূল পর্যায়ে বিকাশের জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে যে উন্নয়ন হয় তা কখনই সর্বজনীন হতে পারে না। এ ধরনের উন্নয়ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দেশে ফেরার পরপরই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক লক্ষ্যে একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনার কাজ শুরু করেন। জনগণের মুক্তি। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশকে শূন্য থেকে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দিন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু শহীদ না হলে দেশ অনেক আগেই উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। ১৯৭৫ সালের পর বহু বছর উন্নয়ন ও গণতন্ত্র অবরুদ্ধ ছিল।
সংসদকে কার্যকর করতে সকল সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনীতিতে মত, নীতি ও আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার বিষয়ে কোনো ভিন্নমত থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, এই সংসদকে জনগণের আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা দল-মত নির্বিশেষে সকল সদস্যের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র কোনো আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্য বা সেবা নয়।
হামিদ বলেন, ‘আমাদের মনে হলে অন্য দেশ থেকে পছন্দের পরিমাণে গণতন্ত্র আমদানি বা রপ্তানি করা’ এর সারমর্ম নয়। গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করে এবং চর্চার মাধ্যমে শক্তিশালী হয়।’
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সংসদীয় কার্যক্রমে লিপিবদ্ধ বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য অধ্যয়ন করলে সংসদকে কীভাবে প্রাণবন্ত ও কার্যকর করা যায় তা আমরা শিখতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, কীভাবে বিরোধী দলকে আস্থায় নেওয়া যায় এবং অন্যদের সম্মান করা যায়, বঙ্গবন্ধু বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো বৈশ্বিক মর্যাদার একজন কিংবদন্তী নেতা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা তাকে ধরে রাখতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিন: রাষ্ট্রপতি
নবনির্বাচিত স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে অভিনন্দন জানানোর সময় তিনি পঞ্চাশ বছর আগে প্রথম সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বক্তব্যের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করে বলেন, সংসদ সদস্যরা আপনাদের দায়িত্ব পালনে সব সময় সহযোগিতা করবেন।
বঙ্গবন্ধু আশা প্রকাশ করেন যে ঐতিহ্যবাহী সংসদীয় রীতিনীতি মেনে কার্যক্রম নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হবে এবং তাদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা পাবেন।
সেসময় সংসদ নেতা শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে যাতে এই সংসদের মর্যাদা সমুন্নত থাকে, কারণ আমরা যে ইতিহাস তৈরি করেছি তাতে কোনও ত্রুটি থাকা উচিত নয়।’
হামিদ বলেন, দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে
গত দেড় দশক ধরে শাসন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার কারণে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ এখন অগ্রগতির এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন শুরু করেছে বাংলাদেশ সংসদ।
এটিও একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন।
সংসদ সদস্যদের আলোচনা সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর একটি প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হবে।
১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ তার প্রথম অধিবেশন বসে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজকে টাকা বানানোর যন্ত্রে পরিণত করা উচিত নয়: রাষ্ট্রপতি