%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
ইউএন বাংলা ফন্ট এখন ইউনিকোডে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবার অনলাইনে বাংলা ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে ইউনিকোডসহ, ‘ইউএন বাংলা' ফন্ট ৭টি ভিন্ন রূপে প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীদের সুবিধার্থে ইউএনডিপি নতুন ফন্টগুলো প্রকাশ করেছে বলে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
ইউএন বাংলা ফন্ট প্রথম ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শুধু একটি আঙ্গিকে অফলাইনে ব্যবহারের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং শুভেচ্ছা দূত জয়া আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএন বাংলা ফন্টের ইউনিকোড সংস্করণের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা দিবসে ‘বাংলা ফন্ট’ চালু করল জাতিসংঘ
স্টেফান লিলার বলেন, ‘২০২০ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা ইউএন বাংলা ফন্ট প্রকাশ করেছিলাম। যেহেতু অনলাইনে বাংলার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। তাই আমরা এবার ইউনিকোডে ইউএন বাংলা ফন্ট সবার ব্যবহারের জন্য প্রকাশ করেছি। বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউএন বাংলা ফন্টের ইউনিকোড সংস্করণ, আমি মনে করছি বাংলা লেখার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।'
স্টেফান লিলার আরও বলেন, ‘যারা বাংলায় লেখালেখি করেন তারা এখন মোবাইলে এবং কম্পিউটারে এই ফন্ট ব্যবহার করে নতুন আঙ্গিকে লিখতে পারবেন’।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত জয়া আহসান ফন্টটি উদ্বোধনকালে বলেন, ‘আমরা যারা বাংলায় লেখালেখি করি তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি দারুন সংবাদ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউএনডিপির এরকম একটি উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত’।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন্স মো. আব্দুল কাইয়ূম বলেন,‘ইউএন বাংলা ফন্টটি দিয়ে খুব শিগগিরই ইউএনডিপি বাংলাদেশের ওয়েবসাইটটি বাংলাতে প্রকাশ করা হবে, এছাড়াও এই ফন্টটি ইউএনডিপির অন্যান্য বাংলা প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবহার করা হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ফন্টটি শুধু ইউএনডিপির জন্য না, জাতিসংঘ যে কোন সংস্থা এই ফন্টটি ব্যবহার করতে পারবে, পাশাপাশি যে কেউ এটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে’।
ইউএন বাংলা ফন্টটির ডিজাইনার, মহিবুবুর রহমান রাজন বলেন, ‘আসলে আমাদের প্রিয় বাংলা বর্ণমালায় মাত্রা যুক্তাক্ষরসহ সব মিলিয়ে বৈচিত্র্য অনেক বেশি তাই বাংলা বর্ণমালা নিয়ে কাজ করার সুযোগটাও বেশি। ইউএন বাংলা ফন্টটির মতো এতো ভিন্নতা খুব বেশি আর নেই’।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে সহায়তা করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
২০২৩ সালের একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, সরকার দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিশেষ উপদেষ্টা নাকাতানি জেন ৯সদস্যের জাপানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার রক্ষায় সবরকম সহযোগিতা করবে সরকার: আইনমন্ত্রী
এসময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার পরিস্থিতি, গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা, হলি আর্টিসান মামলার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিচার করেছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করছে। ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ণ করে তার অধীনে একটি শক্তিশালী জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই কমিশন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেই কমিশন ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের খাদ্য ও গৃহ সংস্থানের অধিকার পূরণে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যুগান্তকারী বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে সকল গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদাহরণ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে আদালত কতৃর্ক দণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় তার কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় থেকে সুচিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
আনিসুল হক জানান, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ কার্যকর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফলে গার্মেন্টস খাতের কর্মপরিবেশ আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। সরকার শ্রম আইনকে সংশোধন করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছে; আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চাহিদ মোতাবেক আইনটিকে আরও শ্রমবান্ধব করার কাজ করছে। কোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ওই কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিকদের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান করা হয়েছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হয়েছে।
এছাড়া, কারখানার আরও অনেক অপারেটিং সিস্টেম অনলাইন করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে শ্রম আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বর্তমানে অনেক কমেছে।
হলি আর্টিসান মামলার অগ্রগতির বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, অধস্তন আদালতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে আছে। সেখানে খুব অল্প সময়ে এই মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে জাপানী প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আইনমন্ত্রী জাপান সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
সেইসঙ্গে জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সম্পর্ক আগামীতে আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
হলি আর্টিসান মামলায় অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের পাশে থাকার জন্য জাপানি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মহাখালী জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন।
দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য মায়েদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় তিন লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে চার থেকে পাঁচ ভাগ শিশু রাতকানা হয়ে জন্ম নিত। সেই হার এখন শুন্য দশমিক এক ভাগে নেমে এসেছে। ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল শিশুদের জন্য কেবল রাতকানা প্রতিরোধের জন্যই ব্যবহার হয় না, এই ক্যাপস্যুল শিশুদের মৃত্যুহার কমায় প্রায় ২৪ ভাগ। হাম, ফাইলেরিয়ার মত অসুখ হতে পারেনা। শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চাই। সোনার বাংলা করতে সোনার শিশু তৈরি করতে হবে। সেই সোনার শিশু তৈরি করতে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে হবে।
এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে এই ভিটামিন যেন নির্দিষ্ট বয়সের সব শিশু খেতে পারে তারজন্য আজকের দিনে সব মায়েদের নিজ নিজ নির্দিষ্ট বয়সী শিশুকে সঙ্গে নিকটস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে টিকা খাওয়াতে অনুরোধ জানান।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা-সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল নির্দিষ্ট বয়সী শিশুদের বছরে দুবার খাওয়াতে হয়। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী সারাদশের সকল সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে খাওয়ানো হবে।
এর জন্য দুই লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী একযোগে দেশের এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপস্যুল খাওয়াতে কাজ করবে।
৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপস্যুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপস্যুল খাওয়ানো হবে।
সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. আব্দুল মান্নান এবং ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি ১৮ শতাধিক কেন্দ্রে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে
সোমবার দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কাল
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) 'অমর একুশে', ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায়, বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩-এর প্রতিপাদ্য হল ‘বহুভাষিক শিক্ষা- একটি বহুভাষিক বিশ্বে শিক্ষাকে রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তা’।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা: রায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
ভাষা আন্দোলনের সেই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খালি পায়ে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গাইতে গাইতে হাতে ফুল নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ায় এবং পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিলে বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন মাটির বীর সন্তান।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদেএবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘অমর একুশের চেতনা এখন বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণার উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরও বেশি পরিশ্রমী হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদে আমরা এখন একই বৈশ্বিক গ্রামের বাসিন্দা। তাই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে বিভিন্ন ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যা আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আমাদের নিজস্ব ভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বহুভাষিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট নির্ধারণ
তিনি আরও বলেন, ‘অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হোক, বৈষম্যহীন বর্ণিল পৃথিবী গড়ে উঠুক- শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ অনুসরণ করে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করব- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলব।
তিনি আরও বলেন, ‘‘এছাড়া, আমরা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের মতো উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’’
অন্যদিকে, রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ভাষা শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জঙ্গি হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পলাশী থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে নিয়ে এসেছি। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তারা প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর, সাধারণ মানুষের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।’
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবে এবং দোয়েল চত্বর দিয়ে প্রস্থান করবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিসপত্র বহন করতে দেয়া হবে না।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে এবং বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
অমর একুশে উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সব শহীদ মিনার নির্মাণে রুল
পঞ্চগড়ে ট্রাক্টরচাপায় স্কুল শিক্ষিকা নিহত
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ট্রাক্টরের চাপায় এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাক্টরটিতে আগুন দেয়। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের ফুটকিবাড়ি বাজারের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যশোদা রানী (৩৫) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের নন্দগছ গ্রামের রাজিব চন্দ্র রায়ের স্ত্রী এবং বোদা উপজেলার ফুটকিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় যুবক নিহত
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, যশোদা রানী মোটরসাইকেলে স্কুলে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ফুটকি বাড়ি বাজারের সামনে মোটরসাইকেলের চাকা বালুতে পিছলে গিয়ে যশোদা রানী পাকা সড়কে ছিটকে পড়েন, সঙ্গে সঙ্গে একটি ইটবোঝাই ট্রাক্টর তাকে চাপা দেয়। এতে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে স্থানীয়রা তার লাশ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ট্রাক্টরের চাপায় শিক্ষিকার মৃত্যুর পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
তিনি বলেন, লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাটিবাহী ট্রাক্টরচাপায় যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক্টরচাপায় যুবক নিহত
শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্যাংককে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশু-কিশোরদের এবং আগত অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তাদের বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণে সহায়ক হবে।
এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) জনাব নির্ঝর অধিকারী।
বয়স অনুযায়ী শিশু-কিশোরেরা দু’টি গ্রুপে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অংকনের বিষয় ছিল শহিদ মিনার।
প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অনন্যা পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মাগুরায় শতবর্ষী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট নির্ধারণ
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি রুট ম্যাপ চূড়ান্ত করেছে, যা ২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাত ৮টা থেকে কার্যকর হবে।
রুটম্যাপ অনুযায়ী, সর্বস্তরের জনসাধারণ পুরনো হাইকোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল ক্রসিং, বাংলা একাডেমি, টিএসসি মোড়, উপাচার্য ভবনের পাশ দিয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড়, নিউমার্কেট-ক্রসিং পার হয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর দিকের গেইট দিয়ে কবরস্থানে প্রবেশ করবেন এবং শহীদদের কবর জিয়ারতের পর আজিমপুর কবরস্থানের মূল গেট (দক্ষিণ দিকের) দিয়ে বের হয়ে আজিমপুর সড়ক হয়ে পলাশী মোড় থেকে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবেন।
আরও পড়ুন: জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদল ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করবে
কবরস্থানে না গিয়ে বিকল্প পথে যারা শহীদ মিনারে যেতে চান তারা উপাচার্য ভবন পার হয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড় থেকে বাম দিকের রাস্তা দিয়ে (জহুরুল হক হলের পশ্চিমের রাস্তা) সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা হয়ে শহীদ মিনারে যেতে পারবেন।
নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে ইডেন কলেজের সামনের রাস্তা দিয়েও আজিমপুর মোড়, পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ধরে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
চাঁনখারপুল এলাকা থেকে বক্শি বাজার মোড় হয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়েও পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ধরে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা অর্থাৎ শিব বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে শহীদ মিনারে ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
উপাচার্য ভবন গেট থেকে ফুলার রোড হয়ে ফুলার রোড মোড় পর্যন্ত রাস্তা এবং চাঁনখারপুল থেকে কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তা জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও পেছনের রাস্তা দিয়ে চাঁনখারপুল হয়ে শুধু প্রস্থান করা যাবে, শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা থেকে ক্যাম্পাস এলাকার অন্যান্য সড়ক বন্ধ থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
যেখানে তারা ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে নেয়া রুটম্যাপ ও সার্বিক প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য বরাবরের মতো এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং বিভিন্ন উপ-কমিটি নানাবিধ দায়িত্ব পালন পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার শ্রদ্ধা জানানোর পর অন্যান্য সংগঠনগুলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এবছর ব্যক্তি পর্যায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা যাবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, বেদির প্রাঙ্গণ ধুয়ে-মুছে রং করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাটিকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে।
আইন অনুষদের সামনে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যাতে এলাকা মনিটরিং করতে এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায়।
অন্যদিকে, ঢাবির চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে তাদের চিত্রকর্মে তুলির সর্বশেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
ঢাবির চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম গত দুই দিন ধরে দেয়ালচিত্র করছেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বাকি আছে শুধু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের গ্রাফিতি। বাকি অংশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
দেশে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে ১৪ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৪ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ৭ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৮৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬১ জনে।
এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে ৫ জনের করোনা শনাক্ত
শুধু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ বলেন, সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিজিবি।
তিনি বলেন, তবে শুধুমাত্র আমাদের সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ মাদকের চাহিদাও বন্ধ করতে হবে। একটি দেশের সমাজকে ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। সেকারণে মাদকের কুফল সমাজে তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি দপ্তরে মাদক ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২০২১ সালের ১ জুন থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মাদক জব্দ করে বিজিবি।
ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- পাঁচ হাজার ৭৮১ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ২৪৩ কেজি গাঁজা, ১১ হাজার ৭৮৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১৭ হাজার ৭৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৫ হাজার ৪৬৫ পিস ভারতীয় অনাগ্রা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।
মাদক ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ।
এ সময় সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক অপারেশন মেজর রেজা আহমেদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার, সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার মেজর গালিব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে প্রাইভেটকার থেকে ৯ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে বিজিবি
দেশে ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি দুইজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৫ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৩৫ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬৬৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩১৪ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৫০ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ৪
দেশে ডেঙ্গুতে শনাক্ত ও মৃত্যু নেই